স.ম আলাউদ্দীন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Wikipediansouravhalder (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Wikipediansouravhalder (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৮ নং লাইন:
'''স.ম আলাউদ্দীন'''নগরঘাটা ইউনিয়নে [[তালা উপজেলা]] জন্মগ্রহণ করেন।
 
তালা উপজেলার মিঠাবাড়ী গ্রামে তার বাড়ি। পিতা-মরহুম সৈয়দ আলী সরদার। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তালা কলারোয়া নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রাদেশিক সদস্য নির্বাচীত হন। এরপর কয়েক বার তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত হন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার কারাবরণ করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তালার জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাগতার মধ্যে দিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর পাটকেলঘাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়েও তিনি কিছুদিন শিক্ষাগতা করেন। তিনি ছিলেন সমাজসেবক গরীব দুঃখি মেহনতী মানুষের অকৃতিম বন্ধু। মৃত্যুর ২বছর পূর্বে খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের কার্পাসডাঙ্গা নামক স্থানে আলাউদ্দীন ফুডস্ এন্ড কেমিক্যাল নামক একটি বিস্কুট ফ্যাক্টারি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পেশা ভিত্তিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং অধ্যক্ষ ছিলেন। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি, সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতিসহ অসংখ্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন সাতক্ষীরার নিরপেক্ষ দৈনিক পত্রদূতের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ১৯৯৬ সালে ১৯ জুন সাতক্ষীরার নিজ পত্রিকা অফিসে কর্মরত অবস্থায় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে আততায়ীর হাতে খুন হন। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠা ও গণমানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে সাতক্ষীরাবাসীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে আমৃত্যু যা সবাইকে বহণ করে যেতে হবে। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১০ সময়ের ব্যবধানে কেটেছে অনেক বছর আজও আলাউদ্দীন হত্যার বিচার হয়নি। ‘বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে’ মরহুম আলাউদ্দীন ভাই যে দলের নেতা ছিলেন সেই দল সরকারে থাকা অবস্থায় তিনি খুন হন। তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতা ও সমাজ কর্মী নন তিনি ছিলেন একজন সাংবাদিকও। দীর্ঘ ২৩ বছর সাংবাদিক সমাজ এই ঘৃণিত বরবর হত্যার বিচার দাবী করে মাঠে রয়েছে। স.ম আলাউদ্দীন ঘুরে বেড়িয়েছেন শহর থেকে গ্রাম কখনো মটর সাইকেল, আবার কখনও পায়ে হেঁটে। সাধারণ মানুষের কথা তিনি শুনেছেন কারোর অভাব, অভিযোগের কথা গুলো তিনি ভাল ভাবে শুনতেন মাটি ও মানুষের সাথে তার ছিল নিবিড় সম্পর্ক। এই মানুষটির মৃত্যুতে আজ তারা শোকাহত মর্মাহত।
 
==শিক্ষা==