পাকিস্তান সেনাবাহিনী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
রকিবুল খান (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
রকিবুল খান (আলোচনা | অবদান)
৯ নং লাইন:
১৯৭১ সালের [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ]] চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তার স্থানীয় সহযোগী [[রাজাকার]] বাহিনী, [[আল বদর]] ও [[আল শামস]] এর হাতে ৩০ লাখ সাধারণ মানুষের প্রাণহানী ঘটে <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://www.genocidebangladesh.org/ |সংগ্রহের-তারিখ=২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100308004522/http://www.genocidebangladesh.org/ |আর্কাইভের-তারিখ=৮ মার্চ ২০১০ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>। যুদ্ধ শেষে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে ঢাকার রেসকোর্সে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত [[মিত্র বাহিনী]]র কাছে আত্মসমর্পন করে। প্রায় ৯৩ হাজার পাকিস্তানী সেনার এই আত্মসমর্পন ছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে সর্ববৃহৎ আত্মসমর্পনের ঘটনা।
==ইতিহাস==
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভারত বিভাজনের সিদ্ধান্ত যখন হয় তখন ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও দুই ভাগ করার (একটি পাকিস্তান, অপরটি ভারত) সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ১৯৪৬ সালের ১৯ অক্টোবর। ১৯৪৭ সালের ৩০ জুন ব্রিটিশ সরকার চারমাত্র লাখবিশ হাজার সদস্যের একটি বাহিনীসেনাবাহিনী পাকিস্তানের হবে বলে ঘোষণা দেয়। ১৪ই আগস্ট ১৯৪৭ তারিখে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্রিটিশ জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ওয়ালটার মেসার্ভি'র অধীনে আত্মপ্রকাশ করে।
 
পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর থেকেই দেশটির সরকার সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ এবং আধুনিকায়নের ব্যাপারে মনোযোগী ছিলো। ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে নবগঠিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রতিবেশী ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইএ জড়িয়ে পড়তে হয়েছিলো কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী তখন অনেক ছোটো ছিলো, এর না ছিলো কোনো কোর না কোনো বড় ডিভিশন; ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম এবং ১২তম ডিভিশন ছিলো ছোটো আকারে এবং ১৪তম ডিভিশন ছিলো পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) এ। সুতরাং মাত্র পাঁচটি ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীর বারোটি ডিভিশনের সঙ্গে সীমান্তে লড়াইরত ছিলো তখন। ১৯৫০ সালে আরো একটি ডিভিশন (১৫তম) যোগ হয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অংশে। ডিভিশনগুলো ছিলো সবই পদাতিক বাহিনীর এবং ১৯৫০ সালেই সাঁজোয়া বহরে ১৫তম ল্যান্সার্স রেজিমেন্ট শিয়ালকোট সেনানিবাসে যুক্ত হয়েছিলো। ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে আরো ছ'টি সাঁজোয়া রেজিমেন্ট যুক্ত হয়ঃ ৪র্থ ক্যাভালরি, ১২তম ক্যাভালরি, ১৪তম ল্যান্সার্স এবং ২০ ল্যান্সার্স।<ref>{{cite web|title=History of Pakistan Army|url=http://www.pakistanarmy.gov.pk/|accessdate=18 January 2013|url-status=live |archiveurl=https://web.archive.org/web/20130114175609/http://pakistanarmy.gov.pk/|archivedate=14 January 2013|df=dmy-all}}</ref> পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৬০ সালের আগ পর্যন্ত ব্যাপক পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলো এবং সৈন্য সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছিলো, ১৯৫৭ সালেই তাদের প্রথম কোর (১ কোর) তৈরি করা হয়েছিলো।