আইজাক নিউটন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
সংশোধন
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক- বিজ্ঞানী
|name honorific_prefix = [[স্যার আইজ্যাক নিউটন]]
| name = আইজাক নিউটন
| honorific_suffix = {{post-nominals|country=GBR|size=100%|PRS}}
|native_name = {{lang|en|Isaac Newton}}
|image = GodfreyKneller-IsaacNewton-1689.jpg
|image_width = 230px
৬ ⟶ ৯ নং লাইন:
|birth_date = [[জানুয়ারি ৪]] [[১৬৪৩]] <small><nowiki>[</nowiki>[[তারিখ পদ্ধতি|ওএস]]: [[ডিসেম্বর ২৫]] [[১৬৪২]]<nowiki>]</nowiki><ref name="OSNS">During Newton's lifetime, two calendars were in use in Europe: the [[Julian Calendar|Julian]] or 'Old Style' in Britain and parts of Eastern Europe, and the [[Gregorian Calendar|Gregorian]] or 'New Style' elsewhere. At Newton's birth, Gregorian dates were ten days ahead of Julian dates: thus Newton was born on Christmas Day 1642 by the Julian calendar but on 4 January 1643 by the Gregorian. Moreover, the English new year began on 25 March (the anniversary of the Incarnation) and not on 1 January (until the general adoption of the Gregorian calendar in the UK in 1753). Unless otherwise noted, the remainder of the dates in this article follow the Julian calendar.</ref></small>
|birth_place = উল্‌সথর্প-বাই-কোল্‌স্টারওয়ার্থ, [[লিংকনশায়ার]], [[ইংল্যান্ড]]
|residence = {{পতাকা|ইংল্যান্ড}}
|nationality = {{পতাকা আইকন|England}} [[ইংল্যান্ড|ইংরেজ]]
|death_date = [[মার্চ ৩১]] [[১৭২৭]] <small><nowiki>[</nowiki>[[তারিখ পদ্ধতি|ওএস]]: [[মার্চ ২০]] [[১৭২৭]]<nowiki>]</nowiki><ref name="OSNS"/></small>
|death_place = কেনসিংটন, [[লন্ডন]], ইংল্যান্ড
|resting_place = [[ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবি]]
|field = [[ধর্মতত্ত্ব]], [[পদার্থবিজ্ঞান]], [[গণিত]], [[জ্যোতির্বিজ্ঞান]], [[প্রাকৃতিক দর্শন]], এবং [[আলকেমি]]
|work_institution = [[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়]], [[রয়েল সোসাইটি]]
১৬ ⟶ ১৯ নং লাইন:
|known_for = [[নিউটনীয় বলবিজ্ঞান]]<br />[[সর্বজনীন মহাকর্ষ]]<br />[[ক্যালকুলাস|ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ক্যালকুলাস]]<br />[[আলোকবিজ্ঞান]]<br />[[দ্বিপদী উপপাদ্য]]<br />[[ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা]]
|prizes =
|religion = [[খ্রিস্ট ধর্ম]] ([[Arianism]])
|footnotes =
}}
'''[[স্যার]] আইজ্যাক নিউটন''' ([[ইংরেজি ভাষা{{lang-en|ইংরেজি]] : Sir Isaac Newton)}}; (জন্ম : [[জানুয়ারি ৪]], [[১৬৪৩]] - মৃত্যু৩১ : [[মার্চ ৩১]], [[১৭২৭]]) প্রখ্যাত ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট। অনেকের মতে, নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The biography book: a reader's guide to nonfiction, fictional, and film biographies of more than 500 of the most fascinating individuals of all time|প্রথমাংশ১=ড্যানিয়েল এস.|শেষাংশ১=বার্ট|প্রকাশক=গ্রিনউড পাবলিশিং গ্রুপ|বছর=২০০১|আইএসবিএন=1-573-56256-4
|পাতা=৩১৫|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=jpFrgSAaKAUC}}, [http://books.google.com/books?id=jpFrgSAaKAUC&pg=PA315 Extract of page 315]
|শিরোনাম=The biography book: a reader's guide to nonfiction, fictional, and film biographies of more than 500 of the most fascinating individuals of all time
</ref> ১৬৮৭ সনেখ্রিস্টাব্দে তার বিশ্ব নন্দিত গ্রন্থ ''[[ফিলসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা]]'' প্রকাশিত হয় যাতে তিনি সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিধৃত করেছিলেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই [[চিরায়ত বলবিজ্ঞান|চিরায়ত বলবিজ্ঞানের]] ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে, আর তার গবেষণার ফলে উদ্ভূত এই চিরায়ত বলবিজ্ঞান পরবর্তী তিন শতক জুড়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার জগৎে একক আধিপত্য করেছে। তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন, পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সকল বস্তু একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। কেপলারের গ্রহীয় গতির সূত্রের সাথে নিজের মহাকর্ষ তত্ত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। তার গবেষণার ফলেই সৌরকেন্দ্রিক বিশ্বের ধারণার পেছনে সামান্যতম সন্দেহও দূরীভূত হয় এবং বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়।
|প্রথমাংশ১=Daniel S.
|শেষাংশ১=Burt
|প্রকাশক=Greenwood Publishing Group
|বছর=2001
|আইএসবিএন=1-573-56256-4
|পাতা=315
|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=jpFrgSAaKAUC}}, [http://books.google.com/books?id=jpFrgSAaKAUC&pg=PA315 Extract of page 315]
</ref> ১৬৮৭ সনে তার বিশ্ব নন্দিত গ্রন্থ [[ফিলসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা]] প্রকাশিত হয় যাতে তিনি সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিধৃত করেছিলেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই [[চিরায়ত বলবিজ্ঞান|চিরায়ত বলবিজ্ঞানের]] ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে, আর তার গবেষণার ফলে উদ্ভূত এই চিরায়ত বলবিজ্ঞান পরবর্তী তিন শতক জুড়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার জগৎে একক আধিপত্য করেছে। তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন, পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সকল বস্তু একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। কেপলারের গ্রহীয় গতির সূত্রের সাথে নিজের মহাকর্ষ তত্ত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। তার গবেষণার ফলেই সৌরকেন্দ্রিক বিশ্বের ধারণার পেছনে সামান্যতম সন্দেহও দূরীভূত হয় বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়।
 
[[বলবিজ্ঞান|বলবিজ্ঞানের]] ভিত্তিভূমি রচনা করেছেন নিউটন। রৈখিক এবং কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্রের মাধ্যমে তিনি এই ভিত্তি রচনা করেন। আলোকবিজ্ঞানের কথায় আসলে তার হাতে তৈরি প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্রের কথা এসে যায়। একই সাথে তিনি আলোর বর্ণের উপরএকটি তত্ত্ব দাড় করান যা একটি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত হয়েছিলেন। পর্যবেক্ষণটি ছিল ত্রিভুজাকার প্রিজমের মধ্য দিয়ে যাওয়া আলোর বিক্ষেপণের উপর যার মাধ্যমে দৃশ্যমান বর্ণালির সৃষ্টি হয়েছিল। শব্দের দ্রুতি এবং শীতলীকরণ প্রক্রিয়া বিষয়েও তিনি গবেষণা পরিচালনা করেন যা থেকে [[নিউটনের শীতলীকরণ সূত্র]] এসেছে।
 
গণিতের জগৎেওজগতেও নিউটনের জুড়ি মেলা ভার। নিউটন এবং লাইবনিজ[[গট‌ফ্রিড লাইব‌নিৎস]] যৌথভাবে [[ক্যালকুলাস]] নামে গণিতের একটি নতুন শাখার পত্তন ঘটান। এই নতুন শাখাটিই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জগৎেজগতে বিপ্লব সাধনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া নিউটন সাধারণীকৃত দ্বিপদী উপপাদ্য প্রদর্শন করেন, একটি ফাংশনের শূন্যগুলোর আপাতকরণের জন্য তথাকথিত ''নিউটনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন'' এবং পাওয়ার সিরিজের অধ্যয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
 
[[২০০৫]] সনেখ্রিস্টাব্দে রয়েল সোসাইটি বিজ্ঞানের ইতিহাসে কার প্রভাব সবচেয়ে বেশি এ প্রশ্ন নিয়ে একটি ভোটাভুটির আয়োজন করে। ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, এক্ষেত্রে নিউটন আইনস্টাইনের চেয়েও অধিক প্রভাবশালী।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://royalsociety.org/news.aspx?id=1324&terms=Newton+beats+Einstein+in+plls+of+scientists+and+the+public|শিরোনাম=News - Royal Society|প্রকাশক=}}</ref>
 
== জীবনী ==
৪০ ⟶ ৩৫ নং লাইন:
=== প্রাথমিক জীবন ===
[[চিত্র:Woolsthorpe manor.jpg|left|200px|thumb|[[উল্‌সথর্প ম্যানর|উল্‌সথর্প ম্যানরে]] নিউটনের বাড়ি]]
আইজাক নিউটন আধুনিক বর্ষপঞ্জি অণুসারেঅনুসারে [[১৬৪৩]] খ্রিষ্টাব্দেরখ্রিস্টাব্দের [[জানুয়ারি ৪|৪ঠা জানুয়ারিতে]] আইজাক নিউটন জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মস্থান [[লিঙ্কনশায়ারলিংকনশায়ার|লিঙ্কনশায়ারেরলিংকনশায়ারের]] উল্‌সথর্প ম্যানরে। ম্যানর অঞ্চলটি উল্‌সথর্প-বাই-কোল্‌স্টারওয়ার্থের মধ্যে অবস্থিত। নিউটনের যখন জন্ম হয় তখনও ইংল্যান্ডে সমসাময়িককালের আধুনিকতম প্যাপাল বর্ষপঞ্জির ব্যবহার শুরু হয়নি। তাই তার জন্মের তারিখ নিবন্ধন করা হয়েছিল ১৬৪২ সনের ক্রিস্‌মাস দিবস হিসেবে। তিনি তার পিতা আইজাকের মৃত্যুর তিন মাস পর জন্ম নেন। তার বাবা গ্রামের একজন সাধারণ [[কৃষক]] ছিলেন। জন্মের সময় নিউটনের আকার-আকৃতি ছিল খুবই ছোট। তার মা ''হানাহ্‌ এইসকফ'' প্রায়ই বলতেন ছোট্টবেলার সেই নিউটনকে অনায়াসে একটি কোয়ার্ট মগের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া যেত। তিন বছর বয়সে তার মা আরেকটি বিয়ে করেন এবং নতুন স্বামী রেভারেন্ড বার্নাবাউস স্মিথের সাথে বসবাস করতে থাকেন। এসময় নিউটন তার মায়ের সাথে ছিলেন না। নানী ''মার্গারিমার্জারি এইসকফের'' তত্ত্বাবধানে তার দিন কাটতে থাকে। নিউটন তার সৎ বাবাকে পছন্দ করতে পারেন নি। তার মা এই লোককে [[বিয়ে]] করেছে বলে মায়ের প্রতি তার কিছুটা ক্ষোভও ছিল। নিউটন তার ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত করা পাপ কাজগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। সেই তালিকা থেকে মায়ের প্রতি তার এই ক্ষোভের প্রমাণ পাওয়া যায়। তালিকায় লিখা ছিল : "আমার বাবা ও মা-কে এই বলে ভয় দেখানো যে আমি তাদের থাকবার ঘর জ্বালিয়ে দেবো"। জনৈকা মিস স্টোরির সাথে নিউটনের বাগদানমায়ের হয়,দ্বিতীয় কিন্তুবিবাহের পড়াশোনাফলে তিন [[গবেষণা|গবেষণায়]]সন্তান খুব বেশি নিমগ্ন থাকার কারণে নিউটন বিয়ে করেন নি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.newton.ac.uk/newtlife.html|শিরোনাম=Isaac Newton's Life - Isaac Newton Institute for Mathematical Sciences|কর্ম=www.newton.ac.uk}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://scidiv.bellevuecollege.edu/MATH/Newton.html|শিরোনাম=Math @ Bellevue College|কর্ম=scidiv.bellevuecollege.edu}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=1ZcYsNBptfYC&pg=PA8&lpg=PA8&dq=isaac+newton+miss+storey&q=miss+storey&hl=en|শিরোনাম=The Mathematical Papers of Isaac Newton:|প্রথমাংশ=Isaac|শেষাংশ=Newton|তারিখ=3 January 2008|প্রকাশক=Cambridge University Press|মাধ্যম=Googleজন্ম Books}}</ref>নেয়।
 
নিউটনের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয় বাড়ির পাশের এক ক্ষুদ্রায়তন স্কুলে। ১২ বছর বয়সে তাকে গ্রান্থামের ব্যাকরণ স্কুলে পড়াশোনার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে তিনি এক ঔষধ প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতার বাড়িতে থাকতেন। এই স্কুলে নিউটন ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্ব্বি যা থেকে তার [[মেধা|মেধার]] পরিচয় পাওয়া যায়। প্রথমদিকে তার সাথে কেউ না পারলেও এক সময় আরেকটি ছেলে তার সাথে ভালো প্রতিযোগিতা করতে সমর্থ হয়েছিল। স্কুল জীবনের প্রথম থেকেই নিউটনের সবচেয়ে বেশি ঝোঁক ছিল বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র তৈরির প্রতি। সেই বয়সেই তিনি উইন্ডমিলবায়ুকল, [[জল-ঘড়ি]], [[ঘুড়ি]] এবং সান-ডায়াল তৈরি করেছিলেন। এছাড়া তার গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ ছিল একটি চার চাকার বাহন যা আরোহী নিজেই টেনে চালাতে পারতেন। [[১৬৫৬]] খ্রিষ্টাব্দেখ্রিস্টাব্দে নিউটনের সৎ বাবা মারা যান। এরপর তার মা উল্‌সথর্পে ফিরে এসে তাকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। উদ্দেশ্য ছিল বাড়িতে ক্ষেত-খামারের কাজ শিখিয়ে ভবিষ্যতের বন্দোবস্ত করে দেওয়া। কিন্তু সত্বরই তিনি বুঝতে পারেন যে, খামারের কাজের দিকে নিউটনের কোনো ঝোঁক নেই। নিউটনের কাকা ছিলেন বার্টন কগলিসের রেক্টর। এই চাচার উপদেশ শুনেই পরিবার থেকে তাকে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে পড়াশোনার জন্য পাঠানো হয়।
 
=== ট্রিনিটি কলেজে নিউটন ===
[[চিত্র:StatueOfIsaacNewton.jpg|thumb|200px|right|কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে নিউটনের মূর্তি]]
নিউটন ট্রিনিটি কলেজ থেকে [[১৬৬১]] সনেখ্রিস্টাব্দে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি তার পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য কলেজের বিভিন্ন স্থানে ভৃত্যের কাজ করতেন। ছাত্র হিসেবে বড় কোন কিছু তিনি করেছেন বলে ট্রিনিটি কলেজের কোন দলিলপত্র লেখা নেই। তবে জানা যায় তিনি মূলত [[গণিত]] ও [[বলবিজ্ঞান]] বিষয়ে অধিক পড়াশোনা করেছিলেন। ট্রিনিটি কলেজে প্রথমে তিনি [[ইয়োহানেস কেপলার|কেপলারের]] আলোকবিজ্ঞান বিষয়ক সূত্রের উপর অধ্যয়ন করেন। এরপর অবশ্য তিনি [[ইউক্লিড|ইউক্লিডের]] জ্যামিতির প্রতি মনোনিবেশ করেন। কারণ মেলা থেকে কেনা জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি বইয়ে উল্লেখিত বেশ কিছু রেখাচিত্র তিনি বুঝতে পারছিলেন না। এগুলো বোঝার জন্য [[ইউক্লিড|ইউক্লিডের]] জ্যামিতি জানা থাকাটা আবশ্যিক ছিল। তা সত্ত্বেও নিউটন বইটির কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এটি অকিঞ্চিৎকর বই হিসেবে সরিয়ে রাখেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার শিক্ষক [[আইজাক ব্যারো]] তাকে বইটি আবার পড়তে বলেন। বইটি লেখা হয়েছিল [[রনে দেকার্ত|দেকার্তের]] জ্যামিতিক গবেষণা ও কর্মের উপর।
 
স্নাতক শিক্ষা গ্রহণকালে নিউটন একটি ছোট বইয়ের তাক বা এ ধরনের কোন স্থানে তার সব বই সাজিয়ে রাখতেন। সেই তাক থেকে নিউটনের সে সময়ে লেখা বেশ কিছু নিবন্ধ পাওয়া গেছে। এই লেখাগুলোর বিষয়ের মধ্যে রয়েছে: কৌণিক বিভাজন, বক্রসমূহের বর্গকরণ, সঙ্গীতের অনন্য সুর সম্বন্ধে কিছু গাণিতিক হিসাব, ভিয়েটা এবং ভ্যান স্কুটেনের জ্যামিতিক সমস্যা, ওয়ালিস রচিত ''এরিথমেটিক অফ ইনফিনিটিস'' বইয়ের উপর কিছু মন্তব্য, গোলীয় আলোক গ্লাসের ঘর্ষণের ফলাফল, লেন্সের ত্রুটি এবং সকল ধরনের মূল বের করার সূত্র। [[১৬৬৫]] খ্রিষ্টাব্দেখ্রিস্টাব্দে স্নাতক ডিগ্রীডিগ্রি লাভের প্রাক্কালেই নিউটন তার বিখ্যাত [[দ্বিপদী উপপাদ্য]] বিষয়ক সূত্র প্রমাণ করেন এবং একইসাথে [[ফ্লাক্‌সিয়নের পদ্ধতি]] (method of fluxion) আবিষ্কার বিষয়ক প্রথম তত্ত্ব প্রদান করেন। ট্রনিটিট্রিনিটি কলেজের এই দিনগুলো তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু [[১৬৬৫]] সনেখ্রিস্টাব্দে [[কেমব্রিজ]] এবং [[লন্ডন|লন্ডনে]] [[প্লেগ]] রোগ মহামারী আকার ধারণ করে। এর ফলে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। নিউটন লিংকনশায়ারে তাদের খামর বাড়িতে ফিরে যান।
 
=== লিংকনশায়ারে গবেষণা কাজ ===
উল্‌সথর্প ফিরে এসেও নিউটন থেমে থাকেননি। সেখানে মূলত [[রসায়ন]] এবং [[আলোকবিজ্ঞান]] বিষয়ের উপর বিভিন্ন পরীক্ষণ চালিয়ে যেতে থাকেন এবং একইসাথে চলতে থাকে তার গাণিতিক অনূধ্যানের প্রকল্পসমূহ। নিউটন তার মহাকর্ষ তত্ত্ব আবিষ্কার বিষয়ক দিনপঞ্জির সূচনা চিহ্নিত করেছিলেন এই [[১৬৬৬]] সনকেইখ্রিস্টাব্দকে, যে সনেবছর তাকে ট্রিনিটি কলেজ ছেড়ে যেতে হয়েছিল। এ সম্বন্ধে তিনি বলেছেন:
{{cquote|
''একই সালে আমি চাঁদের কক্ষপথে বিস্তৃত অভিকর্ষ নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করি,... চাঁদকে তার নিজ কক্ষপথে ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় বল এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠতলে বিরাজমান অভিকর্ষ বলের মধ্যে তুলনা করি এবং এই দুটি বলের মান প্রায় সমান বলে চিহ্নিত করতে সক্ষম হই।''}}
একই সময়ে তিনি আলোকবিজ্ঞান বিষয়ে তার একটি মৌলিক পরীক্ষণের কাজ সম্পন্ন করেন। এই পরীক্ষণের মাধ্যমে তিনি সাদা আলোর গাঠনিক অংশসমূহ আবিষ্কারে সক্ষম হন। আলোকবিজ্ঞান বিষয়ে তার প্রাথমিক এই কাজ সম্বন্ধে নিউটন নিজেই মন্তব্য করেছেন:
{{cquote|
''এই সব কিছু আমি করেছিলাম মাত্র দুই বছর তথা [[১৬৬৫]] এবং [[১৬৬৬]] সনেরখ্রিস্টাব্দের মধ্যে, কারণ আমার জীবনের যেকোন সময়ের তুলনায় ওই সময়ে আমি বিশেষ উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে ছিলাম যে পর্যায়ে উদ্ভাবন এবং মনকেন্দ্রিক গণিত ও দর্শন চিন্তার বিকাশ ঘটেছিল।''}}
[[চিত্র:Sir Isaac Newton by Sir Godfrey Kneller, Bt.jpg|thumb|left|200px|[[১৭০২]] সনেখ্রিস্টাব্দে নিউটন। [[গডফ্রে নেলার]] কর্তৃক অঙ্কিত চিত্র।]]
 
=== আলোক বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা ===
[[১৬৬৭]] সনেখ্রিস্টাব্দে ট্রিনিটি কলেজ পুনরায় খোলা হয়। এবার কলেজ নিউটনকে ফেলো নির্বাচিত করে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://venn.lib.cam.ac.uk/cgi-bin/search.pl?sur=&suro=c&fir=&firo=c&cit=&cito=c&c=all&tex=RY644J&sye=&eye=&col=all&maxcount=50# |সংগ্রহের-তারিখ=২৬ নভেম্বর ২০১৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://archive.is/20120727003953/http://venn.lib.cam.ac.uk/cgi-bin/search.pl?sur=&suro=c&fir=&firo=c&cit=&cito=c&c=all&tex=RY644J&sye=&eye=&col=all&maxcount=50# |আর্কাইভের-তারিখ=২৭ জুলাই ২০১২ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> এবং এর দুই বছর পর অর্থাৎ তার ২৭তম জন্মদিনের কিছুদিন আগে তিনি সেখানকার গণিত বিভাগের [[লুকাসিয়ানগণিতের প্রফেসরলুকাসীয় অব ম্যাথমেটিক্সঅধ্যাপক|লুকাসিয়ানলুকাসীয় অধ্যাপক]] নিযুক্ত হন। তার আগে ট্রিনিটি কলেজের এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তারই বন্ধু ও শিক্ষক ডঃ বারো। তখনকার সময়ে কেমব্রিজ এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো হতে হলে কাউকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত অ্যাংগ্লিকান ধর্মপ্রচারক হতে হতো। আবার [[লুকাসিয়ান প্রফেসর অব ম্যাথমেটিক্স|লুকাসিয়ানলুকাসীয় অধ্যাপকদের]] চার্চেরগির্জার সাথে যোগাযোগ থাকা নিষিদ্ধ ছিল, কারণ তা বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষতি করতে পারে। নিউটন লুকাসিয়ানলুকাসীয় অধ্যাপক হওয়ার সময় এই শর্ত থেকে নিজে অব্যাহতি চান। তখনকার রাজা [[চার্লসদ্বিতীয় চার্লস]] তার দাবী মেনে নিয়ে তাকে অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত করেন। এতে অ্যাংগ্লিকানদের সাথে নিউটনের ধর্মীয় চিন্তাধারার বিরোধের অবসান ঘটে। এরই মধ্যে [[১৬৬৮]] খ্রিষ্টাব্দেখ্রিস্টাব্দে নিউটন একটি প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করে ফেলেছিলেন। [[১৬৭১]] সনেরখ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে নিউটন দ্বিতীয় আরেকটি দূরবীন তৈরি করে [[রয়েল সোসাইটি|রয়েলরয়াল সোসাইটিকে]] উপহার দেন। এর দুই মাস পর রয়েলরয়্যাল সোসাইটির একজন ফেলো হিসেবে তিনি আলো সম্বন্ধে তার আবিষ্কারসমূহ প্রচার করেন এবং এর মাধ্যমে আলো সম্বন্ধে একটি বিতর্কের সূচনা করেন। অনেক বছর ধরে এই বিতর্ক অব্যাহত ছিল। এই বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন [[রবার্ট হুক]], লুকাস, [[লিনাস পাউলিং]] এবং আরো অনেকে। নিউটন অবশ্য এ ধরনের বিতর্ককে সবসময়ই বিস্বাদ জ্ঞান করতেন। আলো সম্বন্ধে এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি তত্ত্বের পক্ষে অবস্থাননিয়েঅবস্থান নিয়ে একটি বিতর্কের জন্ম দেয়ার জন্য তিনি নিজের প্রজ্ঞাকেই দোষারোপ করতেন। আলোক বিজ্ঞান সম্বন্ধে তার গবেষণাপত্রসমূহের অধিকাংশই [[১৬৭২]] সন থেকে [[১৬৮৪]] সনেরখ্রিস্টাব্দের মধ্যে রয়েল সোসাইটি থেকে প্রকাশিত হয়। তার এই গবেষণাপত্রগুলোই [[১৭০৪]] সনেখ্রিস্টাব্দে তার [[অপটিক্‌স]] নামক গ্রন্থে সংকলিত হয়েছিল।
 
=== প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা প্রকাশ ===
[[চিত্র:NewtonsPrincipia.jpg|thumb|right|200px|প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা বইয়ের ছবি]]
[[১৬৮৪]] সনেরখ্রিস্টাব্দের পূর্বে নিউটন মহাকর্ষ সম্বন্ধে তার গবেষণাকর্মগুলো প্রকাশের তেমন কোন তাগিদ অণুভব করেনঅনুভব নি।করেননি। এর মধ্যে হুক, [[এডমান্ড হ্যালি]] এবং স্যার [[ক্রিস্টোফার রেন]] মহাকর্ষ সম্বন্ধে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু তত্ত্ব বা তথ্য আবিষ্কার করেছিলেন যদিও তারা কেউই গ্রহের কক্ষপথ সম্বন্ধে কোন সুনির্দিষ্ট তত্ত্ব প্রদানে সক্ষম হন নি।হননি। ঐ বছর বিজ্ঞানী এডমুন্ড হ্যালি এ বিষয়টি সম্বন্ধে নিউটনের সাথে কথা বলেন এবং এই দেখে অবাক হন যে নিউটন বিষয়টি এতোদিনে সমাধান করে ফেলেছেন। নিউটন হ্যালির কাছে চারটি উপপাদ্য এবং সাতটি সমস্যা প্রস্তাব করেন যেগুলো তার গবেষণা কাজের মূল অংশ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। [[১৬৮৫]] এবং [[১৬৮৬]] সালেরখ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রায় সতের-আঠার মাস জুড়ে তার লেখা সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ তথা [[ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা]] রচনা করেন যার ইংরেজি নাম দেয়া হয় Mathematical Principles of Natural Philosophy। এই গ্রন্থের তিনটি অংশ আছে। নিউটন তৃতীয় অংশটিকে সংক্ষিপ্ত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হ্যালি তাকে তৃতীয় অংশটি বিস্তারিত লেখার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। রয়েলরয়্যাল সোসাইটি গ্রন্থটি প্রকাশের অর্থ সংকুলানে অপারগতা প্রকাশ করে। এবারও হেলিইহ্যালিই এগিয়ে আসেন। তিনি বইটি প্রকাশের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করেন এবং এর ফলে [[১৬৭৮]] সনেখ্রিস্টাব্দে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় এই বইটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পর সমগ্র ইউরোপ জুড়ে এটি বিপুল সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তখনকার সময়ের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানী হিসেবে খ্যাত [[ক্রিশ্চিয়ান হাইগেন্‌স]] [[১৬৮৯]] সনেখ্রিস্টাব্দে নিউটনের সাথে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করার জন্য ইংল্যান্ডে যান।
 
=== সরকারি চাকরি ও ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে গবেষণা ===
প্রিন্সিপিয়া গ্রন্থে উল্লেখিত মূলনীতিসমূহ নিয়ে কাজ করার সময়ই নিউটন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যাবলীতেকার্যাবলিতে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেন। এ সময় রাজা [[জেমসদ্বিতীয় জেমস]] বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বময় কর্তৃত্ব এবং আনুগত্যের শপথ অস্বীকার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নিউটন তার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও বিরোধিতা করায় কেমব্রিজ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। রাজনীতির কাজ শেষে যখন তিনি পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন তখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই অসুস্থতার কারণে [[১৬৯২]] -থেকে [[১৬৯৩]] সনেখ্রিস্টাব্দে তিনি প্রায় সকল কর্মে অক্ষম ছিলেন। এর ফলে তার সহকর্মী ও বন্ধু-বান্ধবের মাঝে প্রভূত উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল। রোগ থেকে আরোগ্য লাভের পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করে সরকারের জন্য কাজ শুরু করেন। তার বন্ধু লক, রেন এবং [[লর্ড হালিফাক্স|লর্ড হালিফাক্সের]] সহযোগিতায় তিনি প্রথমে [[১৬৯৫]] খ্রিষ্টাব্দেখ্রিস্টাব্দে ইংলেন্ড সরকারের ''ওয়ার্ডেন অফ দ্য মিন্ট'' এবং পরবর্তীতে ''মাস্টার অফ দ্য মিন্ট'' পদে অধিষ্ঠিত হন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্তআমৃত্যু তিনি এই মাস্টার অফ দ্য মিন্ট পদেই বহাল ছিলেন।
 
অপর দিকে জীবনের প্রথম ভাগ থেকেই নিউটন ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশোনা করে আগ্রহ পেতেন। [[১৬৯০]] সনেরখ্রিস্টাব্দের আগে থেকেই তিনি ধর্মীয় ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। সে সময় তিনি লকের কাছে লেখা পত্রে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা দেন। এই পত্রটির নাম ছিল ''An Historical Account of Two Notable Corruptions of The Scriptures''। এই পত্রটি ট্রিনিটির দুইটি প্যাসেজ বিষয়ে লেখা। এছাড়াও তিনি মৃত্যুর পূর্বে একটি পাণ্ডুলিপি লিখে যান। এর নাম ''Observations on the Prophecies of Daniel and the Apocalypse''। এছাড়াও বাইবেলের কিছু সমালোচনা, ভাষ্য ও টীকা তিনি রচনা করেছিলেন।
 
=== ব্যক্তিগত সম্পর্ক ===
জনৈকা মিস স্টোরির সাথে নিউটনের বাগদান হয়, কিন্তু পড়াশোনা ও [[গবেষণা|গবেষণায়]] খুব বেশি নিমগ্ন থাকার কারণে নিউটন বিয়ে করেন নি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.newton.ac.uk/newtlife.html|শিরোনাম=Isaac Newton's Life - Isaac Newton Institute for Mathematical Sciences|কর্ম=www.newton.ac.uk}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://scidiv.bellevuecollege.edu/MATH/Newton.html|শিরোনাম=Math @ Bellevue College|কর্ম=scidiv.bellevuecollege.edu}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=1ZcYsNBptfYC&pg=PA8&lpg=PA8&dq=isaac+newton+miss+storey&q=miss+storey&hl=en|শিরোনাম=The Mathematical Papers of Isaac Newton:|প্রথমাংশ=Isaac|শেষাংশ=Newton|তারিখ=3 January 2008|প্রকাশক=Cambridge University Press|মাধ্যম=Google Books}}</ref>
 
=== শেষ জীবন ===
জীবনের শেষ ৩০ বছর নিউটন গাণিতিক মূলনীতিসমূহের উপর খুব কমই মৌলিক অবদান রাখতে পেরেছেন।{{cn}} কিন্তু এ বিষয়ে তার উৎসাহ এবং দক্ষতার কোন অভাব তখনও ছিল না। [[১৬৯৬]] সালেখ্রিস্টাব্দে তিনি এক রাতে একটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে ফেলেন। এই সমস্যাটি [[বার্নোলি]] একটি প্রতিযোগিতায় প্রস্তাব করেছিলেন এবং এর সমাধানের সময় বরাদ্দ ছিল ৬ মাস। আবার [[১৭১৬]] সনেখ্রিস্টাব্দে তিনি মাত্র কয়েক ঘন্টায় একটি সমস্যার সমাধান করে ফেলেন। বিজ্ঞানী লিবনিজ[[গটফ্রিড ভিলহেল্ম লাইবনিৎস|লাইবনিৎস]] এই সমস্যাটিকে ইংরেজ বিশেষজ্ঞদের জন্য রোমহর্ষক এবং দুঃসাধ্য বলে উল্লেখ করেছিলেন। এ সময় দুইটি বিষয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন। একটি হল তার কিছু জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার জ্যোতির্বিজ্ঞানী রয়েলের পর্যবেক্ষণের সাথে খাপ খায়নি। এ নিয়ে একটি বিতর্ক ছিল। অন্যটি হল [[ক্যালকুলাস]] আবিষ্কার নিয়ে লিবনিজেরলাইবনিৎসের সাথে বিতর্ক ও বিরোধ। তিনি প্রিন্সিপিয়া গ্রন্থটিকে পুনরায় সংশোধন করে [[১৭১৩]] খ্রিষ্টাব্দেখ্রিস্টাব্দে এর নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেন।
[[চিত্র:Isaac Newton grave in Westminster Abbey.jpg|200px|right|thumb|ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে-তে নিউটনের সমাধিস্থল]]
নিউটনের বৈজ্ঞানিক গবেষণাসমূহ তাকে প্রভূত সম্মান এনে দিয়েছিল। তিনি ইংল্যান্ডের বিচারালয়ে একজন জনপ্রিয় পরিদর্শক ছিলেন। [[১৭০৫]] খ্রিষ্টাব্দেখ্রিস্টাব্দে তিনি [[নাইট]] উপাধিতে ভূষিত হন। সমগ্র মহাদেশ থেকেই তার জন্য বিভিন্ন সম্মাননা এসেছিল। তখনকার নেতৃস্থানীয় সকল বিজ্ঞানীর সাথেই তার যোগাযোগ ছিল। তার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য এতো অধিক সংখ্যক বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান ছাত্রের আগমন ঘটতো যে তিনি বিরক্ত হয়ে যেতেন। এতো সম্মান পেয়েও নিউটন এক সময় বিনয় প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর কিছুকাল পূর্বে তিনি বলেছিলেন:
{{cquote|
''আমি জানিনা বিশ্বের কাছে আমি কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছি, কিন্তু আমার কাছে আমার নিজেকে মনে হয় এক ছোট বালক যে কেবল সমুদ্র উপত্যকায় খেলা করছে এবং একটি ক্ষুদ্র নুড়ি বা ক্ষুদ্রতর এবং খুব সাধারণ পাথর সন্ধান করছে, অথচ সত্যের মহাসমুদ্র তার সম্মুখে পড়ে রয়েছে যা অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেল।'' }}
 
[[১৭২৫]] খ্রিষ্টাব্দেরখ্রিস্টাব্দের পর নিউটনের স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি ঘটে। এর ফলে একজন ডেপুটি মিন্টে তার কাজ মওকুফ করার ব্যবস্থা করে দেন। [[১৭২৭]] সনেরখ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি শেষবারের মত রয়েল সোসাইটির সভাপতি হিসেবে কার্য পরিচালনা করেন। [[১৭০৩]] সালখ্রিস্টাব্দ থেকেই তিনি এই সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। [[১৭২৭]] খ্রিষ্টাব্দেরখ্রিস্টাব্দের [[মার্চ ২০|২০২০ই মার্চ]] তারিখে ৮৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে লন্ডনের [[ওয়েস্টমিনিস্টারওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেঅ্যাবি]]-তে সমাধিস্থ করা হয়।
 
== গবেষণা কর্ম ও আবিষ্কার ==