রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[অপরীক্ষিত সংশোধন] | [অপরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ভুল তথ্যে ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা |
NahidSultan (আলোচনা | অবদান) সুমিত রায়-এর করা 2632504 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে: সর্বশেষ নিরপেক্ষ সংস্করণে ফেরত। (টুইং) ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত |
||
১ নং লাইন:
{{Infobox Political Party
|party_name = রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক
|colorcode = Orange
|abbreviation = আরএসএস
|colorcode = saffron
|formation = ২৭শে সেপ্টেম্বর ১৯২৫ (৯০ বছর আগে)
১০ নং লাইন:
|ideology = [[হিন্দু জাতীয়তাবাদ]]
|headquarters = [[নাগপুর]], [[মহারাষ্ট্র]], [[ভারত]]
|membership =
|language = [[হিন্দি]]
|chairperson = [[মোহন ভাগবত]]
১৭ নং লাইন:
|website = [http://rss.org/default.aspx rss.org]
}}
'''রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ''' ('''আরএসএস''')<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.britannica.com/EBchecked/topic/919613/Rashtriya-Swayamsevak-Sangh|title=Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS)|quote=(Hindi: “National Volunteer Organization”) also called Rashtriya Seva Sang}}</ref><ref name="LutzLutz2008">{{বই উদ্ধৃতি|last1=Lutz|first1=James M.|last2=Lutz|first2=Brenda J.|title=Global Terrorism|url=http://books.google.com/?id=VEPz1Dn0g6AC&pg=PA100|accessdate=11 June 2010|year=2008|publisher=Taylor & Francis|isbn=9780415772464|page=303}}</ref> [[ভারত|ভারতের]] একটি
আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকেরা
|title=RSS service projects multiply ten-fold
|url=http://timesofindia.indiatimes.com/city/nagpur/RSS-service-projectsmultiply-ten-fold/articleshow/5194113.cms
|publisher=Times of India
| date=2009-11-04}}</ref><ref>
কোনো কোনো সমালোচক আরএসএস-কে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন বলে থাকেন।<ref name="Bhatt113">{{বই উদ্ধৃতি|last=Bhatt|first=Chetan|title=Hindu Nationalism: Origins, Ideologies and Modern Myths|year=2001|publisher=Berg Publishers|location=New York|isbn=1859733484|page=113}}</ref><ref name="news.bbc.co.uk">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/655722.stm |title=South Asia | Analysis: RSS aims for a Hindu nation |publisher=BBC News |date=2003-03-10 |accessdate=2011-01-26}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|last=Jaffrelot|first=Christophe|title=The Hindu Nationalist Movement in India|year=1998|publisher=[[Columbia University Press]]|location=New York|isbn=0-231-10334-4|page=35}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|last=Dossani|first=Rafiq|coauthor=Henry S. Rowen|title=Prospects for peace in South Asia|year=2005|publisher=[[Stanford University Press]]|location=Stanford|isbn=0-8047-5085-8|page=186}}</ref> ব্রিটিশ আমলে এই সংগঠন নিষিদ্ধ ছিল।<ref name="Atkins2004"/> স্বাধীন ভারতে ১৯৪৮ সালে [[নাথুরাম গডসে]] নামে এক প্রাক্তন আরএসএস-সদস্য<ref>Dr.'Krant'M.L.Verma ''Swadhinta Sangram Ke Krantikari Sahitya Ka Itihas'' (Part-3) p.766</ref> [[মহাত্মা গান্ধী]]কে হত্যা করলে [[ভারত সরকার]] এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে
==ইতিহাস==
===দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ===
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আরএসএসের নেতারা প্রকাশ্যে [[আডলফ হিটলার|আডলফ হিটলারের]] প্রশংসা করতেন। [[মাধব সদাশিব গোলবলকার]] যিনি [[কে বি হেডগেওয়ার|হেডগেওয়ারের]] পরে আরএসএসের পরবর্তী সর্বোচ্চ প্রধান হয়েছিলেন, তিনি [[আডলফ হিটলার|হিটলারের]] বর্ণ-বিশুদ্ধতা মতবাদে অনুপ্রাণীত ছিলেন। কিন্তু কিছু আরএসএস নেতারা ইসরায়েলপন্থীও ছিলেন, বস্তুত [[বিনায়ক দামোদর সাভারকর|সাভারকর]] [[ইহুদি]] রাষ্ট্র [[ইসরায়েল]] গঠনের সময় পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন। তবে [[মাধব সদাশিব গোলবলকার|গোলবলকার]] "ধর্ম, সংস্কৃতি ও ভাষা" সমুন্নত রাখার জন্য ইহুদিদের ভূয়সী প্রশংসাও করেছিলেন।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার পরে কে. বি. হেডগেওয়ার আরএসএসকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ঐতিহ্যের সূত্রপাত ঘটান। ব্রিটিশবিরোধী বলে পরিগণিত হতে পারে এরকম যেকোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকেই আরএসএস সযত্নে পরিহার করে চলত। আরএসএস এর জীবনীকার সি. পি. ভিশিকার এর কথায়, হেডগেওয়ার সরকার নিয়ে সরাসরি যেকোন মন্তব্য করা এড়িয়ে গিয়ে কেবল হিন্দু সংগঠন নিয়েই কথা বলতেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Religious Dimensions of Indian Nationalism: A Study of RSS|last=Islam|first=Shamsul|publisher=Media House|year=2006|isbn=ISBN 978-81-7495-236-3|location=|pages=188}}</ref> ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৩০ সালের ২৬শে জানুয়ারিতে "স্বাধীনতা দিবস" ঘোষণা করেছিল। কেবল সেই বছরেই আরএসএস এই দিবস উদযাপন করেছিল, কিন্তু এর পরের বছরগুলোতে তারা এই দিবস উদযাপন থেকে বিরত থাকে। আরএসএস ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের তেরঙ্গাকেও পরিহার করেছিল। ১৯৩০ সালের এপ্রিলে গান্ধীর ডাকা [[সত্যাগ্রহ]] আন্দোলনে হেডগেওয়ার ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি আরএসএসকে এই আন্দোলনে জড়ান নি। তিনি সর্বত্র প্রচার করে দিয়েছিলেন যে, সংঘ সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সেখানে অংশগ্রহণ করা নিষেধ ছিল না। ১৯৩৪ সালে, কংগ্রেস রিজোল্যুশন পাশ করে। এটা অনুসারে কংগ্রেসের কোন সদস্যের উপর আরএসএস, হিন্দু মহাসভা অথবা মুসলিম লীগে যোগদান করায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Rashtriya Swayamsevak Sangh: National Upsurge|last=Chitkara|first=M. G.|publisher=APH Publishing|year=2004|isbn=ISBN 8176484652|location=|pages=251-254}}</ref>▼
=== ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ===
আরএসএস নিজেদেরকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে পরিচয় দিয়ে এসেছে, কিন্তু তারা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে নিজেদেরকে বরাবরই দূরে সরিয়ে রেখেছিল। উপনিবেশী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তারা কোন ধরণের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে নি। গান্ধি মুসলিমদের সাথে মিলে গান্দী কাজ করতে চাইলে তারা সেটাকেও প্রত্যাখ্যান করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=The Clash Within: Democracy, Religious Violence, and India's Future|last=Nussbaum|first=Martha Craven|publisher=Harvard University Press|year=2008|isbn=ISBN 978-0-674-03059-6|location=|pages=156}}</ref><ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|title=Hindu Nationalism: Origins, Ideologies and Modern Myths|last=Bhatt|first=Chetan|publisher=|year=2001|isbn=|location=|pages=115}}</ref>
▲সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার পরে কে. বি. হেডগেওয়ার আরএসএসকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ঐতিহ্যের সূত্রপাত ঘটান। ব্রিটিশবিরোধী বলে পরিগণিত হতে পারে এরকম যেকোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকেই আরএসএস সযত্নে পরিহার করে চলত। আরএসএস এর জীবনীকার সি. পি. ভিশিকার এর কথায়, হেডগেওয়ার সরকার নিয়ে সরাসরি যেকোন মন্তব্য করা এড়িয়ে গিয়ে কেবল হিন্দু সংগঠন নিয়েই কথা বলতেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Religious Dimensions of Indian Nationalism: A Study of RSS|last=Islam|first=Shamsul|publisher=Media House|year=2006|isbn=ISBN 978-81-7495-236-3|location=|pages=188}}</ref> ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৩০ সালের ২৬শে জানুয়ারিতে "স্বাধীনতা দিবস" ঘোষণা করেছিল। কেবল সেই বছরেই আরএসএস এই দিবস উদযাপন করেছিল, কিন্তু এর পরের বছরগুলোতে তারা এই দিবস উদযাপন থেকে বিরত থাকে। আরএসএস ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের তেরঙ্গাকেও পরিহার করেছিল। ১৯৩০ সালের এপ্রিলে গান্ধীর ডাকা [[সত্যাগ্রহ]] আন্দোলনে হেডগেওয়ার ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি আরএসএসকে এই আন্দোলনে জড়ান নি। তিনি সর্বত্র প্রচার করে দিয়েছিলেন যে, সংঘ সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সেখানে অংশগ্রহণ করা নিষেধ ছিল না। ১৯৩৪ সালে, কংগ্রেস রিজোল্যুশন পাশ করে। এটা অনুসারে কংগ্রেসের কোন সদস্যের উপর আরএসএস, হিন্দু মহাসভা অথবা মুসলিম লীগে যোগদান করায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Rashtriya Swayamsevak Sangh: National Upsurge|last=Chitkara|first=M. G.|publisher=APH Publishing|year=2004|isbn=ISBN 8176484652|location=|pages=251-254}}</ref>
১৯৪০ সালে আরএসএস এর নেতা হন এম. এস. গোলবলকার। তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে আরএসএসকে আরও বেশি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তার দৃষ্টিভঙ্গিতে, আরএসএস ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নয়, বরং "ধর্ম ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করার মাধ্যমে" স্বাধীনতা অর্জন করার প্রতিজ্ঞা করেছে। এমনকি গোলবলকার ব্রিটিশবিরোধী জাতীয়তাবাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন, এবং একে "প্রতিক্রিয়াশীল দৃষ্টিভঙ্গি" বলে মত প্রকাশ করেছিলেন। তার মতে এই "প্রতিক্রিয়াশীল দৃষ্টিভঙ্গি স্বাধীনতা আন্দোলনের সমগ্র কার্যধারায় ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে। বিশ্বাস করা হয় যে, গোলবলকার ব্রিটিশদেরকে আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবার কোন সুযোগ দিতে চাইতেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটিশদের সকল কঠোর নীতিকে মেনে নেন। এমনকি সেসময় ব্রিটিশদের কথায় তিনি আরএসএস এর সামরিক বিভাগেরও পরিসমাপ্তি ঘটান। ব্রিটিশ সরকার বলেছিল, আরএসএস তাদের বিরুদ্ধে কোন নাগরিক অবাধ্যতাকে সমর্থন করে নি, আর তাই তাদের কোন রাজনৈতিক কার্যক্রমে দৃষ্টিপাত করার প্রয়োজন নেই। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগ এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করে নোট গ্রহণ করে যে, সংঘের অধিবেশনের বক্তাগণ তাদের সদস্যদেরকে প্ররোচিত করেছিলেন যাতে তারা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রতি নির্লিপ্ত থাকেন। আরএসএস যথাযথভাবে সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আজ্ঞা মেনে আসছিল, আর তাই সরকারের মত ছিল যে, আরএসএস ব্রিটিশ ভারতের কোন আইন ও বিধির জন্য ভীতিজনক নয়। বোম্বে সরকার একটি রিপোর্টে আরএসএসকে প্রশংসা করেছিল, কারণ তারা কর্তব্যপরায়ণের সাথে নিজেদেরকে আইনের মধ্যে রেখেছিল এবং কোন ধরণের ঝামেলায় (ভারত ছাড় আন্দোলন) সংযুক্ত হওয়া থেকে বিরত ছিল। এটাও রিপোর্ট করা হয় যে, আরএসএস কখনই আইনকে অমান্য করে নি, এবং এরা সবসময়ই আইন মেনে এসেছে। সংগঠনটি থেকে উপদেশীয় কমিউনিস্ট নেতাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়, আরা যেন ব্রিটিশ সরকারের কাছে আপত্তিকর বলে মনে হয় এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন, আর এভাবেই পরিণামে আরএসএস ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে নিশ্চিত করেছিল যে, "সরকারের বিধিমালার বিরুদ্ধে যাবার মত কোন উদ্দেশ্য সংগঠনটির নেই"।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Towards Freedom 1943-44,Part III|last=Gupta|first=Partha Sarathi|publisher=New Delhi: Oxford University Press|year=1997|isbn=ISBN 978-0195638684|location=|pages=3058–9}}</ref>
এম. এস. গোলবলকার পরবর্তীতে জনসম্মুখে স্বীকার করে নেন যে, আরএসএস ভারত ছাড় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নি। গোলবলকার আরও বলেন যে, তাদের এরকম অবস্থানই সংঘকে একটি নিষ্ক্রীয় সংগঠন হিসেবে নেবার দিকে নিয়ে গিয়েছিল, বাস্তবে যাদের কথার কোন মূল্য ছিল না।
আরএসএস ১৯৪৫ সালে হওয়া ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে হওয়া রাজকীয় ভারতীয় নৌবিদ্রোকে সমর্থন বা অংশগ্রহণ কিছুই করে নি।<ref name=":0" />
=== যুদ্ধকালীন কার্যক্রম ===
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় আরএসএস সদস্যরা ভারতের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বেচ্ছা-সেবী হয়ে কাজ করেছিল এবং যুদ্ধকালীন সময়ে তারাই প্রথম রক্তদান কর্মসূচী পালন করেছিল।
==বিশিষ্ট স্বয়ংসেবক সদস্যগণ==
৪২ ⟶ ৪৭ নং লাইন:
*[[একনাথ রানাডে]], বিশিষ্ট নেতা ও সমাজকর্মী
*[[নরেন্দ্র মোদী]] বর্তমান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী
== পাদটীকা ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{হিন্দুত্ব |state=expanded}}
{{অসম্পূর্ণ}}
৫৫ ⟶ ৫৭ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দু মৌলবাদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:গৈরিক সন্ত্রাস]]
|