চতুরঙ্গ (চলচ্চিত্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪১ নং লাইন:
এই সময়ে লীলানন্দের কোনও এক শিষ্য মৃত্যুকালে তাঁর যাবতীয় সম্পত্তি ও যুবতী স্ত্রী দামিনীর ভার তুলে দিয়ে যায় তার গুরুর হাতে। লীলানন্দ সেই শিষ্যের বাড়িতেই নিজ আখড়া স্থাপন করেন। কিন্তু দামিনী তার এই হস্তান্তর অপমান হিসাবেই গ্রহণ করে। সে জীবনরসের রসিক। নাটক-নভেল পড়ে সময় কাটায়। ধর্ম নিয়ে বড় মাথা ঘামায় না। লীলানন্দকে সে সর্বসমক্ষেই উপেক্ষা ও অবহেলা করতে থাকে। কিন্তু গোপনে শচীশের সঙ্গে তার হৃদয় বিনিময় হয়ে যায়।
 
শচীশ দামিনীর আবেদনকে অগ্রাহ্য করতে থাকে নানা উপায়ে। লীলানন্দের সাংবাৎসরিক তীর্থভ্রমণ কালে এক অন্ধকার গুহায় নির্জনে সে নিদ্রিত শচীশের দেহসঙ্গ লিপ্সা করে। কিন্তু শচীশের দৃঢ় পদাঘাতে তাকে দূর করে দেয়। এরপর থেকে এক তীব্র দৈহিক ক্ষুধা পেয়ে বসে শচীশকে। দামিনীও বিদ্রোহিনী হয়ে ওঠে। প্রতিশোধকল্পে সে অন্তরঙ্গ করে নেয় শ্রীবিলাসকে।
 
এই সময়ে লীলানন্দ স্বামীর কীর্তন দলের গায়ক নবীনের বউ স্বামীর দুশ্চরিত্রতায় আত্মহননের পথ নেয়। কামনার কুটিল রূপটি প্রত্যক্ষ করে দামিনীর দৃষ্টি উন্মোচিত হয়। সে বুঝতে পারে কোন বিপদসংকুল পথের পথিক হয়েছে সে। শচীশকে সে গুরু বলে স্বীকার করতে চায়। শচীশের আইডিয়ার নেশা ঘুচে যায়। লীলানন্দ স্বামীর দলও ভেঙে যায়। শচীশ, দামিনী ও শ্রীবিলাস দলত্যাগ করে।
 
তিনজনে একটি নির্জন পোড়ো বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করে। শচীশ দামিনীর ভালবাসার বন্ধন কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে থাকে। প্রাণপণে দূরে সরিয়ে দেয় দামিনীকে। দামিনী ততই সেবার মাধ্যমে তাকে বাঁধার চেষ্টা করে। কিন্তু তার সমস্ত উদযোগ ব্যর্থ হলে, হতাশ্বাস হতোদ্যম দামিনী অনন্যোপায় ফিরে যেতে চায় লীলানন্দের আখড়ায়। তখনই শ্রীবিলাস তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়।
 
দামিনী আবিষ্কার করে তার অজ্ঞাতেই কখন শ্রীবিলাসে তার মন আকৃষ্ট হয়েছে। শচীশ দামিনী ও শ্রীবিলাসের বিবাহ সম্পাদনা করে। এরপর সে শ্রীবিলাসকে জ্যাঠামশায়ের উইলের সূত্রে পাওয়া তার যাবতীয় সম্পত্তি ভোগদখলের অধিকার দিয়ে আবার নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। আর তার খোঁজ পাওয়া যায় না।
 
স্নেহবিধুর দীর্ঘ দাম্পত্যও দামিনীর ভাগ্যে সয় না। অবহেলায় অযত্নে তার দেহও ভঙ্গুর হয়ে এসেছিল। শেষে ভালবাসার অতৃপ্তি বুকে নিয়ে সেও এই পৃথিবীর রসলোক ত্যাগ করে।
 
== অভিনেতা ও কলাকুশলীগণ ==