কবীন্দ্রবচনসমুচ্চয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪৭ নং লাইন:
[[সংস্কৃত]] ও [[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষার]] প্রতি কবিদের মমতা ও ভালবাসাও কোনও কোনও শ্লোকে প্রকট। একটি আর্যায় বঙ্গাল নামধারী জনৈক কবি লিখেছেন, “ঘনরসময়ী গভীরা রক্তিম সুভগোপজীবিতা কবিভিঃ। অবগাঢ়া চ পুণীতে গঙ্গা বঙ্গাল বাণী চ।” অর্থাৎ, গঙ্গা ও বঙ্গালবাণী (শব্দটি দ্ব্যর্থক। এক অর্থে বঙ্গালবাণী হল বাংলা ভাষা, অপর অর্থে কবি বঙ্গালের বাণী) দুইই পবিত্র। তাই এতে অবগাহনে পূণ্য। একটি গভীর ধারা বিশিষ্ট, অপরটি মধুময় চেতনায় ভরা। উভয়েই কবির আনন্দপ্রদ। <ref>''বাংলা সাহিত্য পরিচয়'', ডক্টর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তুলসী প্রকাশনী, কলকাতা, চতুর্থ পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ, [[২০০৮]], পৃ. ১১</ref>
 
=== বিষয়বস্তু ও প্রভাব ===
অনুমিত হয়, ''কবীন্দ্রবচনসমুচ্চয়''-এর অজ্ঞাতনামা সংকলক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিলেন। তাই গ্রন্থের আদিতে [[বুদ্ধ|বুদ্ধের]] বন্দনা সংকলিত। এছাড়া কোথাও বৌদ্ধ বিষয়বস্তুর উল্লেখ মেলে না। বরং অনেকগুলি শ্লোক হরির উপর রচিত। এছাড়া গ্রীষ্ম, বর্ষা, বসন্ত ইত্যাদি ঋতুর উপর রচিত শ্লোকও পাওয়া যায়। এই শ্লোকগুলি বাস্তবধর্মী ও বর্ণনাত্মক। মাঝে মাঝে গীতিকবিতার লক্ষণও স্পষ্ট। সংকলনের দুই-তৃতীয়াংশ শ্লোক আদিরসাত্মক। এই জাতীয় শ্লোকের সংখ্যা ৩৫০।