রমাকান্ত দেসাই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
পাকিস্তানের মুখোমুখি - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
অবসর - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
১৬ নং লাইন:
| batting = ডানহাতি
| bowling = ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
| role = বোলার, প্রশাসক
 
| international = true
৬৩ নং লাইন:
}}
 
'''রমাকান্ত ভিকাজি দেশাই''' ({{অডিও|Ramakant_Desai.ogg|উচ্চারণ}}; {{lang-en|रमाकांत देसाई}}; [[জন্ম]]: [[২০ জুন]], [[১৯৩৯]] - [[মৃত্যু]]: [[২৮ এপ্রিল]], [[১৯৯৮]]) তৎকালীন [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারত ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৮ সময়কালে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
 
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে [[মুম্বইMumbai ক্রিকেটcricket দলteam|মুম্বই দলের]] প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন ‘টিনি’ ডাকনামে পরিচিত '''রমাকান্ত দেশাই'''।
 
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
১৯৫৮-৫৯ মৌসুম থেকে ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম পর্যন্ত রমাকান্ত দেশাইয়ের [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। নমনীয় দূরত্ব অতিক্রম করে প্রয়োজনীয় পেস সঞ্চালনপূর্বক বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ভারতীয় ফাস্ট বোলার হিসেবে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। এ কারণে তিনি "টিনি' ডাকনামে পরিচিতি পান।
 
রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় নিজস্ব প্রথম বছরেই ১১.১০ গড়ে ৭ খেলায় ৫০ [[উইকেট]] লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন।<ref>''[[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]]'' 1960, p. 886.</ref> অদ্যাবধি বোম্বে দলের পক্ষে রেকর্ড হিসেবে টিকে রয়েছে। তন্মধ্যে, [[Saurashtra cricket team|সৌরাষ্ট্রের]] বিপক্ষে ৫/১০ ও ৬/২৮ লাভ করেছিলেন তিনি।<ref>[https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/23/23308.html Saurashtra v Bombay 1958–59]</ref> ১৯৬০-৬১ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় [[Rajasthan cricket team|রাজস্থানের]] বিপক্ষে বোম্বের জয়ী হওয়া খেলায় ৭/৪৬ ও ৪/৭৪ লাভ করেছিলেন।<ref>[https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/24/24651.html Rajasthan v Bombay 1960–61]</ref> দুই বছর পর একই দলের বিপক্ষে চূড়ান্ত খেলায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার একমাত্র [[শতক (ক্রিকেট)|শতরানের]] ইনিংস খেলেছিলেন। ১০৭ রানের ঐ ইনিংসের কল্যাণে তার দল জয়লাভ করেছিল।<ref>[https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/25/25975.html Rajasthan v Bombay 1962–63]</ref> ১৯৫৮-৫৯ মৌসুম থেকে ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম পর্যন্ত ১১ বছরে বোম্বে দলের পক্ষে খেলে কখনো পরাজয়ের মুখোমুখি হননি।
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
৭৮ ⟶ ৮০ নং লাইন:
১৯৬০-৬১ মৌসুমে [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তান দল]] ভারত গমনে আসে। এ সিরিজে তিনি ২১ [[উইকেট]] দখল করেন। বোম্বের [[Brabourne Stadium|ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে]] ১০ নম্বরে ব্যাটিং নেমে দ্রুতলয়ে ৮৫ রান সংগ্রহ করে তৎকালীন ভারতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন। এ পর্যায়ে [[নানা জোশী|নানা জোশী’র]] সাথে নবম উইকেট জুটিতে রেকর্ডসংখ্যক ১৪৯ রান যুক্ত করেন।
 
১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ড দলের সংগ্রহ এক পর্যায়ে ৮০/৬ হলে গভীর সঙ্কটে নিপতিত হয়। ঐ ইনিংসে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৫/৮৯। [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেনে]] তার দূর্লভ যোগ্যতা, অসীম সাহসসহ আউট সুইঙ্গারের প্রশংসা করে। তবে, তার দল আশাহীন অবস্থায় অতিরিক্ত খেলে তাকে অতিরিক্ত বোলিং করতে হয়। প্রায়শই এ পন্থায় ভারত দল অগ্রসর হয়েছিল। অংশগ্রহণকৃত ২৮ টেস্টের মধ্যে মাত্র চারটিতে [[ফলাফল (ক্রিকেট)|বিজয়ী]] দলের সদস্যে ছিলেন তিনি। ১৯৬০-৬১ মৌসুমে পাকিস্তানের [[হানিফ মোহাম্মদ|হানিফ মোহাম্মদের]] উত্থানে বেশ রুখে দাড়িয়েছিলেন তিনি। তার বিভ্রান্তিকর বাউন্সারে নয় ইনিংসের চারটিতে আউট হন হানিফ মোহাম্মদ। ফলশ্রুতিতে, ভারতীয়রা তাকে ‘রমাকান্তের বাক্রা’ বা খরগোশ হিসেবে তুলে ধরে।
 
১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ড দল]] ভারত গমনে আসে। বোম্বে সফরকারী বিপক্ষে ৬/৫৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। এটিই টেস্টে তার ব্যক্তিগত সেরা বোলিং করেন। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে ভারত দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন।<ref>''[[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]]'' 1969, p. 854.</ref> ডুনেডিনের [[Carisbrook (stadium)|কারিসব্রুক স্টেডিয়ামে]] [[ডিক মোৎজ|ডিক মোৎজের]] বলে চোয়ালে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাসত্ত্বেও, শেষ উইকেট জুটিতে [[বিষেন সিং বেদী|বিষেন সিং বেদী’র]] সাথে ৫৭ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হন।
 
== অবসর ==
১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড দল ভারত গমনে আসে। বোম্বে সফরকারী বিপক্ষে ৬/৫৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। এটিই টেস্টে তার ব্যক্তিগত সেরা বোলিং করেন। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে ভারত দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন।<ref>''[[Wisden Cricketers' Almanack|Wisden]]'' 1969, p. 854.</ref> ডুনেডিনের [[Carisbrook (stadium)|কারিসব্রুক স্টেডিয়ামে]] [[ডিক মোৎজ|ডিক মোৎজের]] বলে চোয়ালে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাসত্ত্বেও, শেষ উইকেট জুটিতে [[বিষেন সিং বেদী|বিষেন সিং বেদী’র]] সাথে ৫৭ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হন।
ভারতীয় দলের একমাত্র পেস বোলার হিসেবে তিনি খেলাকালীন অতিরিক্ত চাপ বহন করে গেছেন। ১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে শেষে নিয়মিত খেলোয়াড়ে হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এসময় তার বয়স ছিল ২৯ বছর। পিএন সান্দারেসান তার সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন যে, ভারতের নিষ্প্রাণ পিচে তিনি মনেপ্রাণে বোলিং করতেন। রঞ্জী ট্রফি ও অন্যান্য খেলায় তিনি তার বিচক্ষণ মেধার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে দীর্ঘকাল তেজোঃদৃপ্ত বোলার হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।<ref>''Wisden'' 1970, p. 960.</ref>
 
হৃদযন্ত্রের১৯৯৬-৯৭ অস্ত্রোপচারেরমৌসুমে জন্যেভারতীয় একটিদল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। মৃত্যুর এক মাস পূর্বে এ পদ থেকে অব্যাহতি নেন। হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হবার পর তাকে হাসপাতালে নেয়াপ্রেরণ করা হয়। এরপর, চারদিন পর অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নেয়াকালে মুম্বইয়ে ২৮ এপ্রিল, ১৯৯৮ তারিখে ৫৮ বছর বয়সে মুম্বই এলাকায় রমাকান্ত দেশাইয়ের দেহাবসান ঘটে।
 
== তথ্যসূত্র ==