সুকুমার রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পরিষ্কারকরণ
সংশোধন
৩৮ নং লাইন:
| প্রবেশদ্বার_দেখানো =
}}
'''সুকুমার রায়''' (৩০ অক্টোবর ১৮৮৭ - ১০ সেপ্টেম্বর ১৯২৩) ছিলেন একজন [[বাঙালি]] শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে "ননসেন্স ছড়া"র প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক [[উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী]]র সন্তান এবং তার পুত্র খ্যাতিমান ভারতীয় চলচ্চিত্রকার [[সত্যজিৎ রায়]]। তার লেখা কবিতার বই ''[[আবোল তাবোল]]'', গল্প ''[[হ-য-ব-র-ল]]'', গল্প সংকলন ''[[পাগলা দাশু]]'', এবং নাটক ''চলচ্চিত্তচঞ্চরী'' বিশ্বসাহিত্যে সর্বযুগের সেরা "[[ননসেন্স ছড়া|ননসেন্স]]" ধরনের ব্যঙ্গাত্মক শিশুসাহিত্যের অন্যতম বলে মনে করা হয়, কেবল ''[[অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড]]'' ইত্যাদি কয়েকটি মুষ্টিমেয় ধ্রুপদী সাহিত্যই যাদের সমকক্ষ। মৃত্যুর বহু বছর পরেও তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম শিশুসাহিত্যিকদের একজন।
 
==পারিবারিক ইতিহাস==
৫৪ নং লাইন:
তিনি গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর কলকাতার সিটি স্কুল থেকে এন্ট্রাস পাশ করেন। [[কলকাতা]]র [[প্রেসিডেন্সি কলেজ]] থেকে ১৯০৬ সালে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বি.এস.সি. (অনার্স) করার পর সুকুমার মুদ্রণবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯১১ সালে বিলেতে যান।<ref name="সেলিনা-নুরুল">[[সেলিনা হোসেন]] ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; [[বাংলা একাডেমী]] চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ৪০৫।</ref> সেখানে তিনি আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন এবং কালক্রমে তিনি ভারতের অগ্রগামী আলোকচিত্রী ও লিথোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯১৩ সালে সুকুমার কলকাতাতে ফিরে আসেন।
 
সুকুমার ইংল্যান্ডে পড়াকালীন, উপেন্দ্রকিশোর জমি ক্রয় করে, উন্নত-মানের রঙিন হাফটোন ব্লক তৈরি ও মুদ্রণক্ষম একটি ছাপাখানা স্থাপন করেছিলেন। তিনি ছোটদের একটি মাসিক পত্রিকা, '[[সন্দেশ (পত্রিকা)|সন্দেশ]]', এই সময় প্রকাশনা শুরু করেন। সুকুমারের বিলেত থেকে ফেরার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যু হয়। উপেন্দ্রকিশোর জীবিত থাকতে সুকুমার লেখার সংখ্যা কম থাকলেও উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যুর পর ''[[সন্দেশ]]'' পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব সুকুমার নিজের কাঁধে তুলে নেন। শুরু হয় বাংলা শিশুসাহিত্যের এক নতুন অধ্যায়। পিতার মৃত্যুর পর আট বছর ধরে তিনি ''সন্দেশ'' ও পারিবারিক [[ছাপাখানা]] পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তার ছোটভাই এই কাজে তার সহায়ক ছিলেন এবং পরিবারের অনেক সদস্য 'সন্দেশ'-এর জন্য নানাবিধ রচনা করে তাদের পাশে দাড়ান।
 
== কর্ম জীবন ==
সুকুমার রায়ের স্বল্পস্থায়ী জীবনে তার প্রতিভার শ্রেষ্ঠ বিকাশ লক্ষ্য করা যায়। সন্দেশের সম্পাদক থাকাকালীন তার লেখা ছড়া, গল্প ও প্রবন্ধ আজও বাংলা শিশুসাহিত্যে মাইলফলক হয়ে আছে। তার বহুমুখী প্রতিভার অনন্য প্রকাশ তার অসাধারণ [[ননসেন্স ছড়া|ননসেন্স ছড়াগুলোতে]]। তার প্রথম ও একমাত্র ননসেন্স ছড়ার বই ''[[আবোল তাবোল]]'' শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বরং বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে নিজস্ব জায়গার দাবিদার।
 
{{Quote box2|width=25%|quote=<br />“সাগর যেথা লুটিয়ে পড়ে নতুন মেঘের দেশে<br />আকাশ-ধোয়া নীল যেখানে সাগর জলে মেশে।<br />মেঘের শিশু ঘুমায় সেথা আকাশ-দোলায় শুয়ে-<br />ভোরের রবি জাগায় তারে সোনার কাঠি ছুঁয়ে।”|source=—সুকুমার রায় রচিত ছড়ার অংশবিশেষ।''<ref>দৈনিক কালেরকণ্ঠ, মুদ্রিত সংস্করণ, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১০ইং</ref>}}