ফতেপুর সিকরি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১২ নং লাইন:
কয়েক শতাব্দী ধরে একটানা ব্যবহারের দরুণ দু'মাইল লম্বা এবং এক মাইল চওড়া প্রাসাদ-প্রাঙ্গণের অধিকাংশ অংশ অক্ষত রয়েছে। এটির তিনদিক এখনও পাঁচ মাইল লম্বা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা, যা এর প্রতিষ্ঠার সময়ে বানানো হয়েছিল। প্রাসাদ এবং সংলগ্ন মসজিদটি ব্যবহৃত হতে থাকলেও শহরটি ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত হতে থাকে। আগ্রা রোডের 'নহবত খানা' প্রবেশদ্বারের কাছে পুরনো শহরের বাজারের কিছু ধ্বংসাবশেষ ছাড়া অধিকাংশ জায়গা জুড়ে এখন রয়েছে খালি, অনুর্ব্বর জমি। আধুনিক শহরটি প্রাসাদের পশ্চিমদিকে অবস্থিত। এটি ১৮৬৫ থেকে ১৯০৪ পর্যন্ত পৌরসভার স্বীকৃতি পায় তবে পরে এটিকে পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় নথীভুক্ত করা হয়। ১৯০১ সালে এই জায়গার জনসংখ্যা ছিল ৭,১৪৭। যদিও আকবরের সময়ে অঞ্চলটি পশমের কাপড় ও রেশমী সুতো কাটার জন্যে বিখ্যাত ছিল, এটি পরে স্থপতি ও ভাস্করদের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠে। সিকরি গ্রামটি এখনও এর কাছে অবস্থিত।
 
১৯৯৯-২০০০ সালের ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের করা খননকার্যের ভিত্তিতে আগ্রার অভিজ্ঞ সাংবাদিক ভানু প্রতাপ সিংহ বলেন, এখানকার পুরাকালের দ্রব্যসামগ্রী, মুর্তি ও গঠনপ্রণালী দেখে মনে হয় এটি একটি ১,০০০ বছরেরও বেশীবেশি পুরনো 'সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্থান', যা হারিয়ে যায়। জৈন সম্প্রদায়ের বরিষ্ঠ নেতা স্বরূপ চন্দ্র জৈন বলেছেন, "পুরাতাত্ত্বিক খননে এখান থেকে একশোরও বেশীবেশি জৈন মুর্তি এবং একটি মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর পাওয়া গেছে যার উপরে সাল লেখা রয়েছে। ১,০০০ বছরেরও পুরনো এইসব মুর্তিগুলি আসলে ভগবান আদিনাথ, ভগবান ঋষভনাথ, ভগবান মহাবীর ও জৈন যক্ষিনীদের।" ঐতিহাসিক সুগম আনন্দ স্বীকার করেছেন এখানে আকবরের আগমনের পূর্বেও মানুষের বসবাস, মন্দির ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল। তিনি আরও বলছেন যে পাহাড়ের ঢালে একটি খালি জায়গায় আকবর তার রাজধানী স্থাপনা করেন।
 
ফতেপুর সিকরি বাবরের খুব পছন্দের জায়গা ছিল এবং এখানকার ঝিল থেকে সৈন্যদের জল সরবরাহ হত বলে তিনি একে শুকরি (যার অর্থ ধন্যবাদ) বলতেন। অ্যানেট বেভারিজ 'বাবরনামা'-এর অনুবাদে লিখেছেন, বাবর সিকরিকে শুকরি বলতেন। তার স্মৃতিচারণাতে বাবর লিখেছেন, তিনি রাণা সংগ্রাম সিংহকে পরাজিত করার পরে এখানে 'বিজয়ের উদ্যান' নামে এক বাগান বানিয়েছিলেন। গুলবদন বেগমের 'হুমায়ুননামা'-তে লেখা আছে, বাবর সেই বাগানে একটি আটকোণা চাতাল বানিয়েছিলেন যা তিনি বিনোদন ও লেখার জন্যে ব্যবহার করতেন। একটি নিকটবর্তী ঝিলের মাঝখানে তিনি একটি বেদী নির্মাণ করেন। [[:en:Hiran Minar|হিরণ মিনার]] থেকে এক কিমি দূরে একটি পাথরের চড়াই ছিল যার তলায় [[:en:Baoli|বাওলি]] ছিল। এখানে একটি পাথরের ফলকে খোদাঈ করা ছিল বাবরের বিজয়ের ইতিহাস।
৩৪ নং লাইন:
 
== যোগাযোগ ==
ফতেপুরপুর সিকরি আগ্রা থেকে প্রায় ৩৯ কিলোমিটার (২৪ মা) দুরে অবস্থিত। এর নিকটতম বিমানবন্দর হল আগ্রা বিমানবন্দর ( খেরিয়া বিমানবন্দর হিসাবে পরিচিত), যা ফতেহপুর সিকরি থেকে ৪০ কিলোমিটার (২৫ মা) দুরে অবস্থিত। নিকটতম রেলওয়ে স্টেশনটি ফতেহপুর সিকরি রেলওয়ে স্টেশন, যা শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার (০.৬২ মা) দুরে। এটি সড়ক পথে আগ্রা এবং প্রতিবেশীপ্রতিবেশি কেন্দ্রগুলির সাথে সংযুক্ত, যেখানে ইউপিএসআরটিসি চালিত নিয়মিত বাস পরিষেবা, পর্যটন বাস এবং ট্যাক্সি চলাচল করে।
 
== সাহিত্য ==