ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
বডিলাইন সিরিজে অংশগ্রহণ - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
ব্যক্তিগত জীবন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
৭৩ নং লাইন:
[[১৯৩২-৩৩ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া সফর|১৯৩২-৩৩]] মৌসুমে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। এ সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণের পূর্বে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়াকে তাদের কৌশল অবলম্বনের বিষয়টি গোপন রাখেন। সফরকারীরা [[হ্যারল্ড লারউড]] ও [[বিল ভস|বিল ভস-সহ]] পাঁচজন ফাস্ট বোলারের নাম ঘোষণা করে। তবে, একটি দলে এতগুলো [[ফাস্ট বোলিং|ফাস্ট বোলার]] অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি বেশ অপ্রত্যাশিত ছিল। ব্র্যাডম্যান বুঝতে পারেন যে, তারা নতুন কিছু প্রয়োগ করতে চলছে। প্রস্তুতিমূলক খেলায় দলটি প্রথম নতুন ধরনের বোলিং আক্রমণ পরিচালনা করে। ঐ খেলায় ব্র্যাডম্যানকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল।<ref>{{Cite web | url = http://content-www.cricinfo.com/bodyline/content/story/316186.html| title = Bodyline quotes | accessdate = 2008-04-25| publisher = Cricinfo | author = Williamson, Martin }}</ref> সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্র্যাডম্যান খেলেননি। ফলে, কিছুসংখ্যক ক্রীড়ামোদীর ধারনা পোষণ করেছিলেন যে, তিনি হয়তোবা স্নায়ুবিক বৈকল্যে ভুগছেন। ইংল্যান্ড দল নতুন ধরনের বোলিং আক্রমণ পরিচালনা করে ও জয়লাভ করলেও অস্ট্রেলীয় দল খুশী।<ref name="BDLEssay">{{cite web|url=http://www.slsa.sa.gov.au/bradman/bio-page.htm|title=Bradman Digital Library: Essay by Michael Page|last=Page|first=Michael|year=1984|publisher=Pan Macmillan Australia Pty Ltd |accessdate=2008-05-23}}</ref>
 
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রগুলো এ ধরনের বোলিং কৌশল অবলম্বনকে বডিলাইন নামে বর্ণনা করে। কেননা, বলগুলো প্রায়শঃই শরীর বরাবর ধেয়ে আসছিল। এতে বলা হয় যে, এ ধরনের বোলিং অখেলোয়াড়ীসূলভ ও বিপজ্জ্বনক। ১৯৩০-এর দশকে ব্যাটসম্যানেরা মাথায় কোন ধরনের সুরক্ষা আবরণ বা হেলমেট ব্যবহার করতেন না। তাসত্ত্বেও সফরটি এগুতে থাকে। দ্বিতীয় টেস্টে ব্র্যাডম্যান খেলেন। প্রথম ইনিংসের প্রথম বলেই তিনি [[বোল্ড]] হন। তিনি ভেবেছিলেন বলটি বেশ উঁচু হয়ে আসছে। ফলে তিনি এক প্রান্তে চলে যান ও [[Boundary (cricket)|বাউন্ডারি]] হাঁকানোর লক্ষ্যে ব্যাট স্পর্শ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, যতোটা ভেবেছিলেন ততোটা হয়নি। [[স্ট্যাম্প (ক্রিকেট)|স্ট্যাম্পে]] আঘাত হলে প্রথমবারের মতো খেলোয়াড়ী জীবনের প্রথম বলে [[শূন্য রান|শূন্য রানে]] প্যাভিলিয়নের পথে ফিরে আসতে হয়। দর্শকেরা মনোবেদনায় ভুগে। কেননা, তারা ব্র্যাডম্যানের স্বভাবসূলভ শতরানের দিকে দৃষ্টিপাত করেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ ভালো খেলে ১০৩ রান তুলেন। [[বিল ও’রিলি]] ও [[বার্ট আইরনমঙ্গার|বার্ট আইরনমঙ্গারের]] চমৎকার বোলিংয়ের কল্যাণে স্বাগতিক দল জয়লাভ করতে সমর্থ হয়। অস্ট্রেলীয়রা এ ধরনের বোলিংয়ের বিপক্ষে রুখে বেশ তৃপ্তি লাভ করে।<ref>{{Cite web | url = http://content-aus.cricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/151780.html | work = Wisden|year=1934 edition | title = 2nd Test Australia v England, match report| accessdate = 2007-08-21 August 2007}}</ref>
 
ইংল্যান্ড দল সিরিজের শেষ তিন টেস্টে জয়লাভ করে। তখনও সফরকারীরা বডিলাইন বরাবর বোলিং করে যাচ্ছিল। ব্র্যাডম্যান তার ব্যাটিংয়ের ধরন পরিবর্তন করেন ও রান সংগ্রহ করতে বেশ চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। এ পর্যায়ে ইংল্যান্ড দল লেগ সাইডে অনেক [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|ফিল্ডার]] রাখে। ফলে, ব্র্যাডম্যান কিছুটা পিছিয়ে বলকে অফ সাইডে ফেলে রান সংগ্রহের পরিকল্পনা করেন। ঐ অঞ্চলে খুব কম ফিল্ডার ছিল। এটি স্বাভাবিক পরিকল্পনার অংশ না হলেও এ সিরিজে তিনি ৫৬.৫৭ গড়ে রান তুলেছিলেন। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান [[জ্যাক ফিঙ্গলটন|জ্যাক ফিঙ্গলটনের]] মতে, এ সফরের ফলে ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিংয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে ও খেলোয়াড়ী জীবনের বাকীটা সময় বহমান থাকে।<ref>Fingleton (1949) p198</ref>
৮৪ নং লাইন:
১১ জুলাই, ১৯৩০ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজের]] তৃতীয় টেস্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রিকেটের ইতিহাসে পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে মধ্যাহ্নবিরতীর পূর্বেই সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Hundred before lunch|ইউআরএল=http://stats.cricinfo.com/ci/content/records/283003.html|প্রকাশক=ESPNcricinfo|সংগ্রহের-তারিখ=3 January 2017}}</ref> অন্যরা হচ্ছেন - [[ভিক্টর ট্রাম্পার]] (১৯০২), [[চার্লি ম্যাককার্টনি]] (১৯২৬), [[মজিদ খান]] (১৯৭৬), [[ডেভিড ওয়ার্নার]] (২০১৬), [[শিখর ধাওয়ান]] (২০১৮)।
 
{{টেস্ট ক্রিকেট ব্যাটিং গড়}}
== মূল্যায়ন ==
ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক, দল নির্বাচক, লেখক, প্রশাসক - প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান নিজেকে খ্যাতির তুঙ্গে নিয়ে যান। [[জেফ থমসন]] মন্তব্য করেছিলেন যে, ডনের বিপক্ষে বোলিং করার বিষয়টি তার জন্যে সেরা মুহূর্ত ছিল। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে অ্যাডিলেডে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে খেলাকালে ঘটে। থমসনের ভাষায়, স্যার ডন স্যুট পরিহিত অবস্থায় কোন প্যাড বা গ্লাভসবিহীন অবস্থায় শুধুমাত্র ব্যাট নিয়ে দাড়িয়েছিলেন। তখন তার বয়স ৭০-এর কাছাকাছি এবং প্রায় ৩০ বছর তিনি ব্যাট ছাড়া দিনাতিপাত করেছিলেন। তাসত্ত্বেও, তিনি চমৎকার খেলেছিলেন।
৯১ ⟶ ৯২ নং লাইন:
 
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার রডনি হগ মনে করেন এই যুগে ক্রিকেট খেললে নাকি বিশ্বের সেরা গড়ে পৌঁছতে পারতেন না ডন ব্র্যাডম্যান। তিনি বলেন, ''আমি জানি এটা অসম্মানের। কিন্তু স্ট্যাটিসটিক্স দেখে আমার মনে হল আজকের যুগে খেললে ব্র্যাডম্যান এতটা সফল হত না।''<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বিতর্ক|ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/sport/i-don-t-think-he-would-have-average-99-now-says-hogg-dgtl-1.561156}}</ref>
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==
ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। জেসি মার্থা মেঞ্জিস নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সালে জেসি’র মৃত্যু পূর্ব-পর্যন্ত ৬৫ বছর সাংসারিক জীবন অতিবাহিত করেন।<ref name=BDLEssay/><ref>{{cite web|url=http://news.bbc.co.uk/sport1/hi/cricket/1189778.stm|title=Bradman dies at 92 |publisher=[[BBC Sport]]|accessdate=2008-05-19}}</ref> বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীর গুণগান গেয়েছেন তিনি। একবার তিনি বলেছিলেন, জেসি’র সহযোগিতা ছাড়া আমি কখনো এ অর্জনগুলোর সন্ধান পেতাম না।<ref>Eason (2004) p55.</ref> এ দম্পতির তিন সন্তান ছিল। কিন্তু, তাদের পারিবারিক জীবন শান্তিময় ছিল না। তাদের প্রথম সন্তান কিশোর অবস্থায় ১৯৩৬ সালে মৃত্যুবরণ করে।<ref>{{cite web|url=http://www.bradman.org.au/html/s03_faq/faqItem.asp?id=542|archiveurl=https://web.archive.org/web/20070831110622/http://www.bradman.org.au/html/s03_faq/faqItem.asp?id=542|archivedate=2007-08-31|title=Question: What were the difficulties faced in Sir Donald Bradmans life?|publisher=Bradman Museum|accessdate=2008-08-23}}</ref> দ্বিতীয় সন্তান জন ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করলেও [[পোলিও]] [[ভাইরাস]] সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়।<ref>{{cite web|url=http://www.theage.com.au/articles/2004/10/20/1097951769296.html?from=storylhs|title=Just a few tears as Miller's tale celebrated | work=The Age|accessdate=2008-05-19}}</ref> তৃতীয় সন্তান শার্লি ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করলেও জন্মকালীন সেরিব্রাল পালসি রোগে আক্রান্ত।<ref>{{cite web|url=http://www.parliament.nsw.gov.au/prod/parlment/hansart.nsf/V3Key/LA20010227026|title=Death Of Sir Donald Bradman|publisher=Parliament of New South Wales|accessdate=2008-05-19}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র==
{{টেস্ট ক্রিকেট ব্যাটিং গড়}}
{{সূত্র তালিকা|2}}