ভারতে জরুরি অবস্থা (১৯৭৫-১৯৭৭): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
{{essay-like}} ও {{পরিষ্করণ-পুনঃসংগঠন}} ট্যাগ ({{বিবিধ সমস্যা}}সহ) ট্যাগ যোগ করা হয়েছে (টুইং)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৮৬ নং লাইন:
    সুতরাং দেখা গেল, ভারতবর্ষের জরুরি অবস্থায় শিল্প-সংস্কৃতির গায়ে বিভিন্ন দিক থেকে নিষিদ্ধের তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এককথায় রাজশক্তির কোপ পড়েছিল এগুলির ওপর। অর্থাৎ গোষ্ঠী আক্রমণ করেছিল ব্যক্তিকে। কারণ রাষ্ট্র একটি Institution। তার কিছু নিয়ম নীতি আছে। সে চায় তার অধীনস্ত সকলে সেই নিয়ম নীতিগুলোকে মেনে চলুক। তা না হলে রাষ্ট্র নামক Institution টা ভাঙতে শুরু করবে। তখন বিপদটা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রশক্তির। রাষ্ট্রশক্তি কোনোভাবেই সেই মতটাকে বেড়ে উঠতে দেবে না। সে মত প্রগতিশীল হলেও। তাই রাষ্ট্রের আক্রমণ নেমে আসে ব্যক্তির ওপর। এমনকি রবীন্দ্রনাথও তার ব্যতিক্রম নন। তাই তাঁর লেখা কবিতা ও গানগুলির ওপরও সেন্সরের কোপ নেমে এসেছিল। আর এই দৃশ্য দেখে মনে প্রশ্ন জাগে যে, আমরা কি এই স্বাধীনতা চেয়েছিলাম? কিংবা আমরা কি আদৌ পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত হতে পেরেছিলাম? উত্তর অবশ্যই না। কারণ ভারতবর্ষের স্বাধীনতার (১৯৪৭) ২৮ বছর পরেও (১৯৭৫) ভারতবাসীর অবস্থা সেই একই জায়গাই ছিল। শুধুমাত্র ক্ষমতার হাত বদল হয়েছিল মাত্র। কিন্তু দেশবাসীর ওপর শোষণের মাত্রা একই ছিল। বলাবাহুল্য স্বাধীন ভারতবর্ষের বুকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা যে যথেষ্ট লজ্জা ও অপমানকর ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।      
 
    যাইহোক, কালের নিয়মে এই ইতিহাস হয়তো মুছে গিয়েছে, উঠে গিয়েছে জরুরি অবস্থা, ফিরে এসেছে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন, মানুষ আবার ফিরে পেয়েছে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান, সংবাদপত্র, নাটক ও চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য শিল্প- সংস্কৃতিকে। কিন্তু সেই পুরোনো ইতিহাসকে যেন আমরা ভুলে না যায়। কারণ, ইতিহাস হল সংস্কৃতি ও জীবনের অঙ্গ। আর সেই জীবনের সঙ্গে জুড়ে আছে সবকিছু। তবে সংস্কৃতির ওপর নিষেধাজ্ঞা যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একথা জোর গলায় আজও বলা যায় না। কারণ, আজও নানান রঙের শাসকের নানা ধরণেরধরনের আগ্রাসন, নানা রূপের ‘সেন্সরশিপ’ আমাদের চারপাশে চোখে পড়ে। আর এটাই আমাদের ‘ট্র্যাডিশন’। তবু শিল্প সৃষ্টির মাধ্যমেই গড়ে উঠুক শিল্পী তথা কবি-সাহিত্যিকদের প্রতিবাদী মানসিকতা এটাই সংস্কৃতিপ্রিয় মানুষ হিসাবে আমাদের একমাত্র কাম্য।
 
মহর্ষি সরকার