অরুণ লাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - নতুন অনুচ্ছেদ!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
পাকিস্তানের মুখোমুখি - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
১০৯ নং লাইন:
 
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
আজমিরের মেয়ো কলেজে বিদ্যালয় জীবন শেষ করেন।
 
১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৯-৯৬ মৌসুম পর্যন্ত অরুণ লালের [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অরুণ লাল সহজাত ক্রিকেটার ছিলেন না। তবে, পিতা, কাকা ও কাকাতো ভাইদের ন্যায় ঠিকই ক্রিকেট প্রতিভাকে তুলে ধরতে সচেষ্ট ছিলেন। উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে সফলতা না পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত প্রতাপে খেলেছিলেন। অবসর গ্রহণকালে রঞ্জী ট্রফির সর্বকালের সেরা রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় তিনি পঞ্চম স্থানে অবস্থান করেন। ৫৩.২৩ গড়ে ৬,৭৬০ রান তুলেন। দিল্লির পক্ষে ছয় মৌসুম খেললেও নিজের প্রতিভাকে উন্মোচিত করতে পারেননি। ১৯৮০-৮১ মৌসুমে বাংলা দলে চলে আসার পর খেলায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন।
 
১১৪ ⟶ ১১৬ নং লাইন:
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ষোলটি [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] ও তেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন অরুণ লাল। ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২ তারিখে চেন্নাইয়ে সফরকারী [[শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল|শ্রীলঙ্কা দলের]] বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৮ এপ্রিল, ১৯৮৯ তারিখে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৯ সময়কালে ভারতের পক্ষে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন। তবে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার খেলার মান বেশ দূর্বল পর্যায়ের ছিল। ২৬.০৩ গড়ে টেস্ট রান তুলেছিলেন।<ref>[http://expressindia.indianexpress.com/news/fe/daily/20001223/fpe17005.html indianexpress] {{webarchive |url=https://web.archive.org/web/20131219105011/http://expressindia.indianexpress.com/news/fe/daily/20001223/fpe17005.html |date=19 December 2013 }}</ref>
 
১৯৮২ সালে টেস্ট দলে খেলার জন্যে মনোনীত হন। তুলনামূলকভাবে বেশ দেরীতে ২৭ বছর বয়সে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ১৯৮২ সালে মাদ্রাজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে সুনীল গাভাস্কারের সাথে ১৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। তন্মধ্যে, অভিষেক ইনিংসে নিজে করেন ৬৩ রান।
 
== পাকিস্তানের মুখোমুখি ==
১৯৮২ সালে টেস্ট দলে খেলার জন্যে মনোনীত হন। তুলনামূলকভাবে বেশ দেরীতে ২৭ বছর বয়সে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। অভিষেক ইনিংসে ৬৩ রান তুলেন। এরপর পাকিস্তান গমন করেন। [[ইমরান খান|ইমরান খানের]] ন্যায় অভিজ্ঞ নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে তেমন সফলতা পাননি। পরবর্তী চার বছর জাতীয় দলের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন।
পরের টেস্টে পাকিস্তানের মুখোমুখি হন ও ৫১ রান তুলেন। এ পর্যায়ে সুনীল গাভাস্কারের সাথে উদ্বোধনী জুটতে ১০৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। [[ইমরান খান|ইমরান খানের]] ন্যায় অভিজ্ঞ নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে তেমন সফলতা পাননি। পরবর্তী চার বছর জাতীয় দলের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। ১৯৮৭ সালে কলকাতায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯৩ রান তুলতে পেরেছিলেন।
 
[[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তানের]] বিপক্ষে নিজ গৃহীত শহর কলকাতায় টেস্ট খেলায় অংশ নেন। [[সুনীল গাভাস্কার|সুনীল গাভাস্কারের]] খেলতে অস্বীকৃতির কারণে খেলতে নামেন। দুই ইনিংসেই অর্ধ-শতরান করেন। সানি’র অবসর গ্রহণের পর উপর্যুপরী এগারো টেস্টে অংশ নেন। কলকাতায় নিজস্ব সর্বোচ্চ ৯৩ রান সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে করেন। তবে, ১৯৮৯ সালে একই দলের বিপক্ষে বিদেশের মাঠে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
 
খেলার জগৎ থেকে অবসর গ্রহণের পর তার বিশ্লেষণধর্মী ক্রিকেট প্রতিবেদন সংবাদপত্র ও ইন্টারনেটে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। ১৯৭৯ সালে কলকাতা ছেড়ে দিল্লিতে বসবাস করছেন ও সেখানে একটি ক্রিকেট একাডেমি পরিচালনায় নিযুক্ত রয়েছেন।