ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Cie286 (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস: হালনাগাদ করা হল
Cie286 (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন হালনাগাদ করা হল
৩৭ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
[[যুক্তরাজ্য|ব্রিটেন]]-এর নিকট থেকে [[ভারত|ভারতের]] স্বাধীন হওয়ার ফলশ্রুতিতে [[১৯৪৮]] সালের [[ফেব্রুয়ারী ১৫|১৫ই ফেব্রুযারী]] এই বাহিনী গঠিত হয়। স্বাধীনতার চুক্তি মোতাবেক, [[মুসলিম]] জনগণকে আলাদা রাষ্ট্র [[পাকিস্তান]] দেওয়া হয়, যা [[পূর্ব পাকিস্তান]] ও [[পশ্চিম পাকিস্তান]] নিয়ে গঠিত হয়। নতুন [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী]] গঠিত হয়েছিল প্রধানত দেশের পশ্চিমাংসের মানুষের সমন্বয়ে। পরবর্তীতে পূর্বাংশেও একটি রেজিমেন্ট গঠন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে, [[বিহার রেজিমেন্ট]]-এর বাঙালি সৈনিকদের দুটি কোম্পানির সমন্বয়ে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট-এর ১ম ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর ব্রিটিশরা বাঙ্গালীদের " নন -মার্শালরেস " বা বাঙ্গালীরা যোদ্ধা জাতী না বলে চিহ্নিত করে এ কারনে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বাঙ্গালীদের অংশগ্রহন বন্ধ করা হয় ফলে বাংলা যে নিগ্রহের ও অবিচারের শিকার হচ্ছিল ১৯৪৮ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠনের মাধ্যমে বাঙালী জাতি পুনরায় তাদের হুত গৌরবের পুনরুদ্ধার এর সুযোগ লাভ করে । ১৯৪৭ সালে রূপান্তরকালীন পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডারস হেডকোয়ার্টার পাকিস্তান সেল দিল্লী ও পরে পাকিস্তান সেনাসদর রাওয়ালপিন্ডিতে কর্মরত লেফটেনেন্ট কর্নেল [[মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী|এম ,এ ,জি ,ওসমানী]] এবং [[:en:East_Bengal_Regiment|মেজর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী]] পূর্ববাংলায় একটি বাঙালি প্রধান রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার জোর প্রয়াস চালান। লেফটেনেন্ট কর্নেল [[মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী|এম ,এ ,জি ,ওসমানী]] এবং মেজর [[আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী]] পূর্বনির্ধারিত প্রস্তাবে পূর্ববাংলায় পাকিস্তান ন্যাশনাল গার্ড (পি,এন,জি) গঠনকে স্তগিত করে তার পরিবর্তে পূর্ববাংলায় একটি পূর্ণাঙ্গ বাঙালী প্রধান রেজিমেন্ট গঠনের প্রয়োজনীয়তা রূপান্তরকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল [[ক্লাউদে অচিনলেওক]] এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রথম সেনাপ্রধান জেনারাল [[ফ্রাংক ওয়াল্টার মেসারভী]]<nowiki/>র কেমাধ্যমে বোঝাতেপ্রস্তাবটি সক্ষমপাকিস্তান হনসরকারের নিকট পেশ করেন । সেনাপ্রধান ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবটির সামরিক গুরুত্ব মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তথা পাকিস্তান সরকারের নিকট জোড়াল ভাবে উত্থপন করলে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার জন্য তারা একরকম বাধ্য হয়ে অনুমোদন প্রদান করেকরেন । লেফটেনেন্ট কর্নেল ভি,জে,ই, পেটারসন ছিলেন প্রথম কম্যান্ডিং অফিসার এবং প্রথম অফিসার কম্যান্ডিং ও.সি. ছিলেন দ্বিত্বীয় বিশ্বযুদ্ধ ফেরত ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]] সেনা কর্মকর্তা [[মেজর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী]] । প্রতিষ্ঠাতাকালীন অধিনায়ক অফিসার কম্যান্ডিং [[মেজর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী]] ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রশিক্ষণ রেজিমেন্ট গঠন করার দায়িত্ব লাভ করেন । বিরুপ পরিস্তিতী অপর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের [[সিনিয়র টাইগার্স|সিনিয়র টাইগারস]] কে গঠন ও প্রশিক্ষন প্রদান করেন। তাঁর হাতে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিনিয়র টাইগারসদের হাতেখড়ি , তাঁর প্রশিক্ষিত বাঙ্গালি যোদ্ধারা রণাঙ্গনে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রমাণ করে তাদের বীরত্ত ও শ্রেষ্ঠত্ব , সূচনা হয় বাঙ্গালি সেনাদের গৌরবের ইতিহাস । এর কিছুকাল পরেই ২য় ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হয়। [[১৯৪৮]] থেকে [[১৯৭১]] সাল পর্যন্ত মোট ৮টি ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হয়, যার মধ্যে ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম ব্যাটেলিয়ন পশ্চিম পাকিস্তানে গঠন করা হয়।
 
[[১৯৭১]] সালের [[মার্চ]] মাসে, [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানের]] জনগণের উপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়া সরূপ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পাঁচটি ব্যাটেলিয়ন বিদ্রোহ করে এবং [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] সূচনা করে। প্রথমে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিয়েই স্বাধীনতা যোদ্ধাদের বাহিনী গঠিত হয়, যা মুক্তিবাহিনী নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীতে পশ্চিম পাকিস্তানে রয়ে যাওয়া অংশকে প্রতিস্থাপন করতে অন্যান্য ইউনিট গড়ে তোলা হয়। [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] স্বাধীনতার পর এদের নিয়েই নতুন সেনা বাহিনী গঠন করা হয়। অবশ্য ৭ম ব্যাটেলিয়ন ৪৪তম ব্যাটেলিয়ন হিসাবে [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী|পাকিস্তান সেনা বাহিনীর]] [[ফ্রন্টিয়ার্স ফোর্স রেজিমেন্ট|ফ্রন্টিয়ার্স ফোর্স রেজিমেন্টে]] একত্রীভূত হয়, যারা [[১৯৭১]] সালে ১০ম ব্যাটেলিয়ন গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিল।{{verification needed}}