বাংলাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সূত্রপূরণ ব্যবহার করে 2টি তথ্যসূত্র পূরণ করা হয়েছে ()
Imran Shorif Shuvo (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন, লিংক সংযোজন
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১১২ নং লাইন:
|latm=|latNS=|longd=|longm=|longEW=|languages_type=|languages2_type=|leader_name5=|leader_name6=|leader_name7=|leader_name8=|leader_name9=|FR_total_population_estimate_year=|FR_foot=|FR_total_population_estimate=|FR_total_population_estimate_rank=|FR_metropole_population_estimate_rank=}}
 
'''বাংলাদেশ''' ({{অডিও|Bn-বাংলাদেশ.oga|<small>শুনুন</small>}}) [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ার]] একটি [[সার্বভৌম রাষ্ট্র]]। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম '''গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ'''। ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]], উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, [[আসাম]] ও [[মেঘালয়]], পূর্ব সীমান্তে আসাম, [[ত্রিপুরা]] ও [[মিজোরাম]], দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে [[মায়ানমার|মায়ানমারের]] [[চিন রাজ্য|চিন]] ও [[রাখাইন রাজ্য|রাখাইন]] রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে [[বঙ্গোপসাগর]] অবস্থিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bangladesh.gov.bd/site/page/812d94a8-0376-4579-a8f1-a1f66fa5df5d/বাংলাদেশকে-জানুন|শিরোনাম=বাংলাদেশকে জানুন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=bangladesh.gov.bd|প্রকাশক=বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> ভৌগোলিকভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম [[গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ|ব-দ্বীপের]] সিংহভাগ অঞ্চল জুড়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ড অবস্থিত। নদীপ্রধান বাংলাদেশ ভূখণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী।[[নদী]]। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ছেয়ে আছে। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য [[সুন্দরবন]] ও দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকত [[কক্সবাজার]] সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশে অবস্থিত।
 
দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীন ও ধ্রুপদী যুগে বাংলাদেশ অঞ্চলটিতে [[বঙ্গ]], [[পুণ্ড্রবর্ধন|পুণ্ড্র]], [[গৌড়]], [[গঙ্গাঋদ্ধি]], [[সমতট]] ও [[হরিকেল]] নামক জনপদ গড়ে উঠেছিল। মৌর্য যুগে মৌর্য সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ ছিল অঞ্চলটি। জনপদগুলো নৌশক্তিনৌ-শক্তি ও সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল। মধ্য প্রাচ্য ও রোমান সাম্রাজ্যে মসলিন ও সিল্ক রপ্তানি করতো জনপদগুলো। প্রথম সহস্রাব্দিতে বাংলাদেশ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে [[পাল সাম্রাজ্য]], চন্দ্র রাজবংশ, [[সেন রাজবংশ]] গড়ে উঠেছিল। [[ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজী|বখতিয়ার খলজীর]] গৌড় জয়ের পরে সুলতানি ও মুগল আমলে অত্র অঞ্চলে ইসলাম ছড়িয়ে পরে।
 
মুগলমুঘল আমলে বিশ্বের মোট উৎপাদনের (জিডিপির) ১২ শতাংশ উৎপন্ন হত [[সুবাহ বাংলা|সুবাহ বাংলায়]],<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Poverty From The Wealth of Nations: Integration and Polarization in the Global Economy since 1760|প্রকাশক=[[স্প্রিঙ্গার সায়েন্স+বিজনেস মিডিয়া]]|বছর=২০১৬|পাতা=৩২|আইএসবিএন=978-0-333-98564-9|ইউআরএল=https://books.google.co.uk/books?id=suKKCwAAQBAJ&pg=PA32|শেষাংশ=আলম|প্রথমাংশ=মুহাম্মদ শাহ|পাতাসমূহ=|অবস্থান=}}</ref><ref name="star">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ=খন্দকার|প্রথমাংশ=হিশাম|তারিখ=31 July 2015|শিরোনাম=Which India is claiming to have been colonised?|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/op-ed/politics/which-india-claiming-have-been-colonised-119284|সংবাদপত্র=দ্য ডেইলি স্টার|ধরন=উপ-সম্পাদকীয়|কর্ম=|সংগ্রহের-তারিখ=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=rHJGz3HiJbcC&pg=PA259|শিরোনাম=Development Centre Studies The World Economy Historical Statistics: Historical Statistics|শেষাংশ=ম্যাডিসন|প্রথমাংশ=অ্যাঙ্গাস|বছর=২০০৩|প্রকাশক=ওইসিডি পাবলিশিং|অবস্থান=|পাতাসমূহ=২৫৯–২৬১|আইএসবিএন=9264104143}}</ref> যা সে সময় সমগ্র পশ্চিম ইউরোপের জিডিপির চেয়ে বেশি ছিল।<ref name="harrison">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Developing cultures: case studies|লেখক=লরেন্স হ্যারিসন, পিটার এল. বার্জার|প্রকাশক=রৌটলেজ|বছর=২০০৬|পাতা=১৫৮|ইউআরএল=https://books.google.co.uk/books?id=RB0oAQAAIAAJ|আইএসবিএন=9780415952798|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|পাতাসমূহ=|অবস্থান=}}</ref> ১৭৬৫ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত বাংলাদেশ ভূখণ্ডটি [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি|প্রেসিডেন্সি বাংলার]] অংশ ছিল। ১৯৪৭-এর [[ভারত ভাগ|ভারত ভাগের]] পর বাংলাদেশ অঞ্চল [[পূর্ব বাংলা]] (১৯৪৭–১৯৫৬; পূর্ব পাকিস্তান, ১৯৫৬–১৯৭১) নামে নবগঠিত [[পাকিস্তান অধিরাজ্য|পাকিস্তান অধিরাজ্যের]] অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত [[বাংলা ভাষা আন্দোলন]]<nowiki/>কে কেন্দ্র করে [[বাঙালি জাতীয়তাবাদ|বাঙালি জাতীয়তাবাদের]] বিকাশ হলে পশ্চিম পাকিস্তানের বিবিধ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ভারতের সহায়তায় গণতান্ত্রিক ও [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|সশস্ত্র সংগ্রামের]] মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ও সার্বভৌম [[জাতিরাষ্ট্র]] হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় ঘটেছে দুর্ভিক্ষ ও [[প্রাকৃতিক দুর্যোগ]]; এছাড়াও প্রলম্বিত [[রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা]] ও পুনঃপৌনিক [[বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান|সামরিক অভ্যুত্থান]] এদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বারংবার ব্যাহত করেছে। [[নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন|নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের]] মধ্য দিয়ে ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে [[সংসদীয় গণতন্ত্র|সংসদীয় শাসনব্যবস্থা]] পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার ধারাবাহিকতা আজ অবধি বিদ্যমান। সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গত দুই দশকে [[বাংলাদেশের অর্থনীতি|বাংলাদেশের অর্থনৈতিক]] প্রগতি ও সমৃদ্ধি সারা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
 
জনসংখ্যায় বিশ্বে [[জনসংখ্যা অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহের তালিকা|অষ্টম]] বৃহত্তম দেশ বাংলাদেশ, যদিও আয়তনে বিশ্বে [[আয়তন অনুসারে রাষ্ট্রসমূহের তালিকা|৯৪তম]]। ৬টি ক্ষুদ্র দ্বীপ ও নগররাষ্ট্রের পরেই [[জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহের তালিকা|বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ]] বাংলাদেশ। মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলেরও কম এই ক্ষুদ্রায়তনের দেশটির প্রাক্কলিত (২০১৮) জনসংখ্যা ১৮ কোটির বেশি অর্থাৎ প্রতি বর্গমাইলে জনবসতি ২৮৮৯ জন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১১৫ জন)।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldpopulationreview.com/countries/bangladesh-population/ |শিরোনাম=ওয়ার্ল্ড পপ্যুলেশন রিভিয়্যু তথ্যতীর্থ। |প্রকাশক=Worldpopulationreview.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2018-06-16}}</ref> দেশের জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা [[বাংলা ভাষা|বাংলা]]; সাক্ষরতার হার ৭২ শতাংশ।