সিংগাইর নামকরণে সমীক্ষায় দেখা যায় সাংস্কৃত শৃঙ্গরের (শৃঙ্গী+বের) শব্দ থেকে রূপান্তরিত হয়ে সিংঙ্গাইর শব্দটির উৎপত্তি। উৎপত্তিগত বিশেষণে শৃঙ্গবের শব্দটির রূপান্তর ধরো এরূপঃ শৃঙ্গবের>শিঙ্গু এর > সিঙ্গুএর> সিঙ্গাইর। শৃঙ্গবের শব্দটির অপভ্রংশ সিঙ্গুএর থেকে সিংগাইর। শৃঙ্গবের এই মূল শব্দটির অর্থ গুহক চন্ডালের নগর। রামায়নে উলেস্নখিত গুহক অর্থ নিষাদরাজ (চন্ডাল ও জেলে) । হিন্দু পুরানে উলেস্নখিত চন্ডাল ( চাঁড়াল ) অর্থ নিম্নশ্রেণীর হিন্দু সম্প্রদায়। তাই বলা যায়, এখানে কারণ আদিবাসী নিম্ন শ্রেনীর জনবসতি ছিল বলে এর নাম সিঙ্গাইর হয়েছে। বর্তমানে কেউ কেউ সিংগাইর ও লিখা থাকে।
সিংগাইর ও সন্নিহিত অঞ্চলের অধিকাংশে লোক দ্রাবিড় বংশোদ্ভব বলে পরিদৃষ্ট হয়। হাজার হাজার বছর পূর্বে, মধ্য এশিয়া থেকে আগত আর্যদের উন্নত শাসন ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির নিকট ক্রমান্বয়ে পরাজিত দ্রাবিড়গণ, উপমহাদেশের দক্ষিণ ও দুর্গম পূবাঞ্চলে সরে আসে। হিজরতকারী দ্রাবিড়গণের একাংশ এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। তাদেরই অধস্তন বংশধরেরা বর্তমান সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসাবে সিংগাইর ও সন্নিহিত অঞ্চলে বসবাস করছেন। এতদঞ্চলের জনপদের প্রাচীনত্ব উল্লেখিত সূত্র থেকে অনুমান করে নেয়া যায়। উপজেলা সদরের দুই মাইল পশ্চিমে চাড়াভাংগা নামক গ্রামে কিছু আদিম জাতীয় অধীবাসীদের অস্তিত্ব এখনো দেকা যায়। স্থানীয় ভাষায় এরা ‘বইনা’ (অর্থাৎ চমার কৃষ্ণবর্ণ) বলে আখ্যায়িত। এরা আদিম কাল বা ঐরূপ কোন জাতির বংশধর বলে মনে করা হয়।
== জনসংখ্যার উপাত্ত ==
২১৭.৫৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সিংগাইর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৮৭,৪৫১ জন।