বাংলা ভাষা আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৪ নং লাইন:
উর্দুর ব্যবহার ক্রমেই উত্তর ভারতের মুসলমানদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে, কিন্তু [[বাংলা|বাংলার]] (ব্রিটিশ ভারতের পূর্বাঞ্চলের একটি প্রদেশ) মুসলমানেরা বাংলা ভাষাকে তাদের প্রধান ভাষা হিসেবে ব্যবহারেই অভ্যস্ত ছিল। বাংলা পূর্বাঞ্চলীয় [[মধ্য ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ|মধ্য ইন্দো ভাষাসমূহ]] থেকে উদ্ভূত একটি [[ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহের তালিকা#পূর্বাঞ্চল|পূর্বাঞ্চলীয় ইন্দো-আর্য ভাষা]],<ref name=bhatta>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Bhattacharya |প্রথমাংশ=T |সম্পাদক=Gary, J. and Rubino, C. (Eds)|শিরোনাম=Encyclopedia of World's Languages: Past and Present (Facts About the World's Languages)|বছর=2001 |প্রকাশক=HW Wilson |অবস্থান=New York |আইএসবিএন=0824209702|পাতাসমূহ= |অধ্যায়= Bangla|অধ্যায়ের-ইউআরএল=http://www.homepages.ucl.ac.uk/~uclyara/bong_us.pdf|বিন্যাস=PDF|সংগ্রহের-তারিখ= 2007-06-20}}</ref> যা [[বাংলার নবজাগরণ|বাংলার নবজাগরণের]] সময়ে বিপুল বিকাশ লাভ করে। উনিশ শতকের শেষভাগ থেকেই মুসলিম নারী শিক্ষার অগ্রদূত [[রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন|বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন]] বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চা শুরু করেন এবং আধুনিক ভাষা হিসেবে বাংলার বিস্তার তখন থেকেই বিকশিত হয়। বাংলা ভাষার সমর্থকরা [[ভারত বিভাগ|ভারত ভাগের]] পূর্বেই উর্দুর বিরোধিতা শুরু করেন, যখন ১৯৩৭ সালে [[নিখিল ভারত মুসলিম লীগ|মুসলিম লীগের]] [[লক্ষ্মৌ]] অধিবেশনে বাংলার সভ্যরা উর্দুকে ভারতের মুসলিমদের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা মনোনয়নের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন। মুসলিম লীগ ছিল [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] একটি রাজনৈতিক দল, যা ভারত বিভাজনের সময় পাকিস্তানকে একটি [[ইসলাম|মুসলিম]] রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
<ref name=tariqcontrov>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=রহমান|প্রথমাংশ১=তারেক|শিরোনাম=The Urdu-English Controversy in Pakistan|সাময়িকী=Modern Asian Studies|তারিখ=ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৭|খণ্ড=৩১|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=১৭৭-২০৭|ডিওআই=10.1017/S0026749X00016978|pmid=312861 | সূত্র = Harvnb}}</ref>
আবার এদিকে ১৯৩৭ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রস্তাব করে ও সেটার বিরোধিতা করেন বাঙালিদের নেতা [[শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক]] এটার বিরোধিতা করেন। কিন্তু আবার বিতর্কটি শুরু হয় যখন পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্ম নিশ্চিত হয়। ১৯৪৭ সালের ১৭ই মে তারিখে খলীকুজ্জমান ও জুলাই মাসে [[আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়|আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়]]ের উপাচার্য [[জিয়াউদ্দিন আহমেদ|ডক্টর জিয়াউদ্দিন আহমেদ]] [[উর্দু]]কে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা করার প্রস্তাব প্রদান করেন। এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ছিলেন [[ডক্টর মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ]] ও [[মুহাম্মদ এনামুল হক]]সহ বেশ ক'জন বুদ্ধিজীবী প্রবন্ধ লিখে প্রতিবাদ জানান৷ ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে কারাচীতে অনুষ্ঠিত এক শিক্ষা সম্মেলনে [[উর্দু]] পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যার ফলে বাংলায় শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ৷
 
১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদ সদস্য [[ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত]] গণপরিষদে উর্দু ও ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলা ব্যবহারের দাবি জানান। তার দাবি অগ্রাহ্য হয় ফলে ২৬ ও ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ধর্মঘট পালিত হয়। ২ মার্চ ২। মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে "সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ" পুনর্গঠিত হয়েছিল৷ এবং ১১ মার্চ সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয় এবং বাংলা ভাষা দাবি দিবস ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম ছাত্রলীগ এই কর্মসূচি পালনে বিশিষ্ট ভুমিকা পালন করে।
 
[[শেখ মুজিব]], [[শামসুল হক]], [[অলি আহাদ]]সহ ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করলে ঢাকায় ১৩-১৫ মার্চ ধর্মঘট পালিত হয়। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে পুর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী [[খাজা নাজিমুদ্দিন]] ১৫ই মার্চ ৮ দফা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিগুলো ছিল-
৩৬ নং লাইন:
# ২৯ ফেব্রুয়ারি হতে জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করতে হবে।
#পূর্ব বাংলার সরকারি ভাষা হিসাবে ইংরেজি উঠে যাবার পর বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসাবে প্রবর্তন করা হবে।
# রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলন " রাষ্ট্রের দুশমনদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয় নাই" এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী ভুল স্বীকার করে বক্তব্য দিবেন।<ref name="NCTB9">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ভাষা আন্দোলনের পটভূমি|লেখক=জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড,বাংলাদেশ (নবম-দশম শ্রেণী) |ধরন= বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়|dateতারিখ=২০১৫|পৃষ্ঠা=১ থেকে ৪ পর্যন্ত}}</ref>
 
== আন্দোলনের সূচনা ==