আফগানিস্তান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২২টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0
২২ নং লাইন:
|area_rank = ৪১তম
|area_magnitude = ১ ই১১
|area_km2 =৬৫২৮৬৪<ref name="Area and administrative Population">[http://cso.gov.af/en Central Statistics Organization of Afghanistan] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140624043601/http://cso.gov.af/en/ |তারিখ=২৪ জুন ২০১৪ }}: [http://cso.gov.af/en/page/4722/2012-2-13 Statistical Yearbook 2012–2013] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140117152609/http://cso.gov.af/en/page/4722/2012-2-13 |তারিখ=২০১৪-০১-১৭ }}: [http://cso.gov.af/Content/files/Area%20and%20Administrative%20and%20Population.pdf Area and administrative Population] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20151104205906/http://cso.gov.af/Content/files/Area%20and%20Administrative%20and%20Population.pdf |তারিখ=৪ নভেম্বর ২০১৫ }}</ref>
|area_sq_mi = ২,৫১,৮২৭
|percent_water = -
৪২ নং লাইন:
|HDI_change = increase<!-- increase/decrease/steady -->
|HDI = 0.465<!-- number only -->
|HDI_ref = <ref name="HDI">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://hdr.undp.org/sites/default/files/hdr_2015_statistical_annex.pdf |শিরোনাম=2015 Human Development Report |তারিখ=14 December 2015 |সংগ্রহের-তারিখ=14 December 2015 |প্রকাশক=United Nations Development Programme | পাতা=18 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160319110553/http://hdr.undp.org/sites/default/files/hdr_2015_statistical_annex.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=১৯ মার্চ ২০১৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref>
|HDI_rank = 171st
|sovereignty_type = [[আফগানিস্তানের ইতিহাস|স্বাধীনতা]]
৬১ নং লাইন:
|footnote1 =
}}
'''আফগানিস্তান''', যার সরকারি নাম '''আফগানিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্র''' ({{lang-ps|{{Nastaliq|د افغانستان اسلامي جمهوریت}}}}: ''দে আফ্‌গ়ানিস্তান্‌ ইস্‌লামি জোম্‌হোরিয়াৎ‌''; {{lang-fa|{{Nastaliq|جمهوری اسلامی افغانستان}}}} ''জোম্‌হুরীয়ে এস্‌লমীয়ে অ্যাফ্‌গ়নেস্তন্‌'' [[আ-ধ্ব-ব]]: [dʒomhuːɾije eslɒːmije æfɣɒːnestɒːn]) [[দক্ষিণ এশিয়া]]র একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এটি [[ইরান]], [[পাকিস্তান]], [[চীন]], [[তাজিকিস্তান]], [[উজবেকিস্তান]], ও [[তুর্কমেনিস্তান|তুর্কমেনিস্তানের]] মধ্যস্থলে একটি ভূ-বেষ্টিত মালভূমির উপর অবস্থিত। আফগানিস্তানকে অনেক সময় [[দক্ষিণ এশিয়া]] <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/af.html|শিরোনাম=South Asia :: Afghanistan — The World Factbook - Central Intelligence Agency|ওয়েবসাইট=www.cia.gov|সংগ্রহের-তারিখ=2019-11-06|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170920072213/https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/af.html|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৭-০৯-২০|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldbank.org/en/region/sar|শিরোনাম=South Asia|ওয়েবসাইট=World Bank|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2019-11-06|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190625210704/https://www.worldbank.org/en/region/sar|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৯-০৬-২৫|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.southasia.upenn.edu/home/views/languages.html|শিরোনাম=South Asia Studies|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080304233956/http://www.southasia.upenn.edu/home/views/languages.html|আর্কাইভের-তারিখ=2008-03-04|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.southasiaoutreach.wisc.edu/countries.htm|শিরোনাম=Welcome to the Center for South Asia Outreach website|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100227072256/http://www.southasiaoutreach.wisc.edu/countries.htm|আর্কাইভের-তারিখ=২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://ias.berkeley.edu/southasia/aboutus.html|শিরোনাম=About the Center for South Asia Studies|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080621132352/http://ias.berkeley.edu/southasia/aboutus.html|আর্কাইভের-তারিখ=2008-06-21|সংগ্রহের-তারিখ=2019-11-06}}</ref> এবং [[মধ্যপ্রাচ্য|মধ্যপ্রাচ্যের]] <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Middle East Network Information Center (MENIC), University of Texas at Austin |ইউআরএল=http://menic.utexas.edu/Countries_and_Regions/Afghanistan |সংগ্রহের-তারিখ=২ ডিসেম্বর ২০১৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080509155444/http://menic.utexas.edu/Countries_and_Regions/Afghanistan/ |আর্কাইভের-তারিখ=৯ মে ২০০৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref><ref>[http://www3.nationalgeographic.com/places/countries/country_afghanistan.html ''Afghanistan Profile''] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080312072701/http://www3.nationalgeographic.com/places/countries/country_afghanistan.html |তারিখ=১২ মার্চ ২০০৮ }}, National Geographic (accessed [[20 January]] [[2006]])</ref><ref>[http://www.mideasti.org/countries/countries.php?name=afghanistan ''Afghanistan''] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070928035455/http://www.mideasti.org/countries/countries.php?name=afghanistan |তারিখ=২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ }}, Middle East Institute (accessed [[20 January]] 2006)</ref> অংশ হিসেবেও গণ্য করা হয়। আফগানিস্তানের পূর্বে ও দক্ষিণে [[পাকিস্তান]] <ref group="টীকা">ভারত সরকার আফগানিস্তানকেও একটি সীমান্তবর্তী দেশ হিসাবে বিবেচনা করে। এর কারণ এটি আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চল [[জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যা|জম্মু ও কাশ্মীরের]] পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে। ১৯৪৮ সালের [[জাতিসংঘ|জাতিসংঘের]] মাধ্যমে একটি যুদ্ধবিরতিতে অঞ্চলটির ভারত ও পাকিস্তান অধিকৃত অঞ্চল আলাদা করা হয়। ফলস্বরূপ, আফগানিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলটি মূলত পাকিস্তানশাসিত অঞ্চল ([[আজাদ কাশ্মীর]])।</ref>, পশ্চিমে [[ইরান]], উত্তরে [[তুর্কমেনিস্তান]], [[উজবেকিস্তান]] ও [[তাজিকিস্তান]] এবং উত্তর-পূর্বে [[গণচীন]]। আফগানিস্তান শব্দটির অর্থ "আফগান (তথা পশতুন) জাতির দেশ"। আফগানিস্তান একটি রুক্ষ এলাকা - যার অধিকাংশ এলাকা পর্বত ও মরুভূমি আবৃত।শুধু পার্বত্য উপত্যকা এবং উত্তরের সমভূমিতে গাছপালা দেখা যায়। এখানকার গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক এবং শীতকালে প্রচণ্ড শীত পড়ে। [[কাবুল]] দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।
 
আফগানিস্তান প্রাচীনকাল থেকেই এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বহু প্রাচীন বাণিজ্য ও বহিরাক্রমণ এই দেশের মধ্য দিয়েই সংঘটিত হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহু লোক আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে চলাচল করেছেন এবং এদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসতি স্থাপন করেছেন। দেশটির বর্তমান জাতিগত ও ভাষাগত বৈচিত্র্য এই ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। আফগানিস্তানে বসবাসরত সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী হল [[পশতু জাতি]]। এরা আগে ''আফগান'' নামেও পরিচিত ছিল। তবে বর্তমানে আফগান বলতে কেবল পশতু নয়, বরং জাতি নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সকল নাগরিককেই বোঝায়।
৯১ নং লাইন:
 
[[১৬শ শতক|১৬শ]] ও [[১৭শ শতক|১৭শ শতাব্দীর]] পুরোটা জুড়ে ভারতে অবস্থিত মুঘল সাম্রাজ্য এবং [[পারস্য|পারস্যের]] [[সাফাউইদ রাজবংশ|সাফাউইদ রাজবংশের]] রাজারা আফগানিস্তানের দখল নিয়ে যুদ্ধ করেন। সাধারণত মুঘলেরা কাবুলের দখল রাখতো এবং পারসিকেরা হেরাত দখলে রাখতো আর [[কান্দাহার|কান্দাহারের]] শাসনভার প্রায়ই হাতবদল হত। এসময় [[পশতুন জাতি]] তাদের শক্তিবৃদ্ধি করে, তবে স্বাধীনতা লাভে ব্যর্থ হয়।
১৭৪৭ সালে [[আহমদ শাহ দুররানি]] [[কান্দাহার]] শহরকে রাজধানী করে এখানে [[দুররানি সাম্রাজ্য|দুররানি সাম্রাজ্যের]] পত্তন করেন <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://concise.britannica.com/ebc/article-9354776/Ahmad-Shah-Durrani|শিরোনাম=''Ahmad Shah Durrani''|লেখক=|তারিখ=|কর্ম=britannica.com|সংগ্রহের-তারিখ=13 November 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071217160329/http://concise.britannica.com/ebc/article-9354776/Ahmad-Shah-Durrani|আর্কাইভের-তারিখ=১৭ ডিসেম্বর ২০০৭|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>। তখন থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে [[রাজতন্ত্র]] ছিল। এরই মাঝে দেশের রাজধানী কান্দাহার থেকে কাবুলে স্থানান্তরিত করা হয় এবং দেশটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির কাছে অনেক অঞ্চল হারায়।
===স্বাধীনতা লাভ===
১৯শ শতকে দেশটি [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য]] ও [[রুশ সাম্রাজ্য|রুশ সাম্রাজ্যের]] মধ্যকার দ্বন্দ্বে মধ্যবর্তী ক্রীড়ানক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৯৭৩ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে সামরিক কর্মকর্তাগণ রাজার পতন ঘটান এবং প্রজাতন্ত্র গঠন করেন। ১৯১৯ সালে তৃতীয় ব্রিটিশ-আফগান যুদ্ধশেষে আফগানিস্তান [[যুক্তরাজ্য]] থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তানে এক দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিপ্রায়ে ১৯৭৯ সালে [[সোভিয়েত ইউনিয়ন]] আফগানিস্তান আক্রমণ করে এবং [[সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ]] শুরু হয়। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েতরা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয় এবং এর সাথে সাথে দেশটিতে আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে [[তালেবান]] নামের একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী [[কাবুল|কাবুলের]] দখল নেয়। তালেবান সন্ত্রাসবাদী দল [[আল কায়েদা]]কে আফগানিস্তানে আশ্রয় দেয়। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পর [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] আফগানিস্তান আক্রমণ করে এবং ২০০১-এর শেষে তালেবানদের উৎখাত করে। ২০০৪ সালে আফগানিস্তানের সংবিধান নতুন করে লেখা হয় এবং একটি রাষ্ট্রপতি-ভিত্তিক গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা চালু হয়।
১৬৬ নং লাইন:
দেশটির আয়তন ৬৫২,২২৫ বর্গ কিমি (২৫১,৮২৫ বর্গমাইল)। পূর্ব-পশ্চিমে এর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১,২৪০ কিমি (৭৭০ মাইল); উত্তর-দক্ষিণে সর্বোচ্চ ১,০১৫ কিমি (৬৩০ মাইল)। উত্তর-পশ্চিম, পশ্চিম ও দক্ষিণের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি মূলত মরুভূমি ও পর্বতশ্রেণী। উত্তর-পূর্বে দেশটি ধীরে ধীরে উঁচু হয়ে হিমবাহ-আবৃত পশ্চিম হিমালয়ের [[হিন্দুকুশ পর্বতমালা|হিন্দুকুশ পর্বতের]] সাথে মিশে গেছে। [[আমু দরিয়া]] নদী ও এর উপনদী পাঞ্জ দেশটির উত্তর সীমান্ত নির্ধারণ করেছে।
 
আফগানিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চল সুউচ্চ পর্বতময় এলাকা। দেশটির প্রায় অর্ধেক এলাকার উচ্চতা সমুদ্র সমতল থেকে ২,০০০ মিটার বা তার চেয়ে উঁচুতে অবস্থিত। ছোট ছোট হিমবাহ ও বছরব্যাপী তুষারক্ষেত্র প্রায়ই পরিলক্ষিত হয়। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত ৭,৪৮৫ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট [[নওশাক পর্বত|নওশাক]] আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এটি পাকিস্তানের [[তিরিচমির|তিরিচ মির]] পর্বতশৃঙ্গের একটি নিচু পার্শ্বশাখা। পর্বতটি আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বে হিন্দুকুশ পর্বতমালার অংশ, যেটি আবার [[পামির মালভূমি]]<nowiki/>র দক্ষিণে অবস্থিত। হিন্দুকুশ থেকে অন্যান্য নীচু পর্বতসারি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে প্রধান শাখাটি দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রসারিত হয়ে পশ্চিমের ইরান সীমান্ত অবধি চলে গেছে। এই নিচু পর্বতমালাগুলির মধ্যে রয়েছে [[পারোপামিসুস পর্বতমালা]], যা উত্তর আফগানিস্তান অতিক্রম করেছে, এবং [[সফেদ কোহ পর্বতমালা]], যা পাকিস্তানের সাথে পূর্ব সীমান্ত তৈরি করেছে। সফেকদ কোহ-তেই রয়েছে বিখ্যাত [[খাইবার গিরিপথ]], যা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে সংযুক্তকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ। অপেক্ষাকৃত নিম্নভূমিগুলি দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমে অবস্থিত। এদের মধ্যে রয়েছে উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের [[হেরাত]]-ফেরা নিম্নভূমি, দক্ষিণ-পশ্চিমের [[সিস্তন ও বালুচেস্তন প্রদেশ|সিস্তান]] ও [[হেলমন্দ নদী]] অববাহিকা এবং দক্ষিণের [[রিগেস্তান মরুভূমি|রিগেস্তান]] মরুভূমি। সিস্তান অববাহিকাটি বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক এলাকার একটি। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://postconflict.unep.ch/publications/sistan.pdf|শিরোনাম=History of Environmental Change in the Sistan Basin 1976 - 2005|সংগ্রহের-তারিখ=2007-07-20|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070807214557/http://postconflict.unep.ch/publications/sistan.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=২০০৭-০৮-০৭|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
 
নদী উপত্যকা ও কিছু ভূগর্ভস্থ পানিবিশিষ্ট নিম্নভূমি ছাড়া অন্য কোথাও কৃষিকাজ হয় না বললেই চলে। মাত্র ১২ শতাংশ এলাকা পশু চারণযোগ্য। দেশটির মাত্র ১ শতাংশ এলাকা বনাঞ্চল, এবং এগুলি মূলত পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানে অবস্থিত। যুদ্ধ ও জ্বালানি সংকটের কারণে বনভূমি দ্রুত বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
১৮৬ নং লাইন:
 
=== প্রাকৃতিক সম্পদ ===
আফগানিস্তানে ছোট আকারে মণি, সোনা, তামা ও কয়লা উত্তোলনের ইতিহাস থাকলেও প্রণালীবদ্ধভাবে খনিজ আহরণ ১৯৬০-এর দশকের আগে শুরু হয়নি। ১৯৭০-এর দশকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসের উল্লেখযোগ্য মজুদ আবিষ্কৃত হয়। এছাড়া পেট্রোলিয়াম ও কয়লাও এখানে পাওয়া যায়। দেশটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তামা, লোহা, বেরাইট, ক্রোমাইট, সীসা, দস্তা, গণ্ধক, লবণ, ইউরেনিয়াম ও অভ্রের মজুদ আছে।<ref name="CIA">[https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/af.html ''Afghanistan''] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170920072213/https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/af.html |তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ }}, CIA World Factbook.</ref><ref name="AfghanMinerals">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bgs.ac.uk/AfghanMinerals/docs/Gold_A4.pdf#search='gold%20and%20copper%20discovered%20in%20afghanistan'|শিরোনাম=''Gold and copper discovered in Afghanistan''|লেখক=|তারিখ=|কর্ম=bgs.ac.uk|সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130726155518/http://www.bgs.ac.uk/AfghanMinerals/docs/Gold_A4.pdf#search='gold%20and%20copper%20discovered%20in%20afghanistan'|আর্কাইভের-তারিখ=২৬ জুলাই ২০১৩|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.wise-uranium.org/uissr05.html#NEWDISC|শিরোনাম=Uranium Mining Issues: 2005 Review|লেখক=|তারিখ=|কর্ম=www.wise-uranium.org|সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20181215173528/http://www.wise-uranium.org/uissr05.html#NEWDISC|আর্কাইভের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref><ref>[http://www.pajhwak.com/viewstory.asp?id=29308 ''16 detained for smuggling chromites''] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080213065220/http://www.pajhwak.com/viewstory.asp?id=29308 |তারিখ=১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ }}, Pajhwok Afghan News.</ref> তবে সোভিয়েত আক্রমণ এবং তৎপরবর্তী গৃহযুদ্ধের কারণে আফগানিস্তান এই খনিজ ও জ্বালানি সম্পদের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। অদূর ভবিষ্যতে এগুলি নিষ্কাশনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। <ref name="Eurasianet">[http://www.eurasianet.org/departments/insight/articles/eav090306.shtml ''Afghanistan’s Energy Future and its Potential Implications''] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100625222652/http://www.eurasianet.org/departments/insight/articles/eav090306.shtml |তারিখ=২৫ জুন ২০১০ }}, Eurasianet.org.</ref><ref name="Pajhwok">[http://www.pajhwok.com/viewstory.asp?lng=eng&id=27383 ''Govt plans to lease out Ainak copper mine''] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080222035712/http://www.pajhwok.com/viewstory.asp?lng=eng&id=27383 |তারিখ=২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ }}, Pajhwok Afghan News.</ref> বহু শতাব্দী ধরে আফগানিস্তান দুষ্প্রাপ্য ও অর্ধ-দুষ্প্রাপ্য পাথরেরও একটি উৎসস্থল, যাদের মধ্যে আছে [[নীলকান্তমণি]], [[চুনি (রং)|চুনি]], নীলা ও পান্না।
 
== অর্থনীতি ==
২৯৩ নং লাইন:
২০০১ সালে তালেবানের পতনের পর দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা আবার নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। [[কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়]] নতুন করে শুরু হয়। ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৪০ লাখ ছেলেমেয়ে দেশটির প্রায় ৯,৫০০ স্কুলে শিক্ষাগ্রহণ করে। প্রাথমিক শিক্ষা বিনামূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ বছরের বেশি বয়সের আফগানদের মধ্যে সাক্ষরতার হার প্রায় ৩৬ শতাংশ হিসাব করা হয়েছে। তবে পুরুষদের সাক্ষরতার হার (৫১%) নারীদের (২১%) চেয়ে অনেক বেশি।
 
আফগান স্কুলগুলিতে [[দারি ভাষা|দারি]], [[পশতু ভাষা|পশতু]] ও অন্যান্য ভাষা, যেমন- [[উজবেক ভাষা|উজবেক ভাষায়]] পড়ানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সগুলি মূলত [[দারি ভাষা|দারি ভাষায়]] পড়ানো হয়। ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত [[কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়]] দেশটির বৃহত্তম ও সবচেয়ে সম্মানিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৩৮ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে আরও নয়টি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। [[জালালাবাদ|জালালাবাদে]] ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত [[ননগরহার বিশ্ববিদ্যালয়|ননগরহার বিশ্ববিদ্যালয়ে]] চিকিৎসা ও অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয়। এছাড়া [[কান্দাহার]], [[হেরাত]], [[বাল্‌খ]] ও [[বামিয়ান|বামিয়ানে]] ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। ১৯৬১ সালের আগে কেবল পুরুষেরাই স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা লাভ করতে পারতেন। এরপর থেকে সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মহিলাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ২০০৬ সালে সহশিক্ষামূলক [[আফগানিস্তান মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠা করা হয়; এখানে শিক্ষার মাধ্যম [[ইংরেজি ভাষা]]। [[মাজার-ই-শরীফ]] শহরে ৬০০ একর এলাকা জুড়ে [[বাল্‌খ বিশ্ববিদ্যালয়]] নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। <ref>[http://www.pajhwok.com/viewstory.asp?lng=eng&id=28303 ''Pakistan grants $10m for Balkh University''] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080222040920/http://www.pajhwok.com/viewstory.asp?lng=eng&id=28303 |তারিখ=২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ }}, Pajhwok Afghan News.</ref>
 
== পরিবহন ==
৩১৭ নং লাইন:
 
===রেল পরিবহন===
২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী আফগানিস্তানে শুধু দুইটি রেলপথ আছে। একটি [[বাল্‌খ প্রদেশ|বালখ প্রদেশের]] [[খয়রাবাদ, আফগানিস্তান|খেইরাবাদ]] থেকে আফগানিস্তান-উজবেকিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেলপথ। অন্যটি তোরাগুন্দি থেকে তুর্কমেনিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেলপথ। দুইটি রেলপথই শুধুমাত্র মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং এখন পর্যন্ত যাত্রীবাহী কোন রেলগাড়ি চলাচল করে না। দেশটিতে আরও রেলপথ নির্মাণের বিভিন্ন প্রস্তাব করা হয়েছে।<ref>Maps, Railways of Afghanistan, http://www.andrewgrantham.co.uk/afghanistan/tag/map/ {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20171208185852/http://www.andrewgrantham.co.uk/afghanistan/tag/map/ |তারিখ=৮ ডিসেম্বর ২০১৭ }}</ref> ২০১৩ সালে আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতিরা একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তুর্কমেনিস্তান-আন্দখভোই-মাজার-ই-শরিফ-খেইরাবাদ-এর মধ্যে একটি ২২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক রেলপথ নির্মাণের গোড়াপত্তন করা হয়। এই রেলপথটি উজবেকিস্তান সীমান্তের কাছে খেইরাবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত ইতিমধ্যে বিদ্যমান রেলপথের সাথে সংযুক্ত হবে।<ref>Three presidents launch construction of international rail link, 6 June 2013, http://www.railwaygazette.com/news/infrastructure/single-view/view/three-presidents-launch-construction-of-international-rail-link.html?sword_list[]=afghan&no_cache=1</ref> অন্য আরেকটি পরিকল্পনা অনুসারে আরেকটি রেলপথ রাজধানী কাবুল থেকে পূর্ব দিকে সীমান্ত শহর [[তোরখাম]] পর্যন্ত চলে যাবে,যেখানে গিয়ে পথটি পাকিস্তানি রেলব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত হবে।<ref>[[Tolo TV|Tolo News]]&nbsp;– [http://tolonews.com/en/business/4215-construction-on-kabul-torkham-railway-to-start-soon-ministry-of-mines-says Construction on Kabul-Torkham Railway to Start Soon, Ministry of Mines Says] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131109024009/http://tolonews.com/en/business/4215-construction-on-kabul-torkham-railway-to-start-soon-ministry-of-mines-says |তারিখ=৯ নভেম্বর ২০১৩ }}, Tamim Shaheer. 18 October 2011.</ref> এছাড়াও ইরানের [[খাফ শহর|খাফ শহরে]] থেকে আফগানিস্তানের হেরাত শহর পর্যন্ত একটি রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।<ref>Khaf-Herat railway, http://www.raillynews.com/2013/khaf-herat-railway/ {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20171220114246/http://www.raillynews.com/2013/khaf-herat-railway/ |তারিখ=২০ ডিসেম্বর ২০১৭ }}</ref>
 
== গণমাধ্যম ==