আমির খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
এসটি রাজীব (আলোচনা | অবদান)
এসটি রাজীব (আলোচনা | অবদান)
৮১ নং লাইন:
==কর্মজীবন==
=== অভিনয় ===
আমির খান মাত্র আট বছর বয়েসে ''[[ইয়াদোঁ কি বারাত]]'' (১৯৭৩) এবং ''[[মাদহোশ]]'' (১৯৭৪) শিশু অভিনেতা হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১১ বছর পর প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেতা হিসাবে কেতন মেহতার ''[[হোলি]]'' (১৯৮৪) ছবিতে কাজ করেন, যদিও ছবিটি তেমন সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়নি। প্রথম উল্লেখযোগ্য ছবি হিসেবে ১৯৮৮ সালে ''[[কেয়ামত সে কেয়ামত তক]]'' মুক্তি পায়, যেটি মনসুর খান নির্দেশনা করেন | ছবিটি বিরাট সাফল্য পায় এবং মুখ্য ভূমিকায় আমির খান জনপ্রিয় হয়ে যান। আমিরের চকোলেট হিরো লুক এর জন্য তিনি "টিন আইডল" হিসাবে পরিচিতি পান। ''[[রাখ]]'' ছবির জন্য আমির জাতীয় পুরস্কার পান, স্পেশাল জুরি শ্রেণীতে| ৮০ দশকের শেষে এবং ৯০ দশকের শুরুতে আমির বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন,যেমন ''[[দিল]]'' (১৯৯০), ''[[দিল হে কে মানতা নেহি]]'' (১৯৯১), ''[[জো জিতা ওহি সিকান্দার]]'' (১৯৯২), ''[[হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে]]'' (১৯৯৩) (যার চিত্রনাট্যও তিনি লেখেন), এবং ''[[রঙ্গিলা (চলচ্চিত্র)|রঙ্গিলা]]'' (১৯৯৫)| সব কটি ছবি সমালোচক কর্তৃক ও বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য পায় | আমির বছরে ১টি কি ২টি ছবিতে অভিনয় করতে শুরু করলেন। ১৯৯৬ সালে দারমেশ দর্শন-এর ''[[রাজা হিন্দুস্তানি]]'' ছবিতে করীশমা কপূর-এর বিপরীতে অভিনয় করেন | ''রাজা হিন্দুস্তানি'' এর জন্য আমির প্রথম টাইম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান, সাতবার মনোনীত হওয়ার পর| রাজা হিন্দুস্তানি ৯০-এর দশকের বড় হিট ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছিল| ১৯৯৭ এ [[অজয় দেবগন]], [[জুহি চাওলা]] ও [[কাজল (অভিনেত্রী)|কাজলের]] সাথে ''[[ইশক]]'' নামের একটি কমেডি ছবিতে অভিনয় করেন ,যেটি বেশ ভালো সাফল্য পায়| বেশ কিছু ছবি, যেমন: ''সারফারোশ'', ''১৯৪৭ আর্থ'' এ দারুণ অভিনয় করার জন্য তিনি সমালোচক কর্তৃক প্রশংসিত হন| ২০০১ এ ‘লগান’‘[[লগান]]’ ছবিতে ‘ভুবন’ এর চরিত্রে অভিনয় করে অসাধারণ একটি গল্প আমাদেরকে উপহার দেন, যে ছবিটি [[ভারতীয় ক্রিকেট দল]]কে অণুপ্রাণিত করে [[২০০১ এর ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ]] ও [[২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|২০০৩-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপে]]। ‘লগান’ বাণিজ্যিক সাফল্য পায় এবং ''সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র'' হিসেবে ৭৪তম একাডেমী অ্যাওয়ার্ডে মনোনিত হয়। ''[[দিল চাহ্‌তা হ্যাঁয়]]'' (২০০১) ছবিতে একজন আধুনিক যুবকের ভূমিকায় অভিনয় করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন। চার বছর কোনো ছবিতে কাজ না করার পর ২০০৫ এ কেতন মেহতার [[মঙ্গল পাণ্ডে: দ্য রাইজিং]] ছবিতে ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করেন। ২০০৬ সালে ''[[রঙ দে বাসন্তী]]'' ছবির জন্য আমির ''সেরা অভিনেতা'' (সমালোচকদের পছন্দ) ফিল্মফেয়ার এর পুরস্কার পান। ছবিটি ২০০৬ এর শ্রেষ্ঠ বাণিজ্যিক সাফল্য পায় এবং বৈদেশিক ছবির শ্রেণীতেতে অস্কারের জন্য মননীত হয়। ২০০৭ এ আমির ছবির প্রযোজক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং একটি [[ডিজলেক্সিয়া]]য় আক্রান্ত বাচ্চার গল্প আমাদের সামনে তুলে ধরেন, ছবির নাম ''[[তারে জমিন পার]]''। ২০০৮ এ নিজেকে পুরোপুরি বদল করে আমির ''[[গজনী]]'' নামের দক্ষিণী পুনঃনির্মিত ছবিতে অভিনয় করেন, যেটি বিরাট সাফল্য পায়। ২০০৯ এ আমির ''[[থ্রি ইডিয়টস]]'' ছবিতে 'র‍্যাঞ্চো' চরিত্রে অভিনয় করেন,যেটি এখন পর্যন্ত [[বলিউড]] এর ইতিহাসে সর্বাধিক জনপ্রিয় ছবি | আমিরের পরের ছবি ''[[তালাশ]]'' ৩০ নভেম্বর, ২০১২-তে মুক্তি পেয়েছে। ২০১৪ তে মুক্তি পায় আমির অভিনীত ''[[পিকে (চলচ্চিত্র)|পিকে]]'' মুভিটি। এ পর্যন্ত বলিউডের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবির তালিকায় রয়েছে আমিরের পিকে। প্রথম ছবি হিসেবে শুধু ভারতেই ৩০০ কোটি রুপি আয়ের মাইলফলক স্পর্শ করা ‘পিকে’<ref name="বিডিনি">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=‘পিকে’ বিতর্কে আমিরের পাঁচ উত্তর |ইউআরএল=http://www.banglanews24.com/fullnews/bn/355497.html |প্রকাশক=বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম |সংগ্রহের-তারিখ= ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫}}</ref> এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ কোটি রুপি আয় করে তার এই সিনেমাটি বলিউডের সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার শীর্ষে অবস্থান করছে। আমির সামাজিক সমস্যা গুলো নিয়ে [[সত্যমেব জয়তে]] নামে একটি নতুন টক-শো পরিবেশনা করছেন, যেটি মানুষকে নতুন ভাবে চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য করছে সামাজিক বিষয়গুলোকে নিয়ে এবং তার প্রতিকার নিয়ে। এই শোটিও ভারত ও এর বাইরে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে।
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==