সিগমুন্ড ফ্রয়েড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৭ নং লাইন:
৬ জুন লন্ডনের ভিক্টোরিয়া স্টেশনে ভিড় জমিয়েছিল লন্ডনবাসী, প্রিয় সিগমুন্ড ফ্রয়েডকে দেখার জন্য। বস্তুত জীবনের শেষ একটি বছর লন্ডনে স্বস্তিতে আর আরামেই কেটেছিল ফ্রয়েডের। আর্নেস্ট জোন্স ফ্রয়েড ও তাঁর পরিবারের জন্য খুঁজে বার করেছিলেন ১৯২০ সালে তৈরি পুরনো দিনের স্থাপত্যরীতিতে গড়া বিশাল এক ম্যানসন। সেই বাড়ি কিনে অনেক অদলবদল করেছিলেন পেশায় স্থাপত্যবিদ আর্নেস্ট, বাবার প্রয়োজনকে মাথায় রেখে। এমনকি সিঁড়ি ভাঙতে ফ্রয়েডের কষ্ট হয় বলে বাড়িতে বসেছিল সুন্দর ছোট্ট লিফ্‌টও। ২০ নম্বর ম্যারস্ফিল্ড গার্ডেনস-এর আলো-হাওয়া মাখা সেই বিশাল বাড়িকে বড় সুন্দর মনে হয়েছিল ফ্রয়েডের। মনে হয়েছিল, এ তাঁদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত। লন্ডনের সাধারণ মানুষদের থেকে অকুণ্ঠ ভালবাসা পেয়ে তৃপ্ত বোধ করেছিলেন তিনি। ‘এই ব্রহ্মাণ্ডে আমার শেষ ঠিকানা’ বলে অভিহিত করেছিলেন বাড়িটিকে।
 
লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমের হ্যাম্পস্টেড এলাকায় হ্যাম্পস্টেড মেট্রো স্টেশনকে নীচে রেখে ডানে মোড় নিলেই ফিট্‌সজন্স অ্যাভিনিউয়ের গড়ানে রাস্তা। খানিক এগোলেই ম্যারস্ফিল্ড গার্ডেন্স রাস্তার ২০ নম্বর বাড়িতে জীবনের শেষ এক বছরের একটু বেশি সময় কাটিয়েছিলেন সিগমুন্ড , তাঁর কর্মস্থল ও প্রিয় শহর ভিয়েনা থেকে অনেক দূরে। ইংল্যান্ড চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন আধুনিক সময়ের সবচেয়ে দাপুটে মনস্তত্ত্ববিদ। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Last Days |ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/supplementary/rabibashoriyo/a-short-write-up-on-austrian-neurologist-sigmund-freud-1.1060234}}</ref>
==ধূমপান - ক্যান্সার==
ফ্রয়েড ২৪ বছর বয়স থেকে [[tobacco|তামাকজাত]] [[ধূমপান]] সেবন শুরু করেন; শুরুতে তিনি সিগারেট খেতেন, এরপর তিনি সিগার (চুরুট বা বিড়ি) সেবনকারী হয়ে ওঠেন। তিনি বিশ্বা‌স করতেন যে, ধূমপান তার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতো এবং পরিমিত ধূমপানের মাধ্যমে তিনি আত্ম-নিয়ন্ত্রণের চর্চা‌ চালিয়ে যেতে সক্ষম হন। সহকর্মী [[উইলহেম ফ্লিয়েস]]-এর কাছ থেকে স্বাস্থ্যগত সতর্ক‌বার্তা‌ পাওয়ার পরেও তিনি ধূমপান অব্যহত রাখেন, এবং অবশেষে [[Oral cancer|মুখগহ্বরের ক্যান্সারে]] আক্রান্ত হন।<ref>Gay 2006, pp. 77, 169</ref> ফ্রয়েড ১৮৯৭ সালে ফ্লিয়েসকে পরামর্শ দেন যে, তামাকসহ অন্যান্য আসক্তিমূলক কর্ম‌কান্ডগুলো হল স্ব‌মেহন নামক "অনন্য চমৎকার অভ্যাস"-এর বিকল্প<ref>Freud and Bonaparte 2009, pp. 238–39</ref>
 
১৯২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ফ্রয়েড তার মুখগহ্ব‌রে অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে সৃষ্ট লিউকোপ্লাকিয়া নামক একটি মৃদু জমাট মাংসপিন্ড দেখতে পান। ফ্রয়েড শুরুতে তা গোপন রাখেন, কিন্তু ১৯২৩ সালের এপ্রিলে তিনি আরনেস্ট জোনসকে জানান যে, জমাট মাংসপিন্ডটি কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফ্রয়েড চর্মরোগ-বিশেষজ্ঞ ম্যাক্সিমিলিয়ান স্টেইনারের শরণাপন্ন হন, যিনি তাকে ধূমপান করতে নিষেধ করেন কিন্তু মাংসপিন্ডের ঝুঁকে গুরুত্ব কম দিয়ে তা সম্পর্কে‌ মিথ্যা বলেন। ফ্রয়েড এরপর ফেলিক্স ডাচের শরণাপন্ন হন, যিনি মাংসপিন্ডটিকে ক্যান্সার হিসেবে সনাক্ত করেন; তিনি মাংসপিন্ডটিকে অপেক্ষাকৃত শ্রুতিমধুর শব্দ [[এপিথেলিওমা]] হিসেবে সম্বোধন করার মাধ্যমে ফ্রয়েডকে বিষয়টি অবহিত করেন। ডাচ তাকে ধূমপান বন্ধ করার এবং মাংসপিন্ডটি কেতে ফেলার নির্দে‌শ দেন। এরপর ফ্রয়েড
রাইনোলজিস্ট বা নাক-বিশেষজ্ঞ মারকাস হ্যাজেকের কাছে চিকিৎসা নেন, ইতোঃপূর্বে‌ যার যোগ্যতা সম্পর্কে ফ্রয়েড নিজেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। হ্যাজেক তার ক্লিনিকের বহিরাগত ডিপার্ট‌মেন্টে ফ্রয়েডের একটি নিরর্থক-নিষ্প্রয়োজন কসমেটিক সার্জা‌রি করেন। অস্ত্রপচারের সময় ও পরবর্তী‌তে ফ্রয়েডের উল্লেখযোগ্য হারে রক্তক্ষরণ হয়, এবং তিনি অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যান। ফ্রয়েড এরপর আবার ডাচকে দেখান। ডাচ লক্ষ্য করেন যে, ফ্রয়েডের আবারো অস্ত্রপচার প্রয়োজন হবে, কিন্তু তিনি ফ্রয়েডকে জানাননি যে, ফ্রয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত, কারন তার ভয় ছিল, এটি জানালে ফ্রয়েড হয়তো আত্মহত্যা করতে চাইবেন।<ref>Gay 2006, pp. 419–20</ref>
 
==শেষ জীবন==
ফ্রয়েড ২৪ বছর বয়স থেকে [[tobacco|তামাকজাত]] [[ধূমপান]] সেবন শুরু করেন; শুরুতে তিনি সিগারেট খেতেন, এরপর তিনি সিগার (চুরুট বা বিড়ি) সেবনকারী হয়ে ওঠেন। তিনি বিশ্বা‌স করতেন যে, ধূমপান তার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতো এবং পরিমিত ধূমপানের মাধ্যমে তিনি আত্ম-নিয়ন্ত্রণের চর্চা‌ চালিয়ে যেতে সক্ষম হন। সহকর্মী [[উইলহেম ফ্লিয়েস]]-এর কাছ থেকে স্বাস্থ্যগত সতর্ক‌বার্তা‌ পাওয়ার পরেও তিনি ধূমপান অব্যহত রাখেন, এবং অবশেষে [[Oral cancer|মুখগহ্বরের ক্যান্সারে]] আক্রান্ত হন।<ref>Gay 2006, pp. 77, 169</ref> ফ্রয়েড ১৮৯৭ সালে ফ্লিয়েসকে পরামর্শ দেন যে, তামাকসহ অন্যান্য আসক্তিমূলক কর্ম‌কান্ডগুলো হল স্ব‌মেহন নামক "অনন্য চমৎকার অভ্যাস"-এর বিকল্প<ref>Freud and Bonaparte 2009, pp. 238–39</ref>
লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমের হ্যাম্পস্টেড এলাকায় হ্যাম্পস্টেড মেট্রো স্টেশনকে নীচে রেখে ডানে মোড় নিলেই ফিট্‌সজন্স অ্যাভিনিউয়ের গড়ানে রাস্তা। খানিক এগোলেই ম্যারস্ফিল্ড গার্ডেন্স রাস্তার ২০ নম্বর বাড়িতে জীবনের শেষ এক বছরের একটু বেশি সময় কাটিয়েছিলেন সিগমুন্ড , তাঁর কর্মস্থল ও প্রিয় শহর ভিয়েনা থেকে অনেক দূরে। ইংল্যান্ড চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন আধুনিক সময়ের সবচেয়ে দাপুটে মনস্তত্ত্ববিদ। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Last Days |ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/supplementary/rabibashoriyo/a-short-write-up-on-austrian-neurologist-sigmund-freud-1.1060234}}</ref>
 
১৯২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ফ্রয়েড তার মুখগহ্ব‌রে অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে সৃষ্ট লিউকোপ্লাকিয়া নামক একটি মৃদু জমাট মাংসপিন্ড দেখতে পান। ফ্রয়েড শুরুতে তা গোপন রাখেন, কিন্তু ১৯২৩ সালের এপ্রিলে তিনি আরনেস্ট জোনসকে জানান যে, জমাট মাংসপিন্ডটি কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে।
 
[[File:Freud's ashes in Golder's Green Columbarium.JPG|thumb|upright|[[গোল্ডেন গ্রিন ক্রিমাটোরিয়াম]]নামক অন্ত্যষ্টিক্রিয়া সংগ্রহশালায় ফ্রয়েডের দেহভস্ম।]]