পটুয়াখালী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Great Hero32 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৫৮ নং লাইন:
|area_blank1_km2 =
|area_blank1_sq_mi =
|population_total = ৬৯,৮৩৭ <ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=https://www.citypopulation.de/Bangladesh-UA.html?cityid=2452|titleশিরোনাম= পটুয়াখালী শহরের জনসংখ্যা |publisherপ্রকাশক= |accessসংগ্রহের-dateতারিখ= 2019-10-15}}</ref>
|population_density_km2 = auto
|population_as_of = ২০১১
৮৫ নং লাইন:
 
== নাম ==
"পটুয়াখালী" নামের উৎস সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। জনসাধারণের বিশ্বাস অনুসারে এই নামটি [[বাংলা ভাষা | বাংলা নাম]] থেকে উদ্ভূত হয়েছে "পাতুয়ার খাল" যা বর্তমানে পটুয়াখালী শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়ে [[বঙ্গোপসাগর| বঙ্গোপসাগরে]] গিয়ে পতিত হয়েছে। কথিত আছে যে সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুতে পর্তুগিজ জলদস্যুরা এই খাল দিয়ে এই অঞ্চলে নিয়মিত আক্রমণ চালাত। স্থানীয় লোকেরা এর নামকরণ করেছিলেন "পাতুয়ার খাল" যার নাম এখন "পটুয়াখালী"। <ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=https://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDdfMDNfMTNfM181N18xXzUzMDE0|titleশিরোনাম= পাতুয়ার খাল থেকে পটুয়াখালী |publisherপ্রকাশক= দৈনিক ইত্তেফাক|accessসংগ্রহের-dateতারিখ= 2019-10-19}}</ref> অস্ট্রিক বংশোদ্ভূত লোকেরা সম্ভবত এই অঞ্চলে সর্বপ্রথম স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন।
 
== ইতিহাস ==
ঐতিহাসিকভাবে, চৌদ্দ শতকে পটুয়াখালী [[চন্দ্রদ্বীপ]] রাজ্যের অংশ ছিল। বর্তমান শহরটি তখন জঙ্গলে পূর্ণ ছিল এবং নদীর তীরে একটি ছোট বাজার সপ্তাহে একবার বসতো। বাংলায় ব্রিটিশ শাসনামলে পটুয়াখালী শহরের ভূখন্ডের মালিক ছিল এক জমিদার পরিবার। ১৮৬৮ সালে বিচারকের সমন্বয়ে একটি সিভিল কোর্ট গঠন করা হয় এবং [[ব্রজমোহন দত্ত]] এর সহায়তায় ১৮৭১ সালে পটুয়াখালীকে তৎকালীন বরিশাল জেলার একটি মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয়। নদীর উত্তর তীরে, লাউকাঠি গ্রামে, মহকুমার প্রধান জমিদারদের তহসিল কাচারি অবস্থিত ছিল। [[ঢাকা বিভাগ | ঢাকা]], [[ফরিদপুর জেলা|ফরিদপুর]] এবং [[বরিশাল জেলা|বরিশাল]] জেলা থেকে জনসংখ্যার আগমনের সাথে সাথে ধীরে ধীরে একটি ইংরেজ বাজার, একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এবং একটি দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একই সাথে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিও এখানে ব্যবসার গোড়াপত্তন করল। উচ্চ বিদ্যালয়টি এবং বেগম হাসপাতাল সম্ভবত তখন শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরকারী প্রতিষ্ঠান ছিল। ১৮৮৭ সালে উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯০৪ সালে বিদ্যালয়ের সাথে একটি ছাত্রাবাস সংযুক্ত হয়। হাসপাতালটি ১৮৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং ১৯০৪ সালে একটি নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছিল, যার পুরো ব্যয়ভার বহন করেন [[ঢাকার নবাব পরিবার|ঢাকার]] [[খাজা আহসানউল্লাহ|নবাব খাজা আহসানুল্লাহ]]। তখনকার সময়ে নবাবের স্ত্রীদের উপাধি হিসেবে নামের সাথে '''[[বেগম]]''' শব্দটি যুক্ত করা হতো, তাই নবাবের স্ত্রীর৷ নামানুসারে হাসপাতালটির নামকরণ করা হয় বেগম হাসপাতাল। ভাত, জ্বালানী কাঠ, স্থানীয় তাঁতিদের তৈরি মোটা কাপড় এবং হোগলা মাদুর ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান জিনিস। ১৯১১-১২ সালে একটি হোসিয়ারি কারখানা
প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮৯২ সালের ১লা এপ্রিল [[পটুয়াখালী পৌরসভা]] গঠনের মাধ্যমে পটুয়াখালী পৌরশহরের মর্যাদা লাভ করে। কমিশনাররা প্রথমে মনোনীত হন, তবে ১৯০০ সালে নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। ১৮৭১ সালে স্থানীয় বোর্ডটি সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
 
১৪০ নং লাইন:
 
== খেলাধুলা ==
পটুয়াখালীর দুটি জনপ্রিয় খেলা হল [[ক্রিকেট]] এবং [[ফুটবল]] এবং স্থানীয় জনপ্রিয় খেলাগুলি হল [[কাবাডি]], [[খো খো]], [[লাঠি খেলা]]। শহরে [[পটুয়াখালী স্টেডিয়াম]] নামে একটি স্থানীয় স্টেডিয়াম রয়েছে। এটি স্থানীয় ক্রীড়া এবং জাতীয় অনুষ্ঠানের ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয়। পটুয়াখালীর উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় যারা জাতীয় দলে খেলেছেন তাদের মধ্যে [[সোহাগ গাজী]] অন্যতম। <ref> {{ওয়েব উদ্ধৃতি | শিরোনাম = সোহাগ গাজী - বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল | urlইউআরএল = http://www.espncricinfo.com/bangladesh/content/player/444135.html|ওয়েবসাইট= ক্রিকইনফো | তারিখ= ২০১৫-১২-২০}} </ref>
 
== শিক্ষা ==
পটুয়াখালী শহরটি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ। [[পটুয়াখালী সরকারী জয়ন্তী উচ্চ বিদ্যালয়]] বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং একটি বিখ্যাত স্কুল। স্থানীয় মাননীয় ব্যক্তিত্ব ও আধিকারিকদের দ্বারা এটি ১৮৭৬ সালে পটুয়াখালী প্রবেশিকা বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮৪ সালে তৎকালীন [[মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট | এসডিও]] মিঃ ফয়েজ উদ্দিন হোসেইন একটি নতুন জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিলেন এবং স্থানীয় জনগণের অর্থের সাহায্যে একটি এক তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেছিলেন। ১৮৮৭সালে, বিদ্যালয়টি নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয় এবং [[রানী ভিক্টোরিয়া]] সিংহাসনে আরোহণের অনুষ্ঠানের স্মারকলিপি হিসাবে নতুন নামকরণ করা হয় "পটুয়াখালী জয়ন্তী উচ্চ বিদ্যালয় বিদ্যালয়"। শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পটুখালীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য [[পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়]] রয়েছে। শহরে উল্লেখযোগ্য কলেজ এবং স্কুল রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে: [[পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ]], পটুয়াখালী সরকারী কলেজ, পটুয়াখালী সরকারী মহিলা কলেজ, লতিফ পৌর সেমিনারি, পটুয়াখালী টাউন উচ্চ বিদ্যালয়, পটুয়াখালী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ওয়াজেদাবাদ মোস্তফাবিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ইত্যাদি। এগুলি ছাড়াও শহরে দুটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, একটি [[পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট | সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট]] এবং একটি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট রয়েছে। শিক্ষাগত কার্যক্রম [[মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল]] এর অধীনে পরিচালিত হয়।
 
== পরিবহন এবং যোগাযোগ ==
১৬৪ নং লাইন:
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্রতালিকা}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের শহর]]
[[বিষয়শ্রেণী:বরিশাল বিভাগের জনবহুল স্থান]]