দৈনিক ইত্তেফাক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultan (আলোচনা | অবদান) সংশোধন |
NahidSultan (আলোচনা | অবদান) সম্প্রসারণ+, সংশোধন |
||
১ নং লাইন:
{{Infobox Newspaper
| image =
| caption =
| type = দৈনিক
| format = সংবাদ পত্রিকা ও অনলাইন সংস্করণ
| foundation =
| founder = [[আবদুল হামিদ খান ভাসানী|মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী]] এবং [[ইয়ার মোহাম্মদ খান]]
| price = ৳৮
| owners = ইত্তেফাক গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স লিমিটেড
| publisher = মহিবুল আহসান শাওন
| editor = [[তাসমিমা হোসেন]]<ref name="নারী সম্পাদক">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ইত্তেফাকের প্রথম নারী সম্পাদক তাসমিমা হোসেন |ইউআরএল=https://www.jugantor.com/national/66744/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8 |সংগ্রহের-তারিখ=৯ মে ২০১৯ |প্রকাশক=দৈনিক যুগান্তর |তারিখ=৫ জুলাই ২০১৮}}</ref>
| language = [[বাংলা ভাষা|বাংলা]], [[ইংরেজি]] (শুধুমাত্র অনলাইন)
| headquarters = ৪০, কারওয়ান বাজার,<br /> [[ঢাকা]] ১২০৫<br /> [[বাংলাদেশ]]
|
}}
[[File:Headquarter of Daily Ittefaq and Daily Manab Zamin.jpg|thumb|ঢাকায় [[মানবজমিন]] ও দৈনিক ইত্তেফাকের কার্যালয়।]]
'''দৈনিক ইত্তেফাক''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]]
==ইতিহাস==
== নিয়মিত আয়োজন ==▼
===সাপ্তাহিক ইত্তেফাক (১৯৪৯ - ১৯৫৩)===
[[হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী]], [[আবদুল হামিদ খান ভাসানী]], [[সামসুল হক]], [[বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান]] প্রমুখ রাজনৈতিক ব্যক্তি ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন [[আওয়ামী মুসলিম লীগ]] নামক নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। দলটি তাদের মুখপত্র হিসেবে একটি সাপ্তাহিক প্রত্রিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়।<ref name="Ittefaq1"/> একই বছরের আগস্টে [[আবদুল হামিদ খান ভাসানী]]কে সভাপতি, [[ইয়ার মোহাম্মদ খান]]কে প্রকাশক এবং [[তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া]]কে সম্পাদক করে ‘সাপ্তাহিক ইত্তেফাক’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫ আগস্ট সাপ্তাহিকে প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। সাপ্তাহিকটি ঢাকার ৯, হাটখোলা রোডে অবস্থিত প্যারামাউন্ট প্রেস থেকে মুদ্রিত এবং ৯৪, নবাবপুর থেকে প্রকাশিত হত।<ref name="Ittefaq1"/> সোহ্রাওয়ার্দী নিজ অর্থায়নে পত্রিকার জন্য জমি ও প্রেস ক্রয় করেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|বাংলা ভাষা আন্দোলনের]] মিছিলে গুলিবর্ষণ ও হত্যার সংবাদ ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করে যা দ্রুতই দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোড়ন তৈরি করে।<ref name="Ittefaq1"/>
===দৈনিক ইত্তেফাক (১৯৫৩ - বর্তমান)===
১৯৫৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ইত্তেফাক দৈনিক পত্রিকা হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং ২৫ ডিসেম্বর দৈনিকের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এসময় পত্রিকাটিতে নিয়মিত পশ্চিম পাকিস্তান সরকার কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানীদের উপর বিভিন্ন নির্যাতন ও বৈষম্যের সংবাদ নিয়মিত প্রকাশ করা হত যা [[পূর্ব পাকিস্তানের আইনপরিষদ নির্বাচন, ১৯৫৪|১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে]] [[যুক্তফ্রন্ট]]কে বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখে। [[আইয়ুব খান]] হতে [[ইয়াহিয়া খান]] পর্যন্ত সকল সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর সম্পাদক মানিক মিয়া সামরিক শাসনের সমালোচনা করে বিভিন্ন কলাম লেখা শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৫৯ সালে তিনি গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে ১৯৬২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পুনরায় শেখ মুজিবুর রহমান ও তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬২ সালের ৪ অক্টোবর মানিক মিয়া মুক্তি পান। ১৯৬৪ সালের জানুয়ারিতে পূর্ব পাকিস্তানে দঙ্গা শুরু হলে ১৬ জানুয়ারি মানিক মিয়া পত্রিকা অফিসে সভা করে 'পূর্ব পাকিস্তান রুখিয়া দাঁড়াও' শীর্ষক প্রচারণা শুরু করেন এবং ইত্তেফাকের মাধ্যমে হিন্দুদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।
১৯৬৬ সালে ইত্তেফাক [[ছয় দফা আন্দোলন|ছয় দফা দাবীর]] পক্ষে অবস্থান নিয়ে মুখপত্র হিসেবে কাজ করে। ১৫ জুন মানিক মিয়াকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় এবং ১৬ জুন সরকার ইত্তেফাক পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করে দেয় ও নিউ নেশন প্রিন্টিং প্রেস বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে। ১৯৬৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পত্রিকাটি পুনঃপ্রকাশের অনুমতি পায়। [[ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান|ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের]] সময়ও দৈনিক ইত্তেফাক বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে সমর্থন করে। একই বছরের ১ জুন মানিক মিয়া মৃত্যুবরণ করার পর তার দুই ছেলে [[মইনুল হোসেন]] ও [[আনোয়ার হোসেন মঞ্জু]] ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হাতে নেন।
মানিক মিঞা ১৯৬৯ সনের ১ জুন মারা যান এবং তাঁর দুই ছেলে [[মইনুল হোসেন]] ও [[আনোয়ার হোসেন মঞ্জু]] ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হাতে নেন। পাকিস্তান আর্মি ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ ইত্তেফাকের অফিস পুড়িয়ে ফেলে এবং পুনরায় এর প্রকাশনা (পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে) শুরু হতে ঐ বছরের ২১ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। <ref name="ইনকিলাব">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.dailyinqilab.com/article/97581/বাংলাদেশের-প্রথম-মুদ্রণযন্ত্র-ও-সংবাদপত্র |শিরোনাম= দৈনিক ইত্তেফাক |লেখক=[[দৈনিক ইনকিলাব]] |তারিখ=}}</ref> বাংলাদেশের স্বাধিনতার পর ১৯৭৫ সনের ১৭ জুন ইত্তেফাকের জাতীয়করণ হয়, নুরুল ইসলাম পাটোয়ারি প্রধান সম্পাদক হন এবং ঢাকার ১ রামকৃষ্ণ মিশনস্থ নিউ নেশন প্রেস হতে প্রকাশিত হতে থাকে।▼
▲
▲== নিয়মিত আয়োজন ==
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইত্তেফাক সাধু ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে এবং পরবর্তীতে এটি চলিত ভাষায় প্রকাশিত হয়। দৈনিক ইত্তেফাকের নিয়মিত আয়োজনের মধ্যে রয়েছে, প্রথম পাতা, শেষ পাতা, অন্যান্য খবর, সম্পাদকীয়, দৃষ্টিকোণ, চিঠিপত্র, বিশ্ব সংবাদ, রাজধানীর আশেপাশে, অনুশীলন (শিক্ষাবিষয়ক পাতা), খেলার খবর, ইত্তেফাক সাময়িকী (সাহিত্য ও শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ক), [[আইটি কর্ণার]], [[তথ্যপ্রযুক্তি]], শেয়ার বাজার, রাশিফল, অর্থনীতি, বন্দর নগরী, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, তরুণকন্ঠ, মহিলা অঙ্গন, ক্যাম্পাস, কচি-কাঁচার আসর, ধর্মচিন্তা, কড়চা, আনন্দ বিনোদন ও এই ঢাকা।
==আরও দেখুন==
* [[বাংলাদেশের সংবাদপত্রের তালিকা]]
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.ittefaq.com.bd দৈনিক ইত্তেফাকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট]
* {{বাংলাপিডিয়া|ইত্তেফাক, দৈনিক}}
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Daily Ittefaq}}
{{বাংলাদেশের সংবাদপত্র}}
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সংবাদপত্র]]
|