ইডেন গার্ডেন্স: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান) |
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান) |
||
৬১ নং লাইন:
==ইতিহাস==
১৮৩৬ থেকে ১৮৪২ অবধি ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন [[লর্ড অকল্যান্ড]]। পোশাকি ভারী পরিচয় ‘[[ফার্স্ট আর্ল অব অকল্যান্ড]]’-এর আড়ালে চাপা পড়ে গিয়েছিল তাঁর প্রকৃত নাম, [[জর্জ ইডেন]]। প্রশাসনিক দায়িত্ব পেয়ে তিনি ভারতে এসে বিপত্তি হয়েছিল তাঁর দুই বোনের। মানিয়ে নিতে পারছিলেন না পরিবেশের সঙ্গে। সান্ধ্যভ্রমণে যেতেন দুই বোন। শহরের সেই নির্দিষ্ট অংশে সকালে ও সন্ধ্যায় হাঁটতে যেতেন ইউরোপীয়রা। দুই বোন চাইলেন, সেই জায়গাটুকু মনোরম করে সাজাতে। শহরের মান্যগণ্য মহলে লর্ড অকল্যান্ডের দুই বোনের পরিচয় ছিল ‘মিস ইডেন’ বলে।যা কলকাতা ময়দান, উনিশ শতকের মাঝামাঝি, সেখানে ছিল ঘন জঙ্গল। ইতিউতি কয়েক ঘর তাঁতির বাস। তখন প্রধান ঘাট ছিল চাঁদপাল ঘাট। জনৈক চন্দর (বা চন্দ্র) নাথ পালের নামে এই ঘাটের নামকরণ হয়েছিল। মাঝিমাল্লা ও পথিকদের জন্য একটা মুদির দোকান দিয়েছিলেন তিনি। সেই ঘাটেই এসে নামতেন ব্রিটিশরা। যাঁদের কাছে মুক্ত বাতাসের ফুসফুস ছিল ইডেন বোনদের তৈরি উদ্যান। এর নাম ছিল ‘লেডি বাগান’। পোশাকি নাম ছিল ‘অকল্যান্ড সার্কাস গার্ডেন’। ১৮৫৬ সালে নাম দেওয়া হয় ‘ইডেন গার্ডেন্স। ১৮৬৫ থেকে ১৮৭১ অবধি এই উদ্যানের সংস্কারসাধন করা হয়। উদ্যান সেজে গুজে ওঠার আগেই ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে এখানে ক্রিকেট খেলত ‘ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব’। ১৮৬৪ সালে স্টেডিয়ামের গোড়াপত্তন। ক্রিকেট খেলার মাঠ ছাড়াও ধীরে ধীরে ইডেন উদ্যানের বড় অংশ নিয়ে পরবর্তী কালে তৈরি হয় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম এবং আকাশবাণীর কার্যালয়। বাকি অংশ পড়ে থাকে লর্ড অকল্যান্ডের দুই বোনের স্মৃতি নিয়ে। আগে লর্ড অকল্যান্ডের মূর্তি ছিল ইডেন উদ্যানে। পরে তা স্থানান্তরিত হয় হাইকোর্টের দিকে। কিন্তু যাঁদের জন্য এই উদ্যানের জন্ম, সেই দুই বোনের স্মৃতি বা স্মারক বিশেষ নেই। দুই বোনের মধ্যে বড় জন, এমিলি ইডেনকে বলা হত ‘বড়ি মেমসাহিব’। ইডেন উদ্যান তাঁর তরফে কলকাতাকে দিয়ে যাওয়া উপহার। তবে দুই বোনের ইচ্ছেপূরণে লর্ড অকল্যান্ডের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। ১৮৮০ সালে ইডেন উদ্যান নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। উদ্যানে প্রবেশমূল্য দিতে অস্বীকার করেন ব্রিটিশ সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি সেটন কার। তাঁর দাবি মেনে প্রবেশমূল্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেটন কার যুক্তি দিয়েছিলেন, ইডেন উদ্যান ছিল ব্যক্তিগত সম্পত্তি। শোনা যায়, লর্ড অকল্যান্ডের দুই বোনকে হুগলি নদীর ধারে নিজের বাগান উপহার দিয়েছিলেন রানি রাসমণির স্বামী, জমিদার বাবু রাজচন্দ্র দাস। পরে সেই বাগানই মনের মতো করে সাজিয়ে তুলেছিলেন মিস ইডেন-রা। ফলে বন্ধ করা গিয়েছিল প্রবেশমূল্য। কিংবদন্তি যা-ই হোক না কেন,এই উদ্যানের কৃতিত্ব দুই ব্রিটিশ নারীর। লর্ড ডালহৌসির শাসনকালে মায়ানমার (তত্কালীন বর্মা)-র প্রোম থেকে জাহাজে করে ইডেন উদ্যানে নিয়ে আসা হয় ‘প্যাগোডা’। বর্মার বৌদ্ধ প্যাগোডার পরিবর্তিত ঠিকানা হয় ইডেন উদ্যান। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Eden Backdrops |ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/photogallery/sport/eden-garden-has-been-the-gift-to-calcutta-from-miss-eden-dgtl-1.1074031?slide=15}}</ref>
স্টেডিয়ামটির নামকরণ কলকাতার অন্যতম পুরাতন পার্কগুলোর একটি ইডেন গার্ডেন্স এর নামকরণে করা হয়, ১৮৪১ সালে পার্কটির নকশা করা হয়েছিলো এবং পার্কটির নামকরণ তৎকালীন ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড অকল্যাণ্ড এর ইডেন বোনদের নামানুসারে করা হয়েছিলো প্রথমে যদিও পার্কটির নাম ‘অকল্যাণ্ড সার্কাস গার্ডেন্স’ রাখা হয়েছিলো কিন্তু পরবর্তীতে এর নির্মানকারীগণ বাইবেলে বর্ণিত গার্ডেন অব ইডেন দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে এর নাম ‘ইডেন গার্ডেন্স’ এ পরিবর্তন করেন ।
|