সামন্ততন্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান সংশোধন ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
৩ নং লাইন:
'''সামন্ততন্ত্র''' বা '''সামন্তবাদ''' মধ্যযুগের ইউরোপের ইতিহাসে একটি গুরত্ত্বপুর্ন প্রতিষ্ঠান বা প্রথা। মধ্য যুগে ইউরোপে যে তিনটি স্তম্ভ ( জার্মান জাতিগোষ্ঠীর রাজ্য শাসন পদ্ধতি, খ্রিষ্ট ধর্ম ও সামন্ত্রতন্ত্র ) এর উপর ভিত্তি করে তাদের সমাজ ও সভ্যতার সৌধ নির্মিত হয়েছিল বলে স্বীকৃত, সেই তিনটি স্তম্ভের মধ্যে নিঃসন্দেহে সামন্ত্রতন্ত্র বিশেষভাবে আলোচিত। কারণ সামন্ত্রতন্ত্র ইউরোপের ইতিহাসে এতো বেশি আলোচিত যে, মধ্যযুগকে অনেক সময় সামন্ত্রতন্ত্রের যুগ বলেও চিহ্নিত করা হয়।
সামন্ততন্ত্র ছিল মুলত এক প্রকার ভূমি ব্যবস্থাপনা। এই ব্যবস্থা সমগ্র মধ্যযুগব্যাপী আর্থাৎ, নবম শতক হতে পনের শতক পর্যন্ত ইউরোপবাসীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন এবং তাদের আচার-আচরন ও ভাবধারার উপর বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল। উৎপত্তি গত ভাবে দেখতে গেলে দেখা যায় সামন্ত্রতন্ত্র একটি ল্যাটিন শব্দ Feudam থেকে এসেছে। এখানে Feudam অর্থ Fief বা ক্ষুদ্র জমি। অন্যদিকে
সামন্ততন্ত্র বিকশিত হয়েছিল তখন যখন সম্পদ ও ক্ষমতার উৎস ছিল একমাত্র জমি। জার্মান অভিবাসনের সময় শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল এবং এ সময় মুলত জমি কেন্দ্রিক উৎপাদন গুরত্ব লাভ করায় জমির মালিকের নিকট ক্ষমতা কেন্দ্রীভুত হয়েছিল। সামন্ত প্রথার উৎপাদনের কাজে সামন্ত প্রভূদের কোন ভূমিকা থাকতোনা। উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত থাকতো কৃষক ও ভূমিদাসগন অথচ উৎপাদিত ফসলের এক বিরাট অংশ পেত সামন্ত প্রভূরা।
সামন্ততন্ত্র মূলত ভূমিকেন্দ্রীক একটি সরকার ব্যবস্থা। যেখানে রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পরিবর্তে স্থানীয় ভূস্বামীদের মধ্যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রিভূত হয়েছিল। তবে যথাযথভাবে সামন্ত্রতন্ত্রের সংজ্ঞা দেওয়া অত্যন্ত দুরহ ব্যাপার। কেননা একক কোন সংগায় সামন্ত্রতন্ত্রকে ব্যাখ্যা করা যায় না।
কেউ কেউ বলেন যে , দশ ও এগার শতকে ইউরোপে যে বিশেষ সমাজ ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছিল তাই সামন্ত্র ব্যবস্থা।
|