ফজলে হাসান আবেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ভূমিকা সম্প্রসারণ |
সম্প্রসারণ |
||
১ নং লাইন:
{{সাম্প্রতিক মৃত্যু}}
{{তথ্যছক
| নাম = ফজলে হাসান আবেদ
| চিত্র = Sir Fazle Hasan Abed receives Thomas Francis, Jr. Medal.jpg
৮ নং লাইন:
| জন্ম_তারিখ = {{জন্ম তারিখ|1936|4|27|df=y}}
| মৃত্যু_তারিখ = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|2019|12|20|1936|04|27|df=y}}
| মৃত্যু_স্থান = [[অ্যাপোলো হাসপাতাল]]
| পেশা = সংগঠক, সমাজকর্মী | বাসস্থান =
| জাতীয়তা = বাংলাদেশী
| শিক্ষা = [[ঢাকা কলেজ]], [[গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়]]
| পুরস্কার = নাইটহুড, [[র্যামন মাগাসেসে পুরস্কার]]
}}
'''স্যার ফজলে হাসান আবেদ''', কেসিএমজি (২৭ এপ্রিল ১৯৩৬ - ২০ ডিসেম্বর ২০১৯) ছিলেন একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] সমাজকর্মী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংগঠন [[ব্র্যাক|ব্র্যাকের]] প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই |ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/online/national/2019/12/20/853182?fbclid=IwAR2Gop0MrTBRXOjIavTsZfrlbmY0SlhbQx3r9dYVtDcW0FCf_N_nqST7q64 |সংগ্রহের-তারিখ=২০ ডিসেম্বর ২০১৯ |কর্ম=[[দৈনিক কালের কণ্ঠ]] |তারিখ=২০ ডিসেম্বর ২০১৯ |ভাষা=bn}}</ref> সামাজিক উন্নয়নে তার অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি [[র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার]], স্প্যানিশ অর্ডার অব সিভিল মেরিট, লিও তলস্তয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পদক, [[জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা|জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার]] মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং [[গেটস ফাউন্ডেশন|গেটস ফাউন্ডেশনের]] বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার এবং শিক্ষাক্ষেত্রের নোবেল বলে খ্যাত [[ইয়াইদান পুরস্কার]] লাভ করেছেন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/opinion/article/1617393|শিরোনাম=ফজলে হাসান আবেদ এক আলোকবর্তিকা|ওয়েবসাইট=প্রথম আলো|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2019-12-20}}</ref>
২০১৪ ও ২০১৭ সালে ''ফরচুন'' ম্যাগাজিনের "বিশ্বের ৫০ সেরা নেতার তালিকা"য় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। অশোকা তাকে বৈশ্বিক সেরাদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। তিনি স্বনামধন্য গ্লোবাল
তিনি অসংখ্য সম্মানসূচক ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছেন, তন্মধ্যে রয়েছে [[ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডক্টরেট অব হিউমেন লেটার্স (২০০৭), [[কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডক্টর অব লজ (২০০৮), [[অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডক্টর অব লেটার্স (২০০৯) ও [[প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডক্টর অব লজ (২০১৪)।<ref name="ব্র্যাক-জীবনবৃত্তান্ত"/>
== প্রারম্ভিক জীবন ==
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল [[হবিগঞ্জ জেলা|হবিগঞ্জ]] জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার। আবেদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় হবিগঞ্জে। [[হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়|হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে]] তৃতীয় শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে দেশভাগের ঠিক আগে তার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে হবিগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি বানিয়াচংয়ে চলে আসেন। [[কুমিল্লা জেলা|কুমিল্লা]] জেলা স্কুলে। সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই লেখাপড়া করেন। এরপর চাচা জেলা জজ হিসেবে [[পাবনা জেলা|পাবনায়]] বদলি হওয়ায় তিনিও চাচার সাথে [[পাবনা|পাবনায়]] চলে যান এবং পাবনা জেলা স্কুলে ভর্তি হোন। তিনি ১৯৫২ সালে [[পাবনা জিলা স্কুল]] থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৪ সালে [[ঢাকা কলেজ]] থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। আবেদ [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি ১৯৫৬ সালের অক্টোবর মাসে তিনি স্কটল্যান্ডের [[গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়|গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে]] নেভাল আর্কিটেকচার বিষয়ে পড়তে ভর্তি হয়েছিলেন। দুবছর লেখাপড়া করে কোর্স অসমাপ্ত রেখে ১৯৫৬ সালে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি ছেড়ে [[লন্ডন]] চলে যান এবং সেখানে পরবর্তী কালে তিনি ১৯৬২ সালে লন্ডনের চাটার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট
== প্রারম্ভিক কর্মজীবন ==
চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াকালীন সময়ে ১৯৫৮ সালে ফজলে হাসান আবেদের মায়ের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনে চাকরিতে যোগদান করেন। কিছুদিন চাকরি করার পর চলে যান [[কানাডা]]। সেখানেও একটি চাকরিতে যোগ দেন। পরে চলে যান [[আমেরিকা]]। ১৯৬৮ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে তিনি [[শেল অয়েল কোম্পানি|শেল অয়েল কোম্পানিতে]] যোগদান করেন এবং পদোন্নতি লাভ করে ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।<ref name="businessweek">[http://www.businessweek.com/magazine/content/02_27/b3790626.htm THE STARS OF ASIA -- FINANCIERS: Fazle Hasan Abed], BusinessWeek, July 8, 2002.</ref> এখানে চাকরিকালীন ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় [[১৯৭০ ভোলা ঘূর্ণিঝড়|প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়]] হয়। এ সময়ে তিনি 'হেলপ' সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে [[মনপুরা দ্বীপ]]ে গিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।<ref name="প্রআলো-জীবনবৃত্তান্ত"/> ১৯৭১ সালে [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ]] শুরু হলে তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়, তহবিল সংগ্রহ ও জনমত গঠনের
== ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা ==
|