হিউয়েন সাঙ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৪ নং লাইন:
[[চিত্র:Xyj-tang seng.jpg|255px|right|thumb|একটি ছবিতে হিউয়েন সাঙ কে পশ্চিমের দিকে যাত্রা করতে দেখা যাচ্ছে]]
[[৬২৯]] সালে একটি স্বপ্ন দেখে ভারত যাত্রার প্রতি আকৃষ্ট হন। ঐ সময়ে [[ট্যাং রাজবংশ|তাং সম্রাজ্যের]] সাথে তুর্কদের যুদ্ধ চলছিল তাই তাং রাজা তাইজং সকল নাগরিকদের বিদেশ যাত্রা নিষেধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু হিউয়েন সাং ইউমেনে শহরের সদর দরজার বৌদ্ধ প্রহরীদের বুঝিয়ে শহর থেকে বেরিয়ে যী সক্ষম হন। তারপর তিনি ৬২৯ সালেই<ref>"Note sur la chronologie du voyage de Xuanzang." [[Étienne de la Vaissière]]. [[Journal Asiatique]], Vol. 298, 1. (2010), pp. 157-168.[http://poj.peeters-leuven.be/content.php?url=article&id=2055070&journal_code=JA]</ref> কুইংঘি প্রদেশ হয়ে গোবি মরুভূমি পার হয়ে ৬৩০ সালে তুর্পান পৌছান যেখানে তিনি বৌদ্ধ রাজার সাথে দেখা করেন যিনি হিউয়েন সাং কে কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র এবং যাত্রার জন্য রসদ সরবরাহ করেন।<br />
তুর্পান থেকে আরো পশ্চিমে যেতে থাকলে ইয়ানজি ও কুচা হয়ে কিরজিকিস্তানকিরগিজস্তান পৌছান যেখানে তিনি তুর্ক খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। যদিও ৬৩০ সালের দিকে তুর্কদের সাথে তাং সম্রাজ্যের যুদ্ধ চলছিলো, যখন হিউয়েন সাং, খানের সাথে দেখা করেন তত দিনে [[ট্যাং রাজবংশ|তাং সম্রাজ্যের]] সাথে খানের বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। [[কিরগিস্তান|কিরগিজস্তান]] থেকে পরবর্তীতে তিনি বর্তমান [[উজবেকিস্তান|উজবেকিস্তানের]] রাজধানি [[তাসখন্দ|তাসখন্দে]] পৌছান। সেখান থেকে আরো পশ্চিমে পার্সিয়া নিয়ন্ত্রিত [[সমরখন্দ]] শহরে পৌছান। সমরখন্দে তিনি কিছু ধ্বংশ হয়ে যাওয়ে বৌদ্ধ স্থাপনা দেখে বিস্মিত হন। সমরখন্দ থেকে আরো পশ্চিমে আমু দরিয়া এবং তিরমিজে পৌছান যেখানে তিনি প্রায় এক হাজার বৌদ্ধ ভিক্ষুর সাথে সাক্ষাৎ করেন।<br />
আরো পশ্চিমে যেয়ে তিনি খুন্দুজ শহরে সেখানকার যুবরাজ তার্দুর অন্তুষ্টিক্রিয়া দেখার জন্য কিছুকাল অবস্থান করেন। সেখানেই তিনি ধর্মসীমা নামে এক বিখ্যাত বৌদ্ধ ভিক্ষুর সাথে সাক্ষাৎ করেন। সদ্য মৃত যুবরাজ তার্দুর উপদেশেই তিনি পরবর্তিতে আরো পশ্চিমে নব বিহার পরিদর্শন করেন। নব বিহারের বর্তমান নাম আফগানিস্তান। সেখানে তিনি অনেক বৌদ্ধ মঠ এবং '''মহাবিশ্ব''' গ্রন্থের অনুসারী প্রায় তিন হাজার বৌদ্ধ বিক্ষু দেখেন<ref>http://ccbs.ntu.edu.tw/FULLTEXT/JR-AN/an160809.htm</ref>। হিউয়েন সাঙ এর মতে নব বিহার হল পৃথিবীর সর্ব পশ্চিমে অবস্থিত দেশ, যা বৌদ্ধ ধর্ম প্রতিপালন করে। নব বিহারে কিছুদিন অবস্থান করে [[৬৩০]] সালের দিকে তিনি আদিনপুর (বর্তমান জালালাবাদ) যান<ref>Proceedings of the Royal Geographical Society and monthly record (Great Britain) Volume 1, page 43 (Science) 1879.</ref>। [[জালালাবাদ]] এসেই তিনি মনে করতে থাকেন যে তিনি ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছেন।