আফগানিস্তানবাসী পাঞ্জাবি সম্প্রদায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফগানিস্তানে বসবাসরত পাঞ্জাবি সম্প্রদায়
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ShuchismitaBiswas (আলোচনা | অবদান)
"Punjabis in Afghanistan" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে
(কোনও পার্থক্য নেই)

০৪:১৭, ২০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আফগানিস্তানে পাঞ্জাবিরা আফগানিস্তানের বাসিন্দা যাদের বংশের উৎস পাঞ্জাব অঞ্চল। ঐতিহাসিক ভাবে আফগানিস্তানে একটু সংখ্যালঘু পাঞ্জাবি সম্প্রদায় আছে, যারা প্রধানত হিন্দু বা আফগান শিখ| [১]

আফগানিস্তানবাসী পাঞ্জাবি সম্প্রদায়
মোট জনসংখ্যা
৩০০০ (প্রবাসী পাঞ্জাবি) প্রবাসী পাঞ্জাবি (including those of ancestral descent)
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
কাবুল
ভাষা
পাশ্ত, দারি, পাঞ্জাবি
ধর্ম
শিখ, হিন্দুত্ব

ইতিহাস

পাস্তুন অঞ্চলের পূর্বদিকে অবস্থিত পাঞ্জাব[২] ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে পাঞ্জাব ও পাস্তুন প্রতিবেশী রাজ্য ছিল। বেশ কয়েক শতাব্দী ধরে, কুঞ্জ, কিডারি, হেল্থলাইটস, গজনভিড, ঘুরিদ, খলজি এবং দুরানিসের মতো বিভিন্ন আফগান রাজবংশ পাঞ্জাবের দিকে রাজ্য প্রসারিত করার চেষ্টা করে। এছাড়া উভয় অঞ্চল বিভিন্ন সময়ে ইন্দো-সিথিয়ান, ইন্দো-পার্থিয়ান এবং কাবুল শাহি বংশের শাসনাধীন থাকে| জে ডাব্লু কাইয়ের আফগান যুদ্ধের ১৮৫7 সালের পর্যালোচনাতে ফ্রিডরিচ এঙ্গেলস আফগানিস্তানের বর্ণনায় লেখেন "এশিয়ার এক বৃহৎ দেশ ... " পাঞ্জাবের এক বিস্তারিত অংশ" যার "অন্তর্ভুক্ত ছিল"। [৩] ঊনবিংশ শতকে পাঞ্জাবের শিখ সাম্রাজ্য আফগান সীমান্তের উদ্দেশ্যে একাধিক আক্রমণ চালিয়ে খাইবার পাস অবধি বৃহৎ অঞ্চল জয় করে।

আফগান শিখ ইতিহাস ২০০ থেকে ৫০০ বছর পুরোনো বলে অনুমান করা হয়| [৪] [৫] সকল শিখ মানুষ অবশ্য পাঞ্জাবি নন।  স্থানীয় কিছু বাসিন্দা পঞ্চদশ শতাব্দীর গুরু নানকের কাবুল অভিযানের সময়ে শিখ ধর্মগ্রহণ করেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে কিছু হিন্দু ক্ষত্রী সম্প্রদায়ের বণিক আফগানিস্তানে বসতি স্থাপন করে ও আঞ্চলিক বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করে। [৬] [৭] আফগানিস্তানের শিখ ও হিন্দু জনসংখ্যা চল্লিশের দশকে ছিল প্রায় আড়াই লাখ। উভয় সম্প্রদায়ের ব্যবসা এবং সরকারী অবস্থানগুলিতে বিশেষভাবে প্রতিনিধিত্ব ছিল। জহির শাহের রাজত্বকে সমৃদ্ধ বলে মনে করা হত। তাদের মধ্যে কয়েকজন ধনী জমির মালিক ছিলেন। [৮] ১৯৪৭ সালে, উত্তর পাঞ্জাবের পোটোহার থেকে কিছু শিখ ভারত বিভাগের সময় আফগানিস্তান এসেছিলেন।

জনসংখ্যার উপাত্ত

নব্বইয়ের দশকের আগে আফগানিস্তানে পাঞ্জাবী শিখ এবং হিন্দুদের সংখ্যা ছিল এক লক্ষেরও বেশি। [৮] ১৯৭৯ এর  সোভিয়েত আক্রমণ এবং তারপর আফগান গৃহযুদ্ধের জন্য অনেকে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যান এবং সেখানে জনসংখ্যা অনেক কমে আসে। অনেকেই পাকিস্তান বা ভারতে চলে যান, অন্যরা উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপে পুনর্বাসিত হন। [৯] এখন আফঘানিস্তানে পাঞ্জাবি জনসংখ্যা ৩০০০| [১] অধিকাংশই থাকেন কাবুলে[৭] তালেবান শাসনকালে শিখ এবং হিন্দুদের হলুদ ব্যান্ড পড়তে এবং বাড়িতে হলুদ পতাকা ঝোলাতে বাধ্য করা হতো। [৪] বর্তমান আফগানিস্তানেও তাদের সাথে কিছুটা বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। অনেকসময় তাদের অধিবাসী হিসেবে দেখা হয়, সরকারি পদ দেওয়া হয়না, বা মুক্তিপনের আশায় অপহরণ করা হয় কারণ অনেকেই মনে করেন যে শিখরা ধোনি। । [৫]

  1. "Population of Sikhs, Hindus declined drastically in Afghan: MP"Business Standard। ৩০ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৬ 
  2. Effendi, M.Y. (২০০৭)। Punjab Cavalry: Evolution, Role, Organisation and Tactical Doctrine 11 Cavalry, Frontier Force, 1849-1971। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 30। আইএসবিএন 9780195472035 
  3. Friedrich Engels (১৮৫৭)। "Afghanistan"Andy Blunden। The New American Cyclopaedia, Vol. I। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৫, ২০১০The principal cities of Afghanistan are Kabul, the capital, Ghuznee, Peshawer, and Kandahar. 
  4. "Afghanistan's Sikhs face an uncertain future"Al Jazeera। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৬ 
  5. "Explainer: who are the Afghan Sikhs?"The Conversation। ২১ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৬ 
  6. McLane, John R. (২০০২)। Land and Local Kingship in Eighteenth-Century Bengal। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 131। আইএসবিএন 9780521526548 
  7. Stancati, Margherita; Amiri, Ehsanullah (১২ জানুয়ারি ২০১৫)। "Facing Intolerance, Many Sikhs and Hindus Leave Afghanistan"Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৬ 
  8. "Feeling alienated, Sikhs choose to leave Afghanistan"The Hindu। ১০ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৬ 
  9. Manchanda, Rita (২০১০)। States in Conflict with Their Minorities: Challenges to Minority Rights in South Asia। SAGE Publications India। পৃষ্ঠা 182। আইএসবিএন 9788132105985