মহাত্মা গান্ধী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[অপরীক্ষিত সংশোধন] | [অপরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ 2409:4061:683:A14C:79BF:FC9D:FCF9:5A1-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Fagun Koyel-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
|||
১৯ নং লাইন:
* [[অহিংস আন্দোলন]]
|movement=[[ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন]]
| education = [[ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন]]<ref>{{
| occupation = {{hlist|উকিল|রাজনীতিবিদ|আন্দোলনকারী|লেখক}}
| years_active = ১৮৯৩–১৯৪৮
২৫ নং লাইন:
| party = [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস]]
| religion = [[হিন্দু ধর্ম]]
|father = [[
|mother = পুতলিবাই গান্ধী
| spouse = {{বিবাহ|[[কস্তুরবা গান্ধী]]|1883|1944|end=died}}
৪৩ নং লাইন:
== প্রাথমিক জীবন ==
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/613205934|শিরোনাম=Mohandas Gandhi|শেষাংশ=Todd, Anne M.|তারিখ=2004|প্রকাশক=Chelsea House|অবস্থান=Philadelphia|অন্যান্য=Marty, Martin E., 1928-|আইএসবিএন=978-0-7910-7864-8|oclc=613205934}}</ref> ১৮৬৯ সালের ২ রা অক্টোবর <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=FauJL7LKXmkC&hl=en|শিরোনাম=Gandhi: The Man, His People, and the Empire|শেষাংশ=Gandhi|প্রথমাংশ=Rajmohan|তারিখ=2008-03-10|প্রকাশক=University of California Press|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-520-25570-8}}</ref> [[পোরবন্দর|পোরবন্দরের]] হিন্দু মোধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/40199852|শিরোনাম=Responses to 101 questions on Hinduism|শেষাংশ=Renard, John, 1944-|তারিখ=1999|প্রকাশক=Paulist Press|অবস্থান=New York|আইএসবিএন=0-8091-3845-X|oclc=40199852}}</ref> তার পিতা করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের [[দেওয়ান]] (প্রধান মন্ত্রী)। মা পুতলিবা করমচাঁদের চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। পুতলিবা প্রনামী বৈষ্ণব গোষ্ঠীর ছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=aLgB8pZg0qsC&pg=PA67&hl=en|শিরোনাম=Identity and Religion: Foundations of Anti-Islamism in India|শেষাংশ=Misra|প্রথমাংশ=Amalendu|তারিখ=2004|প্রকাশক=Sage Publications|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-7619-3227-7}}</ref>
[[চিত্র:Gandhi and Kasturbhai 1902.jpg|left|thumb|240px|গান্ধী এবং তাঁর স্ত্রী [[কস্তুরবা গান্ধী|কস্তুরবা]] (১৯০২)]]
৬৫ নং লাইন:
== চম্পারন এবং খেদা ==
[[চিত্র:Gandhi Kheda 1918.jpg|right|thumb|200px|১৯১৮ সালে খেদা ও চম্পারন সত্যাগ্রহের সময় গান্ধী]]
গান্ধীর প্রথম অর্জন আসে ১৯১৮ সালের চম্পারন বিক্ষোভ এবং খেদা সত্যাগ্রহের মাধ্যমে।
জমিদারের লাঠিয়ালদের মাধ্যমে অত্যাচারিত হয়েও তারা নামেমাত্র ক্ষতিপূরণ পায় যা তাদের তীব্র দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেয়। গ্রামগুলোকে অতিরিক্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর করে রাখা হয় এবং মদ্যপান ও অস্পৃশ্যতা ছিল ব্যাপক। মারাত্মক দুর্ভিক্ষের মাঝে ব্রিটিশ একটি শোষণমূলক কর চালু এবং তা বাড়াবার চেষ্টা করে। এতে পরিস্থিতি প্রচণ্ড অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। খেদা এবং গুজরাটেও একইরকম অবস্থা ছিল। গান্ধী সেখানে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার বহুদিনের সমর্থক ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের একত্রিত করেন। তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ জরিপ চালিয়ে গ্রামের মৃত্যুর হার এবং গ্রামবাসীদের ভয়াবহ দূর্ভোগের উপাত্ত সংগ্রহ করেন। গ্রামবাসীদের কাছে বিশ্বস্ত হবার পর তিনি গ্রামকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি স্কুল ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং গ্রামের নেতৃস্থানীয় লোকদের সামাজিক নির্যাতন এবং কুসংস্কার মুক্ত হবার আহ্বান জানান।
কিন্তু তার মূল প্রভাব পরিলক্ষিত হয় যখন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রদেশ ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। জেলের বাইরে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এছাড়াও পুলিশ স্টেশন ও আদালতে এসে তারা গান্ধীর মুক্তি দাবি করতে থাকে যা আদালতকে নীরবে মেনে নিতে হয়। গান্ধী জমিদারদের বিরুদ্ধে সুসংগঠিত বিক্ষোভ ও আন্দোলনের নেতৃত্ব দান করেন এবং জমিদাররা ব্রিটিশ সরকারের নির্দেশে কৃষকদের আরও বেশি ক্ষতিপূরণ এবং চাষাবাদের বিষয়ে তাদের আরো নিয়ন্ত্রণ প্রদানে রাজি হয়। তারা খাজনার হার বৃদ্ধি বর্জন এবং দূর্ভিক্ষ শেষ হবার পূর্ব পর্যন্ত তা সংগ্রহ করা স্থগিত করে। এই বিক্ষোভ চলাকালেই জনগণ গান্ধীকে বাপু (পিতা) এবং মহাত্মা (মহৎ হৃদয়)<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/8914563|শিরোনাম=Reweaving the web of life : feminism and nonviolence|অবস্থান=Philadelphia, PA|অন্যান্য=McAllister, Pam.|আইএসবিএন=0-86571-016-3|oclc=8914563}}</ref> উপাধি দান করে। খেদায় ব্রিটিশদের সাথে সমঝোতার সময় কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব করেন [[সর্দার প্যাটেল]]। তিনি খাজনা আদায় বন্ধ এবং সকল বন্দীদের মুক্তি দান করেন। এর ফলে গান্ধীর সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
== অসহযোগ ==
৭৬ নং লাইন:
১৯২১ সালের ডিসেম্বরে মহাত্মা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নির্বাহী হন। তার নেতৃত্বে কংগ্রেস স্বরাজের লক্ষ্যকে সামনে রেখে নতুন সংবিধান গ্রহণ করেন। সদস্য চাঁদা দিতে রাজি হওয়া যে কোন ব্যক্তির জন্য দলের সদস্যপদ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। নিয়মানুবর্তিতা উন্নতির জন্য বিভিন্ন শ্রেণীর কমিটি গঠন করা হয় । দলকে একটি অভিজাত প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় জনগণের আকর্ষণে রূপান্তর করা হয়। গান্ধী তার অহিংস নীতির পরিবর্ধন করেন স্বদেশী নীতি যোগ করে। স্বদেশী নীতি মতে সকল বিদেশী পণ্য বিশেষত ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করা হবে। এর পথ ধরে তিনি সকল ভারতীয়কে ব্রিটিশ পোশাকের বদলে খাদি পরার আহ্বান জানান।<ref>R. Gandhi, ''Patel: A Life'', p. 89.</ref> তিনি সকল ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা, ধনী ও গরিব মানুষকে দৈনিক [[খাদী]]র চাকা ঘুরানোর মাধ্যমে স্বাধীনতার আন্দোলনকে সমর্থন করতে বলেন। এটি এমন একটি কৌশল ছিল যা নিয়মানুবর্তিতা ও আত্মত্যাগের অনুশীলনের মাধ্যমে অনিচ্ছা ও উচ্চাকাঙ্খা দূরীকরণের পাশাপাশি আন্দোলনে মহিলাদের যুক্ত করে। এ সময়ে মহিলাদের করা এ সকল কাজকে অসম্মানজনক বলে মনে করা হত। এছাড়াও ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের পাশাপাশি গান্ধী জনগণকে ব্রিটিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফিস আদালত বর্জনের সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ এবং ব্রিটিশ উপাধি বর্জনের ডাক দেন।
“অসহযোগ” ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও সাফল্য লাভ করে। উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী এ আন্দোলনে সমাজের সকল স্তরের লোক অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনটি চরমে
== স্বরাজ ও লবণ সত্যাগ্রহ ==
|