ঋতু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ধ্বংসপ্রবণতা হিসাবে চিহ্নিত 103.96.36.6 (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতিল করে 223.190.67.70-এর করা সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''ঋতু''' বা '''মৌসুম''' বছরের একটি খণ্ডবিশেষ যা নির্দিষ্ট সার্বজনীন কোন সূত্রের ভিত্তিতে স্থির করা হয়। সচরাচর স্থানীয় আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে বৎসরের ঋতু বিভাজন করা হয়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বসন্ত, গ্রীষ্ম, হেমন্ত ও শীত- এই চারটি প্রধান ঋতু দেখা যায়। কিছু দেশের জনগণ ঋতুকে আরো কয়েকভাগে বিভক্ত করেছেন। তন্মধ্যে [[বাংলাদেশ]], [[অস্ট্রেলিয়া|অস্ট্রেলিয়ার]] [[উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য (অস্ট্রেলিয়া)|উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যে]] ৬টি ঋতু বিদ্যমান।
 
ভূমিকা: ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। গ্রীষ্ম, বর্ষা , শরৎ , হেমন্ত, শীত ও বসন্ত এ ছয় ঋতুর আবর্তন বাংলাদেশকে বৈচিত্র্যময় করে তোলে। প্রত্যেকটি ঋতুরই রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্র। এক এক ঋতু আমাদের জীবনে আসে এক এক রকম ফুল, ফল, আর ফসলের সম্ভার নিয়ে। বাংলার প্রকৃতিতে ষড়ঋতুর পালাবদল আল্পনা আঁকে অফুরন্ত সৌন্দর্যের। তাতে আমাদের চোখ জুড়িয়ে যায়। আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠে হৃদয়। গ্রীষ্মের দাবাদাহ্, বর্ষার সজল মেঘের বৃষ্টি , শরতের আলো- ঝলমল স্নিগ্ধ আকাশ, হেমন্তের ফসলভরা মাঠ, শীতের শিশির ভেজা সকাল আর বসন্তের পুষ্প সৌরভ বাংলার প্রকৃতি ও জীবনে আনে বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। ঋতুচক্রের আবর্তনে প্রকৃতির এ সজবদল বাংলাদেশকে রূপের রানিতে পরিণত করেছে।
== জীববৈচিত্র্য ==
[[আবহাওয়া]] ও [[জীববৈচিত্র্য|জীববৈচিত্র্যের]] পরিবর্তন এবং দিনের আলোর মাধ্যমে ঋতু চিহ্নিত হয়ে থাকে। এছাড়াও, [[সূর্য|সূর্যের]] চতুর্দিকে ঘূর্ণায়মান [[পৃথিবী|পৃথিবীর]] বার্ষিক পরিক্রমণও ঋতু পরিবর্তনের সাথে জড়িত। জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে ঋতু ব্যাপক ভূমিকা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। বিশেষ করে বসন্ত ঋতুতে ফুল ফোটে; [[শজারু]] শীতকালে [[ঘুমি|ঘুমিয়ে]] থাকে। এর মাধ্যমেই আমরা উপলদ্ধি করি যে ঋতু পরিবর্তিত হয়েছে।
 
ঋতুচক্রের আবর্তন: বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তনের মূলে রয়েছে জলবায়ূর প্রভাব ও ভৌগোলিক অবস্থান। এ দেশের উত্তরে সুবিস্তৃত হিমালয় পর্বতমালা, দক্ষিনে প্রবাহিত বঙ্গোপসাগর। সেখানে মিলিত হয়েছে হাজার নদীর স্রােতধারা। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির ধারা এ দেশের মাটিকে করে র্উবর, ফুল ওফসলে করে সুশোভিত। নদীর স্রােতে বয়ে আনে পলিমাটি। সে মাটির প্রাণরসে প্রাণ পায় সবুজ বণ বনানী, শ্যামল শস্যলতা। তার সৌন্দর্য্য এ দেশের প্রকৃতি হয়ে উঠে অপরুপ। এভাবেই নব নব সাজে সজ্জিত হয়ে এ দেশে পর পর আসে ছয়টি ঋতু। এমন বৈচিত্র্যময় ঋতুর দেশ হয়তো পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
== অঞ্চলভেদে ==
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় দুইটি ঋতু থাকে।
* বর্ষাকাল এবং
* শুষ্ককাল।
আবার, শীতপ্রধান এলাকায় দুইটি মাত্র ঋতু থাকে।
* পোলার ডে (বসন্ত ও গ্রীষ্ম) এবং
* পোলার নাইট (শরৎ ও শীত)।
 
ঋতু পরিচয়: আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর ভিত্তি করে ৬টি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। প্রতিটি ঋতুর কিছু স্বকীয় বৈশিষ্ট্য আছে। সকল ঋতুর বিরাজকাল সমান না-হলেও হিসাবের সুবিধার্থে পঞ্জিকা বৎসরকে সমমেয়াদী কয়েকটি ঋতুতে বিভাজন করা হয়। যেমনঃ বাংলাদেশে ছয়টি ঋতুর প্রতিটির মেয়াদ দুই মাস ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে। এখানকার আবহাওয়াতে নিরক্ষীয় প্রভাব দেখা যায়। নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত হালকা শীত অনুভূত হয়। মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল চলে। জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত চলে বর্ষা মৌসুম। এসময় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ - যেমনঃ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, জলোচ্ছাস ইত্যাদি প্রতিবছরই আঘাত হানে ও নিত্য সঙ্গী হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
== বাংলা বর্ষপঞ্জিকা ==
 
গ্রীষ্মকাল: বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বছরের প্রথম দুই মাস বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মিলে গ্রীষ্মকাল। এই সময় সূর্যের প্রচন্ড তাপে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভূমি, পানি শুকিয়ে যায়, অনেক [[নদী|নদীই]] তার স্বাভাবিক নাব্যতা হারায়, জলশূণ্য মাটিতে ধরে ফাটল। গাছে গাছে বিভিন্ন মৌসুমী [[ফল]] দেখা যায়, যেমন: [[আম]], [[কাঁঠাল]], [[লিচু]] ইত্যাদি। গ্রীষ্মের প্রকৃতির বর্ণনা দিতে গিয়ে কবির মুখে শোভা পায়-
[[বাংলা বর্ষপঞ্জিকা]] অনুযায়ী ৬টি ঋতু রয়েছে।
“রোদ যেন নয় শুধু ঘন ঘন ফূলকি
প্রতি দুই মাসে একটি ঋতুর আর্বিভাব ঘটে। নীচে তার বিবরণ ছক আকারে দেয়া হলোঃ-
আগুণের ঘোড়া যেন ছুটে চলে দুলকি।
{| class="wikitable"
|-
! ঋতুর নাম
! শুরু
! শেষ
! বাংলা মাসের নাম
|-
| গ্রীষ্ম
| মধ্য-এপ্রিল
| মধ্য-জুন
| [[বৈশাখ]], [[জ্যৈষ্ঠ]]
|-
| বর্ষা
| মধ্য-জুন
| মধ্য-আগস্ট
| [[আষাঢ়]], [[শ্রাবণ]]
|-
| শরৎ
| মধ্য-আগস্ট
| মধ্য-অক্টোবর
| [[ভাদ্র]], [[আশ্বিন]]
|-
| হেমন্ত
| মধ্য-অক্টোবর
| মধ্য-ডিসেম্বর
| [[কার্তিক]], [[অগ্রহায়ণ]]
|-
| শীত
| মধ্য-ডিসেম্বর
| মধ্য-ফেব্রুয়ারি
| [[পৌষ]], [[মাঘ]]
|-
| বসন্ত
| মধ্য-ফেব্রুয়ারি
| মধ্য-এপ্রিল
| [[ফাল্গুন]], [[চৈত্র]]
|}
 
বর্ষাকাল: বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুয়ায়ী গ্রীষ্মের পরের ঋতুটিই হলো বর্ষাকাল। সেসময় প্রচন্ড ও মুষলধারে [[বৃষ্টি|বৃষ্টিপাত]] গ্রীষ্মকালের সব তপ্ততা মিটিয়ে দেয়। রাস্তা-ঘাট বেশ কর্দমাক্ত থাকে। নদী-নালা বেশ ভরাট হয়ে প্রকৃতিতে নতুন মাত্রা জাগিয়ে তোলে। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস মিলে বর্ষাকাল গঠিত। এ সময় নদী নালা, খাল-বিল পানিতে পূর্ণ হয়। এ প্রসঙ্গে কবি উল্লেক করেন।
== বাংলাদেশ ==
“বাদলের ধারা ঝরে ঝর ঝর
{{মূল|বাংলাদেশ#ভূগোল ও জলবায়ু}}
আউসের ক্ষেত জলে ভর ভর
কালিমাখা মেঘে ওপারে আধাঁর
ঘনিয়েছে দেখ চাহিরে”।
 
শরৎকাল: ভাদ্র ও আশ্বিন মাস মিলে শরৎকাল। এটি ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু হিসেবে বিবেচিত। এ সময় [[কাঁশফুল]] ফোটে। আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়।এ সময় বায়ুর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।রাতে সবুজ ঘাসে হালকা জলের কণা দেখা যায়। রতের সৌন্দর্যে বিমোহিত কবির উচ্চারণ-
আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর ভিত্তি করে ৬টি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ [[গ্রীষ্ম]], [[বর্ষা]], [[শরৎ]], [[হেমন্ত]], [[শীত]] ও [[বসন্ত]]। প্রতিটি ঋতুর কিছু স্বকীয় বৈশিষ্ট্য আছে। সকল ঋতুর বিরাজকাল সমান না-হলেও হিসাবের সুবিধার্থে পঞ্জিকা বৎসরকে সমমেয়াদী কয়েকটি ঋতুতে বিভাজন করা হয়। যেমনঃ [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] ছয়টি ঋতুর প্রতিটির মেয়াদ দুই মাস ধরা হয়েছে।
“আজিকে তোমার মধুর মুবতি
হেরিনু শারদ প্রভাতে।”
 
হেমন্তকাল: কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দুই মাস হেমন্তকাল। এটি ষড়ঋতুর চতুর্থ ঋতু। এ ঋতুতে কৃষকের মধ্যে ফসল কাটার ব্যস্ততা দেখা দেয়। ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্নের উৎসব। হেমন্ত প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গেয়েছেন-
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে [[কর্কটক্রান্তি]] রেখা অতিক্রম করেছে। এখানকার আবহাওয়াতে নিরক্ষীয় প্রভাব দেখা যায়। [[নভেম্বর]] হতে [[মার্চ]] পর্যন্ত হালকা শীত অনুভূত হয়। মার্চ হতে [[জুন]] মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল চলে। জুন হতে [[অক্টোবর]] পর্যন্ত চলে বর্ষা মৌসুম। এসময় [[মৌসুমী বায়ু|মৌসুমী বায়ুর]] প্রভাবে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। [[প্রাকৃতিক দুর্যোগ]] - যেমনঃ [[বন্যা]], [[ঘূর্ণিঝড়]], [[টর্নেডো]], [[জলোচ্ছাস]] ইত্যাদি প্রতিবছরই আঘাত হানে ও নিত্য সঙ্গী হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
“কী শোভা কী ছায়া গো-
কী স্নেহ কী মায়া গো
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে
নদীর কুলে কুলে।”
 
শীতকাল: পৌষ ও মাঘ - এই দুই মাস মিলে শীতকাল গঠিত। শীতের সময় [[খেজুর|খেজুরের]] রস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের [[পিঠা|পিঠা-পায়েস]] খাওয়া হয়। [[বনভোজন|বনভোজনের]] আদর্শ ও উপযুক্ত সময় হিসেবে শীতকাল বিবেচিত হয়ে আসছে। এ খুশিতে একাত্ম হয়ে কবি গেয়ে উঠেন–
== ভারত ==
পৌষ-পার্বনে পিঠা খেতে বসে খুশিতে বিষম খেয়ে,
{{মূল|ভারতের জলবায়ু}}
আরও উল্লাস বেড়েছে মনে মায়ের বকুনি খেয়ে।”
 
বসন্তকাল: ফাল্গুন ও চৈত্র এই দুই মাস মিলে বসন্ত কাল। বাংলা পঞ্জিকাবর্ষে বসন্ত সর্বশেষ ঋতু হিসেবে স্বীকৃত। এ ঋতুতে গাছে নতুন [[পাতা]] গজায় ও [[ফুল]] ফোটে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, প্রকৃতিতে নতুন মাত্রা যোগের কারণে বসন্ত ঋতু ''ঋতুরাজ বসন্ত'' নামে পরিচিত। নানা স্থানে বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। আনন্দের আত্মহারা কবি গেয়ে উঠেন–
এক বিশাল ভৌগোলিক ক্ষেত্রে অবস্থানের দরুন ভারতে বৈচিত্র্যপূর্ণ [[আবহাওয়া]] লক্ষ্য করা যায়। কোপেন আবহাওয়া বর্গীকরণ অনুসারে [[ভারত|ভারতে]] ছয়টি প্রধান আবহাওয়া সংক্রান্ত উপ-বর্গ দেখা যায়। যথা: পশ্চিমে [[মরুভূমি]], উত্তরে আল্পীয় তুন্দ্রা ও হিমবাহ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ও দ্বীপাঞ্চলের ক্রান্তীয় আর্দ্র বর্ষণারণ্য। কোনো কোনো অঞ্চলে আবার পৃথক স্থানীয় [[জলবায়ু|জলবায়ুরও]] দেখা মেলে। দেশে মোট চারটি প্রধান ঋতু বিরাজমান। তন্মধ্যে - শীত (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি), গ্রীষ্ম (মার্চ থেকে মে), বর্ষা (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) ও শরৎ-হেমন্ত (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর)।
“ওগো দখিনা মলয়, আজি তব পরশনে
কার কথা পড়ে মনে।
মধুপ হয়েছে আজি পাগলধারা
কুসুমে কুসুমে তাই জেগেছে সাড়া।”
 
উপসংহার: রুপসি বাংলার রঙ্গমঞ্চে ষড়ঋতুর বিচিত্র লীলা যুগ যুগ ধরে অভিনীত হচ্ছে। এ অভিনয়ের পালায় মানুষের মনেও বিচিত্র রুপের প্রতিফলন ঘটছে। প্রকৃতির এমন রুপবৈচিত্র পৃথিবীর আর কোথাও নেই। তাই প্রতিটি ঋতুই আপন আপন বৈশিষ্ট্য সমুজ্জ্বল। ছয়টি ঋতু যেন ছয়টি রঙের পাখি, নিজস্ব সুরে করে ডাকাডাকি । রূপ বৈচিত্র্যের প্রাকৃতিক খেলার কারণেই বাংলার মানুষের মন এত উদার ও কোমল।
==গণনা ==
আবহাওয়াজনিত কারণে ঋতুগুলোকে তাপমাত্রার মাধ্যমে নিরূপণ করা হয়। এখানে গ্রীষ্মকালকে ত্রৈমাসিকভিত্তিতে বছরের সবচেয়ে [[গরম]] এবং শীতকালকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বছরের সবচেয়ে [[ঠাণ্ডা]] সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এ গণনা অনুসারে [[রোমান বর্ষপঞ্জী]] শুরু হয়েছে এবং বসন্ত ঋতুকে ১লা মার্চ থেকে ধরা হয়েছে। এছাড়াও, প্রতিটি ঋতুই ৩টি মাস নিয়ে গঠিত হয়েছে।
 
১৭৮০ সালে ''সোসাইটাজ মেটেওরোলোজিকা প্যাল্যাটিনা'' নামীয় প্রাচীন আবহাওয়া বিষয়ক সংগঠন তিনটি পুরো মাসকে ঋতু হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। এরপর থেকেই পেশাজীবি আবহাওয়াবিদগণ বিশ্বের সর্বত্র এ সংজ্ঞাকে আদর্শ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।<ref>{{cite |title=Begin van de lente (Start of Spring)|work= | publisher = KNMI (Royal Dutch Meteorology Institute)|date=2009-03-20|url=http://www.knmi.nl/cms/content/22141/begin_van_de_lente|format=Dutch|doi=|accessdate=2009-03-20}}</ref>
 
== ঋতু বিবরণ ==
=== গ্রীষ্মকাল ===
{{মূল|গ্রীষ্ম}}
 
বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বছরের প্রথম দুই মাস বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মিলে গ্রীষ্মকাল। এই সময় সূর্যের প্রচন্ড তাপে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভূমি, পানি শুকিয়ে যায়, অনেক [[নদী|নদীই]] তার স্বাভাবিক নাব্যতা হারায়, জলশূণ্য মাটিতে ধরে ফাটল। গাছে গাছে বিভিন্ন মৌসুমী [[ফল]] দেখা যায়, যেমন: [[আম]], [[কাঁঠাল]], [[লিচু]] ইত্যাদি।
 
=== বর্ষাকাল ===
{{ মূল নিবন্ধ| বর্ষা}}
বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুয়ায়ী গ্রীষ্মের পরের ঋতুটিই হলো বর্ষাকাল। সেসময় প্রচন্ড ও মুষলধারে [[বৃষ্টি|বৃষ্টিপাত]] গ্রীষ্মকালের সব তপ্ততা মিটিয়ে দেয়। রাস্তা-ঘাট বেশ কর্দমাক্ত থাকে। নদী-নালা বেশ ভরাট হয়ে প্রকৃতিতে নতুন মাত্রা জাগিয়ে তোলে। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস মিলে বর্ষাকাল গঠিত। এ সময় নদী নালা, খাল-বিল পানিতে পূর্ণ হয়।
 
=== শরৎকাল ===
{{ মূল নিবন্ধ| শরৎ}}
ভাদ্র ও আশ্বিন মাস মিলে শরৎকাল। এটি ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু হিসেবে বিবেচিত। এ সময় [[কাঁশফুল]] ফোটে। আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়।এ সময় বায়ুর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।রাতে সবুজ ঘাসে হালকা জলের কণা দেখা যায়।
 
=== হেমন্তকাল ===
{{ মূল নিবন্ধ| হেমন্ত}}
কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দুই মাস হেমন্তকাল। এটি ষড়ঋতুর চতুর্থ ঋতু। এ ঋতুতে কৃষকের মধ্যে ফসল কাটার ব্যস্ততা দেখা দেয়। ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্নের উৎসব।
 
=== শীতকাল ===
{{ মূল নিবন্ধ| শীত}}
পৌষ ও মাঘ - এই দুই মাস মিলে শীতকাল গঠিত। শীতের সময় [[খেজুর|খেজুরের]] রস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের [[পিঠা|পিঠা-পায়েস]] খাওয়া হয়। [[বনভোজন|বনভোজনের]] আদর্শ ও উপযুক্ত সময় হিসেবে শীতকাল বিবেচিত হয়ে আসছে।
 
=== বসন্তকাল ===
বাতাসে বহিছে প্রেম
নয়নে লাগিল নেশা
কারা যেন ডাকিল পিছে
বসন্ত এসে গেছে।।
 
{{ মূল নিবন্ধ| বসন্ত}}
ফাল্গুন ও চৈত্র এই দুই মাস মিলে বসন্ত কাল। বাংলা পঞ্জিকাবর্ষে বসন্ত সর্বশেষ ঋতু হিসেবে স্বীকৃত। এ ঋতুতে গাছে নতুন [[পাতা]] গজায় ও [[ফুল]] ফোটে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, প্রকৃতিতে নতুন মাত্রা যোগের কারণে বসন্ত ঋতু ''ঋতুরাজ বসন্ত'' নামে পরিচিত। নানা স্থানে বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/entertainment/article/451345/%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4|শিরোনাম=এসেছে ফুল-ফাগুনের বসন্ত...|লেখক=নিজস্ব প্রতিবেদক|কর্ম=prothom-alo.com|সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫}}</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==
<references/>
 
== বহিঃসংযোগ ==
*{{বই উদ্ধৃতি |সম্পাদক=মুনীর মোরশেদ |শিরোনাম= ঋতুপিডিয়া |প্রকাশক= ঘাস ফুল নদী| তারিখ= ২০১০| অবস্থান=[[ঢাকা]]| আইএসবিএন= 984-8215-15-42}}
 
{{ঋতু}}
{{বাংলা ঋতু}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:বর্ষপঞ্জিকা]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলা বর্ষপঞ্জী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঋতু]]
[[বিষয়শ্রেণী:জলবায়ু]]
[[বিষয়শ্রেণী:জলবায়ু বিজ্ঞান]]
[[বিষয়শ্রেণী:সময়ের একক]]
'https://bn.wikipedia.org/wiki/ঋতু' থেকে আনীত