সূরা ফাতিহা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jabirttk (আলোচনা | অবদান)
→‎ভাবানুবাদ: আল্লাহর কে আল্লাহের করা হয়েছে। দয়ালু শব্দের বানান ঠিক করা হয়েছে।
→‎সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা: শব্দ প্রতিস্থাপন
৬৩ নং লাইন:
সূরাটির দ্বিতীয় আয়াতে '''আল-হামদু''' কথাটি '''আশ-শুক্-র্''' থেকে অনেক ব্যাপক, যা আধিক্য ও পরিপূর্ণতা বুঝায়। 'আশ-শুক্-র্ লিল্লাহ' বলার অর্থ হতো এই যে, আমি আল্লাহ্‌র যে নিয়ামত পেয়েছি, সেজন্য আল্লাহ্‌র শুকরিয়া আদায় করছি। অপরদিকে 'আল-হামদুলিল্লাহ' এর সম্পর্ক শুধু নিয়ামত প্রাপ্তির সাথে নয়।<ref name="t-qpc"/>
মানুষ যখন আল্লাহ্‌ ছাড়া অপর কারো গুণ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে তার প্রশংসা করতে শুরু করে, তখন মানুষ তার ভক্তি-শ্রদ্ধার জালে বন্দী হয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত সে মানুষের দাসত্ব ও মানুষের পূজা করতে আরম্ভ করে। এই অবস্থা মানুষকে [[শিরক]]ের পথে পরিচালিত করতে পারে। সে জন্য যাবতীয় 'হামদ' একমাত্র আল্লাহ্‌র জন্যই করার শিক্ষা দেয়া হয়েছে।<ref name="t-qpc"/>
সৃষ্টিজগতকে '''আলাম''' এবং বহুবচনে '''আলামীন''' বলা হয়। [[সূরা আশ-শুআরা|সূরা আশ-শু'আরার]] ২৩-২৪ আয়াতদুটিতে বলা হয়েছে, {{উক্তি|"ফিরআউন বলল: রাব্বুল আলামীন কি? মূসা বললেন: যিনি আসমানআকাশসমূহ-যমীনভূপৃষ্ঠ এবং এ দু'টির মধ্যবর্তী সমস্ত জিনিসের রব।"|sign=|source=}} '''রব''' হচ্ছেন যিনি সৃষ্টি করা, প্রতিটি জিনিসের পরিমাণ নির্ধারণ করা, পথ প্রদর্শন ও আইন বিধান দেওয়া, লালন-পালন করা, রিযিক্‌ দান করা, জীবনদান করা, মৃত্যু প্রদান করা, সন্তান দেয়া, আরোগ্য প্রদান করা ইত্যাদি সবকিছু করার ক্ষমতা রাখেন।<ref name="t-qpc"/>
 
চতুর্থ আয়াতে আল্লাহ্‌কে 'বিচার দিনের মালিক' বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিচার দিন সম্পর্কে [[সূরা আল-ইনফিতার]]ের ১৭-১৯ নং আয়াতগুলোতে বলা হয়েছে, {{উক্তি|"আর কিসে আপনাকে জানাবে প্রতিদান দিবস কী? তারপর বলি, কিসে আপনাকে জানাবে প্রতিদান দিবস কী? সেদিন কোনো মানুষ অন্য মানুষের জন্য কোনো কিছুর ক্ষমতা রাখবে না। আর সেদিন সকল বিষয় হবে আল্লাহর কর্তৃত্বে।"}}