সৎসঙ্গ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎আশ্রমের শুরুর ইতিহাস: পরম প্রেমময় শ্রীশ্রীঠকুর দেওঘরে আসার পর > পরম প্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর দেওঘরে আসার পর
→‎আশ্রমের শুরুর ইতিহাস: আমেরিকা থেকে হাবার্ট বিশ^বিদ্যালয়ের> আমেরিকা থেকে হাবার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের
৪৭ নং লাইন:
 
====আশ্রমের শুরুর ইতিহাস====
পরম প্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর দেওঘরে আসার পর এখানেও (সৎসঙ্গ আশ্রম দেওঘর) তাকে ঘিরে রচিত হয় অমৃতলোভা মধুচক্র। তাকে দর্শন করতে, তার সান্নিধ্য পেতে, তার আদর্শবাদ জানতে ও বুঝতে জাতি-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে দেশ-বিদেশের নানা মানুষ আসতে থাকেন। <ref>দয়াল ঠাকুর, পৃষ্ঠা:৩৭</ref> নিত্য আসতে লাগল দর্শক সাধু, সুধী, দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃন্দ। নানাজনে নানা জিজ্ঞাসা নিয়ে এসে সমাধান পেতে লাগল শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে থেকে। দেশে বিদেশে পাঠানো হলো ঋত্বিক। লক্ষ লক্ষ বেড়ে গেল সৎসঙ্গী। আমেরিকা থেকে হাবার্ট বিশ^বিদ্যালয়েরবিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট উপাধিপ্রাপ্ত হাউজ্যারম্যান, স্পেনর্স, ল্যুটস্ম্যান প্রমুখ কতিপয় পাশ্চাত্য পন্ডিত শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে দীক্ষা গ্রহণ করে রয়ে গেলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের স্থায়ী পার্ষদ রূপে আশ্রমে। দশ-বারোটি বছরের মধ্যেই বিশ^ব্যাপী আদর্শ মানবধর্ম প্রচারের কেন্দ্র রূপে এক আন্তর্জাতিক পীঠস্থানের রূপ গ্রহণ করল দেওঘর সৎসঙ্গ আশ্রম।। <ref name="ReferenceB">শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও সৎসঙ্গ বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা: ৬০</ref>
দেওঘরে শ্রীশ্রীঠাকুরের উত্তর-লীলার ২৩ বছরে বিভিন্ন সময়ে দেশের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে যারা আসেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য লালবাহাদুর শাস্ত্রী, অনন্ত শায়নম্, আয়েঙ্গার, গুলজারিলাল নন্দ, ডি. আলগেসান্, পন্ডিত বিনোদানন্দ ঝা প্রমুখ।<ref>দয়াল ঠাকুর, পৃষ্ঠা:৩৭,৩৮</ref> অল্পদিনের ভেতরেই বিহার (ঝাড়খন্ড) হয়ে উঠল সমগ্র ভারতের ধ্যানকেন্দ্র। দেশের নানাপ্রান্ত হতে দর্শণার্থীর ভীড় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে লাগল। পাবনার মতো এখানেও বহু কর্ম প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠল। সরকার পক্ষ সৎসঙ্গী-পরিবৃত এলাকাটির নাম রাখেন ‘সৎসঙ্গ নগর’। সেখানে ডাকঘর ও ব্যাঙ্কের শাখাও খোলা হয়। অচিরেই দেওঘরের সৎসঙ্গ নগর ভক্ত ও ভগবানের মিলন তীর্থে পরিণত হলো। (দয়াল ঠাকুর, পৃষ্ঠা:৩৮)
শতশত হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন আর শতশত আদিবাসী সাঁওতাল এসে যোগ দিলো সৎসঙ্গে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের লোক ছাড়াও নেপাল, মিয়ানমার, চীন, জাপান, শ্রীলঙ্কা, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা প্রভৃতি দেশের লোক এসে শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে দীক্ষা গ্রহণ করতে লাগল। <ref name="ReferenceB"/> একে একে স্থাপিত হলো ফিলানথ্রপি অফিস, আনন্দবাজার, তপোবন বিদ্যালয়। গড়া হলো দ্বিতল মাতৃমন্দির ‘মনোমোহিনী ধাম’, শ্রীশ্রীঠাকুরের বাসঘর ‘হোসেনি লজ’, ‘পার্লার’, ‘নিরালা নিবাস’, ভক্ত ও অভ্যাগতদের নিয়ে বসার জন্য ‘গোলঘর’, বড়াল বাংলো। শ্রীশ্রীঠাকুর পরিবারের জন্য ‘ষোড়শী ভবন’, ‘বিবেক বিতান’ প্রভৃতি। ক্রমে স্থাপিত হলো পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা, অতিথিশালা, প্রেস, পোস্টঅফিস, টেলিগ্রাম অফিস, হাসপাতাল, কলেজ। বাংলা, হিন্দি ও অনান্য ভাষায় পত্রিকা প্রকাশের জন্য খোলা হলো প্রকাশনী। ঋত্বিকগণের জন্যে তৈরি হলো ঋত্বিক কলোনি ও আদর্শ ঋত্বিকগণের জন্য ‘যতি আশ্রম’। শতশত একর জমি নিয়ে বসবাস করতে লাগল শতশত সৎসঙ্গী পরিবার। এমনিভাবে আশ্রম স্থাপন করে অতঃপর শ্রীশ্রীঠাকুর তৈরি করলেন ধর্মীয় নগর গড়ার এক মহাপ্রকল্প। গড়ে উঠল নগর। তাতে এসে বাস করতে লাগল হাজার হাজার বাস্তুহারা। বেড়ে চলল জ্ঞান, বিজ্ঞান, সেবা ও সত্য সাধনার পরিপোষক বিভিন্ন প্রতিষ্টান। এগুলো হলো ‘অমর দ্যুতি বিদ্যামন্দির’ লাইব্রেরি, ‘দ্যূত দীপ্তি’ হাসপাতাল প্রভৃতি। <ref name="ReferenceB"/>