উসমানীয় সাম্রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৫২ নং লাইন:
এবং ধীরে ধীরে একটি বৃহত [[সুলতান|সালতানাত]] প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি [[সেলযুক রাজবংশ|সেলজুক রাজবংশের]] জামাতাও ছিলেন <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|ইউআরএল=http://www.britannica.com/EBchecked/topic/434996/Ottoman-Empire |শিরোনাম=Ottoman Empire |প্রকাশক=Britannica Online Encyclopedia
|সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}</ref> এবং [[প্রথম উসমান|প্রথম উসমানের]] মাতা [[হালিমা হাতুন|হালিমে সুলতান]] ছিলেন সেলজুক [[শাহজাদা নুমান]] এর মেয়ে অর্থাৎ [[আরতুগ্রুল|আর্তুগুলের]] স্ত্রীস্ত্রী। [[প্রথম মুরাদ]] কর্তৃক [[উসমানীয় সাম্রাজ্যের উত্থান|বলকান জয়ের]] মাধ্যমে উসমানীয় সাম্রাজ্য বহুমহাদেশীয় সাম্রাজ্য হয়ে উঠে এবং খিলাফতের দাবিদার হয়। ১৪৫৩ সালে সুলতান [[দ্বিতীয় মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|দ্বিতীয় মুহাম্মদের]] [[কনস্টান্টিনোপল বিজয়|কনস্টান্টিনোপল জয়]] করার মাধ্যমে উসমানীয়রা [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য]] উচ্ছেদ করে।
১৫২৬ সালে হাঙ্গেরি জয়ের পর ইউরোপের [[বলকান অঞ্চল]] সমূহ নিয়ে বড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
<ref>The A to Z of the Ottoman Empire, by Selcuk Aksin Somel,
১৬১ নং লাইন:
১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে বিশেষত সুলতান [[প্রথম সুলাইমান|প্রথম সুলাইমানের]] সময় উসমানীয় সাম্রাজ্য দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, উত্তরে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকা ও হর্ন অব আফ্রিকা জুড়ে , মধ্যপ্রাচ্য ও আরব অঞ্চলসহবিস্তৃত একটি শক্তিশালী বহুজাতিক, বহুভাষিক সাম্রাজ্য ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.oxfordislamicstudies.com/article/opr/t125/e1801?_hi=41&_pos=3 |শিরোনাম=Ottoman Empire |প্রকাশক=Oxford Islamic Studies Online |তারিখ=6 May 2008 |সংগ্রহের-তারিখ=26 August 2010}}</ref> ১৭শ শতাব্দীর শুরুতে সাম্রাজ্যে ৩৬টি প্রদেশ ও বেশ কয়েকটি অনুগত রাজ্য ছিল। এসবের কিছু পরে সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত করে নেয়া হয় এবং বাকিগুলোকে কিছুমাত্রায় স্বায়ত্ত্বশাসন দেয়া হয়।
 
উসমানীয় সাম্রাজ্য সুদীর্ঘ ছয়শত বছরেরও বেশী ধরে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে। তবে দীর্ঘদিনব্যাপী ইউরোপীয়দের তুলনায় সামরিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে। ধারাবাহিক অবনতির ফলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ে এবং [[বলকান ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] পর সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরপর [[আনাতোলিয়া|আনাতোলিয়ায়]] নতুন প্রজাতন্ত্র হিসেবে আধুনিক [[তুরস্ক|তুরস্কের]] উদ্ভব হয়। [[বলকান]] ও [[মধ্যপ্রাচ্য|মধ্যপ্রাচ্যে]] সাম্রাজ্যের সাবেক অংশগুলো প্রায় ৪৯টি নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।<ref name="Mikhail">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Mikhail|প্রথমাংশ=Alan|শিরোনাম=Nature and Empire in Ottoman Egypt|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=5dsVnMFYCQUC&pg=PA7|সংগ্রহের-তারিখ=11 June 2013|বছর=2011|প্রকাশক=Cambridge University Press|আইএসবিএন=978-1-139-49955-2|পাতা=7}}</ref>
 
==নাম==
১৯৭ নং লাইন:
উসমানীয় সাম্রাজ্য ও [[ফ্রান্স]] [[হাবসবার্গ]] শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং শক্তিশালী মিত্রে পরিণত হয়। ফরাসি ও উসমানীয়রা যৌথ প্রচেষ্টায় ১৫৪৩ সালে নাইস ও ১৫৫৩ সালে করসিকা জয় করে নেয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Imber|প্রথমাংশ=Colin|শিরোনাম=The Ottoman Empire, 1300–1650: The Structure of Power|বছর=2002|প্রকাশক=Palgrave Macmillan|আইএসবিএন=0-333-61386-4|পাতা=53}}</ref> নাইস অবরোধের এক মাস আগে এজতেরুগুম জয়ের সময় ফ্রান্স উসমানীয়দেরকে গোলন্দাজ ইউনিট দিয়ে সহায়তা করেছিল। উসমানীয়রা আরো সামনে অগ্রসর হওয়ার পর হাবসবার্গ শাসক ফার্ডিনেন্ড ১৫৪৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উসমানীয়দের বশ্যতা স্বীকার করে নেন।
 
১৫৫৯ সালে [[উসমানীয়-পর্তুগিজ সংঘর্ষ (১৫৩৮-৫৭)|প্রথম আজুরাম পর্তুগিজ যুদ্ধের]] পর উসমানীয় সাম্রাজ্য দুর্বল আদাল সালতানাতকে সাম্রাজ্যের অংশ করে নেয়। এই সম্প্রসারণ [[সোমালিয়া]] ও [[আফ্রিকার শিং|হর্ন অব আফ্রিকা]] পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পর্তুগিজদের সাথে প্রতিযোগীতার জন্য ভারত মহাসাগরে প্রভাব বাড়ানো হয়।<ref name="Clifford">E. H. M. Clifford, [http://www.jstor.org/stable/1785556 "The British Somaliland-Ethiopia Boundary", ''Geographical Journal''], 87 (1936), p. 289</ref>
 
[[প্রথম সুলাইমান|প্রথম সুলাইমানের]] শাসনের সমাপ্ত হওয়ার সময় সাম্রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫,০০০,০০০ এবং তিন মহাদেশব্যপী সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। উপরন্তু সাম্রাজ্য একটি শক্তিশালী নৌ শক্তি হয়ে উঠে। ভূমধ্যসাগরের অধিকাংশ এলাকা উসমানীয়রা নিয়ন্ত্রণ করত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Mansel|প্রথমাংশ=Philip|শিরোনাম=Constantinople : city of the world's desire 1453–1924|বছর=1997|প্রকাশক=Penguin|অবস্থান=London|আইএসবিএন=0-14-026246-6|পাতা=61}}</ref> এই সময় নাগাদ উসমানীয় সাম্রাজ্য ইউরোপের রাজনৈতিক পরিমন্ডলের বৃহৎ অংশ হয়ে উঠে। উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক ও সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব [[রোমান সাম্রাজ্য|রোমান সাম্রাজ্যের]] সাথে তুলনা করা হয়।
২৫১ নং লাইন:
[[তানজিমাত]] যুগে ধারাবাহিক সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে যোগদান, ব্যাংকিং প্রক্রিয়া সংস্কার, সেকুলার আইনের প্রবর্তন<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Ishtiaq|প্রথমাংশ=Hussain|শিরোনাম=The Tanzimat: Secular reforms in the Ottoman Empire|ইউআরএল=http://faith-matters.org/images/stories/fm-publications/the-tanzimat-final-web.pdf|প্রকাশক=Faith Matters}}</ref> ও আধুনিক কারখানার প্রবর্তন করা হয়। ১৮৪০ সালের ২৩ অক্টোবর উসমানীয় ডাক মন্ত্রণালয় স্থাপিত হয়।<ref name="PTT">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.ptt.gov.tr/tr/kurumsal/tarihce.html |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080913233443/http://www.ptt.gov.tr/tr/kurumsal/tarihce.html |আর্কাইভের-তারিখ=১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ |শিরোনাম=PTT Chronology |প্রকাশক=PTT Genel Müdürlüğü |ভাষা=Turkish |তারিখ=13 September 2008 |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013 |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref><ref name="PTT2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.ptt.gov.tr/index.snet?wapp=histor_en&open=1 |শিরোনাম=History of the Turkish Postal Service |প্রকাশক=Ptt.gov.tr |সংগ্রহের-তারিখ=6 November 2011 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://www.webcitation.org/60fvalW5U?url=http://www.ptt.gov.tr/index.snet?wapp=histor_en |আর্কাইভের-তারিখ=৪ আগস্ট ২০১১ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
[[স্যামুয়েল মোর্স]] ১৮৪৭ সালে সুলতান [[প্রথম আবদুল মজিদ (দ্ব্যর্থতা নিরসন)|প্রথম আবদুল মজিদের]] কাছ থেকে [[টেলিগ্রাফ]] নিয়ে প্যাটেন্ট লাভ করেন। সুলতান এই নতুন আবিষ্কার ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা করেছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.istanbulcityguide.com/history/body_mansions_palaces.htm |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071010112702/http://www.istanbulcityguide.com/history/body_mansions_palaces.htm |আর্কাইভের-তারিখ=১০ অক্টোবর ২০০৭ |শিরোনাম=Beylerbeyi Palace |প্রকাশক=Istanbul City Guide |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013 |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}{{dead link|date=April 2014}}</ref> এই সফল পরীক্ষার পর তুরস্কে প্রথমবারের মত ইস্তানবুল-এডির্ন-শুমনু লাইনে টেলিগ্রাফ স্থাপন করা হয়।<ref name="NTVtarih2">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ntvtarih.com.tr/ |সংখ্যা নং=July 2011 |শিরোনাম=Sultan Abdülmecid: İlklerin Padişahı |পাতা=49 |ভাষা=Turkish |প্রকাশক=NTV Tarih |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}</ref> ১৮৪৭ সালের ৯ আগস্ট এর কার্যক্রম শুরু হয়।<ref name="telekomhistory">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.turktelekom.com.tr/webtech/eng_default.asp?sayfa_id=30 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070928164731/http://www.turktelekom.com.tr/webtech/eng_default.asp?sayfa_id=30 |আর্কাইভের-তারিখ=২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ |শিরোনাম=History |প্রকাশক=Türk Telekom |সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013 |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}{{dead link|date=April 2014}}</ref> সংস্কারকালীন সময়ে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। এই প্রথম সংবিধান স্বল্পস্থায়ী ছিল। সংসদ চালু থাকার দুই বছর পর সুলতান তা স্থগিত করেন।
 
সাম্রাজ্যের খ্রিষ্টান নাগরিকরা উচ্চশিক্ষায় মুসলিমদের চেয়ে অগ্রসর হয়ে যায়।<ref name="books.google_b">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Stone|প্রথমাংশ=Norman|সম্পাদক=Mark Erickson, Ljubica Erickson|শিরোনাম=Russia War, Peace And Diplomacy: Essays in Honour of John Erickson|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=xM9wQgAACAAJ|সংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|বছর=2005|প্রকাশক=Weidenfeld & Nicolson|আইএসবিএন=978-0-297-84913-1|পাতা=95|অধ্যায়=Turkey in the Russian Mirror}}</ref> ১৮৬১ সালে উসমানীয় খ্রিষ্টানদের জন্য ৫৭১টি প্রাথমিক ও ৯৪টি মাধ্যমিক স্কুল ছিল যার মোট শিক্ষার্থী ছিল ১,৪০,০০০ জন যা সেসময়ে স্কুলে পড়া মুসলিম শিক্ষার্থীদের চেয়ে অনেক বেশি। মুসলিম শিক্ষার্থীরা মূলত আরবি ও ইসলাম বিষয়ে পড়াশোনা করত।<ref name="books.google_b"/> ১৯১১ সালে ইস্তানবুলের ৬৫৪টি পাইকারি কোম্পানির মধ্যে ৫২৮টির মালিক ছিল জাতিগত গ্রীকরা।<ref name="books.google_b"/>
৪২২ নং লাইন:
==সংস্কৃতি==
{{মূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের সংস্কৃতি}}
[[File:Flickr - …trialsanderrors - Yeni Cami and Eminönü bazaar, Constantinople, Turkey, ca. 1895.jpg|thumb|ইয়েনি জামি মসজিদ ও এমিননু বাজার, [[কনস্টান্টিনোপল]], আনুমানিক ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ।]]
উসমানীয়রা অধিকৃত অঞ্চলের কিছু প্রথা, শিল্প ও প্রতিষ্ঠান আত্মীকরণ করে নিয়ে তাতে নতুন মাত্রা যোগ করে। পূর্ববর্তী সাম্রাজ্যগুলোর বেশ কিছু প্রথা ও সাংস্কৃতিক দিক যেমন স্থাপত্য, রান্না, সঙ্গীত, অবসর ও সরকার উসমানীয় তুর্কিরা গ্রহণ করে এবং এগুলোকে নতুন আকারে সাজায়। ফলে বৈচিত্রময় উসমানীয় সাংস্কৃতিক পরিচয় সৃষ্টি হয়। আন্তসম্প্রদায় বিবাহ উসমানীয় অভিজাত সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখেছে। তুর্কি লোক সংস্কৃতির সাথে তুলনা করলে এই নতুন সংস্কৃতির প্রভাব স্পষ্ট হয়।
 
৫০৩ নং লাইন:
*[[উসমানীয় খিলাফত]]
*[[সেলজুক সাম্রাজ্য|সেলজুক খিলাফত]]
*[[তৈমুর লং|পৃথিবীর শাসক তৈমুর]]
*[[মুহতেশেম ইউযিউয়েল]]
*[[ফেতিহ ১৪৫৩]]
*[[দিরিলিস: আরতুগ্রুল]]
 
== নোটসমূহ ==