মোহাম্মদ দানেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্য সংযোজন
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
বানান সংশোধন
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪০ নং লাইন:
 
=== তেভাগা আন্দোলন ===
উত্তরবঙ্গই ছিল তেভাগা আন্দোলনের সুতিকাগার। উত্তরবঙ্গে এই আন্দোলনের উদ্ভব হওয়ার কারণ ছিল উত্তরবঙ্গ বরাবর জোতদার প্রধান তথা জোতদার শাসিত এলাকা। যারা এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং শত সহ¯্র বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আন্দোলনকে সার্থকতার উদ্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নেওয়ার মরণপণ সংগ্রাম করেন সেই নেতারা অধিকাংশই ছিলেন উত্তরবঙ্গবাসী। তারা হলেন দিনাজপুরের হাজী মো. দানেশ, রিপন রায়([[পার্বতীপুর]] থেকে), গুরুদাস তালুকদার, বরদা চক্রবর্তী, রূপনারায়ন রায়, হেলেকেতু সিং প্রমুখ বিপ্লবী নেতারা ছিলেন আন্দোলনের স্বাপ্নিক রূপকার। তার মধ্যে তেভাগা আন্দোলনের সর্বাধিক ত্যাগী ও তেজস্বী নেতারূপে হাজী মো. দানেশের নামটি ‘প্রবাদ পুরুষে’ পরিণত হয়। বর্গাচাষীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে তিনি উত্তরবঙ্গে তেভাগা আন্দোলন সংগঠিত করেন। তেভাগা আন্দোলনের প্রস্তুতি পর্বে দাবি ছিল ১। উৎপন্ন ফলের তিন ভাগের দু’ভাগ চাই। ২। জমিতে চাষীর দখল স্বত্ব দিতে হবে। ৩। শতকরা সাড়ে বারো ভাগের বেশি অর্থাৎ মণকরা ধানের পাঁচ সেরের বেশি সুদ নেই। ৪। হরেক রকমের আবোয়ারসহ বাজে কোনো কর আদায় করা চলবে না। ৫। রশিদ ছাড়া কোনো আদায় নেই। ৬। আবাদযোগ্য সব পতিত জমি আবাদ করতে হবে। ৭। জোতদারের পরিবর্তে ভাগচাষীদের খোলানে ধান তুলতে হবে।
 
তারা ৩টি স্লোগান নিয়ে এগিয়ে এসেছিল (ক) নিজ খোলানো ধান তোল। (খ) আধা নয় তেভাগা চাই। (গ) কর্জ ধানে সুদ নাই। ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা, তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার দুর্গাপুর থানার বাহের খালী গ্রামের রাসমনি, দিনাজপুরের কৌশলা কার্মায়নী, যশোদা রাণী, ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈলের ভান্ডারিয়া, দিনাজপুরের ঠুমনিয়ার সুরমা সিং, সুকুর চাঁদ, নবাবগঞ্জের রামচন্দ্রপুরের জমিদার বাড়ির রাজবধুর নেতৃত্বে নাচোলের সাঁওতাল, মুড়িয়াল সর্দার, রাজবংশী মাহাতো হিন্দু-মুসলিম সব সম্প্রদায়ের বর্গাচাষীরা অস্তিত্বের প্রশ্নে একাত্ম হয়েছিলেন। এ আন্দোলন বিস্তার লাভ করে বেশিরভাগ ভাবপ্রবন কোচ রাজবংশী ও সাঁওতাল আদিবাসীদের মধ্যে। তারাই ছিল বেশিরভাগ শোষিত ও বঞ্চিত সম্প্রদায়। নেতাদের উস্কানিতে যখন থেকে জোতদারের সম্মতি ব্যতিরেকে কাটা ধানের পুঞ্জ জোতদারের খামারের পরিবর্তে আধিয়ারে নিজ নিজ বাড়ির উঠানে তুলতে শুরু হয় এবং মাড়াই ধান তিন ভাগ করে দুই ভাগ নিজের জন্য রেখে বাকি ভাগ জোতদারদের দিতে শুরু করে তখনই জোতদার শ্রেণির কলিজায় আঘাত পড়ে। কিন্তু জোতদারদের পক্ষে কিছু করবার উপায় ছিল না সমবেত ক্রুদ্ধ আধিয়ারগণের উত্থানের বিরুদ্ধে। তেভাগা আন্দোলনের ফলে ইংরেজ সরকার দলন নীতির পথে অগ্রসর হয়। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ত্রিশ পঁয়ত্রিশ হাজারের মতো উত্তেজিত কৃষক শ্রমিক জনতার উপর গুলি চালানের নির্দেশ দেয়। ফলে কমপক্ষে পঁয়ত্রিশ জন নিহত এবং বহু মিছিলকারীর আহত হবার মধ্য দিয়ে তেভাগা আন্দোলনের প্রথম সশস্ত্র বিপ্লবটি সংগঠিত হয়। ১৯৫০ সালে দ্বিতীয় বিপ্লব সংগঠিত হয়। সরকার তখন নাচোলের ১২ টি গ্রাম আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। অসংখ্য রমণীকে বলাৎকার করে, গুলি করে হত্যা করে নির্বিচারে, ইলা মিত্র গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৫০ সালে পূর্ববঙ্গ অধিগ্রহণ ও প্রজাতন্ত্র আইন প্রজাস্বত্ত্ব আইন প্রণয়নে প্রভাব বিস্তার করেছিল তেভাগা আন্দোলন।তিনি তেভাগা আন্দলনের অন্যতম নেতা ছিলেন।বিশেষ করে রংপুর ও দিনাজপুরের কৃষকদের মর্ম বুঝেছিলেন।এ সমায় রিপন, হাজী মো.দানেস এর পক্ষে আন্দলনে যোগ দেন।