রোমিলা থাপর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৩ নং লাইন:
| alma_mater = [[পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়]] <br />[[ওরিয়েন্টাল এবং আফ্রিকান স্টাডিজ স্কুল | ওরিয়েন্টাল এবং আফ্রিকান স্টাডিজ স্কুল, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়]]
}}
'''রোমিলা থাপর''' (জন্ম ৩০শে নভেম্বর ১৯৩১) একজন ভারতীয় ইতিহাসবিদ হওয়ার সঙ্গে একজন অবস্রপ্রাপ্তঅবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তাঁর অধ্যয়নের মূল ক্ষেত্র [[ভারতের ইতিহাস | প্রাচীন ভারত]]। তিনি অনেকগুলি বই লিখেছেন, তারমধ্যে একটি জনপ্রিয় বই হল এ হিস্টরি অফ ইন্ডিয়া। তিনি বর্তমানে নতুনদিল্লির[[নতুন দিল্লি|নতুন দিল্লির]] [[জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি | জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের]] (জেএনইউ) [[এমেরিটা অধ্যাপক]] (যিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং "সর্বশেষ কার্যভারের পদমর্যাদার সম্মানসূচক খেতাব ধরে রাখার অনুমতি পেয়েছেন)।
তাঁকে [[পদ্মভূষণ]] পুরস্কারের জন্য তার নাম দুবার প্রস্তাব দেওয়াকরা হলেও তিনি উভয়বারই তা অস্বীকার করেছেন।
 
==প্রাথমিক জীবন, পরিবার এবং শিক্ষা==
রোমিলা - সেনা চিকিৎসক [[দয়া রাম থাপার|দয়া রাম থাপারের]] কন্যা। তিনি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর চিকিৎসা পরিষেবার [[মহাপরিচালক]] হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রয়াত সাংবাদিক [[রমেশ থাপার]] ছিলেন তাঁর নিজেরসহোদর ভাই এবং [[করণ থাপার]] তাঁর সম্পর্কিত ভাই।<ref name="ThePrint">{{cite news |last1=Singh |first1=Nandita |title=Why is Karan Thapar complaining? His dynasty holds a key to Lutyens’ Delhi |url=https://theprint.in/lutyens-league/why-is-karan-thapar-complaining-his-dynasty-holds-a-key-to-lutyenss-delhi/87308/ |accessdate=2 April 2019 |work=The Print |date=2 January 2019}}</ref> ছোটবেলায় তাঁর বাবাকে ভারতের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রেরাজ্যের সামরিক কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল, তাই তিনি ভারতের বিভিন্ন শহরের বিদ্যালয়গুলিতে বিভিন্ন পড়াশোনা করেছেন। পরে তিনি পুনের ওয়াদিয়া কলেজের ইন্টারমিডিয়েট অব আর্টসে পড়েন। [[পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক হবার পরে, থাপার দ্বিতীয়বার সাম্মানিক স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন ভারতীয় ইতিহাসে। এরপর তিনি ১৯৫৮ সালে [[স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল এবং আফ্রিকান স্টাডিজ]], [[লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে [[এ. এল. বাশাম|এ. এল. বাশামের]] অধীনে ভারতীয় ইতিহাসে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। <ref name="penguin">{{cite web|title=Romila Thapar|url=http://www.penguinbooksindia.com/en/content/romila-thapar|publisher=Penguin India|accessdate=12 December 2014}}</ref>
 
== কার্যাবলী ==
 
তিনি ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে [[কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়|কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে]] প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসে [[রীডার (শিক্ষাবিষয়ক পদমর্যাদার পদমর্যাদা)|রীডার]] ছিলেন এবং ১৯৬৩ থেকে ১৯৭০ সালেরসাল মধ্যেঅবধি [[দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়|দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে]] এই একই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। পরে, তিনি নতুন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেছিলেন, যেখানে তিনি এখন এমেরিটাঅবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।<ref name="jnu">{{cite web | url=http://www.jnu.ac.in/sss/chs/RomilaThapar.pdf | title=Romila Thapar, Professor Emerita | publisher=JNU | accessdate=7 December 2014 | url-status=dead | archiveurl=https://web.archive.org/web/20150616014605/http://www.jnu.ac.in/sss/chs/RomilaThapar.pdf | archivedate=16 June 2015 | df=dmy-all }}</ref>
 
থাপারের প্রকাশিত প্রধান কাজগুলি হল ''অশোক এবং মৌর্যসাম্রাজ্যের পতন'', ''প্রাচীন ভারতীয় সামাজিক ইতিহাস: কিছু ব্যাখ্যা'', ''আদি ভারতীয় ইতিহাসের সাম্প্রতিক দৃষ্টিভঙ্গি'' (সম্পাদক), ''ভারতের ইতিহাস প্রথম খণ্ড'' এবং ''আদি ভারত: আদি থেকে ১৩০০ খ্রিস্টাব্দ''।
 
 
তাঁর ঐতিহাসিক রচনাটি [[হিন্দুধর্ম|হিন্দুধর্মের]] উৎসকে সামাজিক শক্তিরশক্তিসমূহের মধ্যে বিকশিত পারস্পরিক ক্রিয়া হিসাবে চিত্রিত করেছে।<ref>{{cite web|url=http://www.oup.co.in/search_detail.php?id=126276 |title=Cultural Pasts: Essays in Early Indian History By Romila Thapar - History - Archaeology-Ancient-India |publisher=Oup.co.in |date=2003-02-03 |accessdate=2014-08-18}}</ref> [[সোমনাথ মন্দির]] সম্পর্কে তাঁর সাম্প্রতিক কাজটি, কিংবদন্তি গুজরাতের এই মন্দিরমন্দিরটি সম্পর্কে ইতিহাস-রচনার বিবর্তন পরীক্ষা করে।<ref name="somanatha">[http://www.hindu.com/br/2004/04/27/stories/2004042700121600.htm Perspectives of a history] – a review of ''Somanatha: The Many Voices of a History''</ref>
 
তাঁর প্রথম লেখা, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ''অশোক এবং মৌর্যসাম্রাজ্যের পতন'' ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয়,হয়। সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, থাপার [[অশোক (সম্রাট)|অশোকের]] '' ধম্ম '' নীতিটি, একটিবিভিন্ন ভিন্নজাতি গোষ্ঠী এবংভিন্ন নাগরিকসংস্কৃতির নীতিএকটি হিসাবেসাম্রাজ্য বিভিন্নএকত্র জাতিরাখার এবং সংস্কৃতিরউদ্দেশ্যে, একটি সাম্রাজ্যঅসাম্প্রদায়িক একসাথেনাগরিক রাখারনীতি উদ্দেশ্যেহিসাবে সংস্থাপিত বলে মনে করেছেন। তিনি মনে করেছেন [[মৌর্য্য সাম্রাজ্য|মৌর্য্য সাম্রাজ্যের]] পতনের জন্য তার কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশাসন দায়ী। এর জন্য ব্যতিক্রমী দক্ষতার শাসকদের ভালভাবে কাজ করার দরকার ছিল।
 
থাপারের '' ভারতের ইতিহাস '' এর প্রথম খণ্ডটি পাঠকদের জনপ্রিয়তার কথা ভেবে রচিত এবং এটি পূর্ববর্তী ইতিহাস থেকে শুরু করে ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপীয়দের আগমন পর্যন্ত দেখিয়েছে।