ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Cie286 (আলোচনা | অবদান)
পরিষ্কারকরণ
Wikipediansouravhalder (আলোচনা | অবদান)
Cie286 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 3856896 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে (mobileUndo)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৩৯ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
[[যুক্তরাজ্য|ব্রিটেন]]-এর নিকট থেকে [[ভারত|ভারতের]] স্বাধীন হওয়ার ফলশ্রুতিতে [[১৯৪৮]] সালের [[ফেব্রুয়ারী ১৫|১৫ই ফেব্রুযারী]] এই বাহিনী গঠিত হয়। স্বাধীনতার চুক্তি মোতাবেক, [[মুসলিম]] জনগণকে আলাদা রাষ্ট্র [[পাকিস্তান]] দেওয়া হয়, যা [[পূর্ব পাকিস্তান]] ও [[পশ্চিম পাকিস্তান]] নিয়ে গঠিত হয়। নতুন [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী]] গঠিত হয়েছিল প্রধানত দেশের পশ্চিমাংসের মানুষের সমন্বয়ে। পরবর্তীতে পূর্বাংশেও একটি রেজিমেন্ট গঠন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে, বিহার রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনিকদের দুটি করপ্সের সমন্বয়ে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট-এর ১ম ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হয়। বাংলার সমরিক ইতিহাস হাজার বছর পুরনো , [[বেঙ্গল আর্মি]] মুলত বাংলার [[মুঘল সেনাবাহিনী]] হতে উৎপত্তি , [[ভারতবর্ষে ইসলামি সাম্রাজ্য|ভারতবর্ষে]] ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অনাচারের নির্যাতনের সীমা ছাড়ালে [[সিপাহী বিদ্রোহ ১৮৫৭|১৮৫৭]] সালে মুলত বেঙ্গল আর্মির সিপাহীরা বিদ্রোহ করে বিদ্রোহ দমনে ব্রিটিশরা নির্বিচারে হত্যা করে হাজারো সীপাহিকে। পরে ব্রিটিশ সরকার ভারতবর্ষের দায়িত্ব নিলে [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (দ্ব্যর্থতা নিরসন)|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর]] শোষণ অনাচার নির্যাতন থেকে গোটা ভারতবর্ষ মুক্তি পায় । ব্রিটিশ সরকার বাঙ্গালী মুসলমান প্রধান ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বেঙ্গল আর্মিকে বিদ্রোহের কারনে লুপ্ত করে পরে ব্রিটিশ সরকার প্রবর্তন করে তথাকথিত " মার্শালরেস " নামে ঘৃণ্য এক বর্ণবাদি তত্বের ; তাদের মতে বাঙ্গালী জাতি "নন-মার্শালরেস" বা যুদ্ধের উপযুক্ত না বা যোদ্ধা জাতি না সেনা চাকুরীতে বাঙ্গালিদের বর্জনের এক বিতর্কিত নীতির জন্ম দেয় । এই নিয়োগ নীতির কারনে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী ও পরে পাকিস্তান স্বাধীন হলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাঙ্গালী সেনাদের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় গিয়ে ঠেকে,সকল ক্ষেত্রে নতুন করে তাদের উপর চলে নিগ্রহ ও অবিচারের। পাকিস্তান স্বাধীন হলেও পূর্ব বাঙ্গালা তাঁদের প্রতিশ্রুত অধিকার পেলনা রয়ে গেল আগের সব আইন কানুন বদল হল কেবল প্রভুর ; পাঞ্জাবী প্রধান সেনাবাহিনীতে ও প্রশাসনে বাঙ্গালীদের কখনোই ভালো চোখে দেখা হত না। নব্য পুর্ব পাকিস্তানের তথা পূর্ব বাংলার নিজ নিরাপত্তার ভার তাদের নিজেদের করতে হবে তা বুঝতে বাঙ্গালী সেনা ও সরকারি কর্মকরর্তাদের বেশী দেরি হয়নি । ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর রূপান্তরকালীন সেনাপ্রধান ছিলেন ফিল্ড মার্শাল [[ক্লাউদে অচিনলেক]] । পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর রূপান্তরকালীন সেনাসদর বা সুপ্রিম কমান্ডারস হেডকোয়ার্টার পাকিস্তান সেল দিল্লী , পরে পাকিস্তান সেনাসদর রাওালপিণ্ডীতে কর্মরত তৎকালীন [[:en:East_Bengal_Regiment|মেজর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী]] এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল [[মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী|এম ,এ ,জি ,ওসমানী]] পূর্ববাংলায় একটি বাঙালি মুসলমান প্রধান রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার জোর প্রয়াস চালান। মেজর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম ,এ ,জি ,ওসমানী পূর্বনির্ধারিত প্রস্তাবে পূর্ববাংলায় পাকিস্তান ন্যাশনাল গার্ড (পি,এন,জি) গঠনকে স্তগিত করে তার পরিবর্তে পূর্ববাংলায় একটি পূর্ণাঙ্গ রেজিমেন্ট গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল [[ক্লাউদে অচিনলেক]] কে বোঝাতে সক্ষম হন । প্রস্তাবটি ফিল্ড মার্শাল ক্লাউদে অচিনলেক ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার জন্য মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ তথা পাকিস্তান সরকারের বরাবর অনুমোদনের জন্য যথাউপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহন করেন ফলশ্রুতিতে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ তথা পাকিস্তান সরকার ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার জন্য অনুমোদন করেন । পরবর্তীতে ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রথম সেনাপ্রধান নিযুক্ত হন জেনারাল [[ফ্রাংক ওয়াল্টার মেসারভী]] উল্লেখ্য যে মেজর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেনাসদর রাওালপিণ্ডীতে অবস্থিত এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং ডকট্রেন বিভাগে কর্মরত একজন সেনাকর্মকর্তা । তখন ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠনের জন্য উত্থাপিত প্রস্তাবটি পাকিস্তান সেনাসদরে অনুমোদনের জন্য তিনি সক্রিয় উদ্যোগে গ্রহণ করেন ও শেষে রাওালপিণ্ডীতে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেনাসদরের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারাল [[ফ্রাংক ওয়াল্টার মেসারভী]] অনুমোদন আদায় করতে সক্ষম হন । লেফটেন্যান্ট কর্নেল ভি,জে,ই,পেটারসনকে প্রথম কম্যান্ডিং অফিসার এবং প্রতিষ্ঠাতাকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক , অফিসার কমান্ডিং ছিলেন ২য় বিশ্বযুদ্ধ ফেরত ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ বাঙালি সেনাকর্মকর্তা [[মেজর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী]] । ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রশিক্ষণ রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতাকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর রাওালপিণ্ডী থেকে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টেের প্রশিক্ষণ রেজিমেন্ট গঠন করার দায়িত্ব লাভ করে রাওালপিণ্ডী থেকে ঢাকা আগমন করেন।। পরবর্তীতে বিরুপ পরিস্তিতী অপর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিনিয়র টাইগারস কে গঠন ও প্রশিক্ষন প্রদান করেন। তাঁর হাতে ১ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিনিয়র টাইগারসদের হাতেখড়ি , তাঁর প্রশিক্ষিত বাঙ্গালি যোদ্ধারা রণাঙ্গনে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রমাণ করে তাদের বীরত্ত ও শ্রেষ্ঠত্ব , সূচনা হয় বাঙ্গালি সেনাদের গৌরবের ইতিহাস। ১৯৪৮ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী পূর্ববাংলার বাঙালীরা পুনরায় তাদের হুত গৌরবের পুনরুদ্ধারের সুযোগ আসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর কিছুকাল পরেই ২য় ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হয়। [[১৯৪৮]] থেকে [[১৯৭১]] সাল পর্যন্ত মোট ৮টি ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হয়, যার মধ্যে ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম ব্যাটেলিয়ন পশ্চিম পাকিস্তানে গঠন করা হয়।
 
[[১৯৭১]] সালের [[মার্চ]] মাসে, [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানের]] জনগণের উপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়া সরূপ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পাঁচটি ব্যাটেলিয়ন বিদ্রোহ করে এবং [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] সূচনা করে। প্রথমে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিয়েই স্বাধীনতা যোদ্ধাদের বাহিনী গঠিত হয়, যা মুক্তিবাহিনী নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীতে পশ্চিম পাকিস্তানে রয়ে যাওয়া অংশকে প্রতিস্থাপন করতে অন্যান্য ইউনিট গড়ে তোলা হয়। [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] স্বাধীনতার পর এদের নিয়েই নতুন সেনা বাহিনী গঠন করা হয়। অবশ্য ৭ম ব্যাটেলিয়ন ৪৪তম ব্যাটেলিয়ন হিসাবে [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী|পাকিস্তান সেনা বাহিনীর]] [[ফ্রন্টিয়ার্স ফোর্স রেজিমেন্ট|ফ্রন্টিয়ার্স ফোর্স রেজিমেন্টে]] একত্রীভূত হয়, যারা [[১৯৭১]] সালে ১০ম ব্যাটেলিয়ন গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিল।{{verification needed}}