সি.এন. আন্নাদুরাই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সাজিদুর (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সাজিদুর (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৮৬ নং লাইন:
তিনি একজন ভালো বাগ্মী হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন, এছাড়াও তিনি ছিলেন একজন ভালো লেখক। তিনি অনেক মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছিলেন এবং ওগুলোর কাহিনীও তিনি নিজে লিখতেন। তার অভিনয় করা কিছু মঞ্চনাটক পরে চলচ্চিত্রে রূপ পেয়েছিলো। তিনি ছিলেন প্রথম দ্রাবিড় রাজনীতিবিদ যিনি তামিল চলচ্চিত্রকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছিলেন। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া আন্নাদুরাই প্রথমে বিদ্যালয় শিক্ষক ছিলেন, এরপর তিনি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সীতে একজন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছিলেন। অনেক রাজনৈতিক ক্রোড়পত্র তিনি সম্পাদনা করতেন এবং দ্রাবিড় কড়গমের একজন সদস্য তিনি এর মধ্যেই হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ইভি রামস্বামীর অনুসারী ছিলেন এবং খুব দ্রুত রাজনৈতিক দলটির খ্যাতিমান সদস্য হতে পেরেছিলেন।
 
প্রাথমিকভাবে ইভি রামস্বামীর অনুসারী হলেও পরে তার সঙ্গে মতাদার্শিক দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন আন্নাদুরাই, আন্নাদুরাই দ্রাবিড় নাড়ু নামের একটি আলাদা একটি দেশ বানাতে চাইতেন, দেশটির রূপরেখা ছিলো তামিল সহ সকল দ্রাবিড় জনগণ আলাদা একটি ভূখণ্ডে থাকবে, এটা নিয়ে তার ইভি রামস্বামীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হতো। ইভি রামস্বামীএ তার চেয়ে অনেক ছোটো মেয়ে মণিআম্মাইকে বিয়ে করলে এই দ্বন্দ্বের অবসান হয়, আন্নাদুরাই ইভি রামস্বামীর এই কর্মকাণ্ডে রাগান্বিত হয়ে তার দল ত্যাগ করে নিজে নতুন একটি দল (দ্রাবিড় মুন্নেত্র কড়গম) তৈরি করেন তার নিজের অনুসারীদেরকে নিয়ে। আন্নাদুরাইয়ের নতুন বানানো দলটি তার আগের দলের মতোই মতাদর্শ অনুসরণ করতো কিন্তু ১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ হলে আন্নাদুরাই তার মতাদর্শ পরিবর্তন করেন, তিনি স্বাধীন দ্রাবিড় ভূখণ্ড বানানোর চিন্তা থেকে দূরে সরে আসেন।