আপেক্ষিক গুরুত্ব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
SushmitaSwarna (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৬ নং লাইন:
 
==বিশদ বর্ণনা==
দুটি ঘনত্বের অনুপাত হওয়ার কারণে আপেক্ষিক গুরুত্ব একটি এককহীন রাশি, যা পরিমাপের সময় ব্যবহৃত উপাদানগুলোর এককের উপর নির্ভর করে না। তাপমাত্রা ও চাপের সাথে আপেক্ষিক গুরুত্ব পরিবর্তিত হয়, তাই মূল উপাদান ও প্রসঙ্গ উপাদানের দুইটিই একই তাপমাত্রা ও চাপে থাকতে হবে নয়তো কোন আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপে পরিবর্তন করে নিতে হবে। যেসব পদার্থের আপেক্ষিক গুরুত্ব ১, তারা ডুবন্ত অবস্থায় পানিতে ভাসে। আপেক্ষিক গুরুত্বের মান ১ এর বেশীবেশি হলে সেই উপাদান পানির চেয়ে ভারী, এবং তারা [[পৃষ্ঠটান|পৃষ্ঠটানের প্রভাব]] উপেক্ষা করে পানিতে ডুবে যায়। আর যে সব পদার্থের আপেক্ষিক গুরুত্বের মান ১ এর চেয়ে কম তারা পানির চেয়ে হালকা ও পানিতে ভাসে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কাজে কোন বস্তুর ভর এবং আয়তনের মধ্যকার সম্পর্ক ঘনত্বের (একক আয়তনের ভর) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। শিল্পক্ষেত্রে প্রায়ই ঐতিহাসিক কারণে আপেক্ষিক গুরুত্বের ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে।
 
প্রকৃত আপেক্ষিক গুরুত্ব নিম্নোক্ত উপায়ে গাণিতিকভাবে প্রকাশ করা যায়:
৭৩ নং লাইন:
;জলস্থৈতিক চাপ-মূলক যন্ত্রপাতি :এই প্রযুক্তিটি প্যাস্কেলের নীতির উপর নির্ভরশীল যা বিবৃত করে যে, একটি তরলপূর্ণ উলম্ব স্তম্ভের মধ্যবর্তী দুটি বিন্দুতে চাপের পার্থক্য বিন্দুদ্বয়ের উলম্ব দূরত্ব, তরলের ঘনত্ব এবং অভিকর্ষজ ত্বরণের সমানুপাতিক। ট্যাঙ্ক গেজিংয়ে তরলের মাত্রা ও ঘনত্ব পরিমাপের একটি সুবিধাজনক উপায় হিসেবে এই প্রযুক্তিটি প্রয়োগ করা হয়।
 
;কম্পমান উপাদান ট্রান্সডিউসার:এই ধরনের যন্ত্রে একটি কম্পমান উপাদানকে পরীক্ষণীয় প্রবাহীর সংস্পর্শে স্থাপন করতে হয়। উপাদানটির অনুনাদিত কম্পাঙ্ক পরিমাপ করা হয় এবং এটিকে উপাদানটির গঠনের সাথে সম্পর্কিত একটি বৈশিষ্ট্যায়নের মাধ্যমে প্রবাহীটির ঘনত্বের সাথে যুক্ত করা হয়। আধুনিক পরীক্ষাগারে [[:en:oscillating U-tube|দোদুল্যমান ইউ-টিউবের]] মাধ্যমে নির্ভূলভাবেনির্ভুলভাবে আপেক্ষিক গুরুত্ব পরিমাপ করা হয়। এগুলো দ্বারা দশমিকের পর ৫ থেকে ৬ ঘর পর্যন্ত মান পাওয়া যায়। সুরা, পাতন, ঔষধ, পেট্রোলিয়াম এবং অন্যান্য শিল্পে এদের ব্যবহার করা হয়। এই যন্ত্রগুলো ০ থেকে ৮০°সেলসিয়াস পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট আয়তনের প্রবাহীর প্রকৃত ভর নির্ণয় করে কিন্তু এগুলো মাইক্রোপ্রসেসর-ভিত্তিক হওয়ায় প্রকৃত ও আপাত আপেক্ষিক গুরুত্ব হিসাব করতে পারে এবং সাধারণ অ্যাসিড, চিনির দ্রবণ প্রভৃতির সাথে প্রবাহীর সম্পর্কিত তালিকা ধারণ করতে পারে। এই প্রযুক্তির আরেকটি ভালো উদাহরণ হল কম্পমান ফর্ক ইমারশন প্রোব। এই প্রযুক্তির মধ্যে অনেক করিওলিস-ধরনের ভর প্রবাহ পরিমাপক যন্ত্র অন্তর্ভুক্ত যেগুলো বিভিন্ন রাসায়নিক ও পেট্রোলিয়াম শিল্পে নির্ভুল ভর প্রবাহ পরিমাপের কাজে ব্যবহৃত হয় এবং কম্পমান প্রবাহ টিউবের অনুনাদিত কম্পাঙ্কের উপর ভিত্তি করে ঘনত্বের তথ্য পাওয়ার জন্যও তৈরি করে নেয়া যেতে পারে।
 
;আলট্রাসনিক ট্রান্সডিউসার:একটি উৎস থেকে আলট্রাসনিক তরঙ্গ সৃষ্টি করে সেটিকে পরীক্ষণীয় প্রবাহীর মধ্যে দিয়ে একটি ডিটেক্টরে চালনা করা হয় যা প্রবাহের শাব্দ স্পেকট্রোস্কপি পরিমাপ করে। ঘনত্ব ও সান্দ্রতার মত প্রবাহী বৈশিষ্ট্যগুলো এই বর্ণালী থেকে পাওয়া যেতে পারে।