বাংলা ভাষা আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২৫ নং লাইন:
<ref name=tariqcontrov>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=রহমান|প্রথমাংশ১=তারেক|শিরোনাম=The Urdu-English Controversy in Pakistan|সাময়িকী=Modern Asian Studies|তারিখ=ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৭|খণ্ড=৩১|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=১৭৭-২০৭|ডিওআই=10.1017/S0026749X00016978|pmid=312861 | সূত্র = Harvnb}}</ref>
আবার এদিকে ১৯৩৭ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রস্তাব করে ও সেটার বিরোধিতা করেন বাঙালিদের নেতা [[শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক]] এটার বিরোধিতা করেন। কিন্তু আবার বিতর্কটি শুরু হয় যখন পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্ম নিশ্চিত হয়। ১৯৪৭ সালের ১৭ই মে তারিখে খলীকুজ্জমান ও জুলাই মাসে [[আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়|আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়]]ের উপাচার্য [[জিয়াউদ্দিন আহমেদ|ডক্টর জিয়াউদ্দিন আহমেদ]] [[উর্দু]]কে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা করার প্রস্তাব প্রদান করেন। এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ছিলেন [[ডক্টর মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ]] ও [[মুহাম্মদ এনামুল হক]]সহ বেশ ক'জন বুদ্ধিজীবী প্রবন্ধ লিখে প্রতিবাদ জানান৷ ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে কারাচীতে অনুষ্ঠিত এক শিক্ষা সম্মেলনে [[উর্দু]] পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যার ফলে বাংলায় শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ৷
 
<ref name="NCTB9">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ভাষা আন্দোলনের পটভূমি|লেখক=জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড,বাংলাদেশ (নবম-দশম শ্রেণী) |ধরন= বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়|date=২০১৫|পৃষ্ঠা=১ থেকে ৪ পর্যন্ত}}</ref>
১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত গণপরিষদে উর্দু ও ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলা ব্যবহারের দাবি জানান। তার দাবি অগ্রাহ্য হয় ফলে ২৬ ও ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ধর্মঘট পালিত হয়। ২ মার্চ ২। মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে "সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ" পুনর্গঠিত হয়েছিল৷ এবং ১১ মার্চ সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয় এবং বাংলা ভাষা দাবি দিবস ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম ছাত্রলীগ এই কর্মসূচি পালনে বিশিষ্ট ভুমিকা পালন করে।
 
[[শেখ মুজিব]], [[শামসুল হক]], [[অলি আজাদ]]সহ ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করলে ঢাকায় ১৩-১৫ মার্চ ধর্মঘট পালিত হয়। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে পুর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী [[খাজা নাজিমুদ্দিন]] ১৫ই মার্চ ৮ দফা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিগুলো ছিল-
# ভাষার প্রশ্নে গ্রেপ্তার করা সবাইকে মুক্তি প্রদান করা হবে।
#পুলিশি অত্যাচারের বিষয়ে তদন্ত করে একটি বিবৃতি প্রদান করা হবে।
#বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা করার জন্য পূর্ব বাংলার আইন পরিষদে একটি বিশেষ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।
# সংবাদপত্রের উপর হতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
#আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।
# ২৯ ফেব্রুয়ারি হতে জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করতে হবে।
# রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলন " রাষ্ট্রের দুশমনদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয় নাই" এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী ভুল স্বীকার করে বক্তব্য দিবেন।<ref name="NCTB9">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ভাষা আন্দোলনের পটভূমি|লেখক=জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড,বাংলাদেশ (নবম-দশম শ্রেণী) |ধরন= বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়|date=২০১৫|পৃষ্ঠা=১ থেকে ৪ পর্যন্ত}}</ref>
 
== আন্দোলনের সূচনা ==