পুলিনবিহারী দাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎আন্দামান জেল: তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন
৩০ নং লাইন:
 
===আন্দামান জেল===
১৯১০ সালের জুলাই মাসে ৪৬জন বিপ্লবী সহযোগে পুলিন বিহারী দাশকে ঢাকা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আরও ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিচারে পুলীনবাবুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া এবং [[সেলুলার জেল]]-এ স্থানান্তর করা হয় যেখানে [[হেমচন্দ্র কানুনগো|হেমচন্দ্র দাস]], [[বারীন্দ্রকুমার ঘোষ]], [[বিনায়ক দামোদর সাভারকর|বিনায়ক সাভারকর]]-এর মত বিখ্যাত বিপ্লবীদের সান্নিধ্যে তিনি আসেন। তিনি এবং [[ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী]] উভয়েই ছিলেন অনুশীলন সমিতির প্রথম যুগের নেতা যারা সেলুলার জেলে বন্দি ছিলেন।<ref>চিন্মোহন সেহানবীশ গণেশ ঘোষ ও অন্যান্য, ''মুক্তির সংগ্রামে ভারত'', পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা দ্বিতীয় সংস্করণ ডিসেম্বর ২০১০ পৃষ্ঠা ৫৬ </ref>
১৯১৮ সালে পুলিনের সাজা কিছুটা কমে এবং তাকে বাড়িতে নজরবন্দী করে রাখা হয় এবং ১৯১৯ সালে তাকে পুরিপুরিভাবে মুক্তি দেওয়া হয় এবং মুক্তি পাওয়ার পর সমিতির কাজে আত্মনিয়োগ করার চেষ্টা করেন কিন্তু তখন তার সেই সংগঠনকে সরকার নিষিদ্ধ করার ফলে তার সদস্যরা এখানে ওখানে ছড়িয়ে পড়েন। এরপর [[নাগপুর]] ও পরে [[কলকাতা]]য় কংগ্রেস অধিবেশনে অবশিষ্ট বিপ্লবীরা [[মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী]]র আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অসহযোগ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন কিন্তু পুলিন বিহারী দাশ কখনও মোহনদাসের আদর্শের সাথে আপোস করতে চাননি এবং তাকে তার নেতা বলে মানতে পারেননি। সেই সময় তার সমিতির নিষিদ্ধকরণ হওয়ার ফলে ১৯২০ সালে ভারত সেবক সঙ্ঘ নামে আর একটি দল গঠন করেন। এরপর ব্যারিস্টার এস.আর.দাসের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘হক কথা’ এবং ‘স্বরাজ’ নামে দুটি সাময়িক পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং সেখানে গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সমালোচনা করেন। সমিতির কাজ গোপনে চললেও সমিতির সাথে তার বিরোধ এরপর প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপর সমিতির সাথে তিনি সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন এবং ভারত সেবক সঙ্ঘকে ভেঙ্গে দিয়ে ১৯২২ সালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন। ১৯২৮ সালে কলকাতার মেছুয়া বাজারে বঙ্গীয় ব্যয়াম সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। এটা ছিল শারীরিক প্রশিক্ষণের একটি কেন্দ্র এবং কার্যত: একটি আখড়া যেখানে যুবকদের লাঠি চালনা, তলোয়ার চালনা ও কুস্তি শেখানো হত।