হাস্যরস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪৮ নং লাইন:
 
আধুনিক চীনা রসবোধ শুধুমাত্র আদিবাসী ঐতিহ্য দ্বারাই প্রভাবিত হয়নি বরং মুদ্রণ সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র, টিভি এবং ইন্টারনেট থেকে আসা বিদেশী হাস্যরস দ্বারাও প্রভাবিত হয়েছে।
১৯৩০ সালে যখন "ইউমো"(humor) কে হাস্যরসের নতুন বর্ণান্তর হিসেবে ধরা হয় তখন রম্য সাহিত্যে একটি আকর্ষণীয় উম্মাদনার সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি চীনের মত একটি আংশিক বিদেশী পেশায় থাকা গরিব এবং দুর্বল দেশে কি ধরনের কৌতুকপূর্ণ চেতনা সবচেয়ে উপযুক্ত তা নিয়ে আবেগপূর্ণ বিতর্কের সূচনা হয়। মাও যেদং এর শাসনামলে কিছু ধরনের কৌতুক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পেলেও হাস্যরসের প্রতি রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল মূলত দমনমূলক। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একটি আক্রমণাত্মক বিবাচন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ১৯৮০ সালের সামাজিক উদারীকরণ, ১৯৯০ সালের সাংস্কৃতিক বাজারের বাণিজ্যিকিকরন এবং ইন্টারনেটের আগমন প্রত্যেকেই সাম্প্রতিক দশকে চীনে নতুন ধরণেরধরনের হাস্যরস প্রচলনে সহায়তা করেছে।
 
;সামাজিক পরিবর্তনের রূপরেখা
 
হাস্যরসের সামাজিক পরিবর্তনের রূপ এই অনুমান করে যে শারীরিক আকর্ষণীয়তার মতো কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রসবোধের উপর প্রভাব ফেলে। এই তত্ত্বটি রম্যলেখক, একজন শ্রোতা এবং বিষয়বস্তুর হাস্যরসের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই নির্দিষ্ট তত্ত্বের সাথে যে দুটি পরিবর্তন জড়িত তাহলো হাস্যরসের বিষয়বস্তু এবং হাস্যকর ব্যক্তি সম্পর্কে শ্রোতাদের উপলব্ধির পরিবর্তন, যেকারনে হাস্যকর ব্যক্তি এবং শ্রোতাদের মাঝে একটি সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সামাজিক পরিবর্তনের রূপটি রসবোধকে অভিযোজিত হিসেবে বিবেচনা করে কারন এটা বর্তমান অবস্থাকে হাস্যকর করার সাথে সাথে এই বার্তা দেয় যে তার পরবর্তী ইচ্ছাও হবে হাস্যরস দেয়া। আত্মসমালোচনামূলক হাস্যরসে এই তত্ত্ব সুচিন্তিতভাবে ব্যবহার করা হয় যেখানে একজন অন্য আরেকজনের সামাজিক গোষ্ঠীর মাঝে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। যদিও অন্যের সহানুভূতি অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে আত্মসমালোচনামূলক হাস্যরস হচ্ছে দুর্বলতা এবং ভুলের পরিচায়ক তবুও এই তত্ত্ব থেকে এটা বলা যায় যে অন্য নিয়ামকগুলো অনুকূলে থাকলে এই ধরণেরধরনের রসবোধ রম্যলেখকের প্রতি আবেগপ্রবন আকর্ষণ বাড়িয়ে দিতে পারে। যেখানে হাস্যরস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সম্বন্ধীয় ক্ষমতার উন্নতি করা হয় সেখানে শিক্ষা ও পাঠদানের সময় সামাজিক পরিবর্তনের এই রূপটি ব্যবহার করা যেতে পারে। রসবোধ একটি অনুকূল এবং ঘরোয়া শ্রেণীকক্ষ পরিবেশ তৈরি করতে পারে যা শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এবং স্বতঃস্ফূর্তটায় উৎসাহী করে।
 
;শারীরিক আকর্ষণীয়তা
৬৭ নং লাইন:
#সম্মিলিত শৈলী হাস্যরস। এই প্রকারের হাস্যরসসম্পন্ন ব্যক্তিদের কৌতুককে সম্পর্কযুক্ত সম্পর্ক, অপরকে অভিভূত করা এবং দুশ্চিন্তা কমানোর একটা মাধ্যম হিসেবে নেয়ার প্রবণতা থাকে।
#স্ব-উন্নত শৈলী হাস্যরস। এই প্রকারের মানুষেরা জীবনকে একটি হাস্যময় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে থাকে। স্ব-উন্নত হাস্যরসের মানুষেরা হাস্যরসকে দুশ্চিন্তা কমানোর একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করে।
#আক্রমণাত্মক হাস্যরস। মজা পাওয়ার জন্য বর্ণবাদী কৌতুক, ব্যঙ্গ এবং অপরকে হেয় করা। এই ধরণেরধরনের হাস্যরস সেইসব মানুষ ব্যবহার করে যারা যারা তাদের কৌতুকের পরিনাম সম্পর্কে চিন্তা করে না এবং প্রধানত শ্রোতার বিনোদনের দিকেই নজর দেয়।
#আত্ত্ব-হেয়মূলক হাস্যরস। এই ধরণেরধরনের হাস্যরসের মানুষেরা আত্ত্ব-হেয়মূলক কৌতুকের মাধ্যমে অপরকে আনন্দ দিতে সচেষ্ট থাকে এবং যখন উপহাসিত হয় তখন সবার সাথে তারাও হাসিতে যোগ দেয়। ধারণা করা হয় যে, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যম হিসেবে মানুষ এই ধরণেরধরনের হাস্যরস ব্যবহার করে থাকে। এটাও বলা হয়ে থাকে যে এই ধরণেরধরনের মানুষের মাঝে একটা উহ্য নেতিবাচক অনুভূতি থাকে। তাই তারা এই হাস্যরসকে তারা তাদের গুঢ় নেচিবাচক অনুভুতিকে ঢেকে রাখার একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে।
 
হাস্যরস এবং মনস্তাত্ত্বিক কল্যাণের উপর গবেষণায় জানা যায় উচ্চস্তরের অভিযোজিত হাস্যরস (সম্মিলিত এবং স্ব-উন্নত উভয়ই) উন্নত আত্ত্ব-মর্যাদা, ইতিবাচক প্রভাব, অধিক স্ব-পারদর্শিতার সাথে দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত। এগুলোর সবই মনস্তাত্ত্বিক কল্যাণের উপাদান। এছাড়াও, সংযোজিত হাস্যরস মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা থাকার পরেও মানুষকে তাদের কল্যাণের ব্যাপারে সজাগ রাখতে পারে। অপরদিকে, অ-অভিযোজিত হাস্যরস (আক্রমনাত্মক এবং আত্ত্ব-হেয়মূলক) তুলনামূলক খারাপ মনস্তাত্ত্বিক কল্যাণের সাথে সম্পর্কযুক্ত যেটা অধিক দুশ্চিন্তা এবং হতাশা আনয়ন করে। তাই বলা যায়, যদি হাস্যরস নেচিবাচক চরিত্রের হয় তবে সেটা মনস্তাত্ত্বিক কল্যাণের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।