ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
২৪ নং লাইন:
পশ্চিমবঙ্গের যে সব অঞ্চলে ব্যাঙ্ক নেই, সেখানে শাখা খোলাই ছিল এর পরিষেবা সম্প্রসারণ কর্মসূচির অঙ্গ। এক সময়ে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রায় ছিলই না। সুন্দরবনের মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নদী। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য এক সময়ে নদীপথই ছিল সম্বল। আজ থেকে প্রায় ৪৪ বছর আগে নদীপথকে ব্যবহার করেই সেখানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু করেছিল ইউবিআই। দুটি ভ্রাম্যমাণ লঞ্চে ব্যাঙ্কের শাখা চালু করে তারা। সেগুলো বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মানুষকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিত। টাকা জমা দেওয়া, তোলা-সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই লঞ্চদুটিই ব্যাঙ্কের শাখা হিসাবে কাজ করত।
 
[[বিধানচন্দ্র রায়]] নিজেও ছিলেন ইউবিআই-এর গ্রাহক। এই ব্যাঙ্কের গ্রাহক তালিকায় আছেন নামকরা বহু মানুষ, যেমন দেশের প্রাক্তন চার রাষ্ট্রপতি [[ফকরুদ্দিনফখরুদ্দিন আলি আহমেদ]], [[জৈল সিংহসিং]], [[প্রতিভা পাটিল]] ও [[প্রণব মুখোপাধ্যায়]]। এ ছাড়া রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী [[জ্যোতি বসু]], প্রাক্তন রাজ্যপাল [[গোপালকৃষ্ণ গাঁধী]] মতো ব্যক্তিত্ব। ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের উদ্যোগেই ইউবিআই-এর রজত জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে ১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রপতি ভবনে ব্যাঙ্কের একটি শাখার উদ্বোধন হয়, যার পোশাকি নাম প্রেসিডেন্ট এস্টেট ব্রাঞ্চ। রাষ্ট্রপতি ভবনে এটাই কোনও ব্যাঙ্কের প্রথম শাখা। পরে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আমলে রাষ্ট্রপতি ভবনেই আরও বড় জায়গায় শাখাটি স্থানান্তরিত করা হয়।
 
বাংলার ছোট-বড় শিল্প সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ইউবিআই-এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। রাজ্যের চা শিল্পে এই ব্যাঙ্কই সব থেকে বেশি ঋণ দিয়েছে। এক সময়ে ব্যাঙ্কের মোট ঋণের ৩০ শতাংশই পেত চা শিল্প। ঋণের আওতায় রয়েছে পাট শিল্পও। রাজ্যের বহু ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে ইউবিআই-এর ভূমিকা কম নয়। ফুলের চাষ, কুমোরটুলির প্রতিমা শিল্প, তাঁত শিল্প, চিরুনি বা পিতলের জিনিস তৈরির মতো উদ্যোগকে চাঙ্গা করতেও এগিয়ে এসেছে ইউবিআই। এ রাজ্যের হিমঘরগুলিকেও বিমুখ করেনি। ঋণ নিয়ে ব্যবসা বাড়িয়েছে বড় মাপের অনেক শিল্প সংস্থাও। প্রথম যে বড় শিল্পগোষ্ঠীকে এই ব্যাঙ্ক ঋণ দেয়, সেটি হল টাটা গোষ্ঠী। তাদের একটি কাপড়ের মিল ইউবিআই-এর থেকে ঋণ নেয়। বিড়লা গোষ্ঠীর প্রথম যে দুটি সংস্থা ইউবিআইয়ের দেওয়া ঋণের তালিকায় আসে, তারা হল হিন্দ সাইকেল এবং ইন্ডিয়ান রেয়ন। কলকাতার গ্র্যান্ড হোটেল বা ওবেরয় গোষ্ঠী, বেঙ্গল কেমিক্যালস, বেঙ্গল এনামেল, সরস্বতী প্রেস, মার্টিন বার্ন, টিস্কো ইত্যাদি সংস্থার ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ইউবিআই-এর ঋণের বড় ভূমিকা রয়েছে।
 
==সংযুক্তিকরণ==