ভাঙ্গুড়া উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
37.111.230.49-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 103.25.250.233-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল SWViewer [1.3]
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪১ নং লাইন:
==ভাঙ্গুড়া উপজেলার পটভূমিঃ==
ভাঙ্গুড়া চলনবিল বিধৌত একটি জনপদ। ভাঙ্গুড়া উপজেলা ০৬টি ইউনিয়ন (ভাঙ্গুড়া, পার-ভাঙ্গুড়া, অষ্টমনিষা, খানমরিচ, দিলপাশার, মন্ডোতোষ) ও ০১টি পৌরসভা (ভাঙ্গুড়া পৌরসভা) নিয়ে গঠিত।
মূলত [[গুমানি নদী]] এবং [[বড়াল নদী]] বেষ্টিত এই ভূ-ভাগ চলনবিল সন্নিহিত হওয়ায় প্লাবন সমভূমি দ্বারা গঠিত। প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে তেমন সাক্ষ্য পাওয়া যায় না। তবে এর বুক চিরে খুলনা-ঢাকা, রাজশাহী-ঢাকা, দিনাজপুর-ঢাকা রেল যোগাযোগ বৃটিশদেরব্রিটিশদের দ্বারা তৈরী হওয়ায় তৎকালীন সময়ে ভাঙ্গুড়ার সাথে কলিকাতার যোগাযোগ ছিল। "ভাঙ্গুড়া" নামটি নিয়ে কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। অনেকে বলেন, বড়াল এবং গুমানী নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা হওয়ায় এর প্রাচীন নাম ছিল ভাংগুরিয়া। এভাবে ভাংগুরিয়া থেকে ভাংগুড়া নামের উদ্ভব হয়। বর্তমানে গুমানী ও বড়ালের সংযোগকারী একটি খালের স্রোতরেখা বিদ্যমান আছে। যার ফলে এই জনশ্রুতির পক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়। অনেকে বলে থাকেন নেশা জাতীয় ভাং গাছের গুড়া এখানে প্রচুর পরিমাণ পাওয়া যেত সেজন্য এর নাম ভাঙ্গুড়া হয়। এমতের পক্ষে তেমন জোড়ালো প্রমাণ পাওয়া যায় না। চাটমোহর ও ফরিদপুর থানার কিছু অংশ নিয়ে ১৯৮১ সালে ভাঙ্গুড়া উপজেলা গঠিত হয়। এর আগে ভাঙ্গুড়া ফরিদপুর থানার একটি ইউনিয়ন ছিল। ভাঙ্গুড়া আপগ্রেড থানা হয় ১৯৮২ সালে। ভাঙ্গুড়া গ্রামের নামানুসারে ভাঙ্গুড়া উপজেলার নাম করণ করা হয়েছে।
 
==ভাঙ্গুড়া উপজেলার মানচিত্রঃ==
৮৬ নং লাইন:
 
==বিশেষ তথ্যঃ==
রাজশাহী জেলার চারঘাট সংলগ্ন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির দুই মাইল দক্ষিণে গোপালপুর নামক মৌজা থেকে বড়াল নদী উৎপন্ন হয়ে আড়ানী, মালঞ্চি, দয়ারামপুর, ওয়ালিয়া, বনপাড়া, জোয়াড়ি, পিড়াইল, লক্ষ্মীকোল (বড়াইগ্রাম), জোনাইল, হরিপুর, চাটমোহর, নূরনগর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, গোপালনগর, সোনাহারা, আগপুংগলী, দিঘুলিয়া, ডেমরা, বাঘাবাড়ি হয়ে বেড়ার উত্তরপার্শে হুরাসাগরে সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বড়াল নদী যমুনা নদীর অনেক পূর্বে সৃষ্টি হয়েছে। যমুনা নদী ব্রহ্মপুত্র নদীর একটি শাখা নদী। যমুনা নদী সৃষ্টি হয়েছে ১৭৮৭–১৮২০ সালের মধ্যে। ১৭৮৭ সাল পর্যন্ত এই নদী জিনাই বা জনায়ী নদী নামে পরিচিত ছিল। ১৭৩৪ সালের প্রলংকরী ভূমিকম্পের কারণে প্রবল জলচ্ছাসের সৃষ্টি হলে ব্রম্মপুত্র নদীর জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার জগন্নাথগঞ্জ ঘাটের স্থানে প্রচুর ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে এর জলধারা প্রচুর শক্তি সঞ্চার করে দক্ষিণ দিকে ধাবিত হতে থাকে । এভাবে ধাবিত জলধারার কারণেই প্রকৃতপক্ষে যে নদীর সৃষ্টি হয়েছে সেটিই হলো যমুনা নদী। হুরাসাগরের উৎপত্তি হয়েছে যমুনার পরে । যমুনার অত্যাধিকঅত্যধিক জলপ্লাবনের কারণে অতি অল্প সময়ের মধ্যে এই নদীর উৎপত্তি হওয়ার কারণে যমুনার এই শাখাকে হুরাসাগর বা উরাসাগর বলে।
==[[গুমানি নদী]]==
[[গুমানি নদী]] আত্রাই নদীর একটি শাখা নদী। আত্রাই নদী কাছিকাটা বন্দরের নিকট হইতে গুমাণী নামধারণ করে নূরনগরের নিকট বড়ালের সঙ্গে মিলিত হয়ে মির্জাপুর, কলকতি, নৌবাড়িয়া, চরভাঙ্গুড়া, কৈডাঙ্গা, বেতুয়ান, পুরন্দরপুর, লক্ষ্মীকোল, বাঙ্গাবাড়িয়া, আড়কান্দি হয়ে সোনাহারা ত্রি-মোহনায় বড়ালের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। অর্থাৎ গুমাণী কাছিকাটা থেকে উৎপন্ন হয়ে সোনাহারা এসে বড়াল নামধারণ করে হুরাসাগরে পতিত হয়েছে।