বিষয়শ্রেণী:কল্পসাহিত্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নবগঙ্গায় আগুনের গুল্লা, সংশোধন, সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন, পরিষ্কারকরণ, রচনাশৈলী, বিষয়শ্রেণী, বানান সংশোধন, হালনাগাদ করা হল
203.76.108.138-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Jonoikobangali-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: প্রতিস্থাপিত পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:সাহিত্য]]
॥ নবগঙ্গায় আগুনের গুল্লা ॥-পলাশ টিপ
 
বাল্যবন্ধু আকতারের সাথে খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া দেখা মেলা ভার, একদিন সকালে সে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে এইড কমপ্লেক্স এ হাজির; দুই বন্ধু কাচারী ঘরে বসে কথা হচ্ছে। গভীর রাতে কর্মস্থল হতে ধোপাঘাটা সেতুর*১ উপর দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বন্ধুটি দেখে কিছু আগুনের গুল্লা ব্রিজের তলা দিয়ে উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে তড়িৎ গতিতে এইড কমপ্লেক্স ও গঙ্গাতলার নদীর পাড়ে এসে মিলে গেল। আমি বললাম তুমি ঠিকই দেখেছ, ওটা এ্যামোনিয়া {(Ammonia) (NH3)} অথবা মিথেন {(Mithaen) (CH4)}গ্যাস হতে সৃষ্ট আগুনের লীলা খেলা।
 
সংস্থার একজন পরিচ্ছন্নতা নারী কর্মী*২ দূরে দাঁড়িয়ে কাজ বন্ধ রেখে চোখ বড় বড় করে মনে হচ্ছে আমাদের কথা গিলছে। আকতার চলে যেতেই কয়েকজন কর্মী*৩ আমার সাথে দেখা করতে এলো। প্রধান নির্বাহীর কার্যালয় এবং আবাসন এর সন্নিকটে গঙ্গাতলার জাগ্রত কালী মন্দির ও চৌদ্দ হাত মা কালী নিয়ে তারা নানা কাহিনী বলা শুরু করলো।
 
একসাথে সমস্বরে হড়বড় করে অনেক কথা বললো। যতটুকু বুঝেছিলাম তার মধ্যে কমপ্লেক্স এর সীমানা প্রাচীর করার সময় কিছু অংশে ফাটল ধরেছিল যা রোধকল্পে পূজা অর্চনার মাধ্যমে শক্তির দেবী মা কালীকে সন্তুষ্ট করেছিলেন ওরা আমাদের অজান্তেই ইত্যাদি ইত্যাদি।
 
আমি বলেছিলাম ভয়ের কিছু নেই, আমরা মা কালীর একজন উত্তম নিকট প্রতিবেশী ও ভক্ত*৪। আমাদের সাথেতো দেবীর কোনো বিরোধ নেই, সে কেন আমাদের ক্ষতি করবে? মন ভার করে সবাই চলে গেলেন।
 
বিকালে এসে হাজির হলেন খালাতো বোন কুসুম আপা*৫। বোন হলেও মায়ের সাথে ছিল তার বন্ধুর মতো ঘনিষ্ঠতা। আমাদের কোনো বিপদ-আপদ, অসুখ-বিসুখে হাত বাড়ালে বা চোখ খুললেই ছোটবেলা হতে আপাকে প্রথম কাছে পেয়েছি। ঐ দিন বিকালে অফিসের প্রবেশ মুখে ষড়া*৬ তলাতে আপার সাথে দেখা, সে বেশ চিন্তিত ও মনমরা; বুঝতে বাকি রইলো না এটা সকালের ঘটনার জের।
 
প্রসঙ্গক্রমে আপাকে শান্ত ও হালকা করার জন্য বললাম, শরৎচন্দ্রের গল্পে তো ষড়া গাছ নিয়ে কত কল্প-কাহিনী পড়েছেন। সংগত কারণে আবাসন লাগোয়া এ ষড়া গাছে অনেক পরী থাকবে এটাইতো স্বাভাবিক। আপা বললেন ষড়া গাছে ভূত থাকে শুনেছি, পরী পেলে কোথায়? বললুম ডিম কোলকাতায় গিয়ে মামলেট হয় যেভাবে হাঃ হাঃ হাঃ সেই ভাবে, আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তির যুগে এসে ভূত-প্রেত পরীতে রুপান্তরিত হয়েছে। একা একা থাকি তাই গভীর রাতে চিলেকোঠায় বসে ওদের নাচ-গান দেখি। আপার ভাবান্তর হলো না, বললেন- কোরআন হাদিস মানো না! বললাম কিতাবে কি লেখা আছে এসব? জ্বীন-পরী লোকালয়ে ঘুরে বেড়াবে আর মানুষের ঘাড়ে ভর করে ভয় দেখাবে? তখন আপার মুখে একটু হাসির ঝিলিক খেলা করলো, আর বললেন, তোমার সাথে পারা মুশকিল, সাবধানে থাকবে। (চলবে )
 
<nowiki>----------------------------------------------------------------------------------------</nowiki>
 
পাদটীকা:
 
<nowiki>*</nowiki>১ বৃটিশ আমলে নির্মিত অনেক কল্প-কাহিনী সমৃদ্ধ ব্রিজ। *২ ও ৩ ষাটবাড়িয়ার অধিবাসী। *৪ প্রথমদিকে অনিচ্ছা ও বাধ্য হয়ে সন্নিকটে গঙ্গার ঘাটে সনাতনী ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুনতে হতো, মাঝে মাঝে প্রচন্ড শব্দ দূষণে বিরক্ত হয়ে আবাসনও পরিবর্তন করেছি। এখন সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে; আগ্রহ নিয়ে পূজা অর্চনা, মহানামযজ্ঞ ও নামকীর্তন শুনি, ফলে অনেক অজানা বিষয় জানার সুযোগ হয়, এখন ভালোই লাগে। ঋষি সম্প্রদায়ের সাথে চলার অভ্যাস ছেলেবেলা থেকেই কারণ আমার পৈত্রিক নিবাস যে কৃষ্ণনগর পাড়া সংলগ্ন। *৫ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও এইড ফাউন্ডেশন এর কোষাধ্যক্ষ। *৬ শেওড়া।