ভূমেন্দ্র গুহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩০ নং লাইন:
১৯৫৪য়, অক্টোবরের এক শীতার্ত মধ্যরাত-উত্তীর্ণ সময়ে ট্রামের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে আহত জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু হয়েছিল। মৃত্যু কালে তাঁর প্রকাশনা বলতে ৫টি কাব্যগ্রন্থ এবং শ্রেষ্ঠ কবিতায় অন্তর্ভুক্ত ১৬২টি কবিতা এবং বিবিন্ন সাময়িক পত্রে ছগিয়ে ছিটিয়ে থাকা আরো শত খানেক কবিতাও কয়েকটি প্রবন্ধ-নিবন্ধ। জীবদ্দশায় কোন প্রবন্ধ গ্রন্থ তিনি প্রকাশ করে যান নি জীবনানন্দ দাশ। ২১টি উপন্যাস একং শতাধিক ছোট গল্প রচনা করলেও একটিও ছাপতে দেন নি কোথাও। ট্রাংখে তারা-চাবি এঁটে সযত্নে লুকিয়ে রেখেছিলেন হাজার হাজার কবিতা, গল্প-উপন্যাসের খাতা ও ডায়েরী। প্রায় তিরিশ হাজার পাতার অপ্রকাশিত লেখা রেখে গিয়েছিলেন জীবনানন্দ শত-শত রুলটানা এক্সারসাইজ খাতা। এই সব শত-শত রুলটানা এক্সারসাইজ খাতা খুঁজেখুঁজে পড়ে পড়ে, ভারী পাওয়ারের চশমায় না কুলোলে আতশ কাঁচের সাহায্য নিয়ে, জীবনানন্দের জড়ানো অনতিস্পষ্ট হস্তাক্ষরের প্রতিরোধ উপেক্ষা ক’রে অগণিত অপ্রকাশিত কবিতা, গল্প, উপন্যাস পাঠোদ্ধার ক’রে যিনি প্রকাশ করবার ব্যবস্থা করে যাচ্ছিলেন কবি ভূমেন্দ্র গুহ ছাড়া। <ref>[http://www.deshebideshe.com/home/printnews/58769 সাক্ষাৎকারে ভূমেন্দ্র গুহ ]</ref>
 
পঞ্চাশের দশকের শুরুতে নিজেদের সাহিত্যের ছোটকাগজ “ময়ূখ”-এর জন্য কবিতা সংগ্রহ করতে গিয়ে জীবনানন্দ দাশের সঙ্গে যে পরিচয় হয়েছিল তারই সূত্র ধ’রে কবির মৃত্যু পরবর্তী সময়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই গড়ে উঠেছিল তাঁর। কার্যত জীবনানন্দের প্রকাশিত-অপ্রকাশিত রচনা সম্বলিত ট্রাংকভর্তি অসংখ্য লেখার খাতা তাঁরই অধিকারে সংরক্ষিত ছিল দীর্ঘ কাল। সুসংরক্ষিত ছিল। সেগুলোর অধিকাংশ পাঠোদ্ধার ক’রে তিনি প্রকাশযোগ্য পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত ক’রে দিয়েছিলেন। বাংলা ভাষার জনপ্রিয়তম কাব্য [[রূপসী বাংলা]] এবং জীবনানন্দের সপ্তম কাব্য সংকলন [[বেলা অবেলা কালবেলা]], তাঁর প্রথম প্রবন্ধসংকলন [[কবিতার কথা]] এবং সর্বপ্রথম প্রকাশিত উপন্যাস [[মাল্যবান]]-এর মুদ্রণযোগ্য পাণ্ডুলিপি সবই ভূমেন্দ্র গুহ’র হাতে তৈরী। কলকাতার প্রতিক্ষণ পাবলিকেশনস ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে ১২ খণ্ডের [[জীবনানান্দ সমগ্র]] প্রকাশ শুরু করেছিল ভূমেন্দ্র গুহেরই কপি করা বিবিধ পাণ্ডুলিপিরর ভিত্তিতে। অপ্রকাশিত কবিতার সংকলন [[হে প্রেম তোমাকে ভেবে ভেবে]], [[ছায়া-আবছায়া]], উপন্যাস [[সফলতা-নিষ্ফলতা]] এবং ২০১২ তে প্রকাশিত [[অপ্রকাশিত শেষ ১৪টি গল্প ও ২টি উপন্যাস]] এবং ১৪ খণ্ডে প্রকাশিত পান্ডুলিপির কবিতা (সহায়তা করেছিলেন বর্তমানের বিশেষ জীবনানন্দ গবেষক গৌতম মিত্র) ইত্যাদিরও পশ্চাৎ কারিকর তিনি।
 
ভূমেন্দ্র গুহ কেবল লেখার খাতা থেকে মুদ্রণযোগ্য পাণ্ডুলিপিই প্রস্তুত করেন নি, তিনি জীবনানন্দের এত-এত লেখার খাতাকে চির অবলুপ্তির হাত থেকে বাঁচিয়েছেন; ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত লেখার খাতাগুলো সযত্নে আগলে রেখেছিলেন নিজের ঠানে যত দিন না চাকুরীসূত্রে কলকাতার বাইরে চলে যাওয়ার ডাক এসেছিল।<ref>[http://www.kaliokalam.com/%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A6%BE/ কবি ভূমেন্দ্র গুহ : একটুখানি পরিচিতি]</ref>