মোহাম্মদ দানেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩২ নং লাইন:
১৯৩০ এর দশকে দানেশ বাংলার কমিউনিস্ট সংগঠনে সক্রিয় হন। তিনি মূলত [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি|ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির]] বঙ্গীয় প্রাদেশিক সংগঠনের যুক্ত হন।<ref name="F"/> [[তেভাগা আন্দোলন|তেভাগা আন্দোলনে]] অংশ নেয়ার জন্য ১৯৩৮ সালে তিনি দুইবার গ্রেপ্তার হন। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত তিনি তোলাবাটি আন্দোলন, সুসংদবদ্ধ আন্দোলন, গান্ডি আদায় বন্ধ আন্দোলন, ‘জাল যার জলা তার’ আন্দোলন করেন ও গ্রেফতার হন। ১৯৩৮ সালে তিনি কৃষক আন্দোলন সংগঠিত করেন। ১৯৪২ সালে তিনি বঙ্গীয় কৃষক সম্মেলনের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং ১৯৪৫ সালে মুসলীম লীগে যোগদান করেন। তিনি ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সালের মাঝামাঝি বাংলাদেশ ও ভারতে পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি জেলায় ৬০ লাখ বর্গাচাষী নিয়ে তিন ভাগের দুই ভাগ আদায়ের জন্য জমিদার ও জোতদারদের বিরুদ্ধে মুখোমুখি সংগ্রাম করেন।<ref name="D">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Agrarian structure, movements and peasant organisations in India, Volume 1|প্রকাশক=V.V. Giri National Labour Institute|বছর=2004|আইএসবিএন=978-81-7827-064-7}}</ref> ১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগ থেকে বহিস্কৃত হয়ে তিনি কারাভোগ করেন<ref name="F"/><ref name="E">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Quest for Modernity and the Bengali Muslims, 1921-1947|লেখক= Soumitra Sinha|প্রকাশক= Minerva Associates|বছর=1995|আইএসবিএন=978-81-85195-68-1}}</ref> এবং ১৯৪৭ সালে মুক্তিলাভ করেন। ১৯৫২ সালে [[গণতন্ত্রী দল]] নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং ঐ দলের সভাপতি নির্বাচিত হন।
 
এই দল [[পূর্ব বাংলা|পূর্ব বাংলার]] প্রাদেশিক নির্বাচনে [[এ কে ফজলুল হক|এ কে ফজলুল হকের]] নেতৃত্বে [[যুক্তফ্রন্ট|যুক্তফ্রন্টে]] যোগ দেয় নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট মুসলিম লীগকে পরাজিত করে। ১৯৫৩ সালে গণতন্ত্রী দল যুক্তফ্রন্ট্রে যোগ দিলে তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে দিনাজপুর জেলা থেকে পূর্ব বঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।<ref name="F"/> অতপর কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ৯২-ক ধারা জারি করে পূর্ববঙ্গ যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভামন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিলে তিনি গ্রেফতার হন এবং ১৯৫৬ সালে মুক্তি লাভ করেন। ১৯৫৭ সালে [[গণতন্ত্রী দল|গণতন্ত্রী দলকে]] [[ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি|ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির]] (ন্যাপ) সাথে যুক্ত করেন। ন্যাপের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মজলুম নেতা বলে খ্যাত মাওলানা [[আবদুল হামিদ খান ভাসানী]]। দানেশ ন্যাপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পরে জেনারেল সেক্রেটারি হন।<ref name="B"/><ref name="A"/>
 
১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারির পর [[আইয়ুব খান|আইয়ুব খানের]] সামরিক সরকার কর্তৃক দানেশ গ্রেপ্তার হন। তিনি আইয়ুব খানের শাসনের একজন খ্যাতনামা সমালোচক হয়ে উঠেন। শাসনব্যবস্থা কর্তৃক গণতন্ত্র দমন এবং এর যুক্তরাষ্ট্র পন্থি নীতিকে তিনি আক্রমণ করেন।<ref name="B">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Emergence of Bangladesh: Rise of Bengali nationalism, 1958-71, Volume 2|লেখক=Badruddin Umar|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=92–93|বছর=2006|আইএসবিএন=978-0-19-597908-4}}</ref> ন্যাপের ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় দানেশ [[শেখ মুজিবুর রহমান]] কর্তৃক উত্থাপিত [[ছয় দফা আন্দোলন|ছয় দফা আন্দোলনের]] বিরোধিতা করেন।<ref name="A">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Encyclopaedia of Bangladesh|লেখক=Narendra Kr. Singh|প্রকাশক=Anmol Publications Pvt. Ltd.|পাতাসমূহ=18–21|বছর=2003|আইএসবিএন=978-81-261-1390-3}}</ref> পূর্ব বাংলার কৃষকদের বিষয়ে কোনো উল্লেখ না থাকায় এবং ছয় দফায় পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা করার বিচ্ছিন্নতাবাদি ধারণা রয়েছে দাবি করে তিনি এর সমালোচনা করেন।<ref name="A"/> পরে মাওলানা ভাসানির নেতৃত্বের বিরোধিতা করে তিনি ন্যাপ থেকে পদত্যাগ করেন। আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে দানেশের সাথে মাওলানা ভাসানির মতপার্থক্য ছিল।<ref name="A2">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Encyclopaedia of Bangladesh|লেখক=Narendra Kr. Singh|প্রকাশক=Anmol Publications Pvt. Ltd.|পাতাসমূহ=46–49|বছর=2003|আইএসবিএন=978-81-261-1390-3}}</ref> তার পদত্যাগের পর ন্যাপের অনেক নেতৃস্থানীয় কর্মী দল ত্যাগ করেন।<ref name="A2"/>