মুঘল সম্রাট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
৩৬ নং লাইন:
| শিরোনাম = National Geographic visual history of the world
| বছর = 2005
}}</ref> বাবর মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার পিতার রাজ্য থেকে সেহবাণী খান কর্তৃক বিতাড়িত হবার পর ভারতে আগমন করেন। ১৫২৬ সালে প্রথম [[পানিপথ|পানিপথের]] যুদ্ধে জয় লাভ করার পর বাবর ভারতে তার রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে।<ref name="Berndl"/> বাবরের পুত্র হুমায়ূনের সময় সাম্রাজ্যের অবস্থা বেশ নাজুক হয়ে পড়ে। বিদ্রোহীরা তাকে ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়িত করে। তিনি পারস্যে পলায়ন করেন।<ref name="Berndl"/> ইরানের হুমায়ুনের নির্বাসিত সময় পশ্চিম এশীয় সংস্কৃতির সাথে মুঘল দরবারে একটি যোগসূত্র স্থাপিত হয়। ১৫৫৫ সালে হুমায়ুন যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে ভারতে তার সাম্রাজ্যঃ পুনরুদ্ধার করেন। কিন্তু এর কিছুদিন পরই তিনি একটি মারাত্মক দুর্ঘটনায় মারা যান।<ref name="Berndl"/> সম্রাট হুমায়ুনের শিশুপুত্র আকবর, বৈরাম খান নামে একজন উজিরের তত্বাবধানের সিংহাসনে
আকবরের পুত্র জাহাঙ্গীর মোগল সাম্রাজ্যকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যায়। তিনি আফিমে আসক্ত ছিলেন। মাঝেমধ্যে তিনি রাষ্ট্রীয় কাজে উদাসীনতার পরিচয় দিতেন। এক পর্যায়ে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হন।<ref name="Berndl" /> জাহাঙ্গীরের পুত্র সম্রাট শাহজাহানের আমলে মুঘলরা অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ও বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। [[তাজমহল]] সেসময়কার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।<ref name="Berndl" /> সে সময় সরকারের ব্যয়, আয় এর চাইতে অনেক বেশি ছিল।<ref name="Berndl" />
১৬৫৮ সালে শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারাশিকো রাজ শাসকের প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতায়
আরঙ্গজেব এর আমলে মুঘল সাম্রাজ্য রাজনৈতিকভাবে সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী থাকলেও ধর্মীয় বিভেদ মুঘল সাম্রাজ্যের স্থায়িত্ব কে অনিশ্চিত করে তোলে।<ref name="Berndl"/> আরঙ্গজেব দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব অঞ্চলেই মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। কিন্তু ১৭০৭ সালে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যে বিদ্রোহ দেখা দেয়। <ref name="Berndl"/> আরঙ্গজেব তার পূর্বপুরুষের রাজ্য মধ্য এশিয়ার তুরান জয় করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে সফল হননি। আওরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্য বিজয়ের অভিযানে জয়লাভ করলেও যুদ্ধে প্রচুর লোকবল ও সম্পদ ক্ষয় হয়।<ref name="D'souza pages 3-30">D'souza, Rohan "Crisis before the Fall: Some Speculations on the Decline of the Ottomans, Safavids and Mughals" pages 3-30 from ''Social Scientist'', Volume 30, Issue # 9/10, September–October 2002 page 21.</ref> আরঙ্গজেব এর জন্য আরেকটি সমস্যা ছিল যে তার সেনাবাহিনীর ভিত্তি ছিল মূলত উত্তর ভারতের অভিজাত শ্রেণী তারাই অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ ও অশ্বারোহী বাহিনী সরবরাহ করত। অটোমান সাম্রাজ্যের মত কোন [[জেনিসারি বাহিনী]] মুঘলদের ছিল না।<ref>D'souza, Rohan "Crisis before the Fall: Some Speculations on the Decline of the Ottomans, Safavids and Mughals" pages 3-30 from ''Social Scientist'', Volume 30, Issue # 9/10, September–October 2002 page 22.</ref> দীর্ঘ দাক্ষিণাত্যের যুদ্ধ আরঙ্গজেব এর অন্যান্য সফলতা কে অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছিল। ১৭ শতকের শেষে অভিজাত শ্রেণী মুঘল সম্রাটদের অভিযানে সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য রসদ সরবরাহ করতে অনিচ্ছুক হয়ে পড়ে। এর কারণ হলো অভিযানের সফলতার পর ভূসম্পত্তি এবং অন্যান্য সম্পত্তি প্রাপ্তির যে সম্ভাবনা তা ধীরে ধীরে কমে আসছিল।<ref>D'souza, Rohan "Crisis before the Fall: Some Speculations on the Decline of the Ottomans, Safavids and Mughals" pages 3-30 from ''Social Scientist'', Volume 30, Issue # 9/10, September–October 2002 pages 22-23.</ref> আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহ আলম তার পিতার ধর্মভিত্তিক রাজনীতি পরিহার করে প্রশাসনে একটি সংস্কার আনতে সচেষ্ট হন। ১৭১৯ সালে তার মৃত্যুর পর সমগ্র মুঘল সাম্রাজ্য এক বিশৃংখল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। পরপর চারজন সম্রাট সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন।<ref name="Berndl"/>
সম্রাট [[মোহাম্মদ শাহ]] এর শাসন আমলে মুঘল সাম্রাজ্যের ভাঙ্গন শুরু হয়। মধ্য ভারতের একটি বিরাট অংশ মুঘলদের হাতছাড়া হয়ে মারাঠাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। একটি এলাকার সামরিক নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য মুঘলরা সবসময় একটি কৌশল অবলম্বন করতো। তারা এলাকার একটি দুর্গ দখল করতো এবং সেটি কে কেন্দ্র রূপে ব্যবহার করে আশেপাশের শত্রু সেনাদের প্রতিহত করত। মুঘলরা খোলা যুদ্ধের ময়দানে শত্রুর মোকাবেলা করে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে বেশি পারদর্শী ছিল। এই কৌশলটি ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল।<ref name="D'souza pages 3-30"/> অপরদিকে হিন্দু মারাঠা বীরেরা সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হতো না। বরং তারা গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে এম্বুস এবং ছোটখাটো আক্রমণের মাধ্যমে মুঘল বাহিনীর রসদ সরবরাহ কে পর্যুদস্ত করতো।<ref name="D'souza pages 3-30"/> মারাঠাদের উপযুক্ত গোলন্দাজ বাহিনী এবং অশ্বারোহী সেনাবাহিনী না থাকায় তারা সরাসরি মুঘলদের দুর্গ আক্রমণ করত না। মুঘলদের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ সরবরাহে বাধা প্রদান ও তা ধ্বংস করে দুর্গে অবস্থানরত মুঘল সেনাদের
| প্রকাশক = Routledge
| পাতাসমূহ = 41|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=qMJIuHL9ksAC&pg=PA41|আইএসবিএন=978-0203712535
১৯৭ নং লাইন:
| style="text-align:center;"|১০ ডিসেম্বর ১৭৫৯ – ১০ অক্টোবর ১৭৬০
| style="text-align:center;"|১৭৭২ (বয়স ৬০–৬১)
| style="text-align:center;"|বক্সারের যুদ্ধের সময় বাংলা বিহার এবং উড়িষ্যার নিজামের জোট বদ্ধ হওয়া। ১৭৬১ সালে হায়দার আলীর মহীশুরের সুলতান হিসেবে সিংহাসনে
|-
| style="text-align:center;"|[[File:Ali Gauhar of India.jpg|80px]]
২১৩ নং লাইন:
| style="text-align:center;"|৩১ জুলাই ১৭৮৮ – ২ অক্টোবর ১৭৮৮ (৬৩ দিন)
| style="text-align:center;"|১৭৯০ (বয়স ৪০-৪১)
| style="text-align:center;"|সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সিংহাসনচ্যুত হবার পর পুতুল সম্রাট হিসেবে সিংহাসনে
|-
| style="text-align:center;"|[[File:Akbar Shah II of India.jpg|80px]]
|