বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
42.110.240.56 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 3885747 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৫ নং লাইন:
২০০১ সালের এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে [[বাংলাদেশ রাইফেলস]] (বর্তমান বিজিবি) ও ভারতের [[বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স]] (বিএসএফ) মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। যা দুই দেশের মধ্যকার দুর্বলভাবে চিহ্নিত আন্তর্জাতিক সীমান্তে সংগঠিত হয়েছিল। ২০০১ সালের ১৫ এবং ১৬ এপ্রিল সিলেট সীমান্তে পদুয়ায় এবং ১৯ এপ্রিল পুনরায় পদুয়া সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের সাথে বিডিআরের সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়। এই তিনটি যুদ্ধেই বাংলাদেশের সে সময়ের বিডিআরের জোয়ানরা বিজয় অর্জন করে। ১৯৭১ সালের অর থেকে বাংলাদেশের অধ্যুষিত এলাকা পাদুয়ায় বিএসএফ নানা অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়েছে বলে বাংলাদেশ অভিযোগ করে আসছিলো। সর্বশেষে বিএসএফ সেখানে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন এবং ভারত-বাংলা সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী সেখানে রাস্তা বানানো আইন পরিপন্থি কাজ। বাংলাদেশ বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা রাস্তা বানানোর কাজ চালাতে থাকে। এমতাবস্থায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) পাদুয়া করে দখল নেয়। এই ঘটনার ২ দিন পর পাদুয়া থেকে ৮০ কি.মি. দূরে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে বিডিআরের বারইবাড়ি ঘাঁটিতে ভারি অস্ত্রসহ হামলা চালায় বিএসএফ। কিছুক্ষণ পর বিডিআর পাল্টা আক্রমণ শুরু করলে যুদ্ধ শুরু হয়। প্রায় ২ দিন ব্যাপী এই যুদ্ধে দুই বাংলাদেশি বিডিআর সদস্য নিহত হন এবং এর বিপরীতে ১৬ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হন বলে ঢাকা থেকে জানানো হয়। পরবর্তীতে দিল্লি এবং ঢাকার মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসিত হয় এবং যুদ্ধ সমাপ্তি লাভ করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dailysangram.com/?post=82958-বিএসএফ-এর-পাদুয়া-হত্যকান্ড|শিরোনাম=বিএসএফ-এর পাদুয়া হত্যকান্ড|ওয়েবসাইট=The Daily Sangram|সংগ্রহের-তারিখ=2019-09-18}}</ref>
 
== রৌমারী সংঘর্ষ২০০১যুদ্ধ ২০০১ ==
২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আবার সীমান্ত যুদ্ধ ঘটে। এই যুদ্ধে ১৮ জন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী মারা যায়। কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তের গ্রাম বড়াইবাড়িতে এই সংঘর্ষের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এক কঠিন সংকটের মুখে পড়ে। ভোররাত থেকে যুদ্ধ শুরু হয়ে টানা ছয়ঘন্টা যুদ্ধ চলার পর ভারতীয় বাহিনী পিছু হটে। ওই সময় দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে জরুরী কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু তাতেও সংঘর্ষ থামেনি। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বহু সদস্য নিহত হওয়ার পরই কেবল তারা পিছু হটে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news/2012/03/120324_mhborderclash|শিরোনাম=চল্লিশে বাংলাদেশ|ওয়েবসাইট=BBC News বাংলা|ভাষা=bn-IN|সংগ্রহের-তারিখ=2019-09-18}}</ref> এই যুদ্ধে তিনজন বিজিবি সদস্য মারা যায়। তারা হলেন নায়েক সুবেদার ওয়াহিদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজার রহমান ও সিপাহী আব্দুল কাদের।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2016/04/17/348494|শিরোনাম=কাল রৌমারীর বড়াইবাড়ি দিবস {{!}} কালের কণ্ঠ|ওয়েবসাইট=Kalerkantho|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2019-09-18}}</ref>