বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Cie286 (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন, সম্প্রসারণ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৫৫ নং লাইন:
==ইতিহাস==
=== প্রারম্ভিক ইতিহাস ===
বাংলার সামরিক ইতিহাসের মূল রাজা-মহারাজাদের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেসময় সেনাবাহিনীর প্রধানকে ''সেনাপতি'' বা ''মহাসেনাপতি'' নামে ডাকা হত। সেই সব সেনাবাহিনী গঠিত হত পদাতিক, অশ্বারোহী, যুদ্ধ হাতি আর যুদ্ধজাহাজ নিয়ে। বাংলায় মুসলমানদের আগমন আর ''বাংলা সুলতানাত'' এর প্রতিষ্ঠা সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছিল। সুলতানাতের একটি সুসজ্জিত ও সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনী ছিল। মুঘল শাসনের সময় বাংলায় কামান ও গোলন্দাজ বাহিনীর প্রচলন হয়।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Military|শিরোনাম=Military|শেষাংশ=Uddin Khan|প্রথমাংশ=Saleh|শেষাংশ২=Waheduzzaman|প্রথমাংশ২=Syed|তারিখ=|ওয়েবসাইট=en.banglapedia.org|প্রকাশক=Banglapedia|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2017-12-08}}</ref> বৃটিশব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় বাংলা ছিল দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলে বৃটিশদেরব্রিটিশদের শক্তির প্রতীক।  ১৭৫৭ সালে লর্ড ক্লাইভের নেতৃত্বাধীন বৃটিশব্রিটিশ বাহিনী, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার নেতৃত্বাধীন ৫০০০০ সৈন্যের বাংলার সেনাবাহিনীকে পলাশীর প্রান্তরে পরাজিত করে।পরবর্তীতে একই বৃটিশব্রিটিশ বাহিনী ১৭৬৪ সালে ''বক্সারের যুদ্ধে'' নবাব মীর কাসিমের নেতৃত্বাধীন বাংলার বাহিনীকে পরাজিত করে। বৃটিশরাব্রিটিশরা বাংলায় ''আর্মি অফ বেঙ্গল'' প্রতিষ্ঠা করে যা পরবর্তীতে ১৮৯৫ সালে ''বৃটিশব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী''র অংশ হয়ে যায়। বৃটিশব্রিটিশ ভারতের পশ্চিম অংশ ছিল পুলিশ এবং সেনা সংগ্রহের জন্য অগ্রগণ্য অঞ্চল। ১৮৫৭ সালের ''সিপাহি বিদ্রোহের'' পূর্বে অশ্বারোহী বাহিনী এবং বল্লমধারী সৈন্যদলের সবাই ছিল এই অঞ্চলের।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thehindu.com/books/books-reviews/1857-war-and-the-unsung-heroes-of-bengal/article5466809.ece|শিরোনাম=1857 War and the unsung heroes of Bengal|শেষাংশ=Ganesan|প্রথমাংশ=V. B.|তারিখ=2013-12-16|কর্ম=The Hindu|সংগ্রহের-তারিখ=2017-12-08|ভাষা=en-IN|issn=0971-751X}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=sKY5AQAAIAAJ&q=sepoy+mutiny+and+purge+of+bengali+soldiers&dq=sepoy+mutiny+and+purge+of+bengali+soldiers&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwiUzdmRlfnXAhUOct8KHf7HCykQ6AEIPTAE|শিরোনাম=History of modern India|শেষাংশ=Bhargava|প্রথমাংশ=Moti Lal|তারিখ=1970|প্রকাশক=Upper India Pub. House|বছর=|আইএসবিএন=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=296|ভাষা=en}}</ref> বিদ্রোহের পর বেঙ্গল উপসর্গ-যুক্ত বিভিন্ন ইউনিটে, যেমন: বেঙ্গল স্যাপারস এবং বেঙ্গল ক্যাভালরি ইত্যাদি, বিহার, বানারসি, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদি অবাঙ্গালি অঞ্চল থেকে নিয়োগ দেয়া হত কারন এই অঞ্চলগুলো তখন ''বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি''র অধীনে ছিল।<ref name=":0" /><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/Rare-1857-reports-on-Bengal-uprisings/articleshow/4637780.cms|শিরোনাম=Rare 1857 reports on Bengal uprisings - Times of India|কর্ম=The Times of India|সংগ্রহের-তারিখ=2017-12-08}}</ref> প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলা থেকে সৈন্য সংগ্রহের জন্য ''বেঙ্গলি পল্টন'' প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯১৬ সালে বৃটিশব্রিটিশ সরকার বেঙ্গলি ডাবল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে। এই সৈন্যদেরকে করাচিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হত আর পরে বাগদাদে মোতায়েন করা হত। যুদ্ধ শেষে এই সৈন্যরা বাগদাদে ১৯১৯ সালের কুর্দি বিদ্রোহ দমনে সাহায্য করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Bangali_Paltan|শিরোনাম=Bangali Paltan - Banglapedia|ওয়েবসাইট=en.banglapedia.org|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2017-12-08}}</ref>
 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড ''পাইওনিয়ার কোর'' নামক একটি সহায়ক বাহিনী প্রতিষ্ঠা করে যারা ছিল কিছুটা প্রকৌশলী কিছুটা পদাতিক। এই বাহিনীর বেশিরভাগ সৈন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল পূর্ব এবং পশ্চিম বাংলা থেকে। এই বাহিনী মূলত রাস্তাঘাট, বিমানঘাঁটি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদি নির্মাণের মাধ্যমে মূল বাহিনীকে সাহায্য করত। তবে প্রয়োজনে তারা পদাতিক হিসেবে জাপানের সাথে যুদ্ধও করত। এই বাহিনীকে বিভিন্ন কোম্পানিতে সংগঠিত করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রেজিমেন্টের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছিল। ক্যাপ্টেন গনি ছিলেন একজন কোম্পানি কমান্ডার এবং তিনি বার্মা ফ্রন্টে তার বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যুদ্ধ শেষে পাইওনিয়ার কোরের সৈন্যরা ভারত ও জাপানের বিভিন্ন স্থানে সমবেত হয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিল। ১৯৪৬ সালে, জালনায় অবস্থিত পাইওনিয়ার কোর সেন্টারের তৎকালিন অ্যাডজুট্যান্ট এবং কোয়ার্টারমাস্টার ক্যাপ্টেন গনি পূর্ব বাংলার যুদ্ধফেরত পাইওনিয়ার কোরের সৈন্যদের নিয়ে একটি পদাতিক রেজিমেন্ট তৈরির ধারনা দেন এবং কেন্দ্রীয় কমান্ডের কাছে অনুমতি প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে ভারতে বৃটিশব্রিটিশ শাসনের অবসান হয় এবং ভারত ও পাকিস্তান নামক নতুন দুই রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান ''জেনারেল স্যার ফ্রাংক মেজারভি'' এর অনুমতি পাওয়ার পর ক্যাপ্টেন গনি পূর্ববাংলার সৈন্যদের নিয়ে ''বাঙালি পল্টন'' গঠন করেন যা ছিল পরবর্তীতে গঠিত পদাতিক রেজিমেন্টের মূল ভিত্তি।<ref name=":0" />
{{বাংলাদেশ সেনাবাহিনী}}