বাংলাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot-এর করা 3828219 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৬৮টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0
২১ নং লাইন:
|capital = [[ঢাকা]]
|largest_city = [[ঢাকা]]
| official_languages = [[বাংলা ভাষা|বাংলা]]<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_all_sections.php?id=957|শিরোনাম=গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|অধ্যায়ের-ইউআরএল=http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_sections_detail.php?id=957&sections_id=29340|বছর=|কর্ম=[[আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়]]|প্রকাশক=বাংলাদেশ সরকার|অবস্থান=|পাতাসমূহ=|অধ্যায়=৩৷ রাষ্ট্রভাষা|আইএসবিএন=|সংগ্রহের-তারিখ=২০১৯-০৪-২৬|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20181224074122/http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_all_sections.php?id=957|আর্কাইভের-তারিখ=২৪ ডিসেম্বর ২০১৮|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
|national_languages = [[বাংলা ভাষা|বাংলা]]
| ethnic_groups = {{vunblist
৩১ নং লাইন:
}}
}}
| ethnic_groups_year = ২০১১<ref name="বাংলাদেশকে জানুন">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.bangladesh.gov.bd/site/page/812d94a8-0376-4579-a8f1-a1f66fa5df5d/বাংলাদেশকে-জানুন |লিপির-শিরোনাম=জানুন |ভাষা=bn |অনূদিত-শিরোনাম=Discover Bangladesh |প্রকাশক=National Web Portal of Bangladesh |সংগ্রহের-তারিখ=13 February 2015 |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150216093108/http://www.bangladesh.gov.bd/www.bangladesh.gov.bd/index6517.html?q=bn%2F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A8 |আর্কাইভের-তারিখ=১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref>
|demonym = [[বাংলাদেশি]]
|government_type = [[সংসদীয় গণতন্ত্র]]
৫৩ নং লাইন:
|established_event6 = [[বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল|সর্বশেষ ভূখণ্ড বিনিময়]]
|established_date6 = ৩১ জুলাই ২০১৫
| area_km2 = 148460<ref "name=cia">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল= https://www.cia.gov/library/publications/resources/the-world-factbook/geos/bg.html|শিরোনাম= দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রফল|শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |তারিখ= ২৪ জুন ২০১৯|ওয়েবসাইট= www.cia.gov|প্রকাশক= কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা|সংগ্রহের-তারিখ= ৫ জুলাই ২০১৯|উক্তি= |আর্কাইভের-ইউআরএল= https://web.archive.org/web/20190609174603/https://www.cia.gov/library/publications/resources/the-world-factbook/geos/bg.html|আর্কাইভের-তারিখ= ৯ জুন ২০১৯|অকার্যকর-ইউআরএল= না}}</ref>
| area_rank = ৯৫তম
| area_sq_mi = 56977
| percent_water = ৭%
|population_estimate = ১৬২,৯৫১,৫৬০<ref name="alo-1385751">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=হক|প্রথমাংশ১=শাকিলা|শিরোনাম=পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে বাংলাদেশ|ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/economy/article/1385751/পাকিস্তানকে-পেছনে-ফেলে-এগিয়ে-বাংলাদেশ|সংগ্রহের-তারিখ=১৭ ডিসেম্বর ২০১৭|কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]]|তারিখ=১৩ ডিসেম্বর ২০১৭|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180825192149/https://www.prothomalo.com/economy/article/1385751/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%97%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6|আর্কাইভের-তারিখ=২৫ আগস্ট ২০১৮|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
|population_census = ১৪৯,৭৭২,৩৬৪<ref>[http://www.bbs.gov.bd/Home.aspx Data] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110904045106/http://www.bbs.gov.bd/Home.aspx |তারিখ=৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ }}.Census – Bangladesh Bureau of Statistics.</ref>
|population_estimate_year = ২০১৭
৭৯ নং লাইন:
| Gini = ৩২.৪০ <!--number only-->
| Gini_year = ২০১৬
| Gini_change = (+) ০.৯৩% <!--increase/decrease/steady--> <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://knoema.com//atlas/Bangladesh/topics/Poverty/Income-Inequality/GINI-index|শিরোনাম=Bangladesh GINI index, 2017-2018 - knoema.com|লেখক=|তারিখ=|কর্ম=Knoema|সংগ্রহের-তারিখ=31 October 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20191031110534/https://knoema.com//atlas/Bangladesh/topics/Poverty/Income-Inequality/GINI-index|আর্কাইভের-তারিখ=৩১ অক্টোবর ২০১৯|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
| Gini_ref =<ref name="wb-gini">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://data.worldbank.org/indicator/SI.POV.GINI/ |শিরোনাম=Gini Index |প্রকাশক=[[World Bank]] |অকার্যকর-ইউআরএল=no |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150209003326/http://data.worldbank.org/indicator/SI.POV.GINI |আর্কাইভের-তারিখ=16 February 2015 |সংগ্রহের-তারিখ=2 March 2011 }}</ref>
| Gini_rank =
৮৫ নং লাইন:
| HDI_year = ২০১৮ <!--Please use the year to which the HDI data refers, not the publication year-->
| HDI_change = increase <!--increase/decrease/steady-->
| HDI_ref =<ref name="HDI">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://hdr.undp.org/en/2018-update |শিরোনাম=Human Development Report 2018 |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=৩ অক্টোবর ২০১৮ |প্রকাশক=United Nations Development Programme |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20181118122652/http://hdr.undp.org/en/2018-update |আর্কাইভের-তারিখ=১৮ নভেম্বর ২০১৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref>
| HDI_rank = {{ordinal|১৩৯}}
|currency = [[বাংলাদেশি টাকা|টাকা (৳)]]
১১২ নং লাইন:
|latm=|latNS=|longd=|longm=|longEW=|languages_type=|languages2_type=|leader_name5=|leader_name6=|leader_name7=|leader_name8=|leader_name9=|FR_total_population_estimate_year=|FR_foot=|FR_total_population_estimate=|FR_total_population_estimate_rank=|FR_metropole_population_estimate_rank=}}
 
'''বাংলাদেশ''' ({{অডিও|Bn-বাংলাদেশ.oga|<small>শুনুন</small>}}) [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ার]] একটি [[সার্বভৌম রাষ্ট্র]]। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম '''গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ'''। ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]], উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, [[আসাম]] ও [[মেঘালয়]], পূর্ব সীমান্তে আসাম, [[ত্রিপুরা]] ও [[মিজোরাম]], দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে [[মায়ানমার|মায়ানমারের]] [[চিন রাজ্য|চিন]] ও [[রাখাইন রাজ্য|রাখাইন]] রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে [[বঙ্গোপসাগর]] অবস্থিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bangladesh.gov.bd/site/page/812d94a8-0376-4579-a8f1-a1f66fa5df5d/বাংলাদেশকে-জানুন|শিরোনাম=বাংলাদেশকে জানুন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=bangladesh.gov.bd|প্রকাশক=বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন|সংগ্রহের-তারিখ=|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150216093108/http://www.bangladesh.gov.bd/www.bangladesh.gov.bd/index6517.html?q=bn%2F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A8|আর্কাইভের-তারিখ=১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> ভৌগোলিকভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম [[গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ|ব-দ্বীপের]] সিংহভাগ অঞ্চল জুড়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ড অবস্থিত। নদীপ্রধান বাংলাদেশ ভূখণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ৫৭টি আন্তর্জাতিক [[নদী]]। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ছেয়ে আছে। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য [[সুন্দরবন]] ও দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকত [[কক্সবাজার]] সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশে অবস্থিত।
 
দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীন ও ধ্রুপদী যুগে বাংলাদেশ অঞ্চলটিতে [[বঙ্গ]], [[পুণ্ড্রবর্ধন|পুণ্ড্র]], [[গৌড়]], [[গঙ্গাঋদ্ধি]], [[সমতট]] ও [[হরিকেল]] নামক জনপদ গড়ে উঠেছিল। মৌর্য যুগে মৌর্য সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ ছিল অঞ্চলটি। জনপদগুলো নৌ-শক্তি ও সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল। মধ্য প্রাচ্য ও রোমান সাম্রাজ্যে মসলিন ও সিল্ক রপ্তানি করতো জনপদগুলো। প্রথম সহস্রাব্দিতে বাংলাদেশ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে [[পাল সাম্রাজ্য]], চন্দ্র রাজবংশ, [[সেন রাজবংশ]] গড়ে উঠেছিল। [[ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজী|বখতিয়ার খলজীর]] গৌড় জয়ের পরে সুলতানি ও মুগল আমলে অত্র অঞ্চলে ইসলাম ছড়িয়ে পরে।
 
মুঘল আমলে বিশ্বের মোট উৎপাদনের (জিডিপির) ১২ শতাংশ উৎপন্ন হত [[সুবাহ বাংলা|সুবাহ বাংলায়]],<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Poverty From The Wealth of Nations: Integration and Polarization in the Global Economy since 1760|প্রকাশক=[[স্প্রিঙ্গার সায়েন্স+বিজনেস মিডিয়া]]|বছর=২০১৬|পাতা=৩২|আইএসবিএন=978-0-333-98564-9|ইউআরএল=https://books.google.co.uk/books?id=suKKCwAAQBAJ&pg=PA32|শেষাংশ=আলম|প্রথমাংশ=মুহাম্মদ শাহ|পাতাসমূহ=|অবস্থান=|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ মে ২০১৯|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190328191751/https://books.google.co.uk/books?id=suKKCwAAQBAJ&pg=PA32|আর্কাইভের-তারিখ=২৮ মার্চ ২০১৯|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref><ref name="star">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ=খন্দকার|প্রথমাংশ=হিশাম|তারিখ=31 July 2015|শিরোনাম=Which India is claiming to have been colonised?|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/op-ed/politics/which-india-claiming-have-been-colonised-119284|সংবাদপত্র=দ্য ডেইলি স্টার|ধরন=উপ-সম্পাদকীয়|কর্ম=|সংগ্রহের-তারিখ=|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190328220449/https://www.thedailystar.net/op-ed/politics/which-india-claiming-have-been-colonised-119284|আর্কাইভের-তারিখ=২৮ মার্চ ২০১৯|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=rHJGz3HiJbcC&pg=PA259|শিরোনাম=Development Centre Studies The World Economy Historical Statistics: Historical Statistics|শেষাংশ=ম্যাডিসন|প্রথমাংশ=অ্যাঙ্গাস|বছর=২০০৩|প্রকাশক=ওইসিডি পাবলিশিং|অবস্থান=|পাতাসমূহ=২৫৯–২৬১|আইএসবিএন=9264104143}}</ref> যা সে সময় সমগ্র পশ্চিম ইউরোপের জিডিপির চেয়ে বেশি ছিল।<ref name="harrison">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Developing cultures: case studies|লেখক=লরেন্স হ্যারিসন, পিটার এল. বার্জার|প্রকাশক=রৌটলেজ|বছর=২০০৬|পাতা=১৫৮|ইউআরএল=https://books.google.co.uk/books?id=RB0oAQAAIAAJ|আইএসবিএন=9780415952798|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|পাতাসমূহ=|অবস্থান=|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ মে ২০১৯|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190328092359/https://books.google.co.uk/books?id=RB0oAQAAIAAJ|আর্কাইভের-তারিখ=২৮ মার্চ ২০১৯|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> ১৭৬৫ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত বাংলাদেশ ভূখণ্ডটি [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি|প্রেসিডেন্সি বাংলার]] অংশ ছিল। ১৯৪৭-এর [[ভারত ভাগ|ভারত ভাগের]] পর বাংলাদেশ অঞ্চল [[পূর্ব বাংলা]] (১৯৪৭–১৯৫৬; পূর্ব পাকিস্তান, ১৯৫৬–১৯৭১) নামে নবগঠিত [[পাকিস্তান অধিরাজ্য|পাকিস্তান অধিরাজ্যের]] অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত [[বাংলা ভাষা আন্দোলন]]<nowiki/>কে কেন্দ্র করে [[বাঙালি জাতীয়তাবাদ|বাঙালি জাতীয়তাবাদের]] বিকাশ হলে পশ্চিম পাকিস্তানের বিবিধ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ভারতের সহায়তায় গণতান্ত্রিক ও [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|সশস্ত্র সংগ্রামের]] মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ও সার্বভৌম [[জাতিরাষ্ট্র]] হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় ঘটেছে দুর্ভিক্ষ ও [[প্রাকৃতিক দুর্যোগ]]; এছাড়াও প্রলম্বিত [[রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা]] ও পুনঃপৌনিক [[বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান|সামরিক অভ্যুত্থান]] এদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বারংবার ব্যাহত করেছে। [[নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন|নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের]] মধ্য দিয়ে ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে [[সংসদীয় গণতন্ত্র|সংসদীয় শাসনব্যবস্থা]] পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার ধারাবাহিকতা আজ অবধি বিদ্যমান। সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গত দুই দশকে [[বাংলাদেশের অর্থনীতি|বাংলাদেশের অর্থনৈতিক]] প্রগতি ও সমৃদ্ধি সারা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
 
জনসংখ্যায় বিশ্বে [[জনসংখ্যা অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহের তালিকা|অষ্টম]] বৃহত্তম দেশ বাংলাদেশ, যদিও আয়তনে বিশ্বে [[আয়তন অনুসারে রাষ্ট্রসমূহের তালিকা|৯৪তম]]। ৬টি ক্ষুদ্র দ্বীপ ও নগররাষ্ট্রের পরেই [[জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহের তালিকা|বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ]] বাংলাদেশ। মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলেরও কম এই ক্ষুদ্রায়তনের দেশটির প্রাক্কলিত (২০১৮) জনসংখ্যা ১৮ কোটির বেশি অর্থাৎ প্রতি বর্গমাইলে জনবসতি ২৮৮৯ জন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১১৫ জন)।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://worldpopulationreview.com/countries/bangladesh-population/ |শিরোনাম=ওয়ার্ল্ড পপ্যুলেশন রিভিয়্যু তথ্যতীর্থ। |প্রকাশক=Worldpopulationreview.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2018-06-16 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180622122956/http://worldpopulationreview.com/countries/bangladesh-population/ |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৮-০৬-২২ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref> দেশের জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা [[বাংলা ভাষা|বাংলা]]; সাক্ষরতার হার ৭২ শতাংশ।
 
২০১৭–১৮ অর্থবছরে চলতি বাজারমূল্যে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিমাণ ছিল ২২,৫০,৪৭৯ কোটি টাকা<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bbs.portal.gov.bd/sites/default/files/files/bbs.portal.gov.bd/page/057b0f3b_a9e8_4fde_b3a6_6daec3853586/F2_GDP_2017_18.pdf|শিরোনাম=Gross Domestic Product of Bangladesh at Current Prices, 2014-15 to 2017-18|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো|অনূদিত-শিরোনাম=বর্তমান বাজার মূল্যে ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20181025005826/http://bbs.portal.gov.bd/sites/default/files/files/bbs.portal.gov.bd/page/057b0f3b_a9e8_4fde_b3a6_6daec3853586/F2_GDP_2017_18.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=২৫ অক্টোবর ২০১৮|সংগ্রহের-তারিখ=২০১৯-০৫-১৮|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> (২৬১.২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), যা ২০১৮–১৯ অর্থবছরে বৃদ্ধি লাভ করে ২৮৫.৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উন্নীত হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে।<ref>[{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=https://www.statista.com/statistics/438219/gross-domestic-product-gdp-in-bangladesh/ ]|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ জুন ২০১৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160826101721/http://www.statista.com/statistics/438219/gross-domestic-product-gdp-in-bangladesh/ |আর্কাইভের-তারিখ=২৬ আগস্ট ২০১৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref> ২০১৭–১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় বার্ষিক আয় ছিল ১ হাজার ৭৫২ ডলার। সরকার প্রাক্কলন করেছে যে, ২০১৮–১৯ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১ হাজার ৯৫৬ ডলার বা ১ লাখ ৬০ হাজার ৩৯২ টাকা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/economics-business/news/bd/657655.details|শিরোনাম=মাথাপিছু ১ হাজার ৯৫৬ ডলার আয়ের আশা|প্রথমাংশ=|শেষাংশ=BanglaNews24.com|তারিখ=|কর্ম=banglanews24.com|সংগ্রহের-তারিখ=31 October 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20191031110534/https://www.banglanews24.com/economics-business/news/bd/657655.details|আর্কাইভের-তারিখ=৩১ অক্টোবর ২০১৯|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> দারিদ্রের হার ২৬.২০ শতাংশ, অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ১১.৯০ শতাংশ, এবং বার্ষিক দারিদ্র হ্রাসের হার ১.৫ শতাংশ। এই [[উন্নয়নশীল দেশ]]টি প্রায় দুই দশক যাবৎ বার্ষিক ৫ থেকে ৬.২ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অর্জনপূর্বক "[[পরবর্তী একাদশ]]" অর্থনীতিসমূহের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। রাজধানী [[ঢাকা]] ও অন্যান্য শহরের পরিবর্ধন বাংলাদেশের এই উন্নতির চালিকাশক্তিরূপে কাজ করছে। এর কেন্দ্রবিন্দুতে কাজ করেছে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ত্বরিত বিকাশ এবং একটি সক্ষম ও সক্রিয় উদ্যোক্তা শ্রেণীর আর্বিভাব। [[বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প|বাংলাদেশের রপ্তানীমুখী তৈরি পোশাক শিল্প]] সারা বিশ্বে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। জনশক্তি রপ্তানীও দেশটির অন্যতম অর্থনৈতিক স্তম্ভ। বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্কলন এই যে ২০১৮–২০ এই দুই অর্থ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতি বছর গড়ে ৬.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি লাভ করবে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/business/bangladesh-gdp-growth-rate-fiscal-year-2017-18-economy-stay-strong-1518199|শিরোনাম=Economy to stay strong|তারিখ=11 January 2018|কর্ম=The Daily Star|সংগ্রহের-তারিখ=5 November 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180207164603/http://www.thedailystar.net/business/bangladesh-gdp-growth-rate-fiscal-year-2017-18-economy-stay-strong-1518199|আর্কাইভের-তারিখ=৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
 
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের উর্বর অববাহিকায় অবস্থিত এই দেশটিতে প্রায় প্রতি বছর মৌসুমী বন্যা হয়; আর [[ঘূর্ণিঝড়|ঘূর্ণিঝড়ও]] খুব সাধারণ ঘটনা। নিম্ন আয়ের এই দেশটির প্রধান সমস্যা পরিব্যাপ্ত দারিদ্র গত দুই দশকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে এসেছে, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে দ্রুত, জন্ম নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অর্জিত হয়েছে অভূতপূর্ব সফলতা। এছাড়া [[আন্তর্জাতিক]] [[মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা|মানব সম্পদ উন্নয়ন]] সূচকে বাংলাদেশ দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Bangladesh - Country Profile |ইউআরএল=http://www.un-bd.org/docs/Bangladesh%20Country%20Profile.pdf%E2%80%8E |সংগ্রহের-তারিখ=১৩ জুন ২০১৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150918213655/http://www.un-bd.org/docs/Bangladesh%20Country%20Profile.pdf%E2%80%8E |আর্কাইভের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>, তবে বাংলাদেশে এখনো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে যার মধ্যে রয়েছে পরিব্যাপ্ত পরিবারতন্ত্র, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতি, বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং [[জলবায়ু পরিবর্তন|জলবায়ু পরিবর্তনের]] ফলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলশ্রুতিতে তলিয়ে যাবার শঙ্কা। তাছাড়া একটি সর্বগ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থার রূপ নিয়ে নতুন ভাবে সামাজিক বিভাজনের সৃষ্টি হয়েছে।
১৩০ নং লাইন:
''বাংলাদেশ'' শব্দটি খুঁজে পাওয়া যায় ২০শ শতাব্দীর শুরুর দিকে, যখন থেকে [[কাজী নজরুল ইসলাম]] রচিত "নম নম নম বাংলাদেশ মম" ও [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] রচিত "আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে" এর ন্যায় দেশাত্মবোধক গানগুলোর মাধ্যমে সাধারণ পরিভাষা হিসেবে শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.geetabitan.com/lyrics/A/aaji-bangladesher-hridoy.html |শিরোনাম=Notation of song aaji bangladesher hridoy |সংগ্রহের-তারিখ=2015-09-10 |অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150904011316/http://www.geetabitan.com/lyrics/A/aaji-bangladesher-hridoy.html |আর্কাইভের-তারিখ=4 September 2015 |df=dmy-all }}</ref> অতীতে ''বাংলাদেশ'' শব্দটিকে দুটি আলাদা শব্দ হিসেবে ''বাংলা দেশ'' আকারে লেখা হত। ১৯৫০ দশকের শুরুতে, [[বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ|বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদী]]রা শব্দটিকে [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানের]] রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল ও সভা-সমাবেশে ব্যবহার করেছে। বাংলা শব্দটি বঙ্গ এলাকা ও বাংলা এলাকা উভয়ের জন্যই একটি প্রধান নাম। শব্দটির প্রাচীনতম ব্যবহার পাওয়া যায় ৮০৫&nbsp;খ্রিষ্টাব্দের [[Nesari|নেসারি ফলকে]]। এছাড়াও ১১-শতকের দক্ষিণ-এশীয় পাণ্ডুলিপিসমূহে ''ভাংলাদেসা'' পরিভাষাটি খুঁজে পাওয়া যায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Keay |প্রথমাংশ=John |লেখক-সংযোগ=John Keay |বছর=2000 |শিরোনাম=India: A History |প্রকাশক=Atlantic Monthly Press |পাতা=220 |আইএসবিএন=978-0-87113-800-2 |উক্তি=In C1020 ... launched Rajendra's great northern escapade ... peoples he defeated have been tentatively identified ... 'Vangala-desa where the rain water never stopped' sounds like a fair description of Bengal in the monsoon.}}</ref><ref name="auto3">{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Sen |প্রথমাংশ=Sailendra Nath |বছর=1999 |প্রকৃত-বছর=First published 1988 |শিরোনাম=Ancient Indian History and Civilization |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=Wk4_ICH_g1EC&pg=PA281 |প্রকাশক=New Age International |পাতা=281 |আইএসবিএন=978-81-224-1198-0}}</ref>
 
১৪শ শতাব্দিতে [[বাংলা সালতানাত|বাংলা সালতানাতের]] সময়কালে পরিভাষাটি দাপ্তরিক মর্যাদা লাভ করে।<ref name="Ahmed2004">{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Ahmed |প্রথমাংশ=Salahuddin |তারিখ=2004 |শিরোনাম=Bangladesh: Past and Present |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=Szfqq7ruqWgC&pg=PA23 |প্রকাশক=APH Publishing |পাতা=23 |আইএসবিএন=978-81-7648-469-5 |সংগ্রহের-তারিখ=১ মার্চ ২০১৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161223012150/https://books.google.com/books?id=Szfqq7ruqWgC&pg=PA23 |আর্কাইভের-তারিখ=২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref><ref>"But the most important development of this period was that the country for the first time received a name, ie Bangalah." [http://en.banglapedia.org/index.php?title=Islam,_Bengal Banglapedia: Islam, Bengal] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150723091245/http://en.banglapedia.org/index.php?title=Islam,_Bengal |তারিখ=২৩ জুলাই ২০১৫ }}</ref> ১৩৪২ সালে [[শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ]] ''[[বঙ্গ|বাংলা]]র প্রথম [[শাহ]]'' হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেন।<ref name="Ahmed2004"/> উক্ত অঞ্চলকে বোঝাতে বাংলা শব্দটির সর্বা‌ধিক ব্যবহার শুরু হয় ইসলামী শাসনামলে। ১৬শ শতাব্দীতে [[Portuguese people|পর্তুগিজরা]] অঞ্চলটিকে বাঙ্গালা নামে উল্লেখ শুরু করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Sircar |প্রথমাংশ=D. C. |তারিখ=1990 |শিরোনাম=Studies in the Geography of Ancient and Medieval India |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=AqKw1Mn8WcwC |প্রকাশক=Motilal Banarsidass Publ. |পাতা=135 |আইএসবিএন=978-81-208-0690-0 |সংগ্রহের-তারিখ=১ মার্চ ২০১৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160610203345/https://books.google.com/books?id=AqKw1Mn8WcwC |আর্কাইভের-তারিখ=১০ জুন ২০১৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref>
 
''বাংলা'' বা ''বেঙ্গল'' শব্দগুলোর আদি উৎস অজ্ঞাত; ধারণা করা হয় আধুনিক এ নামটি [[বাংলা সালতানাত|বাংলার সুলতানি]] আমলের ''বাঙ্গালা'' শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়। কিন্তু কিছু ঐতিহাসিক ধারণা করেন যে, শব্দটি ''বং'' অথবা ''বাং'' নামক একটি দ্রাবিড়ীয়-ভাষী উপজাতি বা গোষ্ঠী থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ''বং'' জাতিগোষ্ঠী ১০০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন।<ref name="congress">{{বই উদ্ধৃতি
১৪০ নং লাইন:
| সম্পাদক = জেমস হাইট্‌স্‌ম্যান ও রবার্ট এল. ওয়ার্ডেন
| বছর = ১৯৮৯
| সংগ্রহের-তারিখ = ২৮ অক্টোবর ২০১৬
}}</ref>
| আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20110212184726/http://memory.loc.gov/frd/cs/bdtoc.html
| আর্কাইভের-তারিখ = ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১১
| অকার্যকর-ইউআরএল = না
}}</ref>
 
অন্য তত্ত্ব অনুযায়ী শব্দটির উৎপত্তি ''[[বঙ্গ (প্রাচীন রাজ্য)|ভাঙ্গা]]'' (''বঙ্গ'') শব্দ থেকে হয়েছে, যেটি [[অস্ট্রীয়]] শব্দ "বঙ্গা" থেকে এসেছিল, অর্থাৎ অংশুমালী।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=সেনগুপ্ত |প্রথমাংশ=অমিতাভ |তারিখ=২০১২ |শিরোনাম=Scroll Paintings of Bengal: Art in the Village |প্রকাশক=AuthorHouse UK |পাতা=১৪ |আইএসবিএন=978-1-4678-9663-4 |ভাষা=ইংরেজি}}</ref> শব্দটি ''ভাঙ্গা'' এবং অন্য শব্দ যে ''বঙ্গ'' কথাটি অভিহিত করতে জল্পিত (যেমন [[অঙ্গ]]) প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থে পাওয়া যায়, যেমনঃ [[বেদ]], [[জৈন ধর্ম|জৈন]] [[বই|গ্রন্থে]], [[মহাভারত]] এবং [[পুরাণ|পুরাণে]]। "ভাঙ্গালাদেসা/ ভাঙ্গাদেসাম" (''বঙ্গাল/বঙ্গল'')-এর সবচেয়ে পুরনো উল্লেখ [[রাষ্ট্রকূট]] [[গোবিন্দ ৩]]-এর নেসারি প্লেট্‌সে উদ্দিষ্ট (৮০৫ খ্রিস্ট-আগে), যেখানে ভাঙ্গালার রাজা [[ধর্মপাল (পাল সম্রাট)|ধর্মপালের]] বৃত্তান্ত লেখা আছে।<ref name=Vangala>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
১৪৯ ⟶ ১৫৩ নং লাইন:
| কর্ম = [[বাংলাপিডিয়া]]
| প্রকাশক = এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বাংলাদেশ
| আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20070410155100/http://banglapedia.search.com.bd/HT/V_0015.htm
| আর্কাইভের-তারিখ = ১০ এপ্রিল ২০০৭
| অকার্যকর-ইউআরএল = না
}}</ref>
 
২০৩ ⟶ ২১০ নং লাইন:
| শিরোনাম = Genocide in Bangladesh, 1971
| প্রকাশক = Gendercide Watch
| সংগ্রহের-তারিখ = ১৭ জুলাই ২০০৬
}}</ref>
| আর্কাইভের-ইউআরএল = https://www.webcitation.org/69aZgT8tY?url=http://www.gendercide.org/case_bangladesh.html
| আর্কাইভের-তারিখ = ১ আগস্ট ২০১২
| অকার্যকর-ইউআরএল = না
}}</ref>
সেনাবাহিনী ও তার স্থানীয় দালালদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল [[বুদ্ধিজীবী]] ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। গণহত্যা থেকে নিস্তার পেতে প্রায় ১ কোটি মানুষ দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। (LaPorte<ref name=laporte>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি
| শেষাংশ = LaPorte
২১৪ ⟶ ২২৫ নং লাইন:
}}</ref>, p.&nbsp;103) [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে]] মোট জীবনহানির সংখ্যার হিসাব কয়েক লাখ হতে শুরু করে ৩০ লাখ পর্যন্ত অনুমান করা হয়েছে।<ref name=white>{{বই উদ্ধৃতি
| শেষাংশ = White
| প্রথমাংশ = M
| তারিখ = নভেম্বর ২০০৫
| শিরোনাম = Death Tolls for the Major Wars and Atrocities of the Twentieth Century
| ইউআরএল = http://users.erols.com/mwhite28/warstat2.htm#Bangladesh
| সংগ্রহের-তারিখ = ১৭ জুলাই ২০০৬
}}</ref>
| আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20060426063832/http://users.erols.com/mwhite28/warstat2.htm#Bangladesh
| আর্কাইভের-তারিখ = ২৬ এপ্রিল ২০০৬
| অকার্যকর-ইউআরএল = না
}}</ref>
 
দুই থেকে চার লক্ষ নারী পাকিস্তানী সেনাদের দ্বারা ধর্ষিত হয়।
২৪৩ ⟶ ২৫৮ নং লাইন:
}}</ref>
====সংসদীয় সময়কাল ও সামরিক অভ্যুত্থান (১৯৭৫-১৯৯১)====
পরবর্তী ৩ মাসে একাধিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা-অভ্যুত্থান চলতে থাকে, যার পরিসমাপ্তিতে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৭ নভেম্বর [[জিয়াউর রহমান|জেনারেল জিয়াউর রহমান]] ক্ষমতায় আসেন। জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরায় প্রবর্তন করেন এবং পরবর্তীতে [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল]] (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রপতি জিয়া চট্টগ্রাম সফরের সময় আরেকটি অভ্যুত্থানে নিহত হন।<ref name=mascarenhas/> অতঃপর উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে বাংলাদেশের পরবর্তী শাসক [[হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ|জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ]] রক্তপাতবিহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। রাষ্ট্রপতি এরশাদ ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দেশ শাসন করেন। ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে তার পতন হয় এবং তিনি ক্ষমতা ত্যাগ করলে একটি [[তত্ত্বাবধায়ক সরকার|তত্ত্বাবধায়ক সরকারের]] অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয়।<ref name="British Broadcasting Corporation">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Corporation|প্রথমাংশ=British Broadcasting|শিরোনাম=Bangladesh profile|ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/news/world-south-asia-12650940|সংবাদপত্র=BBC|তারিখ=16 July 2013|সংগ্রহের-তারিখ=২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150924221415/http://www.bbc.co.uk/news/world-south-asia-12650940|আর্কাইভের-তারিখ=২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Corporation|প্রথমাংশ=British Broadcasting|শিরোনাম=Bangladesh profile|ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/news/world-south-asia-12650940|সংবাদপত্র=BBC|তারিখ=16 July 2013}}
</ref>
====সমসাময়িক সংসদীয় সময়কাল (১৯৯১-বর্তমান)====
[[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল|বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের]] নেত্রী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়ার স্ত্রী [[খালেদা জিয়া|বেগম খালেদা জিয়া]] ১৯৯১ হতে ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। শেখ মুজিবের কন্যা [[শেখ হাসিনা]] ১৯৯৬ হতে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেত্রী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দারিদ্র ও দুর্নীতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে তার অবস্থান সমুন্নত রেখেছে।
২৬৪ ⟶ ২৭৭ নং লাইন:
=== প্রশাসনভিত্তিক ভৌগলিক বিভাজন ===
{{মূল নিবন্ধ|বাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চল}}
বাংলাদেশ ৮টি প্রশাসনিক বিভাগে বিভক্ত।<ref name=divisions>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | শিরোনাম = CIA World Fact Book, 2005 | ইউআরএল = https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/fields/2051.html | সংগ্রহের-তারিখ = ১৯ জুন ২০০৯ | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20070911231857/https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/fields/2051.html | আর্কাইভের-তারিখ = ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | অকার্যকর-ইউআরএল = না }}</ref> এগুলো হল: [[ঢাকা বিভাগ|ঢাকা]], [[চট্টগ্রাম বিভাগ|চট্টগ্রাম]], [[রাজশাহী বিভাগ|রাজশাহী]], [[খুলনা বিভাগ|খুলনা]], [[ময়মনসিংহ বিভাগ|ময়মনসিংহ]], [[বরিশাল বিভাগ|বরিশাল]], [[সিলেট বিভাগ|সিলেট]] এবং [[রংপুর বিভাগ|রংপুর]]। প্রতিটি বিভাগে রয়েছে একাধিক জেলা। [[বাংলাদেশের জেলাসমূহ|বাংলাদেশের মোট জেলার]] সংখ্যা ৬৪টি। জেলার চেয়ে ক্ষুদ্রতর প্রশাসনিক অঞ্চলকে উপজেলা বা ''থানা'' বলা হয়। সারাদেশে ৪৯২টি [[উপজেলা]] (সর্বশেষ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা) রয়েছে।<ref name="Prothom alo">''[http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/231760/আরও_দুই_নতুন_উপজেলা]'', প্রথম আলো। প্রকাশ - জুন ০২, ২০১৪, হালনাগাদ: ১৬:৫২</ref> এই থানাগুলো ৪,৪৮৪টি ইউনিয়নে; ৫৯,৯৯০টি মৌজায় এবং ৮৭,৩১৯টি গ্রামে বিভক্ত। বিভাগ, জেলা ও থানা পর্যায়ের প্রশাসনে কোনো নির্বাচিত কর্মকর্তা নেই; সরকার নিযুক্ত প্রশাসকদের অধীনে এসব অঞ্চল পরিচালিত হয়ে থাকে। ইউনিয়ন বা পৌরসভার ওয়ার্ডগুলোতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি রয়েছে। ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দের আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পর্যায়ে মহিলাদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়।<ref name=unionwomen>''Local Government Act'', No. 20, 1997</ref>
 
এছাড়া শহরাঞ্চলে ১২টি [[সিটি কর্পোরেশন]] ([[ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন|ঢাকা-উত্তর]], [[ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন|ঢাকা-দক্ষিণ]], [[চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন|চট্টগ্রাম]], [[খুলনা সিটি কর্পোরেশন|খুলনা]], [[রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন|রাজশাহী]], [[রংপুর সিটি কর্পোরেশন|রংপুর]], [[সিলেট সিটি কর্পোরেশন|সিলেট]], [[বরিশাল সিটি কর্পোরেশন|বরিশাল]], [[নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন|নারায়ণগঞ্জ]], [[গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন|গাজীপুর]], [[কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন|কুমিল্লা]] ও [[ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন|ময়মনসিংহ]]) এবং ২২৩টি পৌরসভা রয়েছে। এগুলোর সবগুলোতেই জনগণের ভোটে [[মেয়র]] ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। রাজধানী [[ঢাকা]] বাংলাদেশের বৃহত্তম শহর। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শহরের মধ্যে রয়েছে – [[চট্টগ্রাম]], [[রাজশাহী]], [[খুলনা]], [[সিলেট]], [[বরিশাল]], [[কক্সবাজার]], [[কুমিল্লা]], [[ময়মনসিংহ]], [[রংপুর জেলা|রংপুর]], [[যশোর]], [[গাজীপুর জেলা|গাজীপুর]], [[নারায়ণগঞ্জ]], [[ফেনী]], [[বগুড়া জেলা|বগুড়া]] ও [[দিনাজপুর জেলা|দিনাজপুর]]
২৭১ ⟶ ২৮৪ নং লাইন:
{| class="wikitable sortable"
|-
!| বিভাগ !! প্রতিষ্ঠিত !! জনসংখ্যা<ref name=bbs>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=2011 Population & Housing Census: Preliminary Results |ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130115170757/http://www.bbs.gov.bd/WebTestApplication/userfiles/Image/BBS/PHC2011Preliminary%20Result.pdf |প্রকাশক=Bangladesh Bureau of Statistics |সংগ্রহের-তারিখ=12 January 2012 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190412052032/https://web.archive.org/web/20130115170757/http://www.bbs.gov.bd/WebTestApplication/userfiles/Image/BBS/PHC2011Preliminary%20Result.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=১২ এপ্রিল ২০১৯ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref>!! আয়তন (কিমি<sup>২</sup>)<ref name=bbs/> !! জনসংখ্যা ঘনত্ব<br />২০১১ (লোক/কিমি<sup>২</sup>)<ref name=bbs/>
!| বৃহত্তম শহর<br>(জনসংখ্যা-সহ)
|-
৩১৯ ⟶ ৩৩২ নং লাইন:
[[বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি|রাষ্ট্রপতি]] এদেশের আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান। তার সীমিত ক্ষমতা রয়েছে; কেননা কয়েকটি ক্ষেত্র ব্যতীত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে তিনি সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য। তবে সংসদ নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। রাষ্ট্রযন্ত্রের মূল ক্ষমতার অধিকারী হলেন প্রধানমন্ত্রী, যিনি "সরকার প্রধান" হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই সংসদ সদস্য হতে হয়। মন্ত্রীসভার মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত এবং রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
 
বাংলাদেশের সরকারি প্রশাসন যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু হলো [[বাংলাদেশ সচিবালয়]]। রাষ্ট্রের বিভিন্ন কার্যাবলী পরিচালনার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নিযুক্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীরা মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী পদমর্যাদায় বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন। উপদেষ্টামণ্ডলী মন্ত্রী সভার বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে সরকার গঠনের পরও প্রধানমন্ত্রীর চার জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেন একজন [[সচিব|স্থায়ী সচিব]]। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে ৪১ টি মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। বড় মন্ত্রণালয়, যেমন অর্থ মন্ত্রণালয়, একাধিক “বিভাগ”-এ বিভক্ত যা কার্যতঃ মন্ত্রণালয় বটে। প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় সরকারি প্রশাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ নীতিমালা প্রণয়ন যা বিভিন্ন সংযুক্ত বিভাগ, সংস্থা, বোর্ড, কমিশন, একাডেমী প্রভৃতির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির জন্য পৃথক কার্যালয় রয়েছে। ২০১১-এর হিসাবে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১১ লাখ ৮২ হাজার ৭৬৫।, এর বাইরে শূন্যপদ রয়েছে প্রায় দেড় লাখ। কর্মরতদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ৫২২, দ্বিতীয় শ্রেণীর ৭৩ হাজার ৩২১, তৃতীয় শ্রেণীর ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩১১ এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ জন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://jugantor.us/enews/issue/2011/12/18/news0447.htm|শিরোনাম=Daily Jugantor|প্রকাশক=|সংগ্রহের-তারিখ=১৮ ডিসেম্বর ২০১১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120108025249/http://jugantor.us/enews/issue/2011/12/18/news0447.htm|আর্কাইভের-তারিখ=৮ জানুয়ারি ২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
 
[[বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট|সুপ্রিম কোর্ট]] বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। এর দুটি স্তর রয়েছে যথা হাইকোর্ট ডিভিশন (উচ্চ আদালত বিভাগ) ও অ্যাপিলাত ডিভিশন (আপিল বিভাগ)। রাষ্ট্রপতি [[প্রধান বিচারপতি]] ও অন্যান্য বিচারকদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। দেশের আইন-কানুন অনেকটা প্রচলিত ব্রিটিশ আইনের আদলে প্রণীত; তবে [[বিবাহ]] এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আইনগুলো ধর্মভিত্তিক। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণরূপে প্রশাসন থেকে পৃথক করা হয়েছে।
৩৪০ ⟶ ৩৫৩ নং লাইন:
=== সামরিক খাত ===
{{মূল নিবন্ধ|বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী}}
২০১২ এর হিসাবে, সেনাবাহিনীর বর্তমান শক্তি প্রায় ৩০০,০০০ (রিজার্ভসহ),<ref name="bdmil">[http://www.bdmilitary.com/index.php?option=com_content&view=article&id=68&Itemid=124 Bangladesh Military Forces] Retrieved 12 June 2009.</ref> এবং নৌবাহিনী ১৯,০০০। ২০১৯ সালের হিসাবে বিশ্বের ১৩৭টি দেশের সামরিক বাহিনীর শক্তিমত্তার র‌্যাঙ্কিং তৈরিকারী এক বৈশ্বিক সুচকে বাংলাদেশ ৪৫ তম স্থান দখল করেছে।<ref name="GFP 2011-11-01">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.globalfirepower.com/country-military-strength-detail.asp?country_id=bangladesh |শিরোনাম=2019 Bangladesh Military Stength |trans_title=২০১৯ বাংলাদেশের সামরিক শক্তিমত্তা |সংগ্রহের-তারিখ=2019-11-01 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190905110454/https://www.globalfirepower.com/country-military-strength-detail.asp?country_id=bangladesh |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৯-০৯-০৫ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref> সুচকটির শিরোনাম ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০১৮’ [https://www.globalfirepower.com/countries-listing.asp]। <ref>Including service and civilian personnel. See [http://www.bangladeshnavy.org/glance.html Bangladesh Navy] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120112044228/http://www.bangladeshnavy.org/glance.html |তারিখ=১২ জানুয়ারি ২০১২ }}. Retrieved 17 July 2007.</ref> প্রথাগত প্রতিরক্ষা ভূমিকা ছাড়াও, সামরিক বাহিনীকে দুর্যোগ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে ত্রাণ ও অভ্যন্তরীণ নাগরিক নিরাপত্তার জন্য কর্তৃপক্ষ ডাক দিতে পারে। বাংলাদেশ বর্তমানে সক্রিয় কোনো চলমান যুদ্ধে নেই, কিন্তু এটি ১৯৯১ সালে অপারেশন মরুভূমি ঝড় ({{lang-en|''Operation Desert Storm''}}) যুদ্ধে ২,৩০০ সৈন্য প্রেরণ করে এবং বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে সারা বিশ্বে একটি শীর্ষ অবদানকারী (১০,৭৩৬) শান্তিরক্ষা বাহিনী। মে ২০০৭ সালে, বাংলাদেশ [[গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র]], [[লাইবেরিয়া]], [[সুদান]], [[পূর্ব তিমুর]] এবং [[আইভরি কোস্ট]] এর প্রধান স্থাপনায় ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://army.mil.bd/newahq/index5.php?category=177 |শিরোনাম= TOTAL BD PARTICIPATION IN UN DEPL (COMPLETED) |সংগ্রহের-তারিখ= 2 May 2008 |তারিখ= ফেব্রুয়ারি ২০০৭ |প্রকাশক= [[বাংলাদেশ সেনাবাহিনী]] |আর্কাইভের-ইউআরএল= https://web.archive.org/web/20080611133501/http://army.mil.bd/newahq/index5.php?category=177 |আর্কাইভের-তারিখ= ১১ জুন ২০০৮ |অকার্যকর-ইউআরএল= হ্যাঁ }}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | শিরোনাম = Bangladeshi officers enhance UN troops’ logistical support in Darfur | কর্ম = UN News Center | প্রকাশক = United Nations | তারিখ = 23 October 2008 | ইউআরএল = http://www.un.org/apps/news/story.asp?NewsID=28691&Cr=darfur&Cr1= | সংগ্রহের-তারিখ = 4 February 2010 | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://www.webcitation.org/616vpBFjO?url=http://www.un.org/apps/news/story.asp?NewsID=28691 | আর্কাইভের-তারিখ = ২১ আগস্ট ২০১১ | অকার্যকর-ইউআরএল = না }}</ref>
 
সরকার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য প্রাগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অস্ত্র ক্রয় করছে। ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে সরকার প্রায় ১৫হাজার ১০৪ কোটি টাকা মূল্যের অস্ত্র-শস্ত্র ক্রয় করেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/beta2/news/defence-purchase-govts-priority/ |শিরোনাম=Defence purchase govt’s priority |প্রকাশক=Archive.thedailystar.net |তারিখ=2013-08-31 |সংগ্রহের-তারিখ=2015-12-03 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160201070342/http://archive.thedailystar.net/beta2/news/defence-purchase-govts-priority/ |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৬-০২-০১ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref> বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক আধুনিকায়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে "ফোর্সেস গৌল ২০৩০" শীর্ষক একটি পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ২০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে চীন থেকে ২টি সাবমেরিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কুতুবদিয়া চ্যানেলে একটি সাবমেরিন পোতাশ্রয় গড়ে তোলা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের Mi-17 হেলিকপ্টার, প্রশিক্ষণ বিমান, ট্যাংক-বিধ্বংসী মিযাইল, আরমার্ড ক্যারিয়ার ক্রয়ের বিশাল অস্ত্র ক্রয় চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |লেখক=Agencies/Dhaka |ইউআরএল=http://www.gulf-times.com/bangladesh/245/details/375304/bangladesh-to-purchase-submarines-from-china |শিরোনাম=Bangladesh to purchase submarines from China |প্রকাশক=Gulf-times.com |তারিখ=2013-12-21 |সংগ্রহের-তারিখ=2015-12-03 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20151109105240/http://www.gulf-times.com/bangladesh/245/details/375304/bangladesh-to-purchase-submarines-from-china |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৫-১১-০৯ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref> চীন ও রাশিয়া ছাড়াও বাংলাদেশ জার্মানী, ফ্রান্স, বেলারুশ, সার্বিয়া, জাপান, ইংল্যান্ড ও ইতালী থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় করে থাকে।
{{multiple image
|direction = horizontal
৩৬১ ⟶ ৩৭৪ নং লাইন:
=== দুর্নীতি ===
{{মূল নিবন্ধ|বাংলাদেশে দুর্নীতি}}
[[দুর্নীতি]] হল বাংলাদেশের একটি চলমান সমস্যা, এছাড়াও দেশটি ২০০৫ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় পৃথিবীর তৎকালীন সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্থান লাভ করে। ২০১১<ref>* {{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Corruption Perceptions Index 2011 |ইউআরএল=http://www.transparency.org/cpi2011/results |প্রকাশক=Transparency International |সংগ্রহের-তারিখ=8 January 2013 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130327201510/http://www.transparency.org/cpi2011/results |আর্কাইভের-তারিখ=২৭ মার্চ ২০১৩ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref> এবং ২০১২ সালে<ref>* {{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Corruption Perceptions Index 2012 |ইউআরএল=http://www.transparency.org/cpi2012/results |প্রকাশক=Transparency International |সংগ্রহের-তারিখ=8 January 2013 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130528032608/http://www.transparency.org/cpi2012/results |আর্কাইভের-তারিখ=২৮ মে ২০১৩ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref> দেশটি তালিকার অবস্থানে যথাক্রমে ১২০ এবং ১৪৪ তম স্থান লাভ করে, যেখানে কোন দেশ নম্বরের দিক থেকে যত উপরের দিকে যাবে ততই বেশি দুর্নীতিগ্রস্থ হিসেবে গণ্য হবে। প্রধানত অতিরিক্ত ভোগবাদী মানসিকতা ও নৈতিক মুল্যবোধের অভাব ও অবমুল্যায়ন দুর্নীতির পেছনে দায়ী, পাশাপাশি দরিদ্রতাও ক্ষেত্রবিশেষে দুর্নীতির প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে সব শ্রেণির ব্যাক্তির ঘুষ গ্রহণের নজির রয়েছে। তবে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে ঘুষ গ্রহণের নজির বেশি, যার কারণ স্ব‌ল্প সময়ের ব্যাবধানে জীবনযাত্রার মান মধ্যবিত্ত হতে বিলাসবহুল পর্যায়ে উন্নীতকরণের মানসিকতা। এছাড়াও মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তগণ তাদের জীবনযাত্রা মান উন্নয়নে ঘুষ গ্রহণ করে।
 
== অর্থনীতি ==
৩৬৭ ⟶ ৩৮০ নং লাইন:
[[চিত্র:SilkRoad BD..Raw jute of Faridpur.JPG|thumb|220px|পাট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল]]
[[চিত্র:Rice Field.jpg|thumb|220px|ধানক্ষেতে কৃষক]]
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। জাতিসংঘের শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী এটি একটি স্বল্পোন্নত দেশ। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে ১০০০ টাকার আন্তজার্তিক মূল্যমান কমবেশী ১২.৫৯৯২ মার্কিন ডলার (১ মার্কিন ডলার = ৭৯.৩৭ টাকা)<ref>[{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=মুদ্রা বিনিময় হার তথ্যতীর্থ |ইউআরএল=https://www.bb.org.bd/econdata/exchangerate.php মুদ্রা|সংগ্রহের-তারিখ=১ বিনিময়মার্চ হার২০১৭ তথ্যতীর্থ]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170517065203/https://www.bb.org.bd/econdata/exchangerate.php |আর্কাইভের-তারিখ=১৭ মে ২০১৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref>। দেশে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ৩১.৯০ বিলিয়ন ডলারের বেশী।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://tradingeconomics.com/bangladesh/foreign-exchange-reserves|শিরোনাম=Bangladesh Foreign Exchange Reserves - 2019 - Data - Chart - Calendar|লেখক=|তারিখ=|কর্ম=tradingeconomics.com|সংগ্রহের-তারিখ=31 October 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20191031110535/https://tradingeconomics.com/bangladesh/foreign-exchange-reserves|আর্কাইভের-তারিখ=৩১ অক্টোবর ২০১৯|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
 
সুইজার‌্যলান্ডের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইসের বৈশ্বিক সম্পদ প্রতিবেদন ২০১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মাথাপিছু সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ২,৩৩২ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০০ সালে বাংলাদেশের মানুষের সম্পদের সর্বমোট মূল্যমান ছিল ৭,৮০০ কোটি মার্কিন ডলার এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মাথাপিছু সম্পদের পরিমাণ ছিল ১,১৩৮ মার্কিন ডলার। সম্পদের সর্বমোট মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-এ ২৪,০০০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা ১০,২৭,৯৩,০০০ জন ধরে প্রাক্কলন করা হয়েছে।<ref>[http://publications.credit-suisse.com/index.cfm/publikationen-shop/research-institute/global-wealth-databook-2018-en/ ক্রেডিট সুইসের তথ্য প্রতিবেদন]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
 
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক খানাজরীপ অনুযায়ী সবচেয়ে দরিদ্র ৫ শতাংশ মানুষের আয় দেশের সর্বমোট আয়ের মাত্র ০.২৩ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করে যে আয়বণ্টনের অসমতা গত এক দশকে বৃদ্ধি পেয়েছে কেননা ২০০০ সালে দেশের সর্বমোট আয়ে সবচেয়ে দরিদ্র ৫ শতাংশ মানুষের অংশ ছিল ০.৭৮ শতাংশ। একইভাবে দেশের সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশ মানুষের আয় ২০০০-এ মোট জাতীয় আয়ের ২৪.৬১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৮৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। দেশের অনতম অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান [[সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ]]-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী আয় বণ্টনের অসমতার সূচক জিনি সহগের মান বৃদ্ধি পেয়ে ০.৪৮ এ পৌঁছেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/opinion/economics/why-bangladeshs-inequality-likely-rise-1575079|শিরোনাম=Why Bangladesh's inequality is likely to rise|তারিখ=12 May 2018|কর্ম=The Daily Star|সংগ্রহের-তারিখ=5 November 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190209182307/https://www.thedailystar.net/opinion/economics/why-bangladeshs-inequality-likely-rise-1575079|আর্কাইভের-তারিখ=৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
 
১৯৮০'র দশক থেকে শিল্প ও সেবা খাতের ব্যাপক সম্প্রসারণ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অদ্যাবধি কৃষিনির্ভর কারণ দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কৃষিজীবী। দেশের প্রধান কৃষিজ ফসলের মধ্যে রয়েছে [[ধান]], [[পাট]] এবং [[চা]]। দেশে [[আউশ ধান|আউশ]], [[আমন ধান|আমন]], [[বোরো ধান|বোরো]] এবং [[ইরি ধান]] উৎপন্ন হয়ে থাকে। পাট, যা বাংলাদেশের ‘সোনালী আঁশ’ নামে পরিচিত, এক সময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস ছিলো।<ref name=jute>{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি
৩৮২ ⟶ ৩৯৫ নং লাইন:
বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অধিকাংশ আসে রফতানিকৃত তৈরি পোশাক থেকে, এবং অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বেশীরভাগ ব্যয় হয় একই খাতের জন্য কাঁচামাল আমদানীতে।<ref name=garments>{{সংবাদ উদ্ধৃতি
| শেষাংশ = Roland
| প্রথমাংশ = B
| তারিখ = 2005
| শিরোনাম = Bangladesh Garments Aim to Compete
| প্রকাশক = BBC
| ইউআরএল = http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/4118969.stm
| সংগ্রহের-তারিখ = ২২ জুলাই ২০০৬
}}</ref> সস্তা শ্রম ও অন্যান্য সুবিধার কারণে ১৯৮০-র দশকের শুরু থেকে এই খাতে যথেষ্ট বৈদেশিক ও স্থানীয় বিনিয়োগ হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তৈরী পোশাক রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ২৮ দশমিক ১৫ বিলিয়ন কোটি মার্কিন ডলার।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=তারপরও এগিয়েছে পোশাক খাত, বেড়েছে রপ্তানি|ইউআরএল=https://www.channelionline.com/তারপরও-এগিয়েছে-পোশাক-খাত/|সংগ্রহের-তারিখ=২৯ এপ্রিল ২০১৮|কর্ম=চ্যানেল আই অনলাইন|তারিখ=২৩ এপ্রিল ২০১৮}}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
| আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20060204205230/http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/4118969.stm
| আর্কাইভের-তারিখ = ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬
| অকার্যকর-ইউআরএল = না
}}</ref> সস্তা শ্রম ও অন্যান্য সুবিধার কারণে ১৯৮০-র দশকের শুরু থেকে এই খাতে যথেষ্ট বৈদেশিক ও স্থানীয় বিনিয়োগ হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তৈরী পোশাক রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ২৮ দশমিক ১৫ বিলিয়ন কোটি মার্কিন ডলার।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=তারপরও এগিয়েছে পোশাক খাত, বেড়েছে রপ্তানি|ইউআরএল=https://www.channelionline.com/তারপরও-এগিয়েছে-পোশাক-খাত/|সংগ্রহের-তারিখ=২৯ এপ্রিল ২০১৮|কর্ম=চ্যানেল আই অনলাইন|তারিখ=২৩ এপ্রিল ২০১৮}}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
 
[[চিত্র:Cox's Bazaar Fishermen.jpg|thumb|left|220px|কক্সবাজার সৈকতে জেলেদের নৌকা]]
৩৯৯ ⟶ ৪১৬ নং লাইন:
| পাতাসমূহ = 208-226
}}</ref>
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার আরেকটি বড় অংশ আসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো অর্থ হতে। পরিবর্তিত হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মানুষের [[মাথাপিছু আয়]] ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ১৪৬৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/frontpage/capita-income-rises-1466-1204930 |শিরোনাম=Per capita income rises to $1466 |প্রকাশক=thedailystar.net |তারিখ=2016-04-06 |সংগ্রহের-তারিখ=2017-01-25 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161126083101/http://www.thedailystar.net/frontpage/capita-income-rises-1466-1204930 |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৬-১১-২৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref> নানা অর্থনৈতিক সূচকে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের অবস্থান পিছনের সারিতে, তবে [[বিশ্ব ব্যাংক|বিশ্ব ব্যাংকের]] ২০০৫ সালের দেশভিত্তিক আলোচনায় এদেশের শিক্ষা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য সামাজিক খাতে উন্নয়নের প্রশংসা করা হয়েছে।
 
১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ গড়ে ৫% থেকে ৬.২% শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে এসেছে। মধ্যবিত্ত ও ভোক্তা শ্রেণীর প্রসারণ ঘটেছে দ্রুত। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে [[গোল্ডম্যান স্যাক্স]]-এর বিশ্লেষণে বাংলাদেশকে ''আগামী ১১ দেশ'' এর মধ্যে গণ্য করা হয়েছে।<ref name=nextele>{{সংবাদ উদ্ধৃতি
৪০৫ ⟶ ৪২২ নং লাইন:
| শিরোনাম = South Korea, Another `BRIC' in Global Wall
| তারিখ = 2005-12-09
| সংগ্রহের-তারিখ = ২০০৬-০৭-২২
}}</ref>
| আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20090916090004/http://www.bloomberg.com/apps/news?pid=10000177&sid=aoJ4WG5LSf1s&refer=market_insight
| আর্কাইভের-তারিখ = ২০০৯-০৯-১৬
| অকার্যকর-ইউআরএল = না
}}</ref>
 
২০১৬-১৭ অর্থবৎসরের প্রাক্কলন অনুযায়ী এবছর প্রায় ৬.৮% জিডিপি প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে।<ref name="bdbank1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bangladesh-bank.org/pub/annual/anreport/annual.html|শিরোনাম=Annual Report 2004-2005, Bangladesh Bank|লেখক=|তারিখ=|কর্ম=bangladesh-bank.org|সংগ্রহের-তারিখ=31 October 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20061005014308/http://www.bangladesh-bank.org/pub/annual/anreport/annual.html|আর্কাইভের-তারিখ=৫ অক্টোবর ২০০৬|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
 
বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সারা দেশে চালু হওয়া ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচী। [[গ্রামীণ ব্যাংক|গ্রামীণ ব্যাংকের]] প্রতিষ্ঠাতা [[মুহাম্মদ ইউনুস]] ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা। ১৯৯০ এর দশকের শেষভাগে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ; [[ব্র্যাক|ব্র্যাকসহ]] অন্যান্য সাহায্য সংস্থারও প্রায় ২৫ লাখ সদস্য রয়েছে।<ref name=schreiner>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Schreiner| প্রথমাংশ = Mark| বছর = 2003| শিরোনাম = A Cost-Effectiveness Analysis of the Grameen Bank of Bangladesh, | সাময়িকী = Development Policy Review| খণ্ড = 21| সংখ্যা নং = 3| পাতাসমূহ = 357-382}}</ref>
৪৩৩ ⟶ ৪৫৪ নং লাইন:
[[File: Mohostangor.jpg|thumb|[[বগুড়া|বগুড়ার]] [[মহাস্থানগড়]], প্রাচীন বাংলার প্রথম রাজধানী, যা পূর্বে পুন্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল]]
[[File:Boat, trees and water in Sundarbans.jpg|thumb|[[সুন্দরবন]], বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বা লবণাক্ত ভূমির বন]]
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের যোগাযোগ ও পর্যটন খাত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। আগস্ট, ১৯৭৫ সালে পৃথক একটি মন্ত্রণালয় হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করা হয়। জানুয়ারি, ১৯৭৬ সালে এটি পুণরায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভাগে পরিণত হয়। ডিসেম্বর, ১৯৭৭ সালে পৃথকভাবে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় খোলা হয়। ২৪ মার্চ, ১৯৮২ সালে এ মন্ত্রণালয়কে বিলুপ্ত করে [[প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়|প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের]] অধীনে ন্যাস্ত করা হয়। এরপর ১৯৮৬ সাল থেকে উক্ত মন্ত্রণালয়কে পুণঃপ্রতিষ্ঠা অদ্যাবধি তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.mocat.gov.bd/ |শিরোনাম=বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট, সংগ্রহঃ ৩১ মে, ২০১২ইং |প্রকাশক=Mocat.gov.bd |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2015-12-03 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20151214170950/http://www.mocat.gov.bd/ |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৫-১২-১৪ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref>
 
== জনসংখ্যার উপাত্ত ==
{{মূল নিবন্ধ|বাংলাদেশের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান}}
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত [[বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১|আদমশুমারির]] প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।<ref name="prothom-alo1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/news/170986 |শিরোনাম=প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিবেদন |প্রকাশক=Archive.prothom-alo.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2015-12-03 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170424192142/http://archive.prothom-alo.com/detail/news/170986 |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৭-০৪-২৪ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref><ref>২০০৫ খ্রিস্টাব্দের উপাত্ত অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৬০ লাখ।</ref><ref name=who>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
| ইউআরএল = http://www.who.int/whr/2005/en/
| শিরোনাম = World Health Report 2005
| প্রকাশক = World Health Organization
| সংগ্রহের-তারিখ = ২১ জুলাই ২০০৬
}}</ref>
| আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20171202215653/http://www.who.int/whr/2005/en/
এই আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশ।<ref name="prothom-alo1"/><ref name=who/> সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী জুন ২০১৪-এ জনসংখ্যা ১৫৬,৪৯৯,৬৭৩ জন বা ১৫.৬৪ কোটি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Bangladesh Bureau of Statistics (BBS) |ইউআরএল=https://www.bbs.gov.bd/ |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160930090034/http://www.bbs.gov.bd/ |আর্কাইভের-তারিখ=৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> অন্য একটি প্রাক্কলন অনুসারে মার্চ ২০১৪-এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫.৯৫ কোটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রাক্কলন ১৫.৮৫ কোটি। এই হিসাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮ম জনবহুল দেশ। জনঘনত্ব প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ২৪৯৭ জনের বেশী।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldpopulationreview.com/countries/bangladesh-population/ |শিরোনাম=ওয়ার্ল্ড পপুলেশান রিভিয়্যু তথ্যর্তীথ। |প্রকাশক=Worldpopulationreview.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2015-12-03}}</ref><ref>বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গত কয়েক বছর যাবৎ বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিষয়ে যে পরিসংখ্যান ব্যবহার করছে, তার সঙ্গে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারীর পরিসংখ্যানের পার্থক্য বিস্তর। যেমন, ইউএনএফপিএ ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের "বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদনে" জানিয়েছিল যে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১৩ লাখ। পরে ২০১০ খ্রিস্টাব্দের জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, ২০১০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৪৪ লাখ।</ref>
| আর্কাইভের-তারিখ = ২ ডিসেম্বর ২০১৭
| অকার্যকর-ইউআরএল = না
}}</ref>
এই আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশ।<ref name="prothom-alo1"/><ref name=who/> সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী জুন ২০১৪-এ জনসংখ্যা ১৫৬,৪৯৯,৬৭৩ জন বা ১৫.৬৪ কোটি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Bangladesh Bureau of Statistics (BBS) |ইউআরএল=https://www.bbs.gov.bd/ |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160930090034/http://www.bbs.gov.bd/ |আর্কাইভের-তারিখ=৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> অন্য একটি প্রাক্কলন অনুসারে মার্চ ২০১৪-এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫.৯৫ কোটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রাক্কলন ১৫.৮৫ কোটি। এই হিসাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮ম জনবহুল দেশ। জনঘনত্ব প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ২৪৯৭ জনের বেশী।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://worldpopulationreview.com/countries/bangladesh-population/ |শিরোনাম=ওয়ার্ল্ড পপুলেশান রিভিয়্যু তথ্যর্তীথ। |প্রকাশক=Worldpopulationreview.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2015-12-03 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180622122956/http://worldpopulationreview.com/countries/bangladesh-population/ |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৮-০৬-২২ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref><ref>বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গত কয়েক বছর যাবৎ বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিষয়ে যে পরিসংখ্যান ব্যবহার করছে, তার সঙ্গে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারীর পরিসংখ্যানের পার্থক্য বিস্তর। যেমন, ইউএনএফপিএ ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের "বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদনে" জানিয়েছিল যে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১৩ লাখ। পরে ২০১০ খ্রিস্টাব্দের জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, ২০১০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৪৪ লাখ।</ref>
 
[[বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১|২০১১-এর আদমশুমারির]] প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার অর্থাৎ নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০৩।<ref name="prothom-alo1"/><ref>২০০৫ খ্রিস্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০৬।</ref> জনসংখ্যার নিরিখে এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। এখানে জনবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,০৫৫ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)। দেশের অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সী: যেখানে ০–২৫ বছর বয়সীরা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ, সেখানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মাত্র ৩ শতাংশ। এদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের গড় আয়ু ৭১.৫ বছর।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://www.ittefaq.com.bd/national/2017/04/25/111910.html |সংগ্রহের-তারিখ=৯ জানুয়ারি ২০১৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170705140203/http://www.ittefaq.com.bd/national/2017/04/25/111910.html |আর্কাইভের-তারিখ=৫ জুলাই ২০১৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref>
 
[[চিত্র:Muhammad Yunus 2.jpg|thumb|200px|[[মুহাম্মদ ইউনূস|নোবেল পুরস্কারে ভূষিত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস]] বাংলাদেশের গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচনে বিশেষ অবদান রেখেছেন।]]
৪৭৫ ⟶ ৫০০ নং লাইন:
|+
|-
!'''অবস্থান'''!!'''শহর'''!!'''জনসংখ্যা (২০১১ সাল পর্যন্ত)'''<ref name="bbs" /><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.citypopulation.de/Bangladesh-Mun.html#Stadt_gross |শিরোনাম=Bangladesh: Divisions, Districts, Major Cities & Municipalities - Statistics & Maps on City Population |প্রকাশক=Citypopulation.de |সংগ্রহের-তারিখ=2013-05-11 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130424022502/http://www.citypopulation.de/Bangladesh-Mun.html#Stadt_gross |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৩-০৪-২৪ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref>
|-
| ১ ||[[ঢাকা]]|| ৭,০৩৩,০৭৫
৫০৫ ⟶ ৫৩০ নং লাইন:
 
===ভাষা===
দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা [[বাংলা ভাষা|বাংলা]]। সংবিধানের ৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলা বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষাও। ১৯৮৭ সালের [[বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭|বাংলা ভাষা প্রচলন আইন]] বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি কর্মকাণ্ডে বাংলা ভাষা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_pdf_part.php?id=705|শিরোনাম=বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=[[আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190520103121/http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_pdf_part.php?id=705|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৯-০৫-২০|সংগ্রহের-তারিখ=2019-04-22|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
 
===ধর্ম===
৫১২ ⟶ ৫৩৭ নং লাইন:
|width=250px
|barwidth=100px
|title=২০১৮ সালে বাংলাদেশে ধর্ম<ref name=kbrs>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বাংলাদেশকে জানুন |ইউআরএল=https://bangladesh.gov.bd/site/page/812d94a8-0376-4579-a8f1-a1f66fa5df5d/Know--Bangladesh |ওয়েবসাইট=bangladesh.gov.bd |প্রকাশক=বাংলাদেশ সরকার |সংগ্রহের-তারিখ=10 October 2018 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20181009183830/http://www.bangladesh.gov.bd/site/page/812d94a8-0376-4579-a8f1-a1f66fa5df5d/Know--Bangladesh |আর্কাইভের-তারিখ=৯ অক্টোবর ২০১৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref>
|titlebar=#ddd
|left1=ধর্ম
৫৪১ ⟶ ৫৬৬ নং লাইন:
}}
==== ইসলাম ধর্ম ====
জনগোষ্ঠির প্রধান ধর্মবিশ্বাস [[বাংলাদেশে ইসলাম|ইসলাম]] ধর্মে (৮৬.৬ শতাংশ); এরপরেই রয়েছে [[বাংলাদেশে হিন্দুধর্ম|হিন্দু ধর্ম]] (১২.১ শতাংশ), [[বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্ম|বৌদ্ধ ধর্ম]] (০.৬ শতাংশ), [[বাংলাদেশে খ্রিস্টধর্ম|খ্রিস্ট ধর্ম]] (০.৪ শতাংশ), এবং অন্যান্য (০.৩ শতাংশ)।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bangladesh.gov.bd/site/page/812d94a8-0376-4579-a8f1-a1f66fa5df5d/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A8|শিরোনাম=বাংলাদেশকে জানুন {{!}} People's Republic of Bangladesh {{!}} গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার|ওয়েবসাইট=www.bangladesh.gov.bd|সংগ্রহের-তারিখ=2019-08-22|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150216093108/http://www.bangladesh.gov.bd/www.bangladesh.gov.bd/index6517.html?q=bn%2F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A8|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৫-০২-১৬|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ সুন্নি মতাদর্শী। [[Islam in Bangladesh|ইসলাম]] হল বাংলাদেশের বৃহত্তম ও দাপ্তরিক [[রাষ্ট্রধর্ম]], যা হল মোট জনসংখ্যার ৮৬.৬ শতাংশ।<ref name=":0" /> দেশটি অধিকাংশ [[বাঙ্গালি মুসলিম|বাঙ্গালি মুসলিমে]]র আবাসস্থল, যা মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। অধিকাংশ বাংলাদেশি মুসলিম হল সুন্নি, এরপর রয়েছে শিয়া ও আহ্মাদিয়া। এর প্রায় চার শতাংশ হল [[উপাধিবিহীন মুসলিম]]।<ref>[http://www.pewforum.org/2012/08/09/the-worlds-muslims-unity-and-diversity-1-religious-affiliation/#identity Chapter 1: Religious Affiliation] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161226113158/http://www.pewforum.org/2012/08/09/the-worlds-muslims-unity-and-diversity-1-religious-affiliation/#identity |তারিখ=২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ }} retrieved 4 September 2013</ref> বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বের চতূর্থ-বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা এবং দেশটি হল ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পর বিশ্বের তৃতীয়-বৃহত্তম মুসলিম-সংখ্যাধিক্যের দেশ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://features.pewforum.org/muslim-population/?sort=Pop2010 |শিরোনাম=Muslim Population by Country |প্রকাশক=Pew Research |তারিখ=27 January 2011 |সংগ্রহের-তারিখ=23 October 2013 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130726201620/http://features.pewforum.org/muslim-population/?sort=Pop2010 |আর্কাইভের-তারিখ=২৬ জুলাই ২০১৩ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref> এই অঞ্চলে [[সুফিবাদ|সুফিবাদের]] সুদীর্ঘ পরম্পরা রয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.sufismjournal.org/community/community.html |শিরোনাম=Community: Sufism in Bangladesh |ওয়েবসাইট=Sufism Journal |সংগ্রহের-তারিখ=3 July 2010 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100714084318/http://www.sufismjournal.org/community/community.html |আর্কাইভের-তারিখ=১৪ জুলাই ২০১০ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ |df=dmy }}</ref> বাংলাদেশে মুসলিমদের বৃহত্তম সমাবেশ হয় [[তাবলীগ জামাআত]] আয়োজিত বার্ষিক [[বিশ্ব ইজতেমা]]য়, যা হজ্জের পর মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয়-বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত।
==== হিন্দু ধর্ম ====
[[Hinduism in Bangladesh|হিন্দুধর্ম]] হল জনসংখ্যার দিক থেকে মোট জনসংখ্যার ১২.১ শতাংশ;<ref name="kbrs" /> এদের অধিকাংশ [[বাঙ্গালি হিন্দু]], এবং কিছু অংশ হল [[Ethnic groups in Bangladesh|সংখ্যালঘু নৃত্বাত্তিক জনগোষ্ঠী]]। বাংলাদেশি হিন্দুগণ হল নেপাল ও ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম হিন্দুধর্মীয় সম্প্রদায়। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী সমভাবে ও বহুলভাবে বিস্তৃত, যারা আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে [[Gopalganj District, Bangladesh|গোপালগঞ্জ]], [[দিনাজপুর জেলা|দিনাজপুর]], সিলেট, [[সুনামগঞ্জ]], ময়মনসিংহ, খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম পাহড়ি এলাকায় সংখ্যাধিক। জনসংখ্যার দিক থেকে ক্রমশ হ্রাসপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও, হিন্দু সম্প্রদায় হল মুসলিমদের পর ঢাকার দ্বিতীয়-বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়।
==== বৌদ্ধ ধর্ম ====
[[Buddhism in Bangladesh|বৌদ্ধধর্ম]] হল দেশটির তৃতীয়-বৃহত্তম ধর্ম, শতাংশের দিক থেকে ০.৬ শতাংশ। আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে বাংলাদেশি বৌদ্ধগণ চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকার আদিবাসী গোষ্ঠীদের (বিশেষত [[চাকমা]], [[মারমা]] ও তেঞ্চাঙ্ঘা জনগোষ্ঠী)মধ্যে অধিক ও উপকূলীয় চট্টগ্রামে ব্যাপকসংখ্যক বৌদ্ধ বাস করে। খ্রিস্টধর্ম হল দেশের চতূর্থ-বৃহত্তম ধর্ম, সংখ্যায় ০.৪ শতাংশ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-22/news/291536|শিরোনাম=১০ বছরে ৯ লাখ হিন্দু কমেছে|ওয়েবসাইট=prothom-alo.com|সংগ্রহের-তারিখ=3 December 2015|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20141224032117/http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-22/news/291536|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৪-১২-২৪|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
 
বাংলাদেশের সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। এতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও সকল ধর্মের মানুষের সমান স্বীকৃতি নিশ্চিত করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.state.gov/j/drl/rls/irf/2013/sca/222325.htm|শিরোনাম=Report on International Religious Freedom|ওয়েবসাইট=U.S. Department of State|সংগ্রহের-তারিখ=১ মার্চ ২০১৯|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170625161841/https://www.state.gov/j/drl/rls/irf/2013/sca/222325.htm|আর্কাইভের-তারিখ=২৫ জুন ২০১৭|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> ১৯৭২ সাল থেকে, বাংলাদেশ হল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সাংবিধানিক-ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।<ref>[http://tonyblairfaithfoundation.org/religion-geopolitics/commentaries/opinion/struggle-soul-bangladesh Struggle for the Soul of Bangladesh] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150402060731/http://tonyblairfaithfoundation.org/religion-geopolitics/commentaries/opinion/struggle-soul-bangladesh |তারিখ=২ এপ্রিল ২০১৫ }}. Tony Blair Faith Foundation (5 December 2014). Retrieved on 27 April 2015.</ref>
 
=== শিক্ষা ===
৫৫৪ ⟶ ৫৭৯ নং লাইন:
[[চিত্র:Civil Engineering Building of BUET seen from EME Building.JPG|thumb|[[বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়|বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের]] পুরকৌশল বিভাগের ভবন]]
[[চিত্র:East West University Campus 1.jpeg|thumb|left|[[ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়]] বাংলাদেশের একটি [[বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়]]]]
বাংলাদেশে স্বাক্ষরতার হার ক্রমবর্ধমান। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষার হার ছিল ৬৫ শতাংশ। ২০১৬ তে তা আরো বৃদ্ধি লাভ করে ৭২.৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ। ২০০৭ এর তুলনায় সাক্ষরতার হার ২৬.১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালে সাক্ষর নারী ছিল জনসংখ্যার ৫২.২ শতাংশ এবং পুরুষ ৬১.৩ শতাংশ। ২০১৬ তে সাক্ষর নারীর হার ৬৯.৯০ শতাংশে এবং সাক্ষর পুরুষের হার ৭৫.৬২ শতাংশে উন্নীত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.dhakatribune.com/bangladesh/education/2018/03/21/unesco-bangladesh-literacy-rate-reaches-time-high-72-76-2016/|শিরোনাম=Unesco: Bangladesh literacy rate reaches all-time high of 72.76% in 2016|লেখক=|তারিখ=21 March 2018|কর্ম=Dhaka Tribune|সংগ্রহের-তারিখ=31 October 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180714151222/https://www.dhakatribune.com/bangladesh/education/2018/03/21/unesco-bangladesh-literacy-rate-reaches-time-high-72-76-2016/|আর্কাইভের-তারিখ=১৪ জুলাই ২০১৮|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
 
বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা তিন সারির এবং বহুলাংশে ভর্তুকিপুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বহু বিদ্যালয়ের পরিচালনা ব্যয় সর্বাংশে বহন করে। সরকার অনেক ব্যাক্তিগত স্কুলের জন্য অর্থায়ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা খাতে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে ১৫ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থায়ন দিয়ে থাকে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসছে। শিক্ষা বৎসরের প্রথম দিনের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন ক্লাশের বই তুলে দেয়ার ঐতিহ্য প্রবর্তিত হয়েছে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে।
৫৬৪ ⟶ ৫৮৯ নং লাইন:
বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ শুরু হয়। এর ফলে ব্যক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হতে শুরু করে। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ বাংলাদেশে ব্যক্তিখাতে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.ugc.gov.bd/university/?action=private |শিরোনাম=ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশন তথ্যতীর্থ |প্রকাশক=Ugc.gov.bd |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2015-12-03 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110808174337/http://www.ugc.gov.bd/university/?action=private |আর্কাইভের-তারিখ=২০১১-০৮-০৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের হিসাবে বাংলাদেশে স্বাক্ষরতার হার ছিল প্রায় ৪১ শতাংশ।<ref name=undp>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল = http://hdr.undp.org/statistics/data/countries.cfm?c=BGD |শিরোনাম= 2005 Human Development Report |প্রকাশক= [[United Nations Development Programme|UNDP]] |সংগ্রহের-তারিখ = ২১ জুলাই ২০০৬ |আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20061031192042/http://hdr.undp.org/statistics/data/countries.cfm?c=BGD |আর্কাইভের-তারিখ = ৩১ অক্টোবর ২০০৬ |অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ }}</ref> [[ইউনিসেফ|ইউনিসেফের]] ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের হিসাবে পুরুষদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৫০ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৩১ শতাংশ।<ref name="unicef">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.unicef.org/infobycountry/bangladesh_bangladesh_statistics.html |শিরোনাম=Bangladesh Statistics |প্রকাশক=UNICEF |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2015-12-03 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20151219134729/http://www.unicef.org/infobycountry/bangladesh_bangladesh_statistics.html |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৫-১২-১৯ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref> প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০০৯ সালে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৫২ শতাংশ। চার বছর পর ২০১৩ সালে ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে তা ৭১ শতাংশ হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.samakal.com/todays-print-edition/tp-first-page/article/18075543/%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF|শিরোনাম=১০ বছরে সাক্ষরতায় রেকর্ড সাফল্য|ওয়েবসাইট=সমকাল|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2019-08-22|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20181111124603/http://samakal.com/todays-print-edition/tp-first-page/article/18075543/%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৮-১১-১১|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> সরকার বাস্তবায়িত বিবিধ সাক্ষরতা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত ''শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য'' কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে।<ref name=ahmed>{{বই উদ্ধৃতি| শেষাংশ১ = Ahmed| প্রথমাংশ১ = A| শেষাংশ২ = Nino| প্রথমাংশ২ = C del | বছর = 2002 | শিরোনাম = The food for education program in Bangladesh: An evaluation of its impact on educational attainment and food security, FCND DP No. 138| প্রকাশক = International Food Policy Research Institute}}</ref> দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রবর্তিত বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে।<ref name=female_stipend>{{বই উদ্ধৃতি| শেষাংশ১ = Khandker| প্রথমাংশ১ = S| শেষাংশ২= M Pitt,| প্রথমাংশ২ = N Fuwa| বছর = 2003| শিরোনাম = Subsidy to Promote Girls’ Secondary Education: the Female Stipend Program in Bangladesh| প্রকাশক = World Bank, Washington, DC}}</ref> ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাতম।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1556429/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%AD%E0%A7%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A7%AF-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B6-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80|শিরোনাম=সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ: গণশিক্ষামন্ত্রী|ওয়েবসাইট=প্রথম আলো|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2019-08-22|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190822064617/https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1556429/%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B7%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A7%25AD%25E0%25A7%25A8-%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595-%25E0%25A7%25AF-%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2582%25E0%25A6%25B6-%25E0%25A6%2597%25E0%25A6%25A3%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B7%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৯-০৮-২২|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে শিক্ষার হার বর্তমানে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dainikshiksha.com/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%9C-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A7%AD%E0%A7%A8-%E0%A7%A9-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%AD%E0%A7%A9-%E0%A7%AF-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B6/162753/|শিরোনাম=দেশে শিক্ষার হার ৭৩.৯ শতাংশ, গড় আয়ু বেড়ে ৭২.৩ বছর - Dainikshiksha|শেষাংশ=Dainikshiksha|ওয়েবসাইট=Dainik shiksha|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2019-08-22}}</ref>
 
=== স্বাস্থ্য খাত ===
{{মূল নিবন্ধ|বাংলাদেশে স্বাস্থ্য}}
দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশে [[অপুষ্টি]] একটি দুরূগ সমস্যা যা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। অপুষ্টিজনিত কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসাবে পরিচিত শিশুরা [[বিশ্ব ব্যাংক|বিশ্ব ব্যাংকের]] জরীপে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে যা মোটেই কাঙ্খিত নয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Child and Maternal Nutrition in Bangladesh|ইউআরএল=http://www.unicef.org/bangladesh/Child_and_Maternal_Nutrition(1).pdf|সংগ্রহের-তারিখ=১২ জুন ২০১২|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120906061153/http://www.unicef.org/bangladesh/Child_and_Maternal_Nutrition(1).pdf|আর্কাইভের-তারিখ=৬ সেপ্টেম্বর ২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Bangladesh has world’s highest malnutrition rate|ইউআরএল=http://southasia.oneworld.net/todaysheadlines/bangladesh-has-highest-rate-of-malnutrition-in-the-world|সংগ্রহের-তারিখ=১২ জুন ২০১২|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120115171815/http://southasia.oneworld.net/todaysheadlines/bangladesh-has-highest-rate-of-malnutrition-in-the-world|আর্কাইভের-তারিখ=১৫ জানুয়ারি ২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> মোট জনগোষ্ঠীর ২৬% অপুষ্টিতে ভুগছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The state of food insecurity in the food 2011|ইউআরএল=http://www.fao.org/docrep/014/i2330e/i2330e.pdf|সংগ্রহের-তারিখ=১২ জুন ২০১২|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120514084113/http://www.fao.org/docrep/014/i2330e/i2330e.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=১৪ মে ২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
৪৬% শিশু মাঝারি থেকে গভীরতর পর্যায়ে ওজনজনিত সমস্যায় ভুগছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=THE STATE OF THE WORLD’S CHILDREN 2011|ইউআরএল=http://www.unicef.org/sowc2011/pdfs/SOWC-2011-Main-Report_EN_02092011.pdf|সংগ্রহের-তারিখ=১২ জুন ২০১২|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120601175922/http://www.unicef.org/sowc2011/pdfs/SOWC-2011-Main-Report_EN_02092011.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=১ জুন ২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> ৫ বছর বয়সের পূর্বেই ৪৩% শিশু মারা যায়। প্রতি পাঁচ শিশুর একজন [[ভিটামিন এ]] এবং প্রতি দু'জনের একজন [[রক্তস্বল্পতা|রক্তস্বল্পতাজনিত]] [[রোগ|রোগে]] ভুগছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=High Malnutrition in Bangladesh prevents children from becoming "Tigers"|ইউআরএল=http://www.gainhealth.org/press-releases/high-malnutrition-bangladesh-prevent-children-becoming-%E2%80%9Ctigers%E2%80%9D|সংগ্রহের-তারিখ=১২ জুন ২০১২|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140915214220/http://www.gainhealth.org/press-releases/high-malnutrition-bangladesh-prevent-children-becoming-%E2%80%9Ctigers%E2%80%9D|আর্কাইভের-তারিখ=১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
 
তবে গত দুই শতকে মানুষের খাদ্যগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১৩: ২০৪০ গ্রাম দৈনিক) এবং সুষম খাদ্যাভাস গড়ে উঠেছে যার ফলস্বরূপ অকাল মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং জনগণের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৬ বৎসরে (২০১৬ খ্রি:) উন্নীত হয়েছে।<ref name="গড় আয়ু">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=গড় আয়ু এখন ৭১ দশমিক ৬ বছর|ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1157416/গড়-আয়ু-এখন-৭১-দশমিক-৬-বছর|সংগ্রহের-তারিখ=২৯ এপ্রিল ২০১৮|কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]]|তারিখ=২৫ এপ্রিল ২০১৭|ভাষা=bn}}</ref> বহু সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং ১৩ হাজার কমিউনিটি হাসাপাতালে মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান অনেকাংশে উন্নীত হয়েছে। জন্মকালে শিশু মৃত্যু হার (২০১৩: হাজারে ৫৩ জন) ও মাতৃমৃত্যুর হার (২০১৩: হাজারে ১৪৩ জন) উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে।<ref>''Bangladesh Marching Ahead'', Prime Minister's Office, March 2014</ref>
৫৯৭ ⟶ ৬২২ নং লাইন:
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু বা [[কাবাডি]]। এই খেলার মতোই বাংলাদেশের অধিকাংশ নিজস্ব খেলাই উপকরণহীন কিংবা উপকরণের বাহুল্যবর্জিত। উপকরণবহুল খুব কম খেলাই বাংলাদেশের নিজস্ব খেলা। উপকরণহীন খেলার মধ্যে ''[[এক্কাদোক্কা]]'', ''[[দাড়িয়াবান্দা]]'', ''[[গোল্লাছুট]]'', ''[[কানামাছি]]'', ''[[বরফ-পানি]]'', ''[[বউচি]]'', ''[[ছোঁয়াছুঁয়ি]]'' ইত্যাদি খেলা উল্লেখযোগ্য। উপকরণের বাহুল্যবর্জিত বা সীমিত সহজলভ্য উপকরণের খেলার মধ্যে ''[[ডাঙ্গুলি]]'', ''[[সাতচাড়া]]'', ''[[রাম-সাম-যদু-মধু]]'' বা ''চোর-ডাকাত-পুলিশ'', ''[[মার্বেল খেলা]]'', ''রিং খেলা'' ইত্যাদির নাম করা যায়। ''[[সাঁতার]]'', বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায় ছাড়া, সাধারণ্যের কাছে আলাদা ক্রীড়া হিসেবে তেমন একটা মর্যাদা পায় না, যেহেতু বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবশ্যকীয়ভাবে সাঁতার শিখতে হয়। গৃহস্থালী খেলার মধ্যে ''[[লুডু]]'', ''[[লুডু|সাপলুডু]]'', ''[[দাবা]]'' বেশ প্রচলিত। এছাড়া ''[[ক্রিকেট]]'' ও ''[[ফুটবল|ফুটবলের]]'' মতো বিভিন্ন বিদেশী খেলাও এদেশে বেশ জনপ্রিয়।
 
১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল [[কেনিয়া]]কে হারিয়ে আইসিসি ট্রফি জয় করে, যার ফলে ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবারের মতো তারা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। সেবার প্রথম পর্বে বাংলাদেশ [[স্কটল্যান্ড]] ও [[পাকিস্তান]] ক্রিকেট দলকে পরাজিত করে। এছাড়া ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল [[টেস্ট ক্রিকেট]] খেলার মর্যাদা লাভ করে। ক্রিকেট দলের মধ্যে ধারাবাহিক সাফল্যের অভাব থাকলেও তারা বিশ্বের প্রধান ক্রিকেট দলগুলোকে, যেমন: [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া]], [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তান]], [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ড]], [[শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল|শ্রীলংকাকে]] হারিয়ে এসেছে। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের [[২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|ক্রিকেট বিশ্বকাপে]] বাংলাদেশ অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি দল [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারত]] ও [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকাকে]] এবং [[২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|২০১৫ বিশ্বকাপে]] [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডকে]] নাটকীয়ভাবে পরাজিত করে বিশ্বক্রিকেটে বিশেষ আলোচনার ঝড় তোলে। টেস্ট ক্রিকেট খেলার মর্যাদা লাভ করার পর এপর্যন্ত বাংলাদেশ তিনটি টেস্ট সিরিজ জয় করেছে। প্রথমটি [[জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দল|জিম্বাবুয়ের]] সাথে ২০০৪-'০৫ খ্রিষ্টাব্দে, দ্বিতীয়টি জুলাই ২০০৯-এ [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিপরীতে এবং তৃতীয়টি ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে জিম্বাবুয়েকে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/cricket/8160263.stm |শিরোনাম=Bangladesh secure series victory |প্রকাশক=[[বিবিসি নিউজ]] |তারিখ=2009-07-20 |সংগ্রহের-তারিখ=2015-12-03 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20151222162919/http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/cricket/8160263.stm |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৫-১২-২২ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref>
বাংলাদেশের খেলোয়াড় [[সাকিব আল হাসান]] ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সব ফরম্যাট ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মর্যাদা অর্জন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/current-news/2015/02/02/214469|শিরোনাম=Jugantor - Most Popular Bangla News - Breaking News - Sports|লেখক=|তারিখ=|কর্ম=Jugantor|সংগ্রহের-তারিখ=31 October 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20191031110533/https://www.jugantor.com/current-news/2015/02/02/214469|আর্কাইভের-তারিখ=৩১ অক্টোবর ২০১৯|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref>
Bangladesh secure series victory |প্রকাশক=[[বিবিসি নিউজ]] |তারিখ=2009-07-20 |সংগ্রহের-তারিখ=2015-12-03}}</ref>
বাংলাদেশের খেলোয়াড় [[সাকিব আল হাসান]] ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সব ফরম্যাট ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মর্যাদা অর্জন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/current-news/2015/02/02/214469|শিরোনাম=Jugantor - Most Popular Bangla News - Breaking News - Sports|লেখক=|তারিখ=|কর্ম=Jugantor|সংগ্রহের-তারিখ=31 October 2019}}</ref>
 
অন্যান্য খেলার মধ্যে [[হকি]], [[হ্যান্ডবল]], [[সাঁতার]], কাবাডি এবং [[দাবা]] উল্লেখযোগ্য। এযাবৎ ৫ জন বাংলাদেশী - [[নিয়াজ মোর্শেদ]], [[জিয়াউর রহমান (দাবাড়ু)|জিয়াউর রহমান]], [[রিফাত বিন সাত্তার]], [[আবদুল্লাহ আল রাকিব]] এবং [[এনামুল হোসেন রাজীব]] - দাবায় [[গ্র্যান্ড মাস্টার (দাবা)|গ্র্যান্ড মাস্টার]] খেতাব লাভ করেছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/story.php?nid=35055 |শিরোনাম=Internet Edition |প্রকাশক=The Daily Star |তারিখ=2008-05-05 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-12-13 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110518095347/http://www.thedailystar.net/story.php?nid=35055 |আর্কাইভের-তারিখ=২০১১-০৫-১৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=না }}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/mcat.news.details.php?nid=OTY5NDg=&mid=OA== |শিরোনাম=Most popular bangla daily newspaper |প্রকাশক=Prothom Alo |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2013-12-13 }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref><ref name="fideratings">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.fide.com/ratings/topfed.phtml?ina=1&country=BAN|শিরোনাম=Ratings|লেখক=|তারিখ=|কর্ম=www.fide.com|সংগ্রহের-তারিখ=31 October 2019|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080218070520/http://www.fide.com/ratings/topfed.phtml?ina=1&country=BAN|আর্কাইভের-তারিখ=১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref><ref name="chess">[http://nation.ittefaq.com/artman/publish/article_29002.shtml Rifat gets GrandMaster title] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070927175415/http://nation.ittefaq.com/artman/publish/article_29002.shtml |তারিখ=২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ }}, দি নিউ নেশন, জুলাই ৮, ২০০৬।</ref> বাংলাদেশের খেলাধুলা নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ২৯টি খেলাধূলা সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন ফেডারেশন নিয়ন্ত্রণ করে। বাংলাদেশ, ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে যৌথভাবে ভারত ও শ্রীলংকার সাথে আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে। বাংলাদেশের রাজধানী [[ঢাকা]], বাণিজ্যনগরী [[চট্টগ্রাম]] ও চা-শিল্পের জন্য বিখ্যাত [[সিলেট|সিলেটে]] খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
 
== আরো দেখুন ==