চিত্রাঙ্গদা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
৯ নং লাইন:
 
== বিবাহ,সন্তান ও অন্য়ান্য ==
মণিপুর রাজ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তার কন্যার সাথে কেবলমাত্র মহাবীর অর্জুনের বিবাহ দেবেন। ওইদিকে ইন্দ্রপ্রস্থে সহবাস রত যুধিষ্ঠির ও পাঞ্চালিকে দেখে ফেলে অর্জুনের দ্বাদশ বর্ষ বনবাস হয়। অর্জুন দ্বাদশবর্ষব্যাপী ব্রহ্মচর্য ব্রত পালনের সময় ভ্রমণ করতে করতে এলেন মণিপুররাজ্যে। সেই সময়ে অর্জুন চিত্রাঙ্গদার প্রেমে পড়েন। তার ও চিত্রাঙ্গদার বিবাহ হল । তাঁদের মিলনের ফলে অর্জুনের ঔরসে চিত্রাঙ্গদার গর্ভে সন্তান জন্মায়। তাদের সেই মিলনজাত পুত্রের নাম বভ্রূবাহন<ref>Shastri Chitrao (1964), p. 213</ref>।অর্জুন বভ্রূবাহনকে মণিপুরের রাজা বানিয়ে দেন।দেন ও নিজের রাজ্যে ফিরে যান।
 
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় -
 
:''আমি চিত্রাঙ্গদা - রাজেন্দ্রনন্দিনী''রাজেন্দ্রনন্দিজান
 
==পরবরতি
==
 
অর্জুন শিখণ্ডীকে সন্মুখে রেখে ভীষ্মকে শরশয্যায় শায়িত করেছিলেন বলে বসুগণ যখন গঙ্গাদেবীর সামনে অর্জুনকে নরকাবাসের অভিশাপ {{Sfn|Vettam|1975|p=97}}দিচ্ছেন, উলুপী তখন সেটা শুনতে পান। তাঁর অনুরোধে পিতা কৌরব্য শাপমোচনের জন্য বসুগণকে অনুরোধ করলে বসুগণ বলেন যে, পুত্র বভ্রুবাহনের বাণে পরাস্ত হয়ে রণভূমিতে শয্যাশায়ী হলেই অর্জুনকে আর নরকাবাস করতে হবে না।যুধিষ্ঠিরেরযুধিষ্ঠিরের অশ্বমেধ-যজ্ঞের অশ্বকে নিয়ে যুদ্ধার্থী অর্জুন যখন মণিপুরে এসে পৌঁছলেন, তখন পুত্র বভ্রুবাহন যুদ্ধ না করে ভক্তি সহকারে অর্জুনকে অভ্যর্থনা জানালেন। অর্জুন পুত্রের এই কাপুরুষতা দেখে যখন ধিক্কার দিচ্ছেন, তখন উলুপী ভূমিতল থেকে উঠে এসে নিজেকে বভ্রুবাহনকে বিমাতা বলে পরিচয় দিয়ে পুত্রকে বললেন যুদ্ধ করতে{{Sfn|Vettam|1975|p=97}}। বিমাতার আদেশে বভ্রুবাহন যুদ্ধ শুরু করলেন এবং তাঁর বাণে অর্জুন ভূমিশয্যা নিলেন। বভ্রূবাহনের দ্বারা যুদ্ধে নিহত হওয়ার পরে অর্জুনকে পুনজীবিত করে তাকে বসুদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন।উলুপী সঞ্জীবন-মণি এনে অর্জুনকে সুস্থ করে বসুগণের শাপের কথা সবাইকে বললেন<ref>{{cite book|last=Ganguli|first=Kisari Mohan|title=The Mahabharata: Book 14: Anugita Parva|url=http://www.sacred-texts.com/hin/m14/m14080.htm|publisher=[[Internet Sacred Text Archive]]|chapter=SECTION LXXX|date=1883–1896|accessdate=3 April 2016}}</ref>। অশ্বমেধ যজ্ঞে অর্জুনের আমন্ত্রণে [[চিত্রাঙ্গদা]] ও বভ্রূবাহনের সঙ্গে এসেছিলেন এবং পাণ্ডবদের মহাপ্রস্থানে যাওয়া পর্যন্ত পাণ্ডবদের সঙ্গেই ছিলেন। পাণ্ডবরা চলে গেলে তিনি আবার নিজ রাজ্য়‌ে ফিরে যান।
 
অর্জুন শিখণ্ডীকে সন্মুখে রেখে ভীষ্মকে শরশয্যায় শায়িত করেছিলেন বলে বসুগণ যখন গঙ্গাদেবীর সামনে অর্জুনকে নরকাবাসের অভিশাপ {{Sfn|Vettam|1975|p=97}}দিচ্ছেন, উলুপী তখন সেটা শুনতে পান। তাঁর অনুরোধে পিতা কৌরব্য শাপমোচনের জন্য বসুগণকে অনুরোধ করলে বসুগণ বলেন যে, পুত্র বভ্রুবাহনের বাণে পরাস্ত হয়ে রণভূমিতে শয্যাশায়ী হলেই অর্জুনকে আর নরকাবাস করতে হবে না।যুধিষ্ঠিরের অশ্বমেধ-যজ্ঞের অশ্বকে নিয়ে যুদ্ধার্থী অর্জুন যখন মণিপুরে এসে পৌঁছলেন, তখন পুত্র বভ্রুবাহন যুদ্ধ না করে ভক্তি সহকারে অর্জুনকে অভ্যর্থনা জানালেন। অর্জুন পুত্রের এই কাপুরুষতা দেখে যখন ধিক্কার দিচ্ছেন, তখন উলুপী ভূমিতল থেকে উঠে এসে নিজেকে বভ্রুবাহনকে বিমাতা বলে পরিচয় দিয়ে পুত্রকে বললেন যুদ্ধ করতে{{Sfn|Vettam|1975|p=97}}। বিমাতার আদেশে বভ্রুবাহন যুদ্ধ শুরু করলেন এবং তাঁর বাণে অর্জুন ভূমিশয্যা নিলেন। বভ্রূবাহনের দ্বারা যুদ্ধে নিহত হওয়ার পরে অর্জুনকে পুনজীবিত করে তাকে বসুদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন।উলুপী সঞ্জীবন-মণি এনে অর্জুনকে সুস্থ করে বসুগণের শাপের কথা সবাইকে বললেন<ref>{{cite book|last=Ganguli|first=Kisari Mohan|title=The Mahabharata: Book 14: Anugita Parva|url=http://www.sacred-texts.com/hin/m14/m14080.htm|publisher=[[Internet Sacred Text Archive]]|chapter=SECTION LXXX|date=1883–1896|accessdate=3 April 2016}}</ref>। অশ্বমেধ যজ্ঞে অর্জুনের আমন্ত্রণে [[চিত্রাঙ্গদা]] ও বভ্রূবাহনের সঙ্গে এসেছিলেন এবং পাণ্ডবদের মহাপ্রস্থানে যাওয়া পর্যন্ত পাণ্ডবদের সঙ্গেই ছিলেন। পাণ্ডবরা চলে গেলে তিনি আবার নিজ রাজ্য়‌ে ফিরে যান।
 
<ref>{{cite book|last=Ganguli|first=Kisari Mohan|title=The Mahabharata: Book 17: Mahaprasthanika Parva|url=http://www.sacred-texts.com/hin/m17/m17001.htm|publisher=[[Internet Sacred Text Archive]]|chapter=SECTION 1|date=1883–1896|accessdate=3 April 2016}}</ref>
 
==সাহিত্য==
*চিত্রাঙ্গদা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর