কবীন্দ্রবচনসমুচ্চয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৪২ নং লাইন:
 
=== জীবনমুখিনতা ===
এই কাব্যের অপর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, এর জীবনমুখিনতা। সমকালীন সময় ও সমাজের একটি খণ্ডচিত্র এই শ্লোকগুলি আমাদের সামনে উপস্থাপিত করে। সাহিত্যে রাজসভার বাইরে অবস্থিত লৌকিক জীবনের প্রভাব পড়তে শুরু করে। দরিদ্র জনসাধারণের জীবনযাত্রার প্রতিও এক অস্ফুট মমত্ব এই শ্লোকগুলিতে ফুটে উঠেছে। ডক্টর নীহাররঞ্জন রায় বলেছেন, {{Cquote|মহাকাব্য, এমন কি ছোট ছোট রসহীন, পাণ্ডিত্যপূর্ণ কাব্য বোধ হয় সমসাময়িক শিক্ষিত বাঙালীর খুব বেশি রুচিকর ছিল না; তাহার বেশি রুচিকর ছিল অপভ্রংশ এবং প্রাকৃত পদ ও ছড়া, ছোট ছোট সংস্কৃত কবিতা, প্রকীর্ণ শ্লোক। এই সব সংস্কৃত শ্লোক ও পদের মধ্যে শুধু যে সমসাময়িক সংস্কৃত কাব্যরীতির পরিচয়ই আছে তাহাই নয়, বাঙলাদেশের প্রাকৃতিক রূপ এবং সমসাময়িক বাঙালীর কল্পনা ও মানসপ্রকৃতিও সুস্পষ্ট ধরা পড়িয়াছে। <ref>''বাঙ্গালীর ইতিহাস : আদি পর্ব'', নীহাররঞ্জন রায়, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা, চতুর্থ সংস্করণ, অগ্রহায়ণ, ১৪১০ বঙ্গাব্দ, পৃ.৫৮৫</ref>}}
 
=== সংস্কৃত ও বাংলা ভাষার প্রতি মমত্ববোধ ===